*ব্রিগেডে সমাবেশ করাটা বামপন্থীদের একটা ঐতিহ্য আছে বহু বছর ধরে,যতদিন পার্টি আছে এটা চেষ্টা করবেন ওনারা মন্তব্য দিলীপের*
এসবি নিউজ ব্যুরো: ব্রিগেডে সমাবেশ করাটা বামপন্থীদের একটা ঐতিহ্য আছে বহু বছর ধরে,যতদিন পার্টি আছে এটা চেষ্টা করবেন ওনারা মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। আজ সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর শহরের বগদা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন,এর আগেও বিধানসভার আগে ব্রিগেডে সমাবেশ করেছেন বামপন্থীরা।
ব্রিগেড মাঠ ভরিয়েও দিয়েছিলেন কিন্তু একটা সিটও জিততে পারেনি। তৃণমূল তো ব্রিগেড করেইনি। বিজেপি করেছিল। গতবারে আইএসএফ-কংগ্রেস কেউ সঙ্গে নিয়েছিলেন। এবারে তাদেরকে ডেকেছেন কিনা জানিনা।
অধীর চৌধুরী বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে এবং মণিপুরে আইনশৃংখলা ভেঙে পড়েছে, কিন্তু বিজেপির ক্ষমতা নেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে, অথবা সন্দেশখালিকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করুক বিজেপি। কিন্তু তা পারবেনা বিজেপি কারন তৃনমূল এবং বিজেপি জোট আছে। বিজেপি তো কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপের মন্তব্য, কংগ্রেস তো এর আগে ডজন ডজন নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দিয়েছে। তাতে গণতন্ত্রের কি লাভ হয়েছে? মানুষের কি লাভ হয়েছে?
গণতান্ত্রিক হিসাবে নির্বাচিত সরকার পালন না করে জনতায় তাকে দেখবে। জনতায় তাকে রায় দিয়েছে। বিজেপি দেখছে তাদের যে সিস্টেম আছে। সিস্টেমের বাইরে কিছু করে না। যারা গন্ডগোল করছে তাদের প্রতি যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেটা সরকার করছে। আদালত থেকে ইডি সিবিআই করছে। পশ্চিমবাংলা মানুষ ভাবুন ব্যাপারটা এই পরিস্থিতি কেন তৈরি হয়েছে। তারা ভোট দিয়ে জিতেছেন। আর তারা কাদেরকে লালন-পালন করে এই ধরনের পশ্চিমবাংলাকে পশ্চিমবাংলাদেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।
সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলাকে ‘বোকামি’ মন্তব্য শতাব্দীর,তৃণমূল সাংসদের দাবি, এতে ক্ষতি হল দলের। পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, দলের কি হলো সেই নিয়ে ওনারা চিন্তিত। পশ্চিমবাংলা থেকে দেশের কি হচ্ছে চিন্তা নেই ? তিনি যেখান থেকে এমপি, সেই বীরভূম জেলায় তো সবচেয়ে বেশি উপদ্রব। এরকম ঘটনা সেখানে বহুবার হয়েছে, আমাদের উপরও হয়েছে। আমি জানিনা তখন তিনি কি বলেছিলেন। কিন্তু সারা পশ্চিমবঙ্গ আস্তে আস্তে বীরভূম এক্সটেনশন হয়ে যাচ্ছে।
বামেদের আমন্ত্রণে বাংলায় আসতে পারেন নীতীশ? নানা সমীকরণের কথা ভেবেই সিপিএম চাইছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আসুন। তাতে তৃণমূলকে বাদ দিয়ে বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’র ছবি তৈরি করতে পারবে আলিমুদ্দিন ? এই নিয়ে দিলীপের মন্তব্য, ইন্ডিয়া হবে কি, হবে না, নীতীশ আসবেন কিনা আমি জানিনা। এটা ঠিক যে সিপিএম বাঁচার জন্য এখন বহু লোকের হাতে পায়ে ধরছে। ডুবে যাওয়ার আগে। বিহারে তো আশা নেই। তাই কখনো বেনারস এবং কোনদিন কলকাতা আসুন ঘুরে যান একটু ভালো হবে। যেখানেই যান বাঁচার কোন রাস্তা নেই।
আগামী ২২ জানুয়ারী উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দিরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে উদ্বোধন হবে এই মন্দিরের। দ্বারোদঘাটনের পর ওইদিনই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার। ভগবান রামলালার বিগ্রহ কোলে করে বর্তমান মন্দির থেকে নবনির্মিত রামমন্দিরে নিয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর সেটি রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিস্থাপিত হবে। এ ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন,ওই দিন বিজেপির সব কর্মীরা এই মহান উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন।
এখানে যেখানে আয়োজন হবে সব জায়গায় তারা সহযোগিতা করবেন। ধুমধাম করে উৎসব পালন করা হবে। দেশের কোনা কোনা থেকে মানুষ আসছে। বিভিন্ন সামগ্রিকও আসছে। গুজরাট থেকে ১০৮ ফুটের ঐতিহাসিক ধূপকাঠি এসেছে। সেইমত পশ্চিমবাংলা থেকেও আমরা সুন্দরবন থেকে ১০১ কেজি মধু পাঠাবো এখান থেকে ঠিক হয়েছে। সেই মধু কালেকশন হচ্ছে।
Jan 07 2024, 18:17