/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz *রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হোকঃ রাজ্যপাল* West Bengal Bangla
*রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হোকঃ রাজ্যপাল*


সোমবার উত্তরবঙ্গ সফর শেষে বাসন্তীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শনিবার বাসন্তীর চাঁদরাখালিতে নিহত হন তৃণমূল নেতা জিয়ারুল মোল্লা। যেখান থেকে তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার হয়, আজ সেখানেই যান রাজ্যপাল। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু নিহতের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি রাজ্যপাল। রাস্তা সরু হওয়ায় ঢুকতে পারেনি রাজ্যপালের গাড়ি। তিনি ফিরে যান ক্যানিংয়ে সেচ দফতরের বাংলোয়। তারপর সেখানেই বাইকে করে এসে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন নিহত জিয়ারুল মোল্লার মেয়ে মানোয়ারা পিয়াদা। রাজ্যপালকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন নিহত তৃণমূল নেতার কন্যা।

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিহত নেতার মেয়ে বলেন, রাজ্যপাল ব্যক্তিগত নম্বর দিয়েছেন, যাতে পরবর্তীতে কোনও সমস্যা হলে তাঁকে জানানো যায়। একইসঙ্গে রাজ্যপালের তরফে তাঁর ভাইকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলেও জানান মানোয়ারা। সমস্ত অভিযোগ লিখিতভাবে জমা দেওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে রাজ্যপাল মানোয়ারার সঙ্গে দেখা করার পর জানান,'রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। ভাঙড়, ক্যানিং, বাসন্তী কয়েকবছর ধরেই অশান্ত। মানুষের রক্তে রাজনৈতিক হোলি দুর্ভাগ্যজনক। মানুষের এক বিন্দু রক্তও গুরুত্বপূর্ণ। হিংসার দুঃখজনক অধ্যায় শেষ হওয়া উচিত। কে হিংসা ছড়াচ্ছে সেটা বড় নয়, মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেটাই বড়। এলাকায় গিয়ে আমি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। কারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তা আমি খতিয়ে দেখছি।' প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘাগরামারী এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। এই ঘটনার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়েছিল পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আচমকাই তৃণমূল নেতার মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে উত্তেজনা।

*সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট, হাইকোর্টে জানাল কমিশন*


কলকাতা:সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জট কাটায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এমনটাই জানালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, এদিনই বকেয়া আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসছে। সব মিলিয়ে আদালতের নির্দেশ মতো মিলেছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিছুক্ষন আগেই কেন্দ্র বাহিনীর ছাড়পত্র দিয়েছে বলে আদালতকে অবগত করেন কমিশনের আইনজীবী জিষ্ণু বসু। এর জেরে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে বলে কমিশন জানালো।

এদিন নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেয় আদালতে। নির্বাচন কমিশনের জানায়, আদালতের নির্দেশ মতো তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে সক্ষম হয়েছে। কমিশন দাবি করে, রাজ্যে ৪৮৩৪ টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে যা মোট বুথের ৭/৮ শতাংশ। আদালতের নির্দেশে প্রথমে ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন হয়েছিল। পরে আসে আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী। আর এদিন বাকি কোম্পানি আসছে বলে জানায় আদালতে জানালো কমিশন। কমিশনের দাবি, যে যে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ভোটের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের ইতিমধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে। তবে এদিন কমিশনের দেওয়া রিপোর্টে বকেয়া বাহিনীর কথা উল্লেখ ছিল না। শুনানির শেষার্ধে এই অতিরিক্ত বাহিনীর কথা জানতে পারে বলে জানায় কমিশন। তার প্রেক্ষিতে কমিশনের এই রিপোর্ট সব পক্ষকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন মামলার শুনানিতে স্বশরীরে হাজির ছিলেন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য।

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া ও রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি নিয়ে হওয়া জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাইকোর্টের


কলকাতা: রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া ও রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা সোমবার খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, কোন পরিস্থতিতে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে তা একমাত্র রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এখানে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেনা। যদিও মামলাকারীর দাবি, আদালতের সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে। তা প্রয়োগ করতে পারে। মামলায় তাঁর অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। কমিশন শাসক দলের নির্দেশ মতো কাজ করছেন।মানুষের নিরাপত্তা, মানুষের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। তাই রাজ্যপাল এবং হাইকোর্ট নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করুক।কিন্তু প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা।

তাই আদালত সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। মানুষের নিরাপত্তা, জীবন জীবিকার আঘাত এলে আদালত নিশ্চিত ভাবে হস্তক্ষেপ করবে। আবার আদালত জানায়, রাজ্যপালের ক্ষমতা রয়েছে জরুরি অবস্থা ঘোষণার। কিন্তু আদালত এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল(এজি) বলেন, রাজ্য সরকার এই মামলা প্রসঙ্গে কিছু জানে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত ঘোষণা হওয়ার পর আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।

তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচন, লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে ঘোষণা হওয়ার পর কোন আদালত সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। নির্বাচনের দফা ঘোষণা হওয়ার পর আর নতুন করে দফা বাড়ানোর আইন নেই এজি। এজি বলেন, গণতন্ত্রের নির্বাচিত সরকার। সেখানে রাজ্যপাল বা হাইকোর্ট কখনোই জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে না। এই মামলার কোন গ্রহণ যোগ্যতা নেই।প্রাক্তন আর্মি অফিসার শ্রীধর বাগারি এই মামলা করেন।

অন্যদিকে,রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া অপর একটি জনস্বার্থ মামলাও খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মিডিয়ার প্রচার পেতেই এই মামলা এবং মানুষের স্বার্থের কোন বিঘ্ন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছে আদালত। প্রসঙ্গত , গত ৭ জুন রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করা হয়। সম্প্রতি তাঁর জয়েনিং লেটার রাজ্যপাল ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।

ইডির পর এবার সিবিআই নজরে সায়নী


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি তলবের পর এবার সিবিআই-এর নজরে সায়নী ঘোষ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সায়নীর বিষয়ে পুঙ্খানপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহে নেমেছেন সিবিআইয়ের কর্তারা৷ এই বিষয়ে তাঁরা ইডির কাছ থেকে তথ্যও চেয়ে পাঠিয়েছেন। কিছুদিন আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা ধরে সায়নী ঘোষকে জেরা করেছে ইডি। ৫ জুলাই তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে।

কিন্তু তার আগেই সিবিআইয়ের নজরে যুব তৃণমূলের সভাপতি। প্রসঙ্গত, সায়নী যুব তৃণমূলের সভাপতি হওয়ার পরেই সাধারণ সম্পাদক হন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ। তবে,'কুন্তল ঘোষের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পেছনে কি তবে সায়নীর হাত?' ইডির এই প্রশ্নের উত্তরে সায়নী জানান, 'কুন্তলকে সাধারণ সম্পাদক করা দলের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত', এর নেপথ্যে তার কোনও ভূমিকা নেই বলেও দাবি করেন নেত্রী।

তবে এরই মধ্যে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সায়নী ঘোষের যে যোগ রয়েছে সেই নিয়ে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআই নতুন করে সায়নীর বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করায়, পুরো বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বাড়তি কৌতূহল তৈরি হয়েছে৷ যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি যুব তৃণমূল সভাপতি।

পুর দুর্নীতি মামলা সুপ্রিমকোর্ট থেকে প্রত্যাহার রাজ্যের


পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলা সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নিল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। সোমবার শীর্ষ আদালত থেকে সেই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য সরকার। মূলত, এই পুরনিয়োগ দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে গত ১৯ মার্চ শিক্ষা নিয়োগের দুর্নীতিতে অয়ন শীলকে গ্রেফতারের পর। আর তাঁকে জেরা করতেই উঠে আসে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত হাজারও দুর্নীতির তথ্য।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুর নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই সেই মামলার বেঞ্চ বদল হয়। এই মামলাটি বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে বিচারাধীন। তাতে অবশ্য রায়ে কোনও পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ বিচারপতি অমৃতা সিনহাও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখেন। অর্থাৎ এই মামলায় দুটি কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে। মামলা চলাকালীন রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টেও স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দায়ের করে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের আগেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসন্তুষ্ট হন। রাজ্যকে ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এরপরই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেশের শীর্ষ আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ভোটের বাংলায় বেলাগাম সন্ত্রাস! শিয়ালদহে নেমেই বাসন্তীতে রাজ্যপাল


ভোট-পর্বে লাগাতার সন্ত্রাস, রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। ভাঙড়, ক্যানিং, কোচবিহারের পর এবার বাসন্তী। সোমবার সকালে শিয়ালদহে নেমে সটান গাড়িতে বাসন্তী পৌঁছলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দলেরই গোষ্ঠী সংঘর্ষে বাসন্তীতে নিহত হন যুব তৃণমূলের কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রবিবার রাতে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ রাজ্যপাল আসেন বাসন্তীর গাগড়ামারি গ্রামে।

সেখ

ানে সেখানে গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল এবং নির্দলের মধ্যে অশান্তি লেগে রয়েছে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সেই সমস্ত সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় মানুষদের সাথে কথা বলেন তিনি। তবে বাসন্তীর নিহত যুব তৃণমূল কর্মী জহিরুল মোল্লার পরিবারের সাথে তিনি এখনো দেখা করেননি।অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাসন্তীর বিভিন্ন এলাকায় চরম অশান্তি ছড়াচ্ছে। এদিন রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ জানান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেও তাঁরা সরব হয়েছেন।

এলাকাবাসীর কথা শুনে রাজ্যপাল এদিন সেখানে হাজির থাকা ক্যানিংয়ের এসডিপিও-র সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে এদিন বেশ কিছু প্রশ্নও করেছেন রাজ্যপাল।পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে মৃত্যু মিছিল দেখছে বাংলা। সংঘর্ষ, বোমাবাজি, খুনোখুনির রাজনীতিতে চরম উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। এর আগেও ভোট ঘিরে হিংসা-বিধ্বস্ত ক্যানিং, ভাঙড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি।

*ফের অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস দক্ষিণবঙ্গ! জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*


সপ্তাহের শুরুতেই একটানা শান্তির বারিধারায় বঙ্গজীবনে ফিরে ছিল স্বস্তি। পায়ে পায়ে বর্ষা এলেও ইন্দ্রদেবের তেমন আর্শীবাদ দক্ষিণবঙ্গ পায়নি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই সপ্তাহান্তে বাড়ল তাপমাত্রা। বাড়বে আপেক্ষিক তাপমাত্রাও। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি উত্তপ্ত পুরুলিয়া। মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বোলপুর-শান্তিনিকেতনেও পারদ কম উর্ধ্বমুখী নয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টা গোটা রাজ্যেই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও দক্ষিণে বাড়বে গরম। হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা, বীরভূমে বৃষ্টিপাত হতে চলেছে। তবে বৃষ্টির দোসর হবে রোদও। আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর।

যদিও উত্তরের চিত্রটা ভিন্ন। দুদিন থেকে উত্তরবঙ্গে ফের জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের তিন জেলা কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে অতিভারী বৃষ্টির জন্য জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। উত্তরের এই তিন জেলায় ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। 

*আজকের রাশিফল ৩রা জুলাই ( সোমবার)*


মেষ: সন্ধ্যার সময়ে ধর্মীয় স্থানে ভ্রমণ হতে পারে। শান্ত থাকুন। নিজের জীবন একটি উচ্চ আদর্শে চালিত করুন। নেশা কাটিয়ে না উঠলে স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেবে।

বৃষ: সহ্যশক্তি মানসিক দৃঢ়তা বাড়িয়ে তুলবে। এর ফলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মাথা ঠান্ডা রাখুন। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হবে আজ।

মিথুন: আপনার ধৈর্য বজায় রাখুন। বাবার দেওয়া পরামর্শ কর্মক্ষেত্রে অনেক সুবিধা করে দেবে। তাই বন্ধুবান্ধব অথবা পরিবারের মানুষদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মন ভালো থাকবে।

কর্কট: প্রেমের জীবন খুব ভালো কাটবে। সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে মন ভালো থাকবে। বন্ধুদের নিয়ে কোথাও খেলাধূলার আয়োজন হতে পারে। স্ত্রীয়ের সাথে মতানৈক্য হতে পারে।

সিংহ: কর্মক্ষত্রে উন্নতি হবে। ভারী জিনিসের থেকে দূরে থাকুন। সন্তানের জন্য গর্বিত হবেন আজ। পরিবারের সঙ্গে থাকুন। কথা বলুন সন্তানদের সঙ্গে, এতে পড়াশোনায় মন বসবে।

কন্যা: আজ শরীরকে বিশ্রাম দিন। মা বাবার শরীরের প্রতি যত্ন নিন। আর্থিক উন্নতি হবে। কাউকে ঘৃণা করবেন না। সমস্ত মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান দিন।

তুলা:​ জমিজমায় বিনিয়োগ লাভজনক হবে। ভাই বোনদের সাহায্যে আজ কিছু আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। কথোপকথনে শান্ত থাকুন। তাড়াতাড়ি কাজ মিটিয়ে সন্ধ্যেটা বিনোদনে কাটান।

বৃশ্চিক: জমানো অর্থ কাজে লাগতে পারে। ধর্মের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে। সহকর্মীদের সহায়তায় আপনার কাজের ক্ষেত্র বেড়ে যাবে। অনর্থক তর্ক মনের শান্তি নষ্ট করবে, সম্পর্কও খারাপ হতে পারে।

ধনু: পরিবারে আজ মতবিরোধ হতে পারে। আপনার সৃজনশীল প্রতিভা আজ খ্যাতি এনে দেবে। পারিবারিক সমস্ত ঋণ মিটিয়ে দিতে পারবেন। পুরানো বন্ধুদের সাথে দেখা হবে।

মকর: অতিরিক্ত কাজের চাপ নেবেন না। অন্য কাজে মন দিন। অসুখ অল্পদিনের মধ্যেই সেরে যাবে। মানসিক চাপ বাড়বে। শরীরও খারাপ হতে পারে। স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিন। দীর্ঘদিনের ঝামেলা আজ মিটে যাবেl

কুম্ভ: কাজের চাপ বিরক্তি তৈরি করবে। ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে পরিবারের দ্বিমত তৈরি হতে পারে। অনেক দিনের পুরনো বিনিয়োগগুলি থেকে আজ আর্থিক লাভ হবে। মানসিক শান্তি পেতে দানধ্যান করুনl

মীন: নতুন উদ্যোগ বা খরচের সম্ভাবনা পিছিয়ে দিন। অন্যদের পরামর্শ নিয়ে বিনিয়োগ না করলে ক্ষতি হতে পারে।

রাজনীতিতে জনসংযোগ বাড়বে। 

কেষ্টহীন বীরভূমে ভার্চুয়ালি ভাষণে মমতা


সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তাঁর আগেই কপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও তিনি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ না হওয়ার কারণে আপাতত ভার্চুয়ালি প্রচার সারবেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় প্রচার করার কথা ছিল মমতার। শুরুও করে দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ থেকে।

কোচবিহারে, জলপাইগুড়িতে সভা করে ফেরার সময়েই ঘটে বিপত্তি। বর্তমানে তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকরা। অন্যদিকে আগামী ৩ জুলাই বীরভূম জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রচার কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল নেত্রীর। তবে চোট সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ার কারণে আপাতত বীরভূম সফরে যাচ্ছেন না তিনি।

তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ভার্চুয়ালি জনসাধারণের বার্তা দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই প্রচার সভার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারির পর থেকে বীরভূমের প্রতিটি রাজনৈতিক গতিবিধির দিকে আরও নজর রাখছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের আগে কেষ্টহীন বীরভূমে প্রচারে তাই যাওয়ার কথাও ছিল মমতার। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের চাঙ্গা করতে এবার ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন মমতা।

বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে লাগাতার উত্তপ্ত কোচবিহার । তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে পথে নেমেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কোচবিহার সফরে গিয়ে রবিবার বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল।

প্রায় দশ মিনিট ধরে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, বাংলায় সীমান্ত এলাকায় এত হিংসা কেন ছড়াচ্ছে তা নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের নানা অংশ। শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সংঘর্ষে বার বার উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।

প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে দিনহাটার গীতালদে জারি ধরলা গ্রামে। কোচবিহারের লাগাতার সংঘর্ষের জেরে সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিএসএফের মদতে সেখানে অশান্তি হয়েছে।তাই এই প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এবং বিএসএফের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে । তবে, রাজ্যপাল এবং বিএসএফ আধিকারিকদের মধ্যে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।