পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিবেশী রাজ্য থেকে পুলিশ চাইছে রাজ্য সরকার
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে হিংসাত্মক ঘটনা এড়াতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছেন কংগ্রেস ও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাপারে রাজ্য সরকার এখনও সম্মতি না দিলেও, অন্য রাজ্যের থেকে ইতিমধ্যেই সশস্ত্র পুলিশ চেয়েছে নবান্ন।
প্রসঙ্গত শনিবার থেকে রাজ্য পুলিশের ছুটি বাতিল করেছে সরকার। শুধুমাত্র জরুরি কারণেই ছুটির আর্জি জানানো যাবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়। সূত্রের খবর, সব বুথে সশস্ত্র বাহিনী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে কমিশনকে জানিয়েছেন শীর্ষ আমলারা। অনুমান করা হচ্ছে,বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড থেকে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী চাইতে পারে নবান্ন।
অন্যদিকে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্যসচিব বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্য পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৭৮ হাজার। শীঘ্রই আট হাজার যোগদান করতে পারেন বাহিনীতে। সময়ের মধ্যে যোগদান করলে তাঁদের ভোট-নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হতে পারে।
এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬১,৬৩৬। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রতিটি বুথে দু’জন করে পুলিশ নিয়োগ করতে হলেও প্রায় প্রয়োজন ১.২৩ লক্ষ পুলিশের। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা, তল্লাশি, ফ্লাইং স্কোয়াড, মোবাইল নিরাপত্তার পাশাপাশি স্ট্রং-রুম রক্ষার জন্যও প্রয়োজন বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই নির্বাচনে সিভিক পুলিশকেও ভোটে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য। রাজ্যের সব পুলিশকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা হলেও ঘাটতি মিটবে না। তাই বাইরের রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী আনার ব্যাপারে তৎপর রাজ্য সরকার।
Jun 10 2023, 13:41