*আইএফএ শিল্ড কার্নিভাল*

খেলা

Khabar kolkata sports Desk: ১২৫ তম আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে ডার্বি ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার আইএফএর উদ্যোগে আইএফএ শিল্ড কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হল কলকাতায়। একটি বাস ঐতিহ্যমন্ডিত আইএফএ শিল্ড পরিক্রমা করল মহানগরীর রাজপথে। সুসজ্জিত বাসে শিল্ডের সঙ্গে ছিলেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের দলের প্রাক্তন ফুটবলাররা। বাসটি ধর্মতলা থেকে ছেড়ে দক্ষিণ কলকাতা বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের পাটুলি ফুড পার্কে যাত্রা শেষ করে। এই ফুড পার্কে ফুটবলারদের নিয়ে টক শো অনুষ্ঠিত হয়। আলভিটো ডি কুনহা, মেহতাব হোসেন, রহিম নবি, ডেনসন দেবদাস, দীপক মন্ডল, অসীম বিশ্বাস, সুভাষ চক্রবর্তী, দীপঙ্কর রায় ,অর্ণব মন্ডল, সৌমিক দে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন আইএফএ এর সভাপতি দিলীপ নারায়ন সাহা।শিল্ড নিয়ে টক শোর পাশাপাশি কুইজ অনুষ্ঠিত হয়। সফল উত্তরদাতাদের ফাইনাল ম্যাচের টিকিট পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।আজ শুক্রবার আইএফএ শিল্ড একই ভাবে উত্তর কলকাতার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করবে।

ছবি: সঞ্জয় হাজরা ( খবর কলকাতা)।

রঞ্জি ট্রফি তে বাংলা এগিয়ে উত্তরাখণ্ডের প্রথম ইনিংসের স্কোরে

খেলা

Khabar kolkata sports Desk: ইডেনে রঞ্জির দ্বিতীয় দিনে বাংলা এগিয়ে উত্তরাখণ্ডের প্রথম ইনিংসের স্কোরে থেকে।বাংলার বিরুদ্ধে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে উত্তরাখণ্ড। কিন্তু প্রথম দিনেই ২১৩ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। বুধবারই জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ফেরেন শূন্য রানে। সকলে আশা করেছিলেন, দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুই সুদীপ মিলে বাংলার ইনিংসকে ভরসা দেবেন। কিন্তু দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন সুদীপ কুমার ঘরামি, মাত্র ১৫ রান করে। এ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরেই ধাক্কা খায় বাংলা। শুধু সুদীপ নয়, আর ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় তারা। অনুষ্টুপ মজুমদার (৩৫) ও অভিষেক পোড়েলও (২১) এ দিন নিরাশ করেন। একটা সময়ে বাংলার স্কোর ছিল চার উইকেটে ৯৮ রান। চাপের মুখে হাল ধরেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। পাশে পান সুমন্ত গুপ্তকে। পঞ্চম উইকেটে তাঁদের অনবদ্য জুটি তোলে ১৫৬ রান, যা বাংলাকে এগিয়ে দেয় উত্তরাখণ্ডের প্রথম ইনিংসের স্কোরের থেকে।

ছবি:সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)।

এসআইআর এর নাম করে কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে দেব না, বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বার্তা জেলা সভাপতির

বসিরহাট : "এসআইআর-এর নামে কোনো ভোটারকে বাদ দিতে দেব না। এটা আমাদের অনন্ত লড়াই।" বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে দলীয় নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা বসিরহাটের তৃণমূলের জেলা সভাপতির। বৃহস্পতিবার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ভ্যাবলা হাই স্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য বিজয়া সম্মিলনী। উপস্থিত ছিলেন, বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা আরটিএ সদস্য সুরজিৎ মিত্র (বাদল), সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান স্বরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা যুব সভাপতি সমিক রায় অধিকারী, ও ছাত্র পরিষদের সভাপতি অভিষেক মজুমদার রিকি সহ একাধিক নেতৃত্ব। এদিন দুপুর থেকেই বসিরহাটের হাড়োয়া, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ, বাদুড়িয়া সহ মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার কর্মী ও সমর্থক মিছিলের ঢেউ তুলে হাজির হন এই সম্মেলনে। মাঠ জুড়ে তৃণমূলের পতাকা, ঢাক-ঢোল আর স্লোগানে উৎসব মুখর হয় পরিবেশ। নেতাদের বক্তব্যে উঠে আসে রাজ্যের উন্নয়নের বার্তা ও সংগঠনের ভবিষ্যৎ রণনীতি। এদিনের বিজয়া সম্মেলন থেকেই আগামী ছাব্বিশের নির্বাচনের জন্য দলীয় কর্মীদের একযোগে প্রস্তুতির আহ্বান জানান জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বুরহানুল মুকাদ্দিম লিটন বলেন, "বিজয়ার শুভক্ষণে আমরা ঐক্যের বার্তা দিচ্ছি। আগামী নির্বাচনে বসিরহাট আবারও মা-মাটি-মানুষের পথে এগিয়ে যাবে। এসআইআর এর নাম করে কোনো ভোটারকে আমরা বাদ দিতে দেব না। এটা আমাদের অনন্ত লড়াই।" ১০ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে কয়েক কিলোমিটার মিছিল করে এই বিজয় সম্মেলনীতে অংশ নেন বসিরহাট ১ নং ব্লকের যুবর সভাপতি সরিফুল মন্ডল। এছাড়াও অন্যান্য ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের কর্মসূচিতে নতুন প্রজন্ম যে তৃণমূলকে বেছে নিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সারা মাঠ জুড়ে জনজোয়ার ও উৎসবের আবহে দিনভর মুখর ছিল বসিরহাট। বিজয়া মিলন উপলক্ষে তৃণমূলের এই সম্মিলনী যেন পরিণত হয় জনসংযোগ ও সংগঠন দৃঢ় করার এক মহাউৎসবে।

ব্যারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী


*নিজস্ব সংবাদদাতা:* ব্যারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুকান্ত সদন প্রেক্ষাগৃহে বুধবার আয়োজন করা হয়েছিল বিজয়া সম্মিলনী।এই দিনের বিজয়া সম্মেলনীতে ব্যারাকপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সংবর্ধনা জানানো হয়।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, ব্যারাকপুর বিধানসভার বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, ব্যারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সম্রাট তাপাদার, ব্যারাকপুর শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাজা পাশওয়ান, ব্যারাকপুর শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মীরা দাস ঘোষ, ব্যারাকপুর শহর আইএনটিটিইউসি সভাপতি শুভেন্দু চৌধুরী, ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রধান উত্তম দাস, উপ পৌরপ্রধান সুপ্রভাত ঘোষ, দমদম ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তথা পৌর পারিষদ সদস্য নওশাদ আলম, মিতালি বিশ্বাস সহ ব্যারাকপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের পৌর পিতা পৌর মাতাগণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস, যুব তৃণমূল কংগ্রেস, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস ও আই এন পি টি ইউ সি নেতৃত্ব কর্মীরা। এই দিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন,"যদি কোন বৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে পাড়ার বিজেপি নেতাদের আটকে রাখা: হবে "। ছবি: প্রবীর রায়।

*'গাছ’ যেখানে দেবতারূপে পূজিত হয়*

ডেস্ক : মানুষের বেঁচে থাকার জন্য গাছ যে অন্যতক একটি সহায়ক শক্তি তা বহু কাল আগেই বৈদিক ঋষিরা অনুভব করেছিলেন। তাই ভারতে বৃক্ষ পুজোর রীতি চালু হয়েছে হাজার বছর আগের থেকেই। বড়ো থেকে ছোট বহু গাছকেই ভারতে দেবতা রূপে পুজো করা হয়।

অশ্বত্থ: সনাতন ধর্মে এটি দেবতার বৃক্ষ হিসেবে পরিচিত। বিশ্বাস করা হয় যে এর শিকড়ে ব্রহ্মা, কাণ্ডে বিষ্ণু, এবং উপরে শিবের বাস।

বট: বট গাছকে স্বয়ং শিবের রূপ এবং ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের সম্মিলিত বাসস্থান হিসেবে দেখা হয়।

তুলসি: তুলসি গাছকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়, যেখানে দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর অধিবাস থাকে।

কলা: কলা গাছের পুজো করলে ভগবান বিষ্ণু, সত্যনারায়ণ ও দেবগুরু বৃহস্পতির আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

আমলকি: আমলকি গাছকে পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং এর পূজা করলে শ্রী বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মীর কৃপা লাভ করা যায়।

আম: আম গাছের পাতা ও ফল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয় এবং এর ধর্মীয় গুরুত্ব অপরিসীম।

অশোক: হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মে অশোক গাছ পবিত্র, এবং এটি প্রেম ও কামদেবতার সঙ্গে যুক্ত।

সৌজন্যে:www.machinnamasta.in

রঞ্জি ট্রফি তে উত্তরাখন্ড দিনের শেষে ২১৩

খেলা

Khabar kolkata sports Desk: কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলা বনাম উত্তরাখণ্ডের মধ্যে দিয়ে শুরু হল রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। চলবে ১৮ ই অক্টোবর পর্যন্ত। বুধবার এলিট গ্রুপ সি এর ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে উত্তরাখন্ড দিনের শেষে তাদের সবকটি উইকেট হারিয়ে মোট ২১৩ তোলে। বাংলার হয়ে মহম্মদ সামি এবং ঈশান পোড়েল ১৫ ওভার বল করে ৩ টি করে উইকেট তুলে নেন। এছাড়া বাংলার বোলার সূরজ সিন্ধু জয়সয়াল ১৯ ওভার বল করে ৪ টি উইকেট দখল করেন। উত্তরাখণ্ডের হয়ে ভূপেন লালওয়ানি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন। দিনের শেষে ব্যাট করতে নেমে বাংলা প্রথমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। বাংলার নির্ভরযোগ্য ওপেনার অভিমুন্য ঈশ্বরণ শুরুতেই দেবেন্দ্র সিং বোরার বলে ক্যাচ আউট হয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন। বাংলার হয়ে সুদীপ কুমার ঘরামি ব্যক্তিগত সাত রান এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগত এক রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। বাংলা আজ ৫ ওভার খেলে এক উইকেট হারিয়ে ৮ রান তুলেছে।

ছবি: সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)।

*Hat-trick of wins for Bengal U-19 team*

Sports

Khabar kolkata sports Desk: Bengal Under-19 men’s team outclassed Haryana by 3 wickets (VJD method) on Monday to script their third successive victory of the Vinoo Mankad Trophy Elite campaign.

Opting to bat at the CAP Ground 4, Puducherry, Haryana scored a challenging 260/8 in 50 overs.

Rohit Kumar Das (4-38) was brilliant with the ball for Bengal while Kushal Gupta (1-30), Sayan Paul (1-37) and Agastya Shukla (1-76) also impressed.

Chasing a revised target of 170 in 25 overs, Bengal got the job done easily, scoring 170/7 in 24.4 overs. Chandrahas Dash (51 off 54), Ankit Chatterjee (45 off 22), Abhiprai Biswas (26 off 25) were superb in the run chase.

Pic Courtesy by: CAB

রাজ্যের মহিলাদের এই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা উচিত বললেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ

 প্রবীর রায় : সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের হালিশহর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের মেয়েরা সুরক্ষিত নন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের মেয়েদের এই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা উচিত। তৃণমূল সরকারকে বিসর্জন দিতে রাজ্যের সমস্ত মহিলাদের পতাকা ছাড়া ঐক্যবদ্ধ হবার তিনি পরামর্শ দিলেন।"এদিন তিনি প্রথমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।পরে হালিশহ নিগমানন্দ আশ্রমে তিনি আসেন।

*সুন্দরবনের জঙ্গলকে আড়াইশো বছর ধরে রক্ষা করে চলেছে আরণ্য কালী*

ডেস্ক : সামনেই কালীপুজো। ইতিমধ্যে বহু বারোয়ারি কালীপুজোর আয়োজন অনেকটাই সারা। আমাদের বাংলার কালীপুজোর প্রধান ঐতিহ্য বহন করে চলেছে বিভিন্ন ডাকার কালী মন্দির। তবে সব ক্ষেত্রে ডাকাত কালী নয়, জঙ্গলকে রক্ষা করার জন্য অনেক কালীপুজোর সূচনা হয়। তেমনই এক কালীপুজো হলো সুন্দরবনের আরণ্য কালী। আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগের তার সূচনা। পুরনো রীতিনীতি মেনে স্বমহিমায় এখনও পূজিত হয়ে আসছেন অরণ্য কালী। সেই ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু হাড়োয়ার বিদ্যাধরী নদীর ধারে খলিসাদি গ্রামের এক প্রাচীন কালী মন্দির। শোনা যায়, আড়াইশো বছর আগে বিদ্যাধরীর জল ফুলেফেঁপে উঠে হয়ে বন্যায় ভাসিয়েছিল সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা। সে সময়ে নদীর পাশেই এক সাধু থাকতেন। জঙ্গলকে রক্ষা করতে সর্বপ্রথম এই অরণ‍্য কালীর পুজো শুরু করেছিলেন তিনিই। তার পরে ধীরে ধীরে তৈরী হয় একটি মন্দির, যা এখন অরণ্য কালীবাড়ি বলেই পরিচিত সুন্দরবন জুড়ে। এখন আর তত ঘন জঙ্গল নেই। গড়ে উঠেছে বেশ কিছু জনবসতি। সকলের সহযোগিতায় সেই পুজো এখনও সমানে চলেছে।

এখন এই পুজোকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট আড়ম্বারে মেতে ওঠে ওই গ্রামের মানুষ। বর্তমানে এই গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের হাতে এই পুজোর দায়িত্ব রয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, মা অরণ্য কালী নাকি খুবই জাগ্রত। সকলের সব মনস্কামনা নাকি পূরণ করেন তিনি। আবার শোনা যায়, অতীতে এই মন্দির প্রাঙ্গণে পুজোর সময়ে ঢুকে পড়ত বাঘ। তাই পুরোহিত থেকে শুরু করে বাকি সবাই তাড়াতাড়ি পুজো সেরে বাড়ি ফিরে যেতেন। মন্দিরে শ্যামাপুজোর দিনে নতুন মূর্তি স্থাপন করা হয় প্রত্যেক বছর, যা পরের বছর পুজোর আগের দিন বিসর্জন দেওয়া হয়। কালীপুজোর সময়ে এক সপ্তাহ ধরে চলে মায়ের আরাধনা। প্রচুর পাঁঠাবলিও হয় এখানে। সঙ্গে হয় ফল বলি। পুজো উপলক্ষে এখানে গ্রামবাসীদের খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানোরও রীতি আছে।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*বর্ধমানের দাঁইহাট শহরের এই কালীপুজোর সূচনা করেছিল ডাকাতেরা*

ডেস্ক : কালীপুজোর সঙ্গে ডাকাতদের এক অদ্ভুত সম্পর্ক। এখনও এমন অনেক কালীপুজো আছে যাদের উৎস ডাকাতদের হাত ধরে। তেমনই এক কালীপুজো হলো বর্ধমানের দাঁইহাট শহরের এক বিখ্যাত কালীপুজো। দাঁইহাটের এই জায়গায় বর্তমানে মন্দির থাকলেও, আগে এসব কিছুই ছিল না। স্থানীয়দের কথায়, বহু বছর আগে ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল এই জায়গা। এবং সেই ঘন জঙ্গলের মধ্যেই, একদম গা ছমছমে পরিবেশে মা কালীর পুজো করত ডাকাতরা। এবং পুজো শেষে দলবেঁধে তাঁরা রওনা দিতেন ডাকাতির জন্য। এই প্রসঙ্গে এক স্থানীয় বাসিন্দা তথা দাঁইহাট ইয়াং গ্রুপের সদস্য জানিয়েছেন, “কথিত আছে বেলডাঙা, ফরিদপুরের বাসিন্দারা এই পুজো করতেন। ওঁরা রাত্রে পুজো করে এখান থেকে ডাকাতি করতে বেরিয়ে যেতেন। ১৯৬৬- ৬৭ সালে আমাদের এই জায়গায় ডাকাতের উৎপাত ছিল। আমরা রাত্রে এলাকা পাহারা দিতাম। সেই সময় আমরা দেখেছিলাম এই জায়গা জঙ্গল ছিল এবং এই জায়গায় নারকেল, ধূপকাঠি, বাতাসা সব পড়ে থাকত কিন্তু লোক থাকত না।”

জানা যায় এই পুজো অন্তত ৪০০ বছরের প্রাচীন। তবে স্থানীয়রা উদ্যোগী হয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন ১৯৬৯ সালে। আগে ছোট্ট খড়ের চালার মন্দির থাকলেও এখন হয়েছে পাকা মন্দির। পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাটে এখনও জাঁকজমক ভাবে এই কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্তরা আসেন পুজো দেওয়ার জন্য। এক সময় যে পুজো করত ডাকাতরা, এখন স্থানীয়রাই সেই পুজো পরিচালনা করেন এবং আনন্দে মেতে ওঠেন।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in