আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তুলি ধরলেন জঙ্গিপুর থানার নবম শ্রেণীর ছাত্রী রিকিতা

এসবি নিউজ ব্যুরো:আর জি কর কান্ড নাড়া দিয়ে গেছে সর্বস্তরের মানুষকে। যখন সেই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার বাংলার মানুষ, ঠিক তখন প্রতিবাদে তুলি ধরলো নবমী শ্রেণীর এক ছাত্রী। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার তরফে সাগরদিঘি থানায় রবিবার রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি হয় ছাত্রছাত্রীদের জন‌্য অঙ্কন প্রতিযোগিতা। সেই অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্কুল থেকে প্রায় ৮০ জন অংশ নিয়েছিল। আর আর জি কর-কাণ্ডে নিজের মতো করে যে ভাবে প্রতিবাদ ও আর্তি রং-তুলিতে তুলে ধরল নবম শ্রেণির মেয়েটি, তা দৃষ্টান্ত বলেই মনে করছেন বিচারক থেকে আয়োজক থানার পুলিশও। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা রবীন দত্ত ও রক্তযোদ্ধা সঞ্জীব দাস। সকলেই বলেন, এটাই প্রকৃত মানুষত্ব। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা।

মাইকে তখন সাগরদিঘি থানার এক কর্তার ঘোষণা, ‘‘এই সময়ের  ঢেউ আছড়ে পড়েছে যার ক‌্যানভাসে, অঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম ক্লাস নাইনের সেই রিকিতা চন্দ।’’ সুসজ্জিত মঞ্চের একেবারে সামনে এসে একজন তার আঁকা ছবিটি তুলে ধরলেন কয়েকশো মানুষের সামনে। নাহ, হাততালি পড়ল না। এক অদ্ভুত নীরবতা গ্রাস করেছে সবাইকে। আর জি কর-কাণ্ড এক কিশোরীর মনে কতটা গভীর প্রভাব ফেলেছে, বুঝে নিতে অসুবিধা হল না কারও। বিচারকেরা বলেন, প্রকৃত শিল্পী মন থাকলে সমকালের প্রভাব তার ছবিতে পড়বেই। এক বিচারক বলেন, “একটা নৃশংস ঘটনা ছাত্রছাত্রীদের মনেও কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, রিকিতার ক‌্যানভাস তাই দেখিয়ে দিল। আমরা যারা বড়, বিষয়টি নিয়ে তাদেরও ভাবা প্রয়োজন।’’ ওসি বিজন রায় জানান, ছাত্রীর এই মানসিকতাকে কুর্নিশ জানাই। পুলিশের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তার চিন্তাভাবনা অঙ্কনের মাধ্যমে ফুটিয়ে ছাত্রীটি সবাইকে সচেতনতার বার্তা দিয়েছে।
আজ শিক্ষক দিবসে শিক্ষারত্ন সম্মান পাচ্ছেন লাভপুরের প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়
এসবি নিউজ ব্যুরো:একজন শিক্ষকের জীবনে ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কারের মূল্য অপরিসীম। শিক্ষকরাই যথার্থ মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁরাই তৈরী করে আদর্শ মানুষ। তাই প্রতি বছর শিক্ষক দিবসে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান দেওয়া হয়। এই বছর সেই সম্মান পাচ্ছেন বীরভূম লাভপুরের মজুমদার ডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদরদী, জনপ্রিয় প্রধান শিক্ষক শ্রী কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গিয়েছে, কাঞ্চন বাবু চৌহাট্টা গ্রামের বাসিন্দা৷ এই মজুমদার ডাঙা প্রাথমিকে ২০০৭ এ যোগদান করেন ৷ ২০১৩ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন৷ বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদে আসীন৷ উল্লেখ্য, এই বিদ্যালয়টি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায়৷ আগে স্কুল ছুটের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি৷ তিনি আসার পর থেকে স্কুল ছুটের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে৷ তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বুঝিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করেন৷ তাঁর প্রচেষ্টায় স্কুল ছুটের সংখ্যা অনেকখানি কমে আসে৷ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নেও তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে৷ শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধূলা, স্কুলে ইন্টারনেটের ব্যবহার, ইউটিউবে পড়াশোনা, গ্রীষ্মে ওয়াটার বেল এর প্রচলন প্রভৃতি ক্ষেত্রে তাঁর অবদান যথেষ্ট৷ অতীতেও শিক্ষা ও সমাজসেবার স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার— সম্মাননা৷ এবার পাচ্ছেন শিক্ষারত্ন৷

জুলাই এ ভার্চ্যুয়াল ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে তাঁর নামটি সিলেক্ট করেন কর্তৃপক্ষ৷ এমন সুসংবাদে খুশির হাওয়া সর্বত্র৷ কাঞ্চন বাবুকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন জেলাবাসী৷ সকলেই মনে করেন তিনি নিজের যোগ্যতায় এই সম্মাননা পাচ্ছেন।
মোমবাতি জ্বালিয়ে ওই  চিকিৎসককে স্মরণ, কলকাতা সহ জেলার রাজপথে রাতেও প্রতিবাদ
*চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যা*

নিজস্ব প্রতিবেদন: আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদে এখনো উত্তাল রয়েছে পুরো রাজ্য। বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে আলো নিভিয়ে বাড়িতে মোমবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে ওই নির্যাতিত চিকিৎসককে স্মরণ করেছে মানুষ। রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকেরা এই কর্মসূচি ডেকেছিলেন।

ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাতভর কলকাতার রাজপথে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ১৪ আগস্ট রাতে একইভাবে রাজপথে আন্দোলন করেন নারীরা। আন্দোলনে সামিল হওয়া ব্যক্তিদের দাবি, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার বিকেল থেকেই বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট চালিয়েছে। প্রকৃত খুনী শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করা হয়। এই কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে।

এদিন কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকার সমস্ত স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বিকেলে পথে নামেন। গড়িয়াহাটার মোড়ে মানববন্ধন করেন তারা। দাবি তোলেন, অবিলম্বে নিহত চিকিৎসকের হত্যাকারীদের শনাক্ত করে শাস্তি দিতে হবে। এদিন জাতীয় কংগ্রেসও কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে।
নকল টাকা দেখিয়ে মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ, পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে ৭৬ লক্ষ জাল টাকা উদ্ধার করল


খবর কলকাতা: বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে  প্রলোভন মূলক বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার কাজ চালাত এই অভিযুক্তরা। বারাসাত পুলিশ জেলার অশোকনগর থানায় সমাজ মাধ্যমে ফেক জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নেওয়ার পর অভিযোগ দায়ের হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।এরপরেই তদন্তে নেবে অশোকনগর থানার পুলিশ ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে । একইভাবে দেগঙ্গা থানা এলাকায় গোপন সূত্রে পুলিশ এই চক্রের হদিস পায় । অভিযোগ দেগঙ্গা থানা এলাকায় ৩ জন একটি বাড়ি ভাড়া নেয়।সেখানে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালালে তাদের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৬৯ লক্ষ জাল টাকা। বারাসাত জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী জানান," এই অভিযুক্তরা মূলত বিভিন্ন মানুষকে এই টাকা দেখিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করতেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে । এই ঘটনার সাথে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে এবং এই টাকাগুলি কোথায় ছাপা হচ্ছে গোটা বিষয়ে তদন্ত করছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ"।
*ISL 2024-25 Media Day*

Sports 

ISL 2024-25 Media Day: “Trophies in the past don’t matter; you are only as good as your last game”, says NorthEast United FC head coach Juan Pedro Benali

KKNB: The Indian Super League (ISL) 2024-25 Media Day began in Kolkata with representatives from seven clubs, i.e. Mohun Bagan Super Giant, East Bengal FC, Mohammedan SC, Odisha FC, Jamshedpur FC, Punjab FC and NorthEast United FC previewing the upcoming season.

The event saw a blend of new and familiar faces, with Mohun Bagan's Jose Molina and Punjab FC's Panagiotis Dilmperis making their ISL debuts as head coaches, while veterans like Sergio Lobera, Khalid Jamil, Juan Pedro Benali, and Carles Cuadrat discussed their strategies for the campaign.

The discussions, however, began with the newly-promoted Mohammedan SC head coach Andrey Chernyshov expressing his pleasure at joining the ISL, with his captain Samad Ali Mallick underlining their ambitions to challenge for the playoffs straightaway.

“It’s a nice feeling to be a part of the ISL family. We did a great job last year by winning the I-League. I am thrilled about our supporters. They had been expecting this for many years. I can’t wait to get started with the league,” Chernyshov said.

The two other Kolkata heavyweights are on their desired track ahead of the coming ISL campaign. Whilst the Mariners embark on the coveted title defence, East Bengal FC are bolstered by solid reinforcements to their squad in the summer.

“It’s a process to prepare the team for the ISL. We have been working together for a month and there are still a few things to improve upon. We are confident in our players and the way we have trained until now,” Jose Molina said.

East Bengal FC tactician Cuadrat overlooked comparisons from their sluggish start last year to insist confidently that his team will hit the ground running from their opening fixture this time around.

“It’s a different season with different players, and hence I wouldn’t like to compare to the last campaign, because every team is in a different situation as they were last time around. We have the complete squad with us and we will have to be competitive from day one,” Cuadrat said.

 Lobera eyes ISL title with Odisha FC 

Odisha FC, who finished fourth last season, are basking on their storied run across multiple competitions in 2023-24 to produce similarly impressive outings this year too.

“It’s been six years in India for me now. We had an amazing season last year, finishing at the top of the group in the AFC Cup. We were close to winning the Super Cup and we reached the ISL semi-finals for the first time in the club’s history. It was an amazing run and we want to replicate that this year to put a smile on the faces of the fans,” Lobera said.

 Challengers for the playoffs spots 

The trio of Punjab FC, NorthEast United, and Jamshedpur FC had ignited an exciting late challenge for the playoffs last season, falling short at the final hurdle. Since then, the Highlanders have gone from strength to strength, winning the club’s first trophy with the Durand Cup last month.

“We are now starting to realise with what we did in the Durand Cup! But, now, we look forward to the ISL and there’s another story that’s waiting for us in the coming season. Trophies in the past don’t make you play better. You are only as good as your last game,” Benali mentioned.

Jamshedpur FC’s Khalid Jamil praised the ISL for bringing in new rules, such as the introduction of the concussion substitute, mandating an AFC Pro License holding (or equivalent) Indian assistant coach, amongst others. Considering that he is one of the two Indian head coaches in the ISL along with Thangboi Singto of Hyderabad FC, Jamil said, “These new rules will help in the development of Indian football. We shall study it in detail and see how they could help us benefit during the course of the season as well.”

For Punjab FC, they have a new coach at helm in Greek tactician Panagiotis Dilmperis. The team has made some smart acquisitions in the transfer window and Dimperis expressed satisfaction at the same, whereas skipper Luka Majcen stressed upon the importance of a positive start.

“I am really lucky with all the players we have got in the Punjab FC roster. They are all great personalities and our aim is to achieve greater heights than we did last year,” Dimperis said.

 Pic Courtesy by: ISL

আইএসএলের ঢাকে পড়ল কাঠি, কলকাতায় হয়ে গেল ‘মিডিয়া ডে কিক অফ’ অনুষ্ঠান


খবর কলকাতা: আইএসএলের ঢাকে পড়ল কাঠি। বুধবার কলকাতায় হয়ে গেল ‘মিডিয়া ডে কিক অফ’। আইএসএল শুরু হচ্ছে ১৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু তার আগে বুধবার কলকাতায় হয়ে গেল ‘মিডিয়া ডে কিক অফ’। উপস্থিত ছিল কলকাতার মহামেডান, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সহ পাঞ্জাব এফসি,নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড, ওড়িশা এফসি, জামশেদপুর এফসি দল।এই ৭ দলকে নিয়ে কলকাতায় হয়ে গেল ‘মিডিয়া ডে কিক অফ’ অনুষ্ঠান।

বুধবার দুপুরে রাজারহাটের নিউটাউনের এক হোটেলে আইএসএল মিডিয়া ডে উপলক্ষ্যে এবারের লিগে অংশ নেওয়া ১৩ টি দলের মধ্যে ৭ টি দল সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেয়। সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই আসে মহমেডান স্পোর্টিং। কোচ আন্দ্রে চেরনিশভের সঙ্গে ছিলেন দলের ডিফেন্ডার সামাদ আলি, ডিফেন্ডার জোডিংলিয়ানা রালতে ও বিদেশী ডিফেন্ডার জোসেফ আদজেই।কোচ জানালেন,প্রথম বার দেশের সেরা লিগে পা রাখছে মহামেডান। তিনি তার দলের ছেলেরা ভালো খেলবে বলে আশা রাখেন।কোচ আন্দ্রে চের্নিশভ নিজেও আশাবাদী দলের উপরে। সামাদ আলি বলেন, তিনি মুখিয়ে আছেন আইএসএল খেলতে। তিনি বলেন,’আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। আই লিগ ও আইএসএল আলাদা টূর্নামেন্ট। কোচ যেভাবে গাইড করছেন আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি ভালো কিছু করতে পারব।’তবে মহামেডানের ৩ ফুটবলারের একটাই কথা, তাঁরা মুখিয়ে আছেন যুবভারতীতে ডার্বি খেলার জন্যই।

আইএসএল কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে,এ বারের আইএসএলে নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে।ক্রিকেটের মতো ফুটবলেও থাকছে কনকাশন সাব।২০২১ সাল থেকে এই নিয়ম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রয়েছে। এ বার ভারতীয় আইএসএলেও এই নিয়ম আনা হচ্ছে। এই নিয়মানুযায়ী,এবারের আইএসএলে এক জন ফুটবলারকে কনকাশন সাব করা যাবে। অর্থাৎ, মাথায় লাগার কারণে কোনও ফুটবলার যদি খেলতে না পারেন, তা হলে তাঁকে বদল করা যাবে। কোনও দল যদি এই বাড়তি ফুটবলার পরিবর্তন করার সুযোগ নেয়, তা হলে বিপক্ষ দলও বাড়তি এক জন ফুটবলার পরিবর্তন করার সুযোগ পাবে।সেই সঙ্গে নিয়ম করে বলে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি দলকে সহকারী কোচ হিসাবে এক জন ভারতীয়কে রাখতেই হবে। সেই কোচের অবশ্যই এএফসি প্রো লাইসেন্স বা সমমানের লাইসেন্স থাকতে হবে। এছাড়াও,এবারের আইএসএলে থেকে চালু করা হচ্ছে, কোনও ফুটবলারকে যদি সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয় এবং তাঁর দল যদি মনে করে সেই সিদ্ধান্তটি ভুল, তা হলে আইএসএল কর্তৃপক্ষের কাছে সেই কার্ড বাতিল করার জন্য আবেদন করা যাবে।তবে এবার প্রতিটি দল ৩ জন ফুটবলারকে বেতন তালিকার বাইরে রাখতে পারবে। কিন্তু সেই ৩ জন ফুটবলারের বয়স অবশ্যই অনূর্ধ্ব-২৩ হতে হবে এবং কোনও ক্লাবের সঙ্গে টানা ৩ বছরের চুক্তি থাকতে হবে।

ছবি:সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)।

*বাংলা পথ দেখাল: মহারাষ্ট্রে পশ্চিমবঙ্গের মতো কঠোর ধর্ষণ-বিরোধী বিল দাবি করলেন শরদ পওয়ার*


এসবি নিউজ ব্যুরো:পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ঐতিহাসিক অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল, যেখানে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড-সহ কঠোরতম শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে, পাস হওয়ার একদিন পরেই এনসিপি (এসপি) প্রধান শরদ পাওয়ার মহারাষ্ট্রেও একইরকম একটি বিল আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস শরদ পাওয়ারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে যে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ।

এই পদক্ষেপটি এই সত্যেরও প্রমাণ যে, সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলা সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এটি বাংলা-বিরোধী শক্তিগুলোর জন্যও উপযুক্ত জবাব, যারা দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির জমিদারদের নির্দেশে বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে আসছে।

অপরাজিতা মহিলা ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ অপরাধ আইন সংশোধনী) বিল, ২০২৪ - যা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে - তাতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে:

অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তি,

দ্রুত তদন্ত, এবং

* দ্রুত ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা।

বিএনএসের অধীনে যৌন হেনস্তার মামলাগুলি ছাড়াও, বিলটি পকসো আইনের অধীনে দায়ের করা মামলাগুলোকেও লক্ষ্য করেছে।

এছাড়াও, ধর্ষণ-বিরোধী বিলটি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ‘অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স’ গঠনেরও ব্যবস্থা করেছে।

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে , "What Bengal thinks today, India thinks tomorrow! Under the leadership of Smt. GoWB is taking decisive action to ensure that women can live without fear. The Aparajita Anti-Rape Bill has prompted a leader of stature to call for a similar legislation in Maharashtra!"

"গতকাল, রাজ্যের বিধানসভায় যে ঐতিহাসিক বিলটি পাশ করা হয়েছে তাতে ধর্ষণের দোষীদের কঠোরতম শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এটিকে উদাহরণ হিসাবে গ্রহণ করে, অন্যান্য রাজ্যগুলিও এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। উদাহরণস্বরূপ, এনসিপি (এসপি) প্রধান শরদ পওয়ার মহারাষ্ট্রেও একইরকম একটি বিল আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাংলার এই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপটি মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি নতুন পথ দেখিয়েছে, " রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন৷

এনসিপি (এসপি) প্রধানের অপরাজিতা বিল অনুকরণের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র এবং রাজ্যের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী ড. শশী পাঁজা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,

"BENGAL SHOWS THE WAY. Now, Shri Sharad Pawar has pitched for West Bengal-like anti-rape bill in Maharashtra."

"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজিতা বিলের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছেন। এটি শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে না, বরং ধর্ষণের দোষীদের জন্য কঠোর শাস্তিরও আহ্বান জানায়। এটি মহিলাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা জোরদার করবে। এনসিপি (এসপি) প্রধান শরদ পওয়ার এই বিলটিকে শুধু স্বাগত জানাননি, বরং এই বিলটিকে তিনি একটি 'মডেল' হিসাবেও অভিহিত করে বলেছেন যে এটা সারা দেশে বাস্তবায়ন করা উচিত। উনি বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিলের দ্বারা একটি নজির স্থাপন করেছেন। বাংলা আজ যা ভাবে, ভারতবর্ষ আগামীকাল তাই ভাবে এবং ভাবতে হবে" তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন।

বুধবার রাজ্য বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ধর্ষণ এখন জাতীয় লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসুন আমরা সবাই একত্রে এই সমস্যার মোকাবিলা করি। এই সমস্যার সমাধানে সমাজ সংস্কার ও মানুষের জাগরণের প্রয়োজন। অতীতেও পশ্চিমবঙ্গ এমন সংস্কার নেতৃত্ব দিয়েছে। রোগ থাকলে, তার চিকিৎসা হওয়া উচিত।"

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "দেশে ধর্ষণের জন্য বর্তমান শাস্তি যথেষ্ট নয় – কেন ধর্ষকরা এমন কাজ করার সাহস পাচ্ছে? আমাদের এ বিষয়ে ভাবতে হবে। ২০২২ সালের ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া-তে প্রকাশিত ডেটা অনুযায়ী, দেশে ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলায় ৭৬% ক্ষেত্রে তদন্ত শেষ করে পুলিশ চার্জশিট জমা দিতে পেরেছে, কিন্তু মাত্র ২.৫৬% ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করা হয়েছে। এই সমস্যাটি মোকাবিলা করতে হবে।"

এর আগে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে একটি সর্বাঙ্গীণ আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন, যা সময়সীমার মধ্যে অপরাধীদের জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করবে।

"Given the harrowing statistic of a RAPE EVERY 15 MINUTES, the demand for a COMPREHENSIVE TIME-BOUND ANTI-RAPE LAW is more pressing than ever. BENGAL is leading the charge with its ANTI-RAPE BILL. The Union must now take decisive action - whether by ordinance or BNSS amendment in the upcoming parliament session to ensure that justice is both swift and severe, with TRIALS AND CONVICTIONS concluded in 50 DAYS," উনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন।

৪৮ হাজার ৬০০ মামলার এখনও তদন্ত হয়নি দাবি ফাল্গুনী পাত্রের


প্রবীর রায়: রাজ্যের ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ মামলার এখনও তদন্ত হয়নি। সব পেন্ডিং হয়ে পড়ে রয়েছে। রাজ্যের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার পানপুর বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। এদিন তিনি বলেন, ধর্ষণ বিরোধী নতুন আইন আনার উনি নাটক করছেন।

দেশের আইন মোতাবেক ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, তাপসী মালিককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি হয়নি। কিন্তু ওই ঘটনার জন্যই আজ উনি বাংলায় ক্ষমতায় এসেছেন। কামদুনি, হাঁসখালি, পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি হয়নি। আসলে উনি তো অপরাধীদের পাশে আছেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আর জি কর কাণ্ডের তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে। উনি আবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন। যদিও তাদের দাবি এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বিজেপির ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি।

*বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের দিনবন্ধু পুরস্কার ফেরত*


নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেন ঘোষণা করলেন রাজ্য সরকারের দেওয়া ২০১৭ সালে দীনবন্ধু পুরস্কার তিনি রাজ্য সরকারকে ফেরত দিতে চান। কারণ রাজ্যের যে অমানবিক অবস্থা চলছে এবং যেভাবে তিলোত্তমা কে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে তা তিনি মেনে নিতে পারছেন না।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্য সরকারের কোন ভূমিকা না দেখতে পেরে, তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করছেন তার দীনবন্ধু পুরস্কার ফেরত নেওয়া জন্য।ইতিমধ্যে তিনি রাজ্য সরকারে তথ্য দপ্তরের সচিবকে মেইলে করে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি তথ্য সচিব কে জানিয়ে দিয়েছেন আর্থিক মুল্য ২৫০০০ টাকা ও ফেরত দিতে চান।চন্দন সেন জানান,"আমার বাবাও ডাক্তার ছিলেন।তাই ডাক্তারের প্রতি এই পাশবিক নির্যাতনের এবং খুনের প্রতিবাদে তার এই দিনবন্ধু পুরস্কার ফেরত।"

আর জি করের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে ঘেরাও বিজেপির


প্রবীর রায়: গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করেছিলেন সোমবার জেলায় জেলায় জেলা- শাসক ও মহকুমা শাসক দফতরের ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। সেই মতো জেলা বিজেপির উদ্যোগে সারা রাজ্যজুড়ে আইন শৃঙ্খলার অবনিতির পাশাপাশি আরজিকর ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্যারাকপুর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে ঘেরাও সহ-স্বারকলিপি প্রদান করে বিজেপির নেতৃত্ব। এই ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং,রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র ,জেলা বিজেপির সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ,বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পান্ডে সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন ।