প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় টিম, পরিদর্শনে বারাসাত পৌরসভায়


উত্তর ২৪ পরগনা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় টিম। বুধবার দুপুরে বারাসাতের বেশ কিছু ওয়ার্ডের প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার উপভোক্তাদের বাড়িতে তদন্তে যান কেন্দ্রীয় টিম। কেন্দ্রীয় টিমের তরফের আধিকারিকরা সরাসরি কথা বলেন উপভোক্তাদের সঙ্গে।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বারাসাত পৌরসভার পৌর প্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় ও পৌর পরিষদের সদস্য অরুণ ভৌমিক। পর্যবেক্ষণ শেষে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আধিকারিক জানান তারা বেশ কিছু ঘর দেখলেন ঘুরলেন তাদের একটি দল কলকাতাতেও কাজ করছেন। খুব শীঘ্রই তদন্তের রিপোর্ট তারা দিল্লি ও কলকাতা অর্থাৎ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার দুজনকেই পাঠাবেন।

৭ বারের সিপিএম বিধায়কের বাড়িতে বনভোজনে অনুষ্ঠানে হাজির সাংসদ অর্জুন সিং


উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট বড় বালাই। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। বীজপুর কেন্দ্রের টানা ৭ বারের সিপিএম বিধায়ক প্রয়াত জগদীশ দাসের বাড়িতে বনভোজন অনুষ্ঠানে বুধবার সটান হাজির ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। বামপন্থী নেতার বাড়িতে সাংসদের আগমন নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও সাংসদ অর্জুন সিংয়ের প্রতিক্রিয়া, বীজপুরের আদি কর্মীরা এক জায়গায় মিলিত হয়েছি।

তবে এমন একটা জায়গায় তারা হাজির হয়েছেন, সেটা সৌভাগ্যের। কারন, ওই বাড়ি থেকেই বীজপুরে বামপন্থী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। প্রয়াত জগদীশ দাস শুধু শিল্পাঞ্চলের নয়, উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে তাঁর প্রভাব ছিল। সিপিএম নেতা জগদীশ দাসের বউমা সোমা দাস বলেন, সাংসদ অর্জুন সিংকে দেখেই তাঁর রাজনীতিতে পদার্পণ।

তবে আগে তিনি কোনও দল করতেন না। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কর্মী দরদী মনোভাব দেখেই তাঁর তৃণমূলে যোগদান। যদিও তাঁর শ্বশুর জগদীশ দাস ছিলেন বীজপুর কেন্দ্রের ৭ বারের সিপিএম বিধায়ক। প্রসঙ্গত, বীজপুর কেন্দ্রের কাঁচড়াপাড়ার মান্দারি স্কুল সংলগ্ন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক প্রয়াত জগদীশ দাসের বাড়িতে তাঁর বউমা সোমা দাসের আমন্ত্রণে এদিন হাজির ছিলেন কাঁচড়াপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদামা রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলর সুভাষ চক্রবর্তী, হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান রাজা দত্ত, প্রাক্তন কাউন্সিলর কল্যাণী বসু বিশ্বাস, বন্ধু গোপাল সাহা ও সুজিত দাস, মন্নু সাউ, টুম্পা বিশ্বাস-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সরকারি টাকা ব্যায়ে তৈরি হওয়া পথের সাথী আবাসন এখন পরিণত ভুতুড়ে বাড়ি

এসবি নিউজ ব্যুরো: মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছিলেন পথের সাথী প্রকল্প । আর সেই প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সড়কের পাশে, বা বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল পথের সাথী আবাসন। এবার সেই পথের সাথী আবাসন এখন জঙ্গল ও জঞ্জালের স্তূপে পরিণত হয়েছে।যদিও এবিষয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই স্থানীয় প্রশাসনের ।

আর তাতেই অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি । সেরকমই নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বাইপাস মোড়ের কাছেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল পথের সাথী আবাসন। বর্তমানে সেই আবাসন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে ।মানুষজনের আনাগোনা নেই, নেই পরিচর্যা। কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দিনের পর দিন পরে হচ্ছে নষ্ট ।

যদিও এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি এটা আবার নতুন কি, এরাজ্যে উন্নয়ন হল কবে। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে কত তাড়াতাড়ি সমাধান করা যায়।

মাথায় চোট পেলেন মমতা

ফের আঘাত পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বর্ধমানের নবাবাহাটে বেশ কিছু পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে ফের চোট লাগল তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হঠাৎ ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। ফলে আচমকা ব্রেক কষতে হয় এবং তার জন্যই মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তারপরেই কলকাতার উদ্দেশ্যে ফের রওনা দিয়েছেন তিনি।

বাংলা থেকে আমি একাই লড়বঃ মমতা

বর্ধমান যাওয়ার আগে কংগ্রেস প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'কারুর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমার প্রস্তাব প্রথমদিনই প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলায় যে আসছে, ইন্ডিয়ার জোটসঙ্গী হিসেবে আমাদের জানায়নি। ৩০০ আসনে কংগ্রেস একা লড়ুক, আঞ্চলিক দল হস্তক্ষেপ করবে না।‘ বললেন মমতা ।

তিনি আরও বলেন,‘ বাকি আসনে যদি হস্তক্ষেপ করে তাহলে আমরা বুঝে নেব। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ভোটের পর সিদ্ধান্ত নেব। বাংলার ব্যাপারে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই', বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

*কার্যত বনধের চেহারা নিল সন্দেশখালি*

গত ৫ জানুয়ারি লোকে লোকারণ্য ছিল সন্দেশখালি, সরবেড়িয়ার বাজার। এমনকি ইডি আক্রান্ত হওয়ার পরও সেখানে সারাদিন জুড়ে ভিড় ছিল বহু মানুষের। আর ঘটনার ১৯ দিন পর সেই ছবিটা রাতারাতি ১৮০ ডিগ্রি পালটে গেছে। আজ সন্দেশখালিতে যেন কার্যত বনধের ছবিই ধরা পড়ছে।

ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল সন্ধ্যেতেই সন্দেশখালির এসপিকে মেইল মারফত ইডি জানিয়েছিল, আজ তারা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যাবে। সেই মোতাবেক এদিন ভোরেই যখন ইডির ৫-পাঁচটি গাড়ি সরবেড়িয়ার বাজার অতিক্রম করে শেখ শাহজাহানের বাড়ির দিকে যাচ্ছে, তখনই দেখা যায় রাস্তার দু’ধার পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ।

শেখ শাহজাহান কমিটির বাজার কার্যত জনশূন্য। এমনকি গ্রামও কার্যত জনমানবহীন। গত ১৮ দিন আগে যে ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল ইডি, তার যেন তিলমাত্র উপস্থিতি নেই কোথাও। আজ অন্য এক সন্দেশখালিকেই দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

*ধান-আলুর পাশাপশি অর্থকরী ফসল হিসেবে আখ চাষে লাভের মুখ দেখছে গড়বেতার কৃষকরা*

এসবি নিউজ ব্যুরো: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ও গড়বেতা, কৃষি প্রধান এলাকা। মূলত ধান ও আলু এই এলাকার প্রধান চাষ। আগেকার দিনে প্রত্যেকের বাড়িতে কমবেশি লাগানো হতো আখ। আখ থেকে গুড় তৈরি করার জন্য বসানো হতো সাল। তবে সময়ের সাথে সাথে এখন প্রায় বিলুপ্তির দিকেই চলে এসেছিলো আখ চাষ। তবে হঠাৎ করে আবার আখ চাষের উপর জোর দিয়েছে গড়বেতা ব্লকের মেটাডহর গ্রামের চাষীরা।

স্থানীয় এক আখ চাষী জানান, ধান- আলুর তুলনায় অনেকটাই লাভজনক এই চাষ। তবে সময় মত ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। আঁক মিষ্টি হওয়ার কারণে পোকামাকড়ে খেয়ে নেওয়ার প্রবণতাটা একটু বেশি দেখা যায়। পাশাপাশি, সরকারি সাহায্য পেলে আরও ভালোভাবে চাষ করা যাবে বলে জানান তিনি। অপর এক চাষী আহমদুল্লাহ খান জানান, অন্যান্য চাষের তুলনায় লাভ বেশি। বিঘে প্রতি প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়। তিনি আরো বলেন যারা আলু ও ধান চাষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন, তারা আখ চাষ করুন লাভ ভালো হবে।

তবে এখন আখ থেকে গুড় তৈরি করতে আর মেশিন বসানো হয়না। হকাররা এসেই পিস হিসেবে কিনে নিয়ে চলে যায়। যখন ধান-আলুতে চাষীদের আয় কমে আসছে, ঠিক তখন আখ চাষ হাসি ফোটাচ্ছে কৃষকদের মুখে। আবারো একটু একটু করে আখ চাষের হাত ধরে বুক বাঁধছে গড়বেতার কৃষকরা।

কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুজয় ভদ্রের শুনানি

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী হিসাবে সওয়াল করার জন্য রাজ্যের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পার্থ ও সুজয়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনগুলি এই এজলাসে বিচারাধীন।

ঘটনাচক্রে, জেল এবং সাজা মকুব করার জন্য যে কমিটি রয়েছে সেখানকার সদস্য হলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। ফলে এই মামলায় সওয়াল করতে হলে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন হবে বলে জানালেন বিচারপতি।

তিনি বলেন, এই অনুমতি না নেওয়া হলে বিতর্ক তৈরি হতে পারে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। একই কারণে পিছিয়ে গেল সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের জামিনের আবেদনের শুনানিও। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি হবে পরবর্তী শুনানি।

*কেমন থাকবে রাস্তাঘাটের অবস্থা ? জানুন আজকের ট্রাফিক আপডেট*


আজ ২৪শে জানুয়ারি এদিন বাড়ি থেকে বেরানোর আগেই জেনে নিন কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে। কেমন থাকবে রাস্তাঘাটের অবস্থা ? জানিয়ে দিলো লালাবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল। বুধবার শহরে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।

যানচলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে আজ ২৬ শে জানুয়ারির প্রাকটিসের জন্য রেড রোড কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে এদিন বেলা ১ টা নাগাদ শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত একটি মিছিল আছে। যেখানে ২০০-৩০০ জন জমায়েত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া আজ কোন মিটিং, মিছিল নেই। তাই বুধবার শহরের সর্বত্র যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছে , লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম।

*দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*


দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই মুহূর্তে মোট দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে বলে খবর। একটি বিপরীতমুখী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর‌। অপরটি রয়েছে দক্ষিণ কর্ণাটক থেকে পূর্ব বিদর্ভ পর্যন্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত দুটির জেরেই আগামী হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ের কয়েকটি অংশে।

বুধবার ফের একবার বৃষ্টিতে ভিজতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার কিছু অংশ। তবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টির রেশ কমে আসবে। সেদিন মোট দুটি (দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর) জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহের মত জেলাগুলিতে।