আজ অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন, বাঙালির প্রশ্ন নদিয়ার কৃত্তিবাসী রামায়ণ কবে ফিরবে ফ্রান্স থেকে ?

এসবি নিউজ ব্যুরো: আজ মহাসমারোহে উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যায় রাম মন্দির। অথচ বাঙালি তথা নদীয়াবাসির আবেগ কবি কৃত্তিবাস রচিত রামায়ণের মূল পান্ডুলিপি আজও ফ্রান্সে। উপেক্ষা আর অবহেলায় লালিত কৃত্তিবাসী রামায়ণ রচয়িতার রচনাস্থল।

ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভের অনেক আগেই আমাদের গর্বের আবেগের কৃত্তিবাস ওঝার হাতে লেখা কৃত্তিবাসী রামায়ণ চলে গিয়েছিল ফরাসি ঔপনিবেশিকদের হাতে। ১৭৯৪ সালে ফ্রান্সের জাতীয় গ্রন্থাগার বিবলিওথেক ন্যাশনালে এই পাণ্ডুলিপিটি ক্যাটালগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে ফুলিয়ায় বয়রার সংগ্রহশালায় কবি কৃত্তিবাস ওঝার হাতে রচিত রামায়ণের মূল পাণ্ডুলিপির মাইক্রোফিল্ম ও সেই পাণ্ডুলিপির ফটোকপি রক্ষিত রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের ৭৬ বছর পরেও কেন্দ্রের কোন সরকার আজ পর্যন্ত তৎপর হয়নি বাঙালির শিকড় কৃত্তিবাসের স্বহস্তে রচিত কৃত্তিবাসী রামায়ণ দেশে ফিরিয়ে আনার।

আজ যখন কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সরকারের তৎপরতায় ঘটা করে অযোধ্যায় রামলালার মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে তখনও কৃত্তিবাসী রামায়ণ ফ্রান্স থেকে ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। উপেক্ষিতই থেকে গেল বাঙালির আবেগ।

পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১৯৬০ সালে কৃত্তিবাসের স্মরণে ফুলিয়ার বয়রায় একটি গ্রন্থাগার তথা কমিউনিটি হল তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার।১৯৬৭ সালে গ্রন্থাগারটি খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। সেখানে ১৪ টি ভাষায় রামায়ণের অনুবাদ রয়েছে। আছে কৃত্তিবাসের স্বহস্তে রচিত রামায়ণের পান্ডুলিপির সেই ফটোকপি। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ, বাংলায় রামায়ণের রচয়িতা কৃত্তিবাস ওঝার স্মৃতিতে তৈরি সেই লাইব্রেরিও বর্তমানে অবহেলিত। লাইব্রেরীর আশেপাশে নোংরা আবর্জনায় ভর্তি। অবহেলার চিহ্ন চারিদিকে। সপ্তাহে মাত্র দু'দিন, শুক্র ও শনিবার একজন গ্রন্থাগারিক খোলা রাখেন ওই লাইব্রেরী ও সংগ্রহশালা। আরও একজন সপ্তাহে দু'দিন আসেন, কিন্তু এতোকিছু বাইরে থেকে যারা আসেন তাদের পক্ষে জেনে আসা সম্ভব নয়। স্বাভাবিক ভাবেই কৃত্তিবাস নামাঙ্কিত গ্রন্থাগারটিতে রক্ষিত অমূল্য সব বই পড়তে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় গবেষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্য সরকারও উদাসীন বাঙালির এই আবাগের স্থানটি নিয়ে ?

নাকি সবটাই শুধু রাজনীতি, বাঙালির আবেগ বা বাংলা ভাষার ঐতিহ্য ও গরিমা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই কোনো সরকারের।

*যানজটের আশঙ্কা! জানুন আজকের ট্রাফিক আপডেট*


আজ ২২শে জানুয়ারি এদিন বাড়ি থেকে বেরানোর আগেই জেনে নিন কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে। কেমন থাকবে রাস্তাঘাটের অবস্থা ? জানিয়ে দিলো লালাবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল। সোমবার শহরে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।

যানচলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে আজ প্যারেডের জন্য সকালের দিকে বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে কালীঘাট থেকে বেলা ১২ টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদযাত্রা করবেন। এছাড়াও ৩টে ৩০ নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিট থেকে একটি মিছিল বেরবে।তবে কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়ে লালবাজার।

এছাড়া আজ কোন মিটিং, মিছিল নেই। তাই সোমবার শহরের সর্বত্র যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছে , লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম।

*শীতের মাঝে ফের বৃষ্টির আশঙ্কা, জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*


আবহাওয়া নিত্যদিন পরিবর্তন ঘটছে। শুধুমাত্র এ রাজ্যই নয়, দেশেরই তাপমাত্রার ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে।আজ দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

২২ জানুয়ারির পর থেকে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। আকাশও মেঘলা থাকলেও আজ কলকাতায় বৃষ্টি হবে না। আজ রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দার্জিলিংয়ের উপরিভাগে এবং সিকিমে আজও বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা। এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

বারাসাতে এমপি কাপ শুরু


উত্তর ২৪ পরগনা:তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে এমপি কাপ শুরু হয়েছে বারাসাত ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কৈলাশ নগর মাঠে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী রথীন ঘোষ, বিশিষ্ট ফুটবলার গৌতম সরকার, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বারাসাত পৌরসভার কাউন্সিলর ডা:বিবর্তন সাহা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এমপি কাপ নিয়ে যথেষ্ট উদ্দীপনা রয়েছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে।

স্টেটসম্যান ভিন্টেজ অ্যান্ড ক্লাসিক কার রালি

খবর কলকাতা: আজ সকালে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের ইস্টার্ন কমান্ড স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল 'দা স্টেটসম্যান ভিন্টেজ অ্যান্ড ক্লাসিক কার রালি'। কলকাতার বহু ঐতিহ্যবাহী বনেদি বাড়ির গাড়ি থেকে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা দ্বিচক্র যানও ছিল এই প্রদর্শনীতে। শীতের কুয়াশা ঘেরা সকালে আজ কলকাতা মেতে উঠেছিল তার রাজপথে পুরনো ঐতিহ্যের গাড়িগুলি নিয়ে।

ছবি: সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)

তৃণমূলের সংহতি মিছিল নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ

এসবি নিউজ ব্যুরো: “রামের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। হিন্দু সমাজ এই ধরনের চালাকি, বদমায়েশি বরদাস্ত করবে না। এই সংহতির নামে পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় দাঙ্গার চেষ্টা ।আমি তো বলেছি, কোন হিন্দু সে যদি সত্যি সত্যি হিন্দু হয়ে থাকেন, তাহলে এই ধরনের সংহতি মিছিলে যাবে না। যে মিছিলে হাঁটবে কিছু জেহাদি, রোহিঙ্গা আর তৃণমূলের আমলে করে-কর্মে খাওয়া উচ্ছিষ্টভোগী লোকজন।”- দিলীপ ঘোষ।

রবিবার সাতসকালেই ‘রেলশহর’ খড়্গপুরের বোগদার চা-চক্র থেকে ঠিক এভাবেই আগামী ২২ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত ‘সংহতি মিছিল’ বা সংহতি দিবসকে কটাক্ষ করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য যে, এর আগে ‘রামলালা’র অভিষেকের উদ্দেশ্যে অযোধ্যায় ১০১ কেজি সুন্দরবনের মধু পাঠিয়েছিলেন সংসদ দিলীপ ঘোষ।

আর এদিন বিজেপি সাংসদ তৃণমূল সহ বিরোধীদের কড়া আক্রমণ করে বলেন, “দেশভাগের পর থেকে এরকম অনেক সংহতি মিছিল হয়েছে, কোন সংহতি হয়নি।উল্টে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফের তারা রাস্তায় নেমেছেন। আর এবার একেবারে রামের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন। হিন্দু সমাজ কোনমতেই এসব চালাকি বদমায়েশি আর সহ্য করবে না।”

*ফটো গ্যালারী* *কলকাতায় ভিন্টেজ কার র্্যালি,২০২৪* ছবি: সঞ্জয় হাজরা(খবর কলকাতা)।
*ফটো গ্যালারী* *কলকাতায় ভিন্টেজ কার র্্যালি,২০২৪* ছবি: সঞ্জয় হাজরা(খবর কলকাতা)।
বরানগর বিধানপার্কে মানুষের মাথার খুলি উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য

কলকাতা: বরানগর বিধান পার্ক এলাকায় রাস্তার পাশে জমিতে মানুষের খুলি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এলাকার স্থানীয় মানুষজন মাথার খুলি দেখতে পায়। তারপর খবর দেওয়া হয় বরানগর থানায়। বরানগর থানার পুলিশ মাথার খুলিটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। কোথা থেকে আসলো এই মানুষের মাথার খুলি এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বরানগর থানার পুলিশ।

*ফের বোমা বিস্ফোরণ পূর্ব মেদিনীপুরে*

এসবি নিউজ ব্যুরো: পূর্ব মেদিনীপুরের খাদিকুলে বোমা বিস্ফোরণের পর এবার বর্তনা। বেড়া করার সময় টিনের কৌটায় হাত লেগে ঘটল বিপত্তি। কৌটার মধ্যে মজুত থাকা বোমা বিস্ফোরণের হয়ে উড়ে গেল হাত। চোখ ও মুখমণ্ডল একেবারেই রক্তাক্ত। গুরুতর জখম হলেন বছর ৫৫র এক ব্যাক্তি। রবিবার বেলা ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার ও এগরা ১ ব্লকের বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তনা গ্রামে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রের খবর, গরীব দিনমজুরে বর্তনা গ্রামের বাসিন্দা শেখ রাইজুদ্দীন (৫৫) সাতসকালে কাজে বেরিয়েছিলেন।

এদিন তিনি নিজের জায়গায় রাস্তার পাশে বাঁশের বেড়া করছিলেন। ঠিক সেইসময় ঘটল ভয়ঙ্কর বিপত্তি। হঠাৎই রাইজুদ্দীনবাবুর হাতে একটা কৌটা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বোমা বিস্ফোরণ। মুহূর্তের মধ্যেই বিস্ফোরণে উড়ে গেল হাত। বাঁশের বেড়ায় ঝুলছে আঙুল। একটা চোক একেবারেই নষ্ট। মুখমণ্ডল-সহ গোটা শরীর গুরুতর জখম। এখনও সবুজ ঘাসের উপরে পড়ে রয়েছে রক্তের দাগ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মাংসের পিণ্ড।

স্থানীয়রা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে এসে গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অবস্থার অবনতির কারণে চিকিৎসকেরা কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন বেলার দিকে ঘটনাস্থলে সরজমিনে তদন্তে আসেন এগরা থানার আইসি সহ তদন্তকারীক আধিকারিকেরা। কিন্তু কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়েই পুলিশের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই বিষয়ে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাজ করার সময় হঠাৎই ঘটল বিপত্তি। এর আগে এই এলাকায় কখনোই এমন ঘটেনি।

তবে গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক এটাই আমরা চাইছি। এ প্রসঙ্গে বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানিয়েছেন, "ঘটনাটি আমি শুনেছি। কেউ ওটা লুকিয়ে রেখেছিল হয়তো হিংসার জন্য। পুলিশ প্রশাসন এবং বিডিও কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিষয়টি আরও গভীরে গিয়ে জানার চেষ্টা করবো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কি ঘটছে তা নিয়েই সবাই ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু এখানে কোন রাজনীতির কোন যোগ নেই বলে দাবি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের"।