দুয়ারে ফাঁকা! ভিড় শূন্য পরিষেবা কেন্দ্র পরিদর্শনে এলেন বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী

নদীয়া;রাজ্যের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের পরিষেবা দিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ , লক্ষীর ভান্ডার থেকে শুরু করে বার্ধক্য ভাতা সহ একাধিক প্রকল্পে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দুয়ারের সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করলেও দেখা নেই মানুষের, কারণ ইতিমধ্যে সাতবার আয়োজিত দুয়ারী সরকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তাই সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের আওতায় চলে এসেছেন অধিকাংশ মানুষই । কিন্তু পাশাপাশি একটা সমস্যার কথাও উঠে আসছে , জানা যায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বেশ কয়েকবার কাগজ জমা করলেও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত " এ বিষয়ে বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃত্তিবাস স্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পরিদর্শনে এসে শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী এমনটাই জানালেন আমাদের ।

তিনি বলেন বিভিন্ন পঞ্চায়েত সদস্য সমিতির মেম্বার জেলা পরিষদের সদস্যরা প্রতিনিয়ত নিয়মিত পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে ঘরে ঘরে। আর তার ফলেই একান্তই কাগজপত্র ত্রুটি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে তবেই মানুষজন আসছেন দুয়ারে সরকারে। তাই ভিড় কম। তবে কাউন্টার নিয়মিত সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। কাগজপত্র সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও তা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বি ডিও কিংবা বিধায়কের হস্তক্ষেপে।

*তৃণমূল নেতা সুবল মান্নাকে বহিষ্কার তৃণমূলের*

কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সুবল মান্নাকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিল তৃণমূল শিবির। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে লিখিতভাবে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সুবল। সম্প্রতি প্রকাশ্য সভায় শিশির অধিকারীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন তিনি।

এছাড়া 'গুরুদেব' বলেও সম্বোধন করেছিলেন তাঁকে। আর এই ঘটনার জেরে শাসক শিবিরে বাড়ে উত্তেজনা। তাই এবার তাঁকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।

১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু রাহুলের 'ভারত ন্যায় যাত্রা'

১৪ জানুয়ারি থেকে ৬,২০০ কিলোমিটার 'ভারত ন্যায় যাত্রা' শুরু করবেন রাহুল গান্ধী । মণিপুর থেকে মুম্বাই পর্যন্ত হবে 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানার নির্বাচনে জয়ের পরেই এবার ৬,২০০ কিলোমিটার যাত্রা শুরু করবেন রাহুল ।

রাহুলের এমন যাত্রা এই প্রথম নয় এরআগেও ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। টানা পাঁচ মাস ধরে ভারত জোড়ো যাত্রা করে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। এই যাত্রার জেরেই কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস।

তাই লোকসভা নির্বাচনের আগেই মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রসহ ১৪টি রাজ্যের ৮৫টি জেলা ঘুরে দেখবেন রাহুল। লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০ মার্চ শেষ হবে এই যাত্রা। জানা গিয়েছে এই যাত্রাও পায়ে হেঁটে করবেন রাহুল।

রাতের অন্ধকারে ধানের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা, পুড়ে গেল ৫ বিঘা জমি সম্পূর্ণ ধান

এসবি নিউজ ব্যুরো: বিজেপি নেতা কর্মীদের ধানের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের হিরাধরপুর গ্রামে। হিরাধরপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপক সিং ও এলাকার রূপচাঁদ সিং। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দীপক সিংহ এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী ও রূপচাঁদ সিংয় দীপকেরই প্রতিবেশী। ও দুই জনের প্রায় ৫ বিঘার জমির ধান খামারে ছিল, আর সেই ধানের গাদায় আগুন লাগালো রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ কেরোসিন তেল ঢেলে ধানের গাদায় আগুন ধরে দেওয়া হয়েছে রাত বারোটা নাগাদ। এমনই অভিযোগ, দীপক ও এলাকার বিজেপি নেতাদের। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি তারা জানিয়েছেন ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়িতে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ক্ষীরপাই ফাঁড়ি পুলিশ। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্যামেরার সামনে এখনো মুখ খুলেনি। তবে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি, মহাদেব মল্লিক বলেন," পুলিশ তদন্ত করছে বিষয়টি শুনেছি। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন যোগ নেই।" ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের সাথে দেখা করতে আসলেন, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি, বিমান ঘোষ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তিনি। এমনকি পুলিশ সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

পদ হারিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট অনুপম হাজরার

নজরে লোকসভা। তাই জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। এবার শাহের বাংলা সফরের মাঝেই ভাঙন ধরল বঙ্গ বিজেপিতে । বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারিত হলেন অনুপম হাজরা । এই নিয়ে মঙ্গলবার শাহী বৈঠকের পর এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করেছে বিজেপি। তবে চুপ করে থাকার পাত্র নন অনুপম। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপম হাজরা লিখেছেন, 'পদ থেকে সরাবার তিন ঘণ্টার মধ্যেই বার্তা-কিছু শর্ত মেনে চললে আবার সব আগের মতো!!!' উল্লেখ্য, অনুপম হাজরাকে নিয়ে বারবার বিড়ম্বনায় পড়েছে দল। দলের বরিষ্ঠ নেতাদের পদ আঁকড়ে থাকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনুপম। সম্প্রতি বিশ্বভারতীতে তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের সামনেও চলে এসেছিলেন অনুপম। আর তাতেই তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট হয় গেরুয়া শিবির।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপম হাজরা পোস্ট করেছিলেন,’ নিজের দলের মধ্যে বছরের পর বছর প্রতিষ্ঠিত চোর ও দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদের বসিয়ে রাখলে, আর কয়েকদিন পর তৃণমূলকে চোর বলার জায়গায় থাকব কি আমরা?’শুধু তাই নয় অনুপম বারবার দল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় চাপে পড়েছে বিজেপি।

আক্রমণ-পালটা আক্রমণের মাঝে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা হারিয়েছেন অনুপম। তবে বরাবরই ইঙ্গিতে তিনি বুঝিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁর পাশেই রয়েছে। কিন্তু শাহের বঙ্গ সফরের মাঝেই বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হলেন অনুপম। কি কারণে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়নি।

*পুনিয়া-সহ প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের পাশে রাহুল গান্ধি*

জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি নির্বাচনে ব্রিজভুষণ শরণ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংয়ের জয়ের প্রতিবাদে ফের সরব হয়েছেন বজরং পুনিয়া-সাক্ষী মালিকরা। ইতিমধ্যেই ‘পদ্মশ্রী’, ‘খেলরত্ম’ পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা। এবার প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ালেন রাহুল গান্ধি। বুধবার সকালে হরিয়ানার ঝাঝারে গিয়ে বজরং পুনিয়া-সহ অন্যান্য কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের প্রতিবাদ আন্দোলনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।

এদিন সকালেই হরিয়ানার ঝাজ্জারের ছাড়া গ্রামে কুস্তিগির বীরেন্দ্র আর্যর আখড়ায় পৌঁছন রাহুল। সেখানে বজরং পুনিয়া-সহ অন্যান্য কুস্তিগিরদের শারীরিক কসরৎ প্রত্যক্ষ করেন। পরে কুস্তিগিরদের সঙ্গে কথা বলেন। জাতীয় কুস্তি সংস্থার নির্বাচন কীভাবে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে তা খুলে বলেন বজরং পুনিয়ারা। যদিও কুস্তি আখড়ায় গেলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি রাহুল।

তবে বজরং পুনিয়া সাংবাদিকদের জানান, কুস্তিগিরদের অনুশীলন দেখতেই রাহুল গান্ধি এসেছিলেন। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিও কুস্তি করেন। কুস্তি লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে খুঁটিনাটি জেনে নেন।

নির্বাচনের জন্য কোন কমিটি তৈরি হয়নি বলে জানালেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

কলকাতা: নির্বাচন জন্য কোন কমিটি তৈরি হয়নি বলে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন যেটা প্রচার হয়েছে সেটা ঠিক নয়।কারণ রাজ্যের নির্বাচনী কমিটিতে কেন্দ্রের কোন নেতার নাম থাকে না।আজকের মিটিং এ কারা উপস্থিত থাকবেন হয়তো সেই লিস্ট আপনারা পেয়েছেন।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রসঙ্গে বলেন,আগামী দিনের রোডম্যাপ কি হবে ২৪ কে সামনে রেখে সে কথা ওনারা বলে গিয়েছেন।যে ৩৫টি সিটের টার্গেট সেই টার্গেট কে সামনে রেখে আমরা এগোবো। কুনাল ঘোষের বক্তব্যে নিয়ে তিনি জানান,আমরা ৩ পাবো কিনা জানি না ৩৫ কে সামনে রেখে বসালে ৩.৫ হয় আর উনি সাড়ে ৩ বছর জেল খেটে এসেছেন।সায়নী প্রসঙ্গে বলেন,সায়নীকে আগে বলুন উনি শিবলিঙ্গে কি পরিয়েছিলেন তার জন্য উনি কতবার ক্ষমা চেয়েছেন। তার জন্য ওঁর নাকখত দেওয়া উচিত।

সুকান্ত মজুমদার বিবেকানন্দ নিয়ে কিছু বলেননি। ওনাকে আমি চ্যালেঞ্জ করছি উনার যদি দম থাকে তাহলে বিবেকানন্দের যে বাক্য নিয়ে উনারা আন্দোলন করছেন তার আগের চাইল লাইন এবং পরের চার লাইন পোস্ট করতে বলুন।

রাম মন্দিরের উদ্বোধনের সিপিএম যাবে না জানিয়ে দিয়েছে,"আমার মনে হয় ভারতের মানুষও আশা করেন না যে সিপিএম যাবে, এটা যদি বাবরি মসজিদের উদ্বোধন হতো তাহলে হয়তো যেতেন।"ভারতবর্ষের সংবিধান সম্মত একটি আইন যা দুটি সভাতেই পাস হয়েছে। CAA লাগু হবে এবং আমার বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি হবে।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খার্গের নাম প্রস্তাব,মমতা নিজে বুঝতে পেরে গেছেন যে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই।যদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো জোটের তরফে তাহলে সবার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাফিয়ে পড়তেন।স্বাভাবিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিচ্ছেন যে দুটি মানুষের সম্ভাবনা আছে হয় খার্গে নয় মোদি।

তৃণমূল যুবর ফুটবল খেলে প্রতিবাদ খেলতে বলুন ফুটবল বাংলার মানুষ সময় হলে ফুটবলের মত এদেরকে কিক দেবে।

কোন কোন ইস্যুতে ঝাঁপাতে চলেছে বিজেপি? একদিকে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতবর্ষের উন্নয়ন আর অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বাংলার ঘরে ঘরে যে দুর্নীতি নেতা মন্ত্রীদের সেটা নিয়ে প্রচার।

কোনও নির্বাচনী কমিটি তৈরি হল কি?

কমিটি আমাদেরকে তৈরি করতে হবে বাংলার নেতাদের কমিটি তৈরি করতে হবে দিল্লির নেতারা ঠিক করবে না।সময় হলে প্রার্থী সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এনআই অ্যাক্টের আওতায় রাজ্যে বাড়ল ৩ দিন ছুটি

নতুন বছরে রাজ্যে বাড়লো আরও তিনটি ছুটি। এবার নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট বা এনআই অ্যাক্টের আওতায় পড়ল পয়লা জানুয়ারি, জন্মাষ্টমী এবং ছট পুজো। রাজ্য সরকার কয়েকটি বিশেষ দিন ও উৎসবে আলাদা করে ছুটি ঘোষণা করলেও এত দিন ব্যাঙ্ক বিমা-সহ বিভিন্ন আর্থিক ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য তা প্রযোজ্য ছিল না। ১ জানুয়ারি থেকেই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হবে। নবান্ন থেকে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।

ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবক সূত্রে খবর, এনআই অ্যাক্টে অতিরিক্ত ওই তিন দিন ছুটির দাবি জানিয়ে আমরা গত নভেম্বরেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম। তিনি আবেদনে সাড়া দেওয়ায় আমরা খুশি। এত দিন রাজ্যে এনআই অ্যাক্টের আওতায় বছরে ২১ দিন ছুটি পাওয়া যেত। এবার তা তিন দিন বাড়ল।

উল্লেখ্য ২০২৪ সালে সরকারি কর্মীদের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। নয়া ছুটির তালিকায় দেখা গিয়েছে, পুজোর ছুটি পড়বে চতুর্থী থেকে। অর্থাৎ ২০২৪ সালে দুর্গাপুজোর ছুটি শুরু হবে সোমবার, ৭ অক্টোবর থেকে। তার আগে শনিবার ও রবিবার এমনিই সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে ৫ অক্টোবর অর্থাৎ দ্বিতীয়া থেকেই অঘোষিত পুজোর ছুটি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। এদিকে লক্ষ্ণী পুজোর জন্য অতিরিক্ত আরও দু’দিন ছুটি থাকবে। সব মিলিয়ে তারপর অফিস খুলবে। দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ন্যাশনাল ইম্পর্ট্যান্স আইন তথা এনআই অ্যাক্টে ছুটি থাকবে ২২ দিন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের ছুটি থাকবে ২৩ দিন। সব মিলিয়ে মোট ৪৫ দিনের ছুটি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। এর মধ্যেই আবার অনেক ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটিও মিলবে শনিবার, রবিবার থাকায়। অর্থাৎ নতুন বছর পড়তেই বাড়বে ছুটির দিন।

শান্তিপুরে সবলা মেলার উদ্বোধন

এসবি নিউজ ব্যুরো: মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে উদ্ভোধন হল সবলা মেলার।মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী ,পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ সহ জেলা নেতৃত্ব। এই সবলা মেলায় মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন মহিলারা পিঠেপুলি, বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র সহ বিভিন্ন রকমের উপকরণ দিয়ে স্টল সাজিয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, "প্রত্যেক বছরই বিভিন্ন জেলায় এই সবলা মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এ বছর প্রথম শান্তিপুরে সবলা মেলার আয়োজন করা হলো। এই মেলায় মহিলা সর্বনির্ভর গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে যেসব স্টল দেওয়া হয়েছে সেখানে মহিলারা আরও স্বনির্ভর হতে পারবে এমনটাই আশাবাদী তিনি"।

অন্যদিকে, বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, "গত বছর বইমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এইবার এই প্রথম সবলা মেলার আয়োজন করা হয়"। তবে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পাবলিক লাইব্রেরী প্রাঙ্গনে চলবে এই সবলা মেলা।

*নতুন বছরের আগে জেলায় পুলিশের রদবদল*

তমলুক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনে দামামা বাজবে। তার আগেই জেলায় পুলিশের একাধিক এস আই পদমর্যাদার অফিসারদের রদবদল করা হলো। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোথা থেকে কথায় গেলেন অফিসারেরা।

এস আই নাড়ুগোপাল বিশ্বাস ভগবানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পদে ছিলেন।তিনি যাচ্ছেন মহিষাদল থানার ইনচার্জে। এস আই পার্থপ্রতীম মাইতি কাঁথি থানায় ছিলেন যাচ্ছে ডিআইবিতে। এস আই প্রলয়কুমার চন্দ্র ছিলেন মহিষাদল থানার ইনচার্জে। দায়িত্ব পেলেন মারিশদানার ইনচার্জ হিসাবে।এল এস আই প্রতিমা সাহু হলদিয়া মহিলা থানার ইনচার্জে ছিলেন। দায়িত্ব পেয়েছেন জুনপুট কোস্টাল থানার ইফিসার ইনচার্জ হিসাবে। এস আই মলয় অধিকারী ছিলেন মহিষাদল থানায় পাঠানো হচ্ছে ডিআইবিতে। এস আই দেবদ্রুত মন্ডল ছিলেন মহিষাদলে পাঠানো হচ্ছে গেঁওখালী ফাঁড়ি।এস আই এসকে আসিফউদ্দিন কাঁথি থানা থেকে হেঁড়িয়ার আইসি পদে পাঠানো হলো। এছাড়াও একাধিক পুলিশ কর্তার রদবদল ঘটেছে।

পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য্য জানান, এটি রুটিন বদলি।কয়েকদিনের মধ্যে অফিসাররা তাদের দায়িত্ব গ্রহন করবেন।নির্দেশিকা দিয়ে অফিসারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও আঁটোসাটো করার লক্ষ্যে এই রদবদল।

রাজ্যের অন্যতম জেলা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। সেই জেলার বিভিন্ন ঘটনার কারনে শিরোনামে উঠে এসেছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে জেলায় শান্তি বজায় রাখতেই পুলিশের এই বদলি।