Mar 21 2023, 14:43
*অয়ন শীলের নাম এবার এক তৃণমূল নেতার সুইসাইড নোটে*
হুগলি: শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় হুগলির দেবানন্দপুরের স্থানীয় তৃণমূল নেতা ছিলেন।চাকরি করে দেবেন বলে দু কোটি টাকারও বেশি দিয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। সেই টাকা অয়ন শীলকে দিয়েছিলেন শ্রীকুমার বাবু।
শ্রীকুমারের নিজের ভাগ্না সুরজিৎ চক্রবর্তীও তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন চাকরির জন্য। মাধ্যমিকের এ্যাডমিট, স্নাতকের মার্কশীটের অরজিনাল কপিও দিয়েছিলেন।পরে সেই ডকুমেন্টস আর ফেরত পাননি।পরে ডুপ্লিপেট বের করে নেন তিনি।
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় দেবানন্দপুর ব্যান্ডেল এলাকায় গুরু দা নামে পরিচিত ছিলেন।ভালো মানুষ হিসাবে তার নাম ছিল।সেই গুরুদা অয়ন শীলের পাল্লায় পরে বহু মানুষের সর্ব শান্ত হওয়ার জন্য নিজেকে দায়ী মনে করেন।
কারণ চাকরি হচ্ছে না ।এদিকে তার কাছে যারা টাকা দিয়েছেন তারা টাকা চাইছেন।বাড়িতে এসে ধর্না দিচ্ছেন।এমন অবস্থায় অয়নের কাছে গেলে অয়ন শ্রীকুমার বাবুকে ফ্ল্যাট থেকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন বলে অভিযোগ।
সূত্র ১,দেবানন্দপুরের দুলাল দাসের স্ত্রী গীতিকা দাস বিছানায় শয্যাশায়ী।গত নভেম্বর মাসে সেরিব্রাল এ্যাটাক হওয়ার পর থেকে চলার শক্তি নেই তার।মাসে পাঁচ হাজার টাকার ওষুধ লাগে তার।সেই ওষুধ কিনতে হিমসিম খেতে হয় দুলাল বাবুকে।
নিজের ছেলে ও মেয়ের প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য নয় লাখ টাকা দিয়েছিলেন,বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে জমানো টাকা এল আই সির টাকা ভেঙে সেই টাকা দিয়েছিলেন শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়কে।
এছাড়াও,দেবানন্দপুরে বাসিন্দা স্নেহাশিষ মুখোপাধ্যায় শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশি।পেশায় আইনজীবী স্নেহাশিষ বাবু সব ঘটনাই জানেন।তিনি জানান গুরু নিজে ডিএম অফিসে চাকরি করতেন।তার স্ত্রী পূরবীও সরকারি চাকরি করতেন।ছেলে রূপকুমার একদম সাদা সিধা ছেলে ছিল।সে এসবের মধ্যে ছিল না।আমাদের মনে হয় গুরু তার ছেলেকে মেরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছিল।আমরাই সব করেছি সেদিন।গুরুর মৃতদেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট ছিল তাতে অয়ন শীলের নাম লেখা ছিল।তখন তদন্ত কিছুই এগোলো না।গুরুর আত্মসম্মান ছিল তাই হয়ত আত্মহত্যা করল, কিন্তু অয়নের মত এজেন্ট দের কি হবে।আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।
Apr 04 2023, 12:41