সন্দেশখালি ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে রাজ্যকে সুবিচার করতে বললো কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা: অবিলম্বে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান সহ সন্দেশখালি ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে রাজ্যকে সুবিচার করতে বললো কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির মামলার শুনানিতে শাহজাহানের আইনজীবীর ভূমিকায় বিরক্ত বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই নির্দেশে দেন। এদিন শাহজাহান হয়ে আদালতে সওয়াল করে এই মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন করতে চান শাহজাহান। বিচারপতি তাঁর আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, কেন আত্মসমর্পণ করছেন না। শুনানির সময় আপনি এজির কাছে কি বলছিলেন। আপনি কী রাজ্যকে পরিচালনা করতে চাইছেন, আপনার কথা বলা দেখে ভাবলাম আপনি রাজ্যের। কাউকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না, শাহজাহান আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন বিচারপতি। এর পরেই শাহজাহান আইনজীবী ক্ষমা চান। বলেন, আমাকে বলার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু এজি বলেন, জানি না ইনি কে। এর আগের দিনও বলার চেষ্টা করছিল।
এরপরেই রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, মিস্টার এজি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিচার দেওয়ার চেষ্টা করুন। এদিকে, এদিনের শুনানিতে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তদন্তের কেস ডায়েরি পুলিশ হাজির না করায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এমন মামলায় কেস ডায়েরি না দেখে কোনো অর্ডার দেওয়া যায় না। পুলিশ এতদিন ধরে কি করেছে সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব। তিনি আজ, মঙ্গলবার কেস ডায়েরি ফের আনতে নির্দেশ দেন পুলিশকে। ইডির আইনজীবী বলেন, রেশন দুর্নীতির আর্থিক নয়ছয়ের তদন্ত করতে গিয়ে শঙ্কর আঢ্য ও শেখ শাহজাহানের নাম পাওয়া যায় ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সূত্রে। সেখানে তাল্লাশিতে গেলে হামলা হয় ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে। উল্টে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। তাই এই গোটা ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার জন্যে আবেদন করে ইডি।
প্রথমে রেশন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে সেই তদন্ত হাতে নেয় ইডি। কিন্তু পুলিশ নথি না দিয়ে অসহযোগিতা করে বলে অভিযোগ জানায় ইডি। এজি জানান, মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিচারপতি জানতে চান, এখন কে তদন্ত করছেন।এজি জানান, ডিএসপির নেতৃত্বে লোকাল পুলিশ করছে। এরপরেই বিচারপতি বলেন, তিন হাজার অভিযুক্ত আর মাত্র চার জন গ্রেপ্তার হয়েছে। ফের এজি বলেন, তিন হাজার নয়। ৮০০ থেকে ১০০০ লোক, ইডির অভিযোগ অনুযায়ী। ইতিমধ্যে প্রথম দায়ের এফআইআর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এরপরেই বিচারপতি ফের কেস ডায়ারি হাজির করতে বলেন।
Jan 15 2024, 20:26