শুরু হল বেঙ্গল টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লীগ
# Sports News # CAB# Bengal T 20 Premier league # West Bengal #Street Buzz News

*Sports*

নিজস্ব প্রতিনিধি:আজ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হয়ে গেল বেঙ্গল টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লীগ।অনুষ্ঠানের শুরুতে সিএবি সভাপতি স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাক্তন সিএবি কর্তাদের কর্তাদের হাতে স্মারক তুলে দিলেন। তারপরে অভিনেতা জিৎ এবং অভিনেত্রী রুক্মিণী র নাচের  মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। এরপর বলিউডের অভিনেত্রী নুসরাত তার নাচের তালে মাতিয়ে তোলেন ইডেনের দর্শকদের। আজ উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি শিলিগুড়ি স্ট্রাইকারস বনাম মনোজের হারবার ডায়মন্ড। টসে হারবার ডায়মন্ড এর অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি জিতে প্রথম ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। *ছবি: সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)।*
উজবেকিস্তানে গেল নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ার মথুরাপুরের  আম

এসবি নিউজ ব্যুরো: নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের হিমসাগর আম যাচ্ছে উজবেকিস্তানে। এলাকার এক স্থানীয় আম চাষি জানান, রিসার্চ এগ্রো বায়ো কোম্পানি উজবেকিস্তানের একটি কোম্পানিকে এনেছিল যারা কৃষ্ণগঞ্জ মাজদিয়ার মধুরাপুরের আম বাগানে। আম বাগানে এসে তারা নির্দিষ্ট ১০ টি আমের গাছকে বায়ো পেস্টিসাইডস পদ্ধতিতে ফলনের দিকে নজর দেয়। তারা বলেছিল আমের ফলন যেমনই হোক না কেন তারা সমস্ত আম নিয়ে যাবে। কোনরকম ভাবেই কীটনাশক ঔষধ আমের ফলনে ব্যবহার করা যাবে না।

অনাবৃষ্টি এবং প্রখর দাবদহে অন্য বাড়ের তুলনায় এবারে আমের ফলন যথেষ্ট কম হলেও এই ১০টি গাছে আমের ফলন ভালোই হয়েছে। শুধু তাই নয় আম চাষি আরও জানালেন, বাজার কেজিপ্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে হিমসাগর আম।সেখানে এই হিমসাগর আম ডবল দাম দিয়ে তারা সমস্ত আম কিনে নিয়েছেন। কেজি প্রতি হিংসাগর আম ১২০ টাকা দামে তারা কিনে নিয়েছেন ।এর ফলে একদিকে যেমন আম চাষীরা লাভের মুখ দেখছেন তেমনি নদীয়ার আম বিদেশের মাটিতে বিদেশী মানুষদের রসনার তৃপ্তি করছে এটি যথেষ্ট গর্বের বিষয় বলে মনে করছেন তারা। তাঁরা জানান, এবার থেকে জৈব পদ্ধতিতে আম চাষে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

উজবেকিস্তানের এক  ব্যবসায়ী আগামী বছর অনেক বাগানে এসে তারা এই ভাবেই আম কিনবেন ফলে জানান। বিদেশে আম রপ্তানি হওয়ায় খুশি আমচাষী সহ জেলার বাসিন্দারা।
গারুলিয়া পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু নগরে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর

প্রবীর রায়: ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জয়ের পর থেকেই ভোট পরবর্তী অশান্তির শুরু হয়। এরপর পার্থ ভৌমিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি গুন্ডারাজ দমন করবেন ।কারও কোন ক্ষতি হতে দেবেন না।গতকাল রাতে নোয়াপাড়া মন্ডলের জেনারেল সেক্রেটারির  বাড়িতে ভাঙচুর করা হল। ভাঙচুর চালাল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

গভীর রাতে হঠাৎ বাড়িতে বিকট আওয়াজ পান বিজেপির এই নেতা ধনঞ্জয় মালো। বিকট আওয়াজ শুনে তিনি লাইট জ্বালাতেই গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। ততক্ষণ  বাড়ির একটি দরজা ভেঙে ফেলেছে তারা। তিনি বাইরে বেরিয়ে দেখেন বেশ কয়েকজন চলে যাচ্ছে। যেতে যেতে বলছে পরে দেখে নেব তোকে। এরপর নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনা স্থলে পুলিশ আসে। একজনকে আটক করে পুলিশ। একজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর আজ সকালে কয়েকজন এসে বলে ওর নামে কেস না তুললে তোকে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়া হবে। এই ঘটনা আতঙ্কিত মালো পরিবার। এই ঘটনার কথা অস্বীকার করে তৃণমূল।

গারুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান রমেন দাস বলেন ," আমি বিষয়টা শুনেছি। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ভাঙ্গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবে দল তাদের পাশে থাকবে না। দলে এধরনের কাজ বরদাস্ত করে না। এটা একটা পারিবারিক ঘটনা। তৃণমূল এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।মিথ্যা অভিযোগ এনে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।" অপরদিকে বিজেপির ব্যারাকপুর  জেলা সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি বলেন ,"এটা তৃণমূলের কালচার।" তিনি বলেন, আমরা পরিবারের পাশে আছি। আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।

শিশুদের হাতে ঠান্ডা পানীয়, জল  ও আর এস প্রদান কাউন্সিলরের
খবর কলকাতা: প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে সকলের ওষ্ঠাগত প্রাণ। এমতাবস্থায় আজ ব্যারাকপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট তপাদার কালিয়ানিবাস প্রাইমারী স্কুলের ২৩২ জন শিশুদের হাতে ঠান্ডা পানীয়, জল  ও আর এস তুলে দিলেন । তিনি বলেন,"এই গরমে শিশুরা যাতে সুস্থ থাকে তার জন্য ,তার এই প্রচেষ্টা। গরমে বয়স্ক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন,তা শিশুরা তো অসুস্থ হয়ে পড়তেই পারে। তাঁরা এই অবস্থায় স্কুলে পড়াশোনা করতে আসছে। তাঁদের উৎসাহ জোগানো তার মূল উদ্দেশ্য।"

Jeet, Rukmini, Nushrratt to light up Bengal Pro T20 League inauguration
#Sport_ CAB _ Bengal_ Pro _T20 _Cricket _West Bengal

Sports News


*Khabar kolkata News bureau* :  Tollywood Superstars Jeet and Rukmini and Bollywood Diva Nushrratt Bharuccha will set the stage aflame in the opening ceremony of the inaugural Bengal Pro T20 League,2024 at the Eden Gardens tomorrow.

While Jeet, Rukmini and Nushrratt will groove to peppy numbers, the League's anthem will also be released tomorrow.

This will be followed by captain introductions of both the men's and women's teams, followed by the captains' oaths.

The inaugural match between Servotech Siliguri Strikers and Harbour Diamonds.

Today, president of CAB, Snehashish Ganguly and Jhulan Goswami herself were present at Eden Gardens to formally launch the special toss coins for BPTL. Women matches would have Jhulan Goswami's face on it and Mens matches would have Sourav Ganguly's face on it. *Pic Courtesy by:CAB*
জাতি বিন্যাসের সমীকরণ কে সামনে রেখে মোদীজীর ৭১ জন মন্ত্রী শপথ
#Narendra_Modi_Swearing_Ceremony_Know_Jati_Equation
এ এন আই: জাতি বিন্যাসের সমীকরণ কে সামনে রেখে মোদীজীর ৭১ জন মন্ত্রী শপথ নিলেন ।এর মধ্যে ২৭ জন ওবিসি এবং ১০ জন এসসি ভুক্ত। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির পাশাপাশি ৭১ জন সাংসদও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এই ৭১ মন্ত্রীর মধ্যে ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৫ জন স্বতন্ত্র দায়িত্বে এবং ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এর পাশাপাশি ১৮ জন সিনিয়র নেতাকেও মোদি মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও মোদি সরকারে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও এনডিএ জোটের অনেক সিনিয়র নেতাকেও মন্ত্রী করা হয়েছে। জাতপাতের সমীকরণ মাথায় রেখেই মন্ত্রিসভা ভাগ করেছে বিজেপি। এখানে জেনে নিন কোন মন্ত্রীরা কোন শ্রেণীর, উচ্চ বর্ণ- অমিত শাহ, এস জয়শঙ্কর, মনসুখ মান্ডাভিয়া, রাজনাথ সিং, জিতিন প্রসাদ,জয়ন্ত চৌধুরী, ধর্মেন্দ্র প্রধান, রবনীত বিট্টু, নীতিন গড়কড়ি, পীযূষ গয়াল, মনোহর লাল খট্টর, জিতেন্দ্র সিং, গজেন্দ সিং শেখাওয়াত, সঞ্জয় শেঠ, রাম মোহন নাইডু, সুকান্ত মজুমদার, প্রহ্লাদ যোশি, জেপি নাড্ডা, গিরিরাজ সিং, গিরিরাজ সিং, লামা লাউ দুবে অন্তর্ভুক্ত ।ওবিসি- সিআর পাটিল, পঙ্কজ চৌধুরী, অনুপ্রিয়া প্যাটেল, বিএল ভার্মা, রক্ষা খাডসে, প্রতাপ রাও যাদব, শিবরাজ সিং চৌহান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, রাও ইন্দ্রজিৎ সিং, কৃষ্ণপালগুর্জার, ভূপেন্দ্র যাদব, ভগীরথ চৌধুরী, অন্নপূর্ণা দেবী, শোভা করন্দলাজে, এইচডি কুমারস্বামী, নিত্যানন্দ রাই,শান্তনু ঠাকুর। দলিত শ্রেণীভুক্ত এসপি বাঘেল, কমলেশ পাসওয়ান, অজয় তমতা, রামদাস আঠাওয়ালে, বীরেন্দ্র কুমার,  অর্জুন রাম মেঘওয়াল, চিরাগ পাসওয়ান, জিতন রাম মাঞ্জি, রামনাথ ঠাকুর অন্তর্ভুক্ত।

*এবার দেখে নেওয়া যাক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এনডিএ-র কোন দল থেকে ক’জন মন্ত্রী হলেন –
*
বিজেপি – ৬১

তেলেগু দেশম পার্টি: ২

জনতা দল (ইউনাইটেড): ২

লোক জনশক্তি পার্টি: ১

জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ): ১

শিবসেনা: ১

রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া (অটওয়ালে): ১

রাষ্ট্রীয় লোকদল: ১

আপনা দল: ১

হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা: ১
দিল্লির মসনদে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী, সঙ্গে তার মন্ত্রী পারিষদ
#Narendra_modi_swearing_in_ceremony

এসবি নিউজ ব্যুরো:  টানা তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এদিন এরপর শপথ নেন রাজনাথ সিং ও অমিত শাহ। অমিত শাহের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নীতিন গড়করি ও জেপি নাড্ডাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এছাড়াও শপথ নিলেন গত মন্ত্রী সভার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।তার পর এস. জয়শঙ্কর শপথ নেন। তার আগে শপথ নিয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, যিনি মধ্যপ্রদেশে বিজেপির পতাকা তুলেছিলেন, তিনি প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। শিবরাজের পরে, আর একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন।হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর পদ ও গোপনীয়তার শপথ নিয়েছেন। শিবরাজ ও মনোহর লাল খট্টরের পর কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীও পদ ও গোপনীয়তার শপথ নিয়েছেন। কুমারস্বামী দুবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এবার তিনি কর্ণাটকের মান্ডিয়া আসনে জিতে এমপি হয়েছেন। ভোক্কালিগা ভোট ব্যাঙ্কে কুমারস্বামীর দখল শক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তার পর শপথ নেন পীযূষ গোয়েলওঅর্থনৈতিক বিষয়ে তার ভালো দখল বলে মনে করা হয়, বিগত সরকারে তিনি বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। এবার পীযূষ গোয়েল মুম্বাই উত্তর থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন। ধর্মেন্দ্র প্রধান, যিনি মোদী 2.0-এ ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন, আবারও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন, আগের মোদী মন্ত্রিসভায়, ধর্মেন্দ্র প্রধান শিক্ষা, দক্ষতা ও উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং পূর্ব বিহারকেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জি এবং জেডিইউ নেতা লালন সিং।
হিমাচল প্রদেশের মাউন্ট ইন্দ্রাসন ও  মাউন্ট দেও টিব্বা শিখর আরোহণের উদ্দেশ্যে রওনা কলকাতার দল
*#Sports Event*

খবর কলকাতা: গতকাল কলকাতা থেকে হিমালয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ১২ সদস্যের একটি দল হিমাচল প্রদেশের মাউন্ট ইন্দ্রাসন (৬২২১ মিটার) ও মাউন্ট দেও টিব্বা শিখর (৬০০১ মিটার) আরোহণের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। উল্লেখ্য, এই একই শিখর অভিযানে গত ৩১ শে মে হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট মাউনটেনিয়ার্স অ্যান্ড টেকার্স এ্যসোসিয়েশন এর একটি দল ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছে। দুই দলেই রয়েছে মাউন্ট এভারেস্ট সহ হিমালয়ের একাধিক শৃঙ্গ আরোহন সফলতার সাথে আরোহণকারী অভিজ্ঞ পর্বতারোহীদের। পাশাপাশি, নবীন পর্বতারোহীদের উজ্বল উপস্থিতি। বাংলা থেকে এই ধরনের হিমালয়ের দুর্গম শৃঙ্গ অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে বাংলার প্রবীণ ও নবীন পর্বতারোহীরা। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
অম্বুবাচীর  (Ambubachi) উপাখ্যান

গুয়াহাটির (Guahati) কামাখ্যা মন্দিরে দেবীর কোনও মূর্তি নেই। এখানে সতীর (Sati) যোনি পড়েছিল। তাই এখানে দেবী সতীর যোনির পুজোর বিধান রয়েছে। প্রতিবছর জুন মাসে দেবী সতী রজস্বলা হন। এই সময়কালই অম্বুবাচী (Ambubachi) নামে পরিচিত। তিন দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। পরে বিশেষ পুজোর মাধ্যমে কপাট খোলা হবে। আবার এ সময়ে প্রসাদ হিসেবে একটি লাল ভেজা কাপড় দেওয়া হয়। দেবীর রজস্বলা হওয়ার আগে সেই স্থানে সাদা কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেটি লাল রঙের হয়। এই পোশাককে অম্বুবাচী বস্ত্র বলা হয়। শাস্ত্র মতে এখানে আগত ভক্তদের ওপর দেবীর আশীর্বাদ থাকে। শ্রদ্ধা-ভক্তি-সহ সতীর পুজো করলে ব্যক্তির সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।

সকলের বিশ্বাস, এই সময় ঋতুমতী হন মাতা বসুন্ধরা। সেই উপলক্ষ্যে নানা নিয়ম পালন করা হয় দেশ জুড়ে। ঋতুমতী হলে মেয়েদের সন্তানধারণের ক্ষমতা জন্মায়। তেমনই এই অম্বুবাচীর পরই পৃথিবী শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠে বসুন্ধরা। আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হলে মাসের চতুর্থ পদে পড়লেই শুরু হয় অম্বুবাচী। তিনদিন চলে সেই পর্যায়। এই সময় মাটি কর্ষণ বন্ধ থাকে। দেবী মূর্তি ঢাকা থাকে কাপড়ে। এই তিনদিন পুজোও বন্ধ থাকে অনেক মন্দিরে।

মাটির উপরে এই কদিন আগুন জ্বালিয়ে রান্না করেন না সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী ও বিধবা মহিলারা। যাঁরা অম্বুবাচী কঠোরভাবে পালন করেন, তাঁরা এই তিন দিন খেয়ে থাকেন শুধু ফল-মিষ্টি। এই তিনদিন কোনও শুভ কাজ করা হয় না। ২২ জুন (৭ আষাঢ়) থেকে শুরু হবে। এরপর থেকে ৩ দিন চলে ২৫ জুন (১০ আষাঢ়) শেষ হবে এই পর্যায়।

তন্ত্র সাধনার অন্যতম সিদ্ধস্থান আসামের (Assam) গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দির। ৫১ শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম হল এই কামাখ্যা মন্দির। এখানে সতীর অঙ্গ পড়েছিল। কামাখ্যা মন্দিরে এলে কেউ খালি হাতে যায় না। নিজের ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূরণ করেন কামাখ্যা দেবী। সারা বছর এই মন্দির খোলা থাকলেও অম্বুবাচীর সময়ে কামাখ্যা মন্দির (Kamakhya) বন্ধ থাকে। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে অম্বুবাচীর বিশেষ মাহাত্ম্য স্বীকৃত। চলতি বছর ২২ জুন থেকে অম্বুবাচী শুরু হবে। শেষ হবে ২৫ জুন। অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে কামাখ্যা মন্দিরে একটি মেলা আয়োজিত হয়। কামাখ্যা মন্দিরের মাহাত্ম্য, কী এই অম্বুবাচী, এর ধর্মীয় মাহাত্ম্য সম্পর্তে আলোচনা করা হল এখানে।

*অনেকের বিশ্বাস ,*

অম্বুবাচীর সময়টুকু বিধবা মহিলারা তিন দিন ধরে ব্রত রাখেন।
অম্বুবাচীর আগের দিন রান্না করা খাবার তাঁরা তিন দিন ধরে খেতে পারেন।
তবে তিন দিনের পুরনো খাবার খাওয়া তো সম্ভব নয়, তাই অনেকেই ফলমূল খেয়ে কাটিয়ে দেন সময়টা।
তিন দিন তারা কোন গরম খাবার খান না। 
এই সময় দেবীপুজো করা হয় না।
অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে
দেবীর মুখ ঢেকে রাখা হয়।

মন্দির থেকে এই সময় লাল তরল নিঃসৃত হয় বলে বিশ্বাস
ওড়িশায় এই পার্বণকে  ‘রজ উৎসব’ বলা হয়। সতীপীঠ কামাক্ষ্যায় এই উৎসব বড় করে পালিত হয়। কথিত আছে, এই সময় মন্দির থেকে লাল তরল নিঃসৃত হয়। দেবীর ঋতুকাল সমাগত মনে করে উৎসব পালিত হয় তখন। 
অম্বুবাচী মেলা আমেটি বা তান্ত্রিক উর্বরতা উৎসব নামেও পরিচিত এবং এটি চার দিনের মেলা (মেলা)। এটি পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত তান্ত্রিক শক্তি সাধনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ভারত এবং থেকে তান্ত্রিক সাধুদের সমাবেশের কারণে বিখ্যাত ভারত এবং বিদেশে। এই চার দিনেই কিছু তান্ত্রিক বাবা জনসমক্ষে হাজির হন। তান্ত্রিক সন্ন্যাসীরা মিডিয়া ও বিদেশীদেরও আকৃষ্ট করে। এবং তান্ত্রিক বাবারা অসংখ্য অনন্য আচার-অনুষ্ঠান এবং ব্যায়াম করে তাদের ছবি তোলা হয় এবং সারা বিশ্বের পত্রিকা ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। তান্ত্রিক, অঘোরী এবং সাধুরা এই সময়কালে হবন, আচার, গান এবং নাচ করে। তান্ত্রিক সাধুদের সাথে দেখা করতে এবং তাদের আশীর্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। এছাড়া গ্রামীণ কারুশিল্প মেলার জন্যও উৎসবটি প্রসিদ্ধ।

এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে দেবী কামাখ্যা অম্বুবাচীর দিনগুলিতে তার বার্ষিক মাসিক চক্রের মধ্য দিয়ে যান। মন্দির তিন দিন বন্ধ থাকে – মাসিকের সময়কাল।চতুর্থ দিনে মন্দিরের বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষ অপেক্ষা করে, কখন মন্দির খোলা হবে। এই সময়ে কামাখ্যা মন্দিরে সারা দেশের সন্ন্যাসী এবং পাণ্ডারা সমবেত হয়।এই অঞ্চলের অনেক মন্দির তিন দিন বন্ধ থাকে। এই তিন দিনে জমি চাষ করা বা মাটি কাটা নিষিদ্ধ।

মন্দিরটি যখন আবার খুলে যায় তখন বিপুল সংখ্যক ভক্তরা উন্মত্ত ভিড় করেন যখন মন্দিরটি অনন্য ‘প্রসাদ’ গ্রহণ করে যা ছোট ছোট কাপড়ের টুকরো, যা দেবী কামাখ্যার ঋতুস্রাবের তরল দ্বারা অনুমিতভাবে আর্দ্র। এটি অত্যন্ত শুভ এবং শক্তিশালী বলে মনে করা হয়।

*অম্বুবাচীর দিনক্ষণ*

২২ জুন অর্থাৎ ৭ ই আষাঢ় সন্ধ্যা ৬ টা ৩১ মিনিটে পড়ছে অম্বুবাচীর (Ambubachi 2024) তিথি। আর তা শেষ হবে ১০ আষাঢ় অর্থাৎ ২৫ মে রাত ১ টা গতে। প্রসঙ্গত, এই অম্বুবাচী তিথিতে কামাখ্যা মন্দিরে বিশেষ পুজো পালিত হয়। এই সময় শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে। করা হয় না কৃষিকাজ। এই সময় ব্রহ্মচারী, বিধবা, যোগী পুরুষকরা ফলাহার করে থাকেন, আগুনে রান্না কিছু তাঁরা খান না। এই রীতি পালনের নেপথ্যে রয়েছে একটি বিশ্বাস।

বিশ্বাস রয়েছে, আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থপদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা রূপে সম্বোধন করে শাস্ত্র মতে এই ৩ দিন কোনও মাটি খুঁড়ে চাষাবাদের কাজ হয় না। যেহেতু ঋতুমতী মহিলারাই কেবল সন্তান ধারণ করতে পারেন, তাই মনে করা হয় অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও সেই রূপেই আরও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। এই বিশ্বাস থেকে ৩ দিন দেবী মন্দিরে ঢাকা থাকে দেবীর মূর্তি। অম্বুবাচী (Ambubachi) কাটলে শুরু হয় পুজো, মঙ্গলানুষ্ঠান। অন্যদিকে, ধরিত্রীর উপর কাঠ চাপিয়ে আগুন ধরিয়ে এই সময় করা রান্নার পদ মুখে নেননা বহু যোগী পুরুষ, সন্ন্যাসী, বৈধব্যে থাকা মহিলারা।

*দেবী অম্বুবাচীর অঙ্গবস্ত্র –*

দেবী দ্বারা পরিহিত রক্তমাখা কাপড়
অম্বুবাচীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অত্যন্ত সম্মানিত অঙ্গবস্ত্র বা রক্তবস্ত্র, প্রথম তিন দিন মন্দিরের পীঠস্থান ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহৃত লাল কাপড়ের টুকরো।

প্রচুর পরিমাণে ভক্তরা একটি কাপড়ের টুকরো পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে যা কারও শরীরে বেঁধে রাখলে এটি খুব শুভ এবং উপকারী বলে বিশ্বাস করা হয়।

*কামাখ্যা মন্দির*

গুয়াহাটির (Ghuahati) কামাখ্যা মন্দিরে দেবীর কোনও মূর্তি নেই। এখানে সতীর (Sati) যোনি পড়েছিল। তাই এখানে দেবী সতীর যোনির পুজোর বিধান রয়েছে। প্রতিবছর জুন মাসে দেবী সতী রজস্বলা হন। এই সময়কালই অম্বুবাচী (Ambubachi) নামে পরিচিত। তিন দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। পরে বিশেষ পুজোর মাধ্যমে কপাট খোলা হবে। আবার এ সময়ে প্রসাদ হিসেবে একটি লাল ভেজা কাপড় দেওয়া হয়। দেবীর রজস্বলা হওয়ার আগে সেই স্থানে সাদা কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেটি লাল রঙের হয়। এই যে পোশাককে অম্বুবাচী বস্ত্র বলা হয়। শাস্ত্র মতে এখানে আগত ভক্তদের ওপর দেবীর আশীর্বাদ থাকে। শ্রদ্ধা-ভক্তি-সহ সতীর পুজো করলে ব্যক্তির সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। ( Collected).
দিল্লি গেলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ
খবর কলকাতা: দিল্লি গেলেন তৃণমূল দুই নব নির্বাচিত সাংসদ।এরা হলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম।