জঙ্গিদের খোঁজে পুঞ্চ-রাজৌরি জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় বন্ধ হয়ে গেল মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। শনিবার থেকে এই পরিষেবা বন্ধ হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় সেনা কনভয়ে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালায়। এই ঘটনার পরেই যুদ্ধকারীণ তৎপরতায় চলছে সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজ। এখনও পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি । তাই সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বর্তমানে পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী ।

প্রসঙ্গত গত ২১ শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় সেনা কনভয়ে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ৫ জন শহিদ হয়েছেন। গুরুত্বর জখম হয়েছেন তিন জন। আচমকা হামলায় খানিকটা হতচকিত হয়ে পড়েন সেনা জওয়ানরা। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে রাজৌরি-পুঞ্চ অঞ্চলে জোড়া হামলায় ১০ জন সেনা নিহত হয়।

নিমতার বড় ফিঙ্গা অঞ্চলে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নিমতা থানার সামনে এম বি রোড অবরোধ বিজেপির মহিলা মোর্চার

কলকাতা: চলতি মাসের ১৭তারিখ নিমতার বড় ফিঙ্গা অঞ্চলে পুকুর থেকে এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফে নিমতা থানার সামনে এম বি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। বিক্ষোভে সামিল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, রয়েছেন জেলা সভাপতি অরিজিৎ বক্সী সহ কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক।

'বিতর্কিত' বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করলো পৌরসভা

বাঁকুড়াঃ সপুত্র শিক্ষক খুনের ঘটনার সাক্ষী ও 'বিতর্কিত' সেই বাড়ি এবার ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করলো বাঁকুড়া পৌরসভা। শনিবার সকাল থেকেই পৌরসভা নিযুক্ত শ্রমিকরা ওই বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া শহরের নতুনচটি এলাকায় 'হাউস ফর অল প্রকল্পে' তৈরী এই বাড়ির জমিকে ঘিরে বিতর্কের জেরে প্রাক্তন শিক্ষক মথুরামোহন দত্ত ও তাঁর ছেলে শ্রীধর দত্তকে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাস ও তার পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস, তার,স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গ্রেফতার করে। যদিও এর আগেই ১৬ অক্টোবর 'বিতর্কিত' জমিতে তৈরী ওই বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

এই ঘটনার পিছনে পরোক্ষে পৌরসভা দায়ী, দাবি বিজেপির। দলের বাঁকুড়া জেলা সহ সভাপতি দেবাশীষ দত্ত বলেন, একজন শিক্ষকের জমিতে কেউ বাড়ি তৈরী করছে তা দেখার দায়িত্ব পৌরসভার। অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগেই তা আটকানো উচিৎ ছিল। অভিযুক্তরা শাসক দলের কাছ থেকে মদত পেয়েই ওই বাড়ি তৈরী করেছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে আরো কে বা কারা যুক্ত খুঁজে বের করার দাবি জানান তিনি।

এদিন বাঁকুড়া পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ বলেন, হাইকোর্ট এই বাড়ি ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছিল ১৬ অক্টোবর, সেই নির্দেশ আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় ২৯ অক্টোবর। পরে আমরা বাড়ি মালিককে তিন দিনের মধ্যে বাড়ি ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়ে ১৭ নভেম্বর নোটিশ দিই। এই ঘটনার পিছনে পৌরসভার কোন দায় নেই দাবি করে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই উপভোক্তাকে দ্বিতীয় দফার টাকা দেওয়া হয়নি। আর মূলতঃ পূজোর কারণেই এই 'বিতর্কিত' বাড়ি ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

*বীরভূমের আদলে তৈরি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চকগোপাল এলাকার তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার খুলল ভক্তদের জন্য*

পাঁশকুড়া: বীরভূমের তারাপীঠের আদলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় তারাপীঠ মন্দির। যেখানে সাধক বামাক্ষ্যাপা সহ তারা মা বিরাজমান। তারাপীঠ দর্শন করতে পাড়ি দিতে হয় সুদূর বীরভূম জেলায়। তবে কাছেপিঠে যখন আবির্ভাব হয়েছে তারাপীঠের তারা মা এর তবে দূরে পাড়ি কেন তারাপীঠের আদলে তৈরি এই মন্দিরে ভিড় জমতে শুরু করেছে বিভিন্ন মানুষের।

জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পূজো দিতে আসেন এই মন্দিরে। মাঝে হঠাৎ করে মন্দির বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ হয় সকলের। তবে সেই মন্দির আবার নতুন করে সেজে ওঠে, আবার নতুন করে প্রতিস্থাপিত করা হয় তারা মা এর মূর্তি।

আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিষেক করে পালকি চেপে মন্দিরে প্রবেশ করেন তারাপীঠের তারা মা। খুশি পাঁশকুড়া সহ গোটা জেলাবাসী। ঢাকঢোল বাজিয়ে হোমযজ্ঞ পূজোপাঠের মধ্য দিয়ে নতুন করে তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার খোলা হয় ভক্তদের জন্য। যা মানুষের কাছে দ্বিতীয় তারাপীঠ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। অভিষেকের প্রথম দিনেই মন্দিরে ঢল নামে মানুষের।

বীরভূমের তারাপীঠের তারা মা এর কাছে যে ভোগ নিবেদন করা হয়, ঠিক একই ভাবে বিভিন্ন ব্যঞ্জন সাজিয়ে এখানকার তারাপীঠের মন্দিরে ভোগ নিবেদন করা হয় মা এর কাছে।

*মেদিনীপুরের ঐতিহ্যশালী শীতের গয়না বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত মহিলারা*

তমলুক: শীতের দিনে গয়না বড়ি তমলুক মহিষাদল সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘরে ঘরে চলে তৈরীর কাজ। পূর্ব মেদিনীপুরের ঐতিহ্যশালী এই গহনা বড়ি খেতে ভালবাসতেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যজিৎ রায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গেরা। আবার এই গয়না বড়ি জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে উল্লিখিত হয়েছে। বিউলির ডালকে জলে ভিজিয়ে বেটে পোস্ত বা তিলের ওপর দেওয়া হয় গয়না বড়ি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই বড়িতে মজে তমলুক ও মহিষাদলের মানুষেরা।

বঙ্গের ঋতু রঙ্গে সবচেয়ে প্রিয় ঋতু শীত।

শীতকাল মানেই চলে আসে নলেন গুড়, পিঠে পুলি পায়েস সহ বিভিন্ন খাবার দাবার। সেই খাদ্য তালিকায় বড়িরস্থান উপরের দিকেই। আর তা যদি হয় গয়না বড়ি, তাহলে তো আর কথাই নেই। এই বড়ির সঙ্গে মেদনীপুরের মানুষের ভালোবাসা ওতপ্রত ভাবে জড়িত। নবান্ন, বড়দিন বা পৌষমেলার মতোই বাংলার মেয়েদের কাছে শীত ছিল এক উৎসবের ঋতু। আর সেই উৎসবের পুরোধা হল গয়না বড়ি। সাধারনত অগ্রহায়ন মাসের শেষের দিক থেকেই বাড়িতে বাড়িতে লেগে থাকে এই উৎসব।

বিউলির ডাল, পোস্ত, সাদা তিল এবং অন্যান্য মশলার সংমিশ্রনের সঙ্গে মেয়েদের সুদক্ষ হাতের কারুকার্যের নিদর্শন হল এই গয়না বড়ি। বছর পর বছর পেরিয়েও বর্তমান প্রজন্মের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে সেই কারুকার্যের ছাপ।

গয়না বড়ির ইতিহাস অনেক পুরনো ১৯৩০ সালে সেবা মাইতি নামে শান্তিনিকেতনের এক ছাত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তার মা হিরন্ময়ী দেবী ও ঠাকুমা শরতকুমারী দেবীর তৈরী গয়না বড়ি উপহার দেন। রবীন্দ্রনাথ গয়না বড়ির শিল্পকলা দেখে এতটাই আকৃষ্ট হন যে তিনি গয়না বড়িগুলির আলোকচিত্র শান্তিনিকতনের কলা ভবনে সংরক্ষণ করার অনুমতি চেয়ে হিরণ্ময়ী দেবী ও শরতকুমারী দেবীকে চিঠি লেখেন।এর ফলে গয়না বড়ি চারুকলার নিদর্শন হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও একদা বলেছিলেন, গয়না বড়ি শুধুমাত্র দেখার জন্য, খাওয়ার জন্য নয়। তিনি গয়না বড়ির শিল্পকর্মের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার খোটানে আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ত্বের শিল্পকর্মের সাদৃশ্য খুঁজে পান এবং গয়না বড়ির প্রদর্শনীর যথাযথ ব্যবস্থা করেন। নন্দলাল বসু গয়না বড়িকে বাংলা মায়ের গয়নার বাক্সের একটি রত্ন বলে বর্ণনা করেন এবং তিনি গয়না বড়ির উপর একটি বই প্রকাশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ১৯৫৪ সালে কল্যাণীতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৫৯ তম অধিবেশনে গয়না বড়ি প্রদর্শিত হয়। বংশপরম্পরায় আজও তমলুক মহিষাদল সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়ির মা-বোনেরা শীতের সকালে গয়না বড়ি তৈরি করে।

স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেন মরণ ফাঁদ

উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জের " হিঙ্গলগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্র " এর বেহাল দশা । দেখলেই আতঙ্ক তৈরি হবে মনে । স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে জরাজীর্ণ অবস্থা , পোলেস্তারা খসে লোহার রড দেখা যাচ্ছে। বিম গুলো অর্ধ ভগ্নদশা অবস্থায় রয়েছে ।আর এরই মধ্যে ডাক্তার নার্সরা রোগী দেখছেন । যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । আহত হতে পারে ডাক্তার নার্স থেকে রোগী বা রোগীর পরিবারের লোক । এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একসময় ১০টি বেড ছিল । রোগীও ভর্তি হত । সব সময় ডাক্তার-নার্স থাকতো ।

কিন্তু এখন ডাক্তার দিনের বেলায় আসে রোগী দেখেন চলে যান।তাও আবার প্রতিদিন আসে এমনটা নয় ।এলাকার মানুষের দাবি স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ঠিক করা হোক । এবং আগের মতো চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হোক । তাহলে এলাকার মানুষের অনেক উপকার হবে ।

এই বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-অভিষেক দা বলেন,"স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিছু সমস্যা রয়েছে , যে বিষয়টা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানানো হয়েছে অবিলম্বে সমস্যার সমাধান হবে"।

২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ৭৫২, মৃত ৪

দেশে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন । যা ২০২৩ সালের ২১ মে-র পর সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় কেরালায় দুজন, রাজস্থান ও কর্ণাটকে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এই নিয়ে দেশে মোট করোনায় প্রাণ হারালেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩২ জন।

উল্লেখ্য দেশে করোনা আক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কেরালা। ১৯ ডিসেম্বর কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, কোভিড কেস বৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই কারণ রাজ্য ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড, অক্সিজেন বেড, আইসিইউ বেড এবং ভেন্টিলেটরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শীত জাঁকিয়ে পড়তে না পড়তেই ফের শুরু হয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ। কেরল-সহ একাধিক রাজ্যে আচমকাই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে মারণ ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ।

এই পরিস্থিতিতে ১৯ ডিসেম্বর সোমবার বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এছাড়াও নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সামনেই যেহেতু বড়দিন ও বর্ষবরণের মতো অনুষ্ঠান রয়েছে, তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভিড় জমে এমন স্থানগুলিতে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

নদীয়ার রানাঘাট থানার সামনে মুখোমুখি বিজেপি তৃণমূল বিক্ষোভ, উত্তেজনা রানাঘাটে

নদীয়া:একই ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বিজেপি তৃনমূলের। রানাঘাট থানার সামনে মুখোমুখি তৃণমূল ও বিজেপি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়ালো রানাঘাট থানা সংলগ্ন এলাকায়। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রামানিক মোড়ে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে 10 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বিজেপির অভিযোগ, সেই অবরোধ চলা কালীন এক বিজেপি কর্মীকে পুলিসের সামনে মারধর করে তৃনমূলের দুষ্কৃতীরা।

অভিযোগ, সেই বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে রানাঘাট থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। আর তারই প্রতিবাদে শনিবার সকালে রানাঘাট থানার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিজেপি। অভিযোগ, বিজেপির সেই বিক্ষোভ চলা কালীন থানার সামনে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে আসে তৃণমূল।

তৃনমূলের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে অবরোধ চলাকালীন তৃনমূলের কর্মীদের মারধর করেছে এক বিজেপি কর্মী। আর তারই গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল। থানার সামনে একই সময়ে বিজেপি তৃণমূল এর বিক্ষোভকারীরা সামনাসামনি হয়ে যাওয়ায় সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাকে রাজনৈতিক অসৌজন্যতার নজির বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

মায়াপুরে হোটেল সাত সকালে দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়ালো তীব্র চাঞ্চল্য

নদীয়া:নদীয়ার মায়াপুরে হোটেল মৃত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়ালো তীব্র চাঞ্চল্য। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার।

মায়াপুর ঘাট সংগ্লগ্ন পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালিত নীলাচল লজের সামনে হোটেল অন্নপূর্ণা লজে।হোটেল কতৃপক্ষ জানান এ দিন সকালে ঘর পরিস্কার করতে গিয়ে বাইরে থেকে ছিটকানি দেওয়া দেখে চলে আসে কিছু পরও একই অবস্থা দেখে ঘর খুলেই দেখেন মহিলা খাটে অচৈতন্য অবস্থায় পরে আছেন, তৎক্ষনাৎ খবর দেওয়া হয় মায়াপুর পুলিশ ফারিতে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানায়। সামগ্রিক ঘটনা ঘিরে এলাকায় ছড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য।

জানা যায় গতকাল স্বামী স্ত্রী হিসেবে ভাড়ায় এসেছিলেন নদীয়ার ধানতলার বাসিন্দা

বিদ্যুৎ বিশ্বাস, (৬১+)

পিতা কেশবলাল বিশ্বাস, এবং

মিনা বিশ্বাস(৪৩+)

(আংশিক দৃষ্টি হীন)। যদিও বর্তমানে স্বামী পরিচয় দিয়ে থাকা ব্যক্তির কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

*লোকসভার প্রস্তুতির ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের*

জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তার আগেই অবশ্য রাজ্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলল নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, এই মর্মে তারা রাজ্যের মুখ্যসচিব মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে কমিশন উল্লেখ করেছে, বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তাই ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি এখনই শুরু করে দিতে হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে যে পর্যায়ের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে তা শুরু হয়ে গিয়েছে আগেই। ওই চিঠিতে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। কোন আধিকারিক কতদিন সংশ্লিষ্ট পদে রয়েছেন, তা কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে। পুলিস প্রশাসনের ক্ষেত্রেও ওই তালিকা প্রস্তুত রাখার কথা।