শান্তিপুরের তাঁতশিল্প ধ্বংসের সাথে সাথে ধুঁকছে মৃৎশিল্পও

এসবি নিউজ ব্যুরো: নদীয়ার শান্তিপুরের তাঁতশিল্প ধ্বংসের সাথে সাথে ধুঁকছে এখানকার মৃৎশিল্পও।

ইতিহাস বিখ্যাত ঐতিহ্যপূর্ণ শান্তিপুরের তাঁতশিল্পের খ্যাতি গোটা দেশ সহ বিশ্বজুড়ে।কিন্তু সেই তাঁত শিল্প আজ ধ্বংসের পথে।শান্তিপুরের এই তাঁতশিল্পের উপর শান্তিপুরের অন্যান্য শিল্প বা ব্যবসাও নির্ভরশীল। বর্তমানে তাঁতশিল্প ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সব ব্যবসাতেই ভাটা পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে শান্তিপুরের মৃৎশিল্পও। প্রায় ৩৫০ বছর আগে তাঁতশিল্পের সাথে সাথে মৃৎশিল্পীদের খ্যাতি ছড়িয়েছিল সারাদেশে।

কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি যেমন ছোট পুতুলের জন্য বিখ্যাত, তেমনি শান্তিপুরের মৃৎশিল্পীদের তৈরি দেবী মূর্তির খ্যাতি সারা দেশ জুড়ে। যার কারণে কলকাতার কুমোরটুলিতে শান্তিপুরের মৃৎশিল্পী কারিগরদের খুব চাহিদা থাকে। এদের মধ্যে কেউ কেউ মাটি থেকে নানা রকম ব্যবহার যোগ্য যেমন মাটির ভার, হাড়ি, কলসি, সরা, লক্ষ্মীর ভান্ডার তৈরি করেন। আর বেশিরভাগ মৃৎশিল্পী যুক্ত আছেন মূর্তি বা প্রতিমা নির্মাণে। ছোট থেকে বড় নানা রকম সাইজের সব ধরনের প্রতিমা গড়তে পটু তারা।

এখানকার মৃৎশিল্পী সুধীর কুমার পাল ওরফে গোরাচাঁদ পাল ২০১২ সালে মূর্তি নির্মাণে পারদর্শিতার জন্য জাতীয় পুরস্কারের পুরস্কৃত হয়েছেন। ৭২ বছর বয়সেও তিনি প্রতিমা তৈরি করেন। তবে আগের মত এই কাজে আর কেউ নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।মৃৎশিল্পের কাজে আগের মতো রোজগার নেই। কারণ একটাই, শান্তিপুরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাঁতশিল্প নির্ভর, যা একেবারেই ধ্বংস প্রায়। তাই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সুধীর কুমার পালও আক্ষেপের সুরে বলেন, "যদি আগের মতো তাঁত শিল্প বেঁচে থাকতো, তাহলে তাদের মৃৎশিল্পের আজ এই অবস্থা হতো না।

আগের সেই ব্যস্ততা নেই মৃৎশিল্পের কাজে।শুধু বংশপরম্পরায় এই মৃতপ্রায় শিল্পকে ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া মাত্র।" তবে মৃৎশিল্পীদের নিয়ে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, "এর আগে মৃৎশিল্পীদের সাথে আমার আলোচনা হয়েছে।তারা বেশকিছু দাবি রেখেছে আমার কাছে। আমি এই মৃৎ শিল্পের পরিস্থিতি নিয়ে তুলে ধরব সরকারের কাছে"।

বিষ্ণুপুর ১ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির তে প্লাস্টিক নষ্ট করার জন্য মেশিনের উদ্বোধন

এসবি নিউজ ব্যুরো: প্লাস্টিক সহ দ্রার্জ পদার্থ মাটি সহ পরিবেশ কে নষ্ট করে। সেই দিক দিয়ে বিষ্ণুপুর ১ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতিতে প্লাস্টিক নষ্ট করার মেশিন বসানো হয়। আজ তার শুভ উদ্বোধন হয় । উদ্বোধন ফিতে কেটে ও মঙ্গল দ্বীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহনের দফতরের ভারপ্রাপ্ত রাষ্টমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা সহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরা।

মন্ত্রী দিলীপ মন্ডল বলেন," বিষ্ণুপুর বাসির কাছে গর্ভের দিন আজ । কারণ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার এই প্রথম অভিনব উদ্যোগ জেলা শাসকের প্লাস্টিক দূষণ থেকে মুক্ত করার যে প্রয়াস তার শুভ সূচনা হল বিষ্ণুপুর এক নম্বর ব্লক থেকে।" বিষ্ণুপুর বিধানসভার প্রতিটি অঞ্চল থেকে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক রিসাইকেলিং করে আবার বিভিন্ন মার্কেটে স্পোর্ট করা হবে বলে মনে করছেন জেলাশাসক। সাধারণ মানুষের একদিকে কর্মস্থান অন্যদিকে পরিবেশ স্বচ্ছ ও প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশ হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রী।

ফেনসিডিল পাচারের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার করল হাবড়া থানার পুলিশ

উত্তর ২৪ পরগনা: লাড্ডুর ব্যাবসার আড়ালে চালাতেন বেআইনি ফেনসিডিলের কারবার।চলতি সপ্তাহে রবিবার পাচারের আগেই গৌড়বঙ্গ রোড ধরে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাবরা থানার পুলিশ একটি ১০৭ গাড়িকে আটকে করে।তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেআইনি ৯৬০ বোতল ফেনসিডিল কাফ সিরাপ।পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে কৃষ্ণ সাহার নাম ।

এই লাড্ডুর ব্যবসায়ী এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। তারপরেই মূল অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়। লাড্ডুর ব্যবসা কে সামনে রেখে বেআইনি ফেন্সিডিলের কারবার চালালছিলেন এই কৃষ্ণ। অবশেষে পুলিশের গোপন সূত্রের খবরে এদিন হাবরা থানার এলাকার হিজলপুকুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বছর (৪৫) কৃষ্ণ সাহাকে।তার বাড়ি হাবরার শ্রীনগর এলাকায় বলে জানা গিয়েছে।অভিযুক্তর ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রয়াত হলেন সংগীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল

প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ড: অনুপ ঘোষাল। শুক্রবার কলকাতার নিজ বাসভবনে তিনি প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয় ৭৮ বছর। তাঁর প্রয়াণের শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সত্যজিৎ রায় পরিচালিত 'গুপী গাইন বাঘা বাইন', 'হীরক রাজার দেশে'র মতো ছবিতে গানের সৌজন্যে তাঁর পরিচিতি বড় ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীত জগতে।

এসএসকেএমে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনের ভেতর থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরানো নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনের ভেতর থেকে সিসিটিভি সরাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।এর পরিবর্তে কেবিনের বাইরে মন্ত্রীর নিরাপত্তা ও নজর রাখতে মোতায়েন করতে হবে সিআরপিএফ জওয়ান বলে নির্দেশ দিলেন বিচাপটি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আদালত জানিয়েছে যদি কেবিনের বাইরে কোন সিসিটিভি থেকে থাকে তাহলে তার ফুটেজ পাবে ইডি। এই নির্দেশ কার্যকর হবে ১৬ ডিসেম্বর থেকে। আদালতের নির্দেশ, কেবিনের বাইরে থাকা সিআরপিএফ নিয়ন্ত্রণ করবেন কেবিনে যাতায়াত। আর সেটা দেখার জন্য সেখানে রেজিষ্টার থাকবে বলে নির্দেশ দিল আদালত।

ইডির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিআরপিএফ এই নজরদারি চালাবে। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালতের নির্দেশ মোতাবেক হাসপাতালের কেবিনের ভিতরে এবং বাইরে বসানো হয় সিসিটিভি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কারা কেবিনে ঢুকতে পারবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন এসএসকেএম-এর সুপার। যদিও এই নির্দেশের বিরোধিতা করে ইডি।

তাঁদের দাবি, এসএসকেএম এর ভূমিকাও সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। ওই হাসপাতাল এই ধরনের অভিযুক্তদের আস্থানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসএসকেএম এর হাতে এই সিদ্ধান্ত ছাড়া হলে তারা সবাইকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে দেবে। তদন্তের ক্ষতি হয়ে যাবে বলে সওয়াল করে ইডি। দুজন তদন্তকারী আধিকারিকের অনুমতি সাপেক্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন সাক্ষাৎকারীরা বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিপদজনক অবস্থায় স্কুল ঘর, যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা

উত্তর ২৪ পরগনা: বিপদজনক অবস্থায় স্কুল ঘর যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।আতঙ্কে রয়েছেন স্কুল শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা।এমনটাই ছবি ধরা পরেছে আমাদের ক্যামেরায়।হাবড়া বানীপুর চক্রের অন্তগত কুমড়া বিজয়নগর জিএফএফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন স্কুল সংস্কারের জন্য।

পাশাপাশি, অভিভাবকরাও প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল বিল্ডিং তৈরি করার সময় সরকারের ভূমিকা নিয়ে।কারন যখন স্কুলের ঘর তৈরি হয়েছিল তখন কাটমানি খেয়ে কম সামগ্রী দিয়ে তৈরি এই স্কুলের বিল্ডিং।

এক গুচ্ছ নতুন পরিষেবা শুরু মুকুটমনিপুরে

বাঁকুড়াঃ চলতি পর্যটন মরশুমে এক ছাতার তলায় মিলবে মুকুটমনিপুর সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য। শুক্রবার এই খবর জানিয়ে খাতড়ার মহকুমাশাসক তথা মুকুটমনিপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুকুটমনিপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে এবারই প্রথমবার ট্যুরিষ্ট ইনফর্মেশান সেন্টার খোলা হয়েছে। এখানে থেকেই মুকুটমনিপুর সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়াও এখানে আগত পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রতি ঘন্টায় মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে ই.সাইকেল পরিষেবা, প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুট, দু'ঘন্টার বিশেষ নৌ ভ্রমণ পরিষেবা চালু হয়েছে। এই সমস্ত পরিষেবা অনলাইনের মাধ্যমে বুকিং করা যাবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও মুকুটমনিপুরে আসা সমস্ত পর্যটকরা জিম সেন্টারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জিম পরিষৃবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, জল, জঙ্গল আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বছযভর অসংখ্য পর্যটক 'বাঁকুড়ার রাণী' মুকুটমনিপুরে আসেন। বিশেষ করে পর্যটন মরশুমে সেই সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই প্রতিটি পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও মনোরঞ্জনের কথা ভেবে খাতড়া মহকুমা প্রশাসন ও মুকুটমনিপুর উন্নয়ন পর্ষদ সর্বদা সচেষ্ট বলেই জানানো হয়েছে।

*তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের রূপকার সতীশচন্দ্র সামন্তের জন্মদিনে পরিবার ও স্থানীয় বিধায়কের আক্ষেপের সুর।*

মহিষাদল: তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের রূপকার সতীশচন্দ্র সামন্তের ১২৪ তম জন্মদিন। তার জন্ম ভিটাতেই মহাসমারোহে পালিত হলো জন্মজয়ন্তী।

তাম্রলিপ্ত বা বর্তমান তমলুকের মাটিতে দেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গড়ে তুললেন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। ১৯৪২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর গঠিত হয় এই সরকার। ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার' নামে আত্মপ্রকাশ করেছিল তাঁর গঠিত নিজস্ব সরকার। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম পথিকৃৎ এর পরিবার এখনো অবহেলায়, সাহায্য এখনো পাননি কিছুই। শুধুই জুটেছে আশ্বাস।

গোটা ভারতবর্ষের কেউ যেখানে কোনো অস্থায়ী সরকার গড়তে পারেন নি সেখানে তিনি অখণ্ড মেদিনীপুর জেলা থেকেই গঠন করেছিলেন একটি অস্থায়ী সরকার। এই সরকারের অস্তিত্ব ছিল ১৯৪৪ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সবার উপরে ছিলেন সর্বাধিনায়ক বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। আজকে সতীশচন্দ্র সামন্তের জন্ম দ্বিতীয় প্রস্তুত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী।

তিনি বলেন মহামানব সতীশ চন্দ্র সামন্তের পরিবারের পাশে আরো বেশি করে থাকা উচিত। অন্যদিকে সৌমেন মহাপাত্র বলেন আমরা সব সময়ই সতীশ চন্দ্র সামন্তের পরিবারের পাশে রয়েছি। হলদিয়া বন্দর এর নাম সতীশ চন্দ্র সামন্তের নামেই হওয়া উচিত এই দাবি বারে বারে করা হলেও সেই সমাধান এখনো হয়নি। পরিবার-পরিজন দাবি জানাচ্ছেন দিন আসে দিন যায় শুধুই আশ্বাস পাওয়া যায় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।

১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সফলভাবে কাজ করেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ‘৪২-এর ২৯শে ও ৩০শে সেপ্টেম্বর অজয় মুখোপাধ্যায়, সতীশচন্দ্র সামন্ত ও সুশীল ধাড়া— এই তিন বিপ্লবীর নেতৃত্বে মেদিনীপুরের চারটি থানা দখলের অভিযান শুরু হলো। বিনা রক্তপাতে সুতাহাটা থানার পুলিশ আত্মসমর্পণ করলে এই থানাটি বিপ্লবীদের দখলে এলো। রক্ত ঝরিয়ে তমলুক, মহিষাদল ও নন্দীগ্রাম—অন্য তিনটি থানাও কব্জায় চলে এলো।

১৯৪৭ খ্রীস্টাব্দের জুলাই মাসে দিল্লিতে গণ-পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলেন সতীশচন্দ্র‌। ১৯৪৭-১৯৪৯ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এই পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে ১৯৫০-১৯৫২ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত ছিলেন সামরিক পার্লামেন্টের সদস্য। তারপর ভারতবর্ষের প্রথম লোকসভা থেকে পঞ্চম লোকসভা (১৯৫২-১৯৭৬) ছিলেন লোকসভার সদস্য। এই সময়কালে তাঁর উত্থাপিত প্রশ্ন সংখ্যা ২৫ হাজার, প্রবর্তিত বিলের সংখ্যা তিনশো। এরপর ষাটের দশকের শেষদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে সতীশচন্দ্র সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়, সুশীল ধাড়া কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করেন বাংলা কংগ্রেস। তৈরি হলো যুক্তফ্রন্ট। কিন্তু সতীশচন্দ্র সে সরকারে যোগ দিলেন না।

সতীশচন্দ্রের অন্যতম কীর্তি ১৯৫৯ খ্রীস্টাব্দের ৮ই জুন হলদিয়া বন্দরের সূচনা। সে সময়ের কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী রাজবাহাদুর হলদিয়া বন্দরের নাম রাখতে চেয়েছিলেন “সতীশচন্দ্র বন্দর।” কিন্তু তা হয়নি। তবে একটি জেটি ও একটি রাস্তার নাম সতীশচন্দ্রের নামে হয়েছে। এছাড়া মহিষাদলে একটি রেলস্টেশনের নাম রাখা হয়েছে “সতীশ সামন্ত হল্ট।” আর গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম পাল্টে হয়েছে “সতীশচন্দ্র সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত।”

বর্ধমান লোকালে চলল গুলি

লোকাল ট্রেনের মধ্যে চললো গুলি। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়াগামী বর্ধমান লোকাল ট্রেনে। জানা যাচ্ছে গুলি চলার সময় ট্রেনে বেশ ভালই ভিড় ছিল। ভিড়ের মধ্যে হঠাত্‍ গুলির আওয়াজে শোরগোল পড়ে যায়। যাত্রীরা হতচকিত হন এবং হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কেউই বুঝে উঠতে পারছিলেন না চলন্ত ট্রেনে গুলি চালাল কে।

যাত্রীরা এরপর দেখতে পান এক যুবক সিটের কোণে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। হাতের মুঠোয় তখনও রয়েছে বন্দুক। মাথা-কপাল থেকে চুইয়ে পড়ছে রক্ত।এমন ঘটনায় সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

জানা যাচ্ছে হাওড়া বর্ধমান লোকাল ট্রেনে নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল। তাঁর পরিচয় জানা গিয়েছে। আত্মঘাতী কনস্টেবলের নাম শুভঙ্কর সাধুখাঁ(৪৪)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।

মদনের শারীরিক অবস্থার অবনতি

ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি তৃণমূল বিধায়ক মদল মিত্রের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কাঁধের যেখানে মদন মিত্রের অস্ত্রোপচার হয়েছিল, সেখানে ব্যথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ফের আরও একবার খিঁচুনি হয় তৃণমূল বিধায়কের। বর্তমানে তাঁকে চিকিত্‍সকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গত বুধবার কাঁধে অস্ত্রোপচার হয় মদন মিত্রের।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের পর মদনবাবু জানান, যেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, সেখানে তাঁর ব্যথা করছে। এরপর রাতের দিকে খিঁচুনি হতে শুরু করে মদনবাবুর। সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্‍সকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন ও প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেন।এসএসকেএমের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন মদন মিত্র। তবে এখনই তিনি যে বিপদমুক্ত, তা বলা যাচ্ছে না।

গত কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মদন মিত্র। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে মদনকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় কাঁধে চোট পান তৃণমূল বিধায়ক। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতে খিঁচুনি হওয়ায় পড়ে যায় বিধায়ক। পড়ে গিয়ে তাঁর বাঁ কাঁধের হাড় ভেঙে যায়। পরিস্থিতি দেখে চিকিত্‍সকেরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন।সেই মতোই বুধবার তৃণমূল বিধায়কের অস্ত্রোপচার হয়।