দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

কলকাতা: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল পড়ুয়াদের টাকায় মামলা লড়ছে সেই প্রসঙ্গে বললেন, বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মামলা লড়াই সেটা কিভাবে হবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে। পড়ুয়ারা যখন টাকা দেয় সেই টাকায় উপাচার্য বা রেজিস্টার মামলা লড়েন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মামলা লড়ছেন সেটটি কি তার পৈতৃক টাকা নাকি জনগণের টাকায় লড়ছেন? এতে বিতর্কের কি আছে বুঝতে পারছিনা।

রাজ্যের মানুষের টাকায় রাজ্য সরকারের মামলা লড়া যদি ঠিক নয় তাহলে এক্ষেত্রে কেন ঠিক হবে? এই প্রসঙ্গে বলেন, জনগণের টাকায় রাজ্য সরকার মামলা লড়বে এটাই স্বাভাবিক। সব বিষয়ে কেন মামলা করবেন বিরোধীদলকে সভা করতে দেব না তার জন্য কেন মামলা হবে যদি মামলা হয় তাহলে রাজের স্বার্থের জন্য মামলা হোক। তৃণমূলের স্বার্থের জন্য মামলা তো জনগণের টাকায় করা উচিত নয়। রাজ্যপাল নিজের কোন পদ বাড়ানোর জন্য বা মাইনে বাড়ানোর জন্য লড়ছেনা বা অন্য কাউকে আটকোনো করার জন্য লড়ছে না। রাজ্যপাল লড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে, আর তো কোন কথা হবে না সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য উপাচার্য নিয়োগ করবে।

লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূল ভেতরের অবস্থা ভালো না ইন্টারনাল স্বাস্থ্য অত্যন্ত খারাপ। এ লড়াই ভাগ বাটোয়ারা লড়াই। লড়াই খুব সহজে থামবে না, খুনখুনি পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছাবে। অনেক জায়গায় পৌঁছছে। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই থাকবে না অপেক্ষা করুন কয়েক বছর তৃণমূল কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না।

২০ তারিখ মোদী মমতা সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সময় চেয়েছেন। যে কোন মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে চাইলেই প্রধানমন্ত্রী সময় দেবেন। এটা প্রটোকল। পশ্চিমবঙ্গে এটা মানা হয় না। সংবিধানকে কে কিভাবে মানবে সেটা তার ব্যাপার।

শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে নিয়ে সৌগত রায় মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কেন মানবেন? কার্তিক ব্যানার্জি তো স্বাধীনতা সংগ্রামী। ব্যানার্জি পরিবারে কেউ আছে কিনা দেখুন সেই সময় তারা স্বাধীনতা সংগ্রামী হবে। আমার পরিবার আপনার পরিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এরা কিছু করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পরিবার মিলে বাংলাকে স্বাধীন করে দিয়েছিল।

রাজ্যের রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করবো তার এক ভাইপোর পাহাড়ে বিয়ে হওয়াতে তিনি সেখানে গেলেন রাস্তাঘাট ঠিক হল। আমি চাইবো মুখ্যমন্ত্রী এরকম আরো অনেক ভাইপো থাকুক তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে করুক তাহলে রাস্তাগুলো ঠিক হয়ে যাবে। আরো কিছু ভাইপো বানান তাহলে ভালো হবে।

রেশন দুর্নীতি মামলা ইডির চার্জশিট প্রসঙ্গে বলেন, ইডির চার্জশিটে ১০০ কোটির দুর্নীতির যে কথা বলা হয়েছে আমার মনে হয় তার থেকে অনেক বেশি। তদন্তের গতি প্রকৃতি আগামী দিনে প্রমাণ করবে এই দুর্নীতি হাজার কোটির কমে হবে না। বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে এবং সব চোরদের জেলে যাওয়া উচিত। যাদের আমার চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সে বাকিবুর রহমান হোক বা বালু মল্লিক হোন না কেন এরা শুধু ছোটখাটো লোক, এদের উপরে আরো মাথা আছে। বালু মল্লিকের এত সাহস নেই যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে এত বড় ঘোটালা করে ফেলবেন, চুরি করে ফেলবেন।

কলকাতা পুরসভায় মাইনে না হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, কলকাতা পৌরসভার বেতন দিতেও যদি কেন্দ্র সরকারের টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে সেই রাজ্য সরকারকে স্টেপ ডাউন করা উচিত। একটা কর্পোরেশনের এবং সেটা রাজধানীর কর্পোরেশন তার যদি মাইনে না দিতে পারেন এরকম অপদার্থ সরকার থাকার থেকে না থাকা ভালো।

খাস কলকাতায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন কনস্টেবল

ফের বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পুলিশ কনস্টেবলের। নাইট ডিউটি করে ফিরছিলেন ওই কনস্টেবল। তখনই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত কনস্টেবলের নাম অভিজিত্‍ চক্রবর্তী।

বাইকে করে অভিজিত্‍বাবু যখন রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট ও বিবেকানন্দ রোডের সংযোগস্থলে আসেন, তখন উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালবোঝাই লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। লরি চাকা অভিজিত্‍বাবুর মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশ কনস্টেবলের। পুলিশ এখনও ধাতক লরিটিকে ধরতে পারেনি। ধাতক লরিটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

ICU থেকে কেবিনে স্থানান্তরিত হলেন কালীঘাটের কাকু

আইসিইউ থেকে বের করা হল কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতেই বের করে আনা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণকে। এখন কেবিনেই রাখা হয়েছে তাঁকে। সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে কালীঘাটের কাকুর সুস্থতা এখনই আশ্বস্ত করতে পারছে ইডিকে।

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনই কালীঘাটের কাকুর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির প্রয়োজন নেই। তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। ১১৩ দিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, কালীঘাটের কাকুকে এবার এসএসকেএম থেকে বার করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু আদালতের নির্দেশ ছাড়া সেই কাজ সম্ভব নয়। ইডি আধিকারিকরা এই বিষয়ে এবার আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন। সুজয়কৃষ্ণকে এসএসকেএম থেকে বের করে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা, ভেবে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীত মামলায় কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা এখনও সংগ্রহ করতে পারেনি ইডি আধিকারিকরা। হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ বার বার অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই কাজ সম্ভব হয়নি কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের। গত শুক্রবার কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল ইডি। সেইমতো এসএসকেএমে পৌঁছে গিয়েছিল অ্যাম্বলেন্সও। কিন্ত সুজয়কৃষ্ণকে হাসপাতাল থেকে বের করা সম্ভব হয়নি।

পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ সাতসকালে চা বাগানে ঘোরাফেরা করছে হাতি

এসবি নিউজ ব্যুরো: জঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে বন্য প্রাণী কেনা চায়।পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ সাতসকালে চা বাগানে ঘোরাফেরা করছে হাতি। খবর চাউর হতেই হাতি দেখতে মানুষের ভিড় উপচে পরলো। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি চা বাগানের ঘটনা।

এদিন সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত হাতিটি চা বাগানে ঘোরাফেরা করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তারায় হাতিটি সংলগ্ন খরিয়ার বন্দর জঙ্গলে চলে যায়। জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে হাতিটি চা বাগানে ঢুকে পড়ে। এরপর হাতিটি রাতভর বাগানের বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লায় ঘুরে বেড়ায়। বুধবার সকালে বাগানের লোকজন বাগানের ১৫ নম্বর সেকশনে হাতিটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে।

হাতিটি দীর্ঘক্ষণ বাগানের এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে হাতিটি বাগানের হাসপাতালের পাশ দিয়ে চলে যায় খড়িয়ার জঙ্গলে। এর আগেও চা বাগানে হাতি ঢুকে বহু ঘর বাড়ি ভেঙ্গেছে। চালসা রেঞ্জার প্রকাশ থাপা বলেন, "জঙ্গলে হাতি থাকার বিষয়টি খুনিয়া স্কোয়াডকে জানানো হয়েছে। চালসা রেঞ্জের বনকর্মীরাও হাতিটির উপরে নজর রাখছে।"

ঢালাই রাস্তার কিছুটা বেহাল অংশের ঢালাই শুরু করল গ্রামবাসীরা নিজেরাই

এসবি নিউজ ব্যুরো: গ্রাম পঞ্চায়েত ও জনপ্রতিনিধিদের বারবার জানিয়েও হাল ফেরেনি বেহাল রাস্তার। তাই নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে এবার গ্রামের বেহাল রাস্তা ঢালাই এর ব্যবস্থা উদ্যোগ নিল ধাদিকা গ্রামের বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের বারমেশা-রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধাদিকা একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। সেই গ্রামে বাম আমলে হয়েছিল রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ। তবে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে গ্রামের মধ্যেই থাকা সেই ঢালাই রাস্তার কিছু অংশ হয়ে পড়েছিল বেহাল। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে জনপ্রতিনিধিদের বারবার বেহাল রাস্তা সারাই এর জন্য আবেদন করা হয়েছিল।

কিন্তু নজর এড়িয়ে গিয়েছে সকলের। এখন পাকা ধান ঘরে তোলার সময়। গ্রামের ওই খানা-খন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে গরুর গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছে । তাই বাধ্য হয়েই গ্রামবাসীরা রাস্তা মেরামতির কাজে হাত লাগালেও প্রান্তিক মানুষের প্রতি প্রশাসনিক বঞ্চনার কোন উদ্যোগ দেখা গেল না।

গঙ্গারসগরে আগুনে পুড়ে "ধুলিসাৎ"পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক

এসবি নিউজ ব্যুরো: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে ভস্মিভূত হয়ে গিয়েছে ৩ টি বাড়ি। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কোস্টাল সাগর থানার অন্তর্গত গঙ্গাসাগর কপিলমুনি আশ্রমের কাছে ৫ নম্বর গেটের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার ধরে ৩ টি বাড়ি আগুনে পুড়ে ধুলিসাৎ হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বাড়ি গুলির মাথার উপর থেকে বৈদ্যুতিক তার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্রীব্রিজের চারিদিকে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যবহার জন্য। মঙ্গলবার দিন হঠাৎ ওই বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গিয়ে বসবাসকারী ব্যক্তিদের বাড়ির চালের উপর পড়ার ফলে আগুন লেগে যায়। এর ফলে ৩ টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়ে ধুলিসাৎ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সাগর থানায় খবর দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময় কোস্টাল সাগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নির্দেশে সাগর এলাকার দমকল দপ্তরে খবর দেওয়া হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সুন্দরবন দিবসের দ্বিতীয় দিনের শেষ পর্যায়ে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্র সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সাগর ব্লক প্রশাসন এবং সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা সহযোগিতায় ওই ৩টি পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কিছু বর্তমানে ব্যবহার করার জন্য জামাকাপড় ,আসবাবপত্র ও খাদ্য সামগ্রিকের সাথে শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রিক নিজের হাতে তুলে দিলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে।

অবশেষে ওই ২টি পরিবারের বাসস্থান না থাকার কারণে ব্লক প্রশাসন এবং মন্ত্রীর মহদয়ের উপস্থিতিতে ভগীরথ বেরা, পিতা-ধনঞ্জয় বেরা এবং আলেকজান বিবি এই ২ টি পরিবারের বাসস্থানের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া জন্য তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ৩টি পরিবার সরকারি জায়গায় বসবাস করতেন।ওদের মধ্যে একজন ব্যাক্তি মানস দাস ব্যবসায়ী সূত্রে নদীতে মাছের মিল ধরে এই স্থানে ব্যাবসা করতেন। কিন্তু অন্যত্রে ওই ব্যক্তির বাসস্থান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ঐতিহাসিক মূল্য থাকলেও, এখনো জোটেনি সরকারী সাহায্য

উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার প্রসিদ্ধতম কালীমন্দিরের মধ্যে এটি একটি অন্যতম মন্দির বলে পরিচিত বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের খেজুরবেড়িয়ায় হাজারী কালী মন্দির।

প্রসঙ্গত,মন্দিরটির কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। ১৫০ বছরের পুরোনো এই কালীমন্দিরকে নিয়ে রয়েছে নানান স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী।এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল প্রতিবছর চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে মহা ধুমধাম করে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে কালীপুজো হয়। বহু ভক্ত তারা মানত করে এবং মানত শোধ করার উদ্দেশ্যে কয়েকশ প্রতিমা নিয়ে জড়ো হয় মন্দির চত্বরে পুজো দেওয়ার উদ্দেশ্যে ।ঐদিন যেহেতু কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয় তাই মেলাকে ঘিরে থাকে প্রশাসনিক তৎপরতা ও নজরদারি।

বিশেষ করে প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার মধ্যে এমন একটি প্রসিদ্ধতম কালী মেলা যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়।ঐদিন দেবী দর্শনে ও পুজো দিতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্তেরা আসেন। তা ছাড়া, ওই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনী। বিপদে পড়ে কেউ মায়ের কাছে এলে তিনি বিপদ থেকে উদ্ধার হবেনই, এমনই ধারণা মানুষের মধ্যে।

তবে বর্তমানে এলাকার মানুষদের আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতায় মন্দিরটি নতুনরূপে সেজে উঠেছে। এই সংস্কারের ক্ষেত্রে কোন সরকারি সাহায্য অনুদান তারা পাননি এমনটাই জানিয়েছেন মন্দির কমিটির কয়েকজন সদস্য।

তবে চৈত্র সংক্রান্তিতে যে মহা ধুমধাম করে হাজারী কালীপূজা হয়। সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য পানীয় জলের একটা সমস্যা ছিল, এই ব্যাপারে হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডলের আর্থিক সাহায্যে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি শৌচালয়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্দির কমিটির কর্মকর্তাদের মতে, যদি সরকারি কোন অনুদান বা সাহায্য পাওয়া যায় তাহলে এই মন্দির চত্বর সহ মন্দিরের পরিকাঠামোটি আরো ভালোভাবে ভক্তদের কাছে মেলেধারা যাবে বলে তারা আশা করেন।

নকল' মদ বিক্রির অভিযোগে আটক ১

বাঁকুড়াঃ 'নকল' মদ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল আবগারি দপ্তর। বুধবার হিড়বাঁধ থানা এলাকার লেদাকেনি মোড় সংলগ্ন মলিয়ান এলাকায় একটি হোটেলে বিপুল পরিমান 'নকল' মদ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি প্রসেনজিৎ মাহাতো নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে আবগারি দপ্তর।

এদিন এই খবর জানিয়ে আবগারি দপ্তরের খাতড়া রেঞ্জের ডেপুটি কালেক্টর কৃষাণু ঠাকুর বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর ও বিষ্ণুপুর রেঞ্জের আধিকারিক, কর্মী ও জেলা পুলিশ লাইনের পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অতর্কিতে মলিয়ান সংলগ্ন হোটেলে অভিযান চালাই। এদিনের এই অভিযানে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের নকল মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। একই সঙ্গে প্রসেনজিৎ মাহাতো নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে আরো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।

*কেমন থাকবে রাস্তাঘাটের অবস্থা? জানুন আজকের ট্রাফিক আপডেট*


আজ  ১৩ই ডিসেম্বর এদিন বাড়ি থেকে বেরানোর আগেই জেনে নিন কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে। কেমন থাকবে রাস্তাঘাটের অবস্থা ? জানিয়ে দিলো লালাবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল। বুধবার শহরে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। 

যানচলাচল স্বাভাবিক আছে।  তবে আজ কোন মিটিং, মিছিল নেই। তাই বুধবার শহরের সর্বত্র যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছে , লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম। 

  

*রাজ্যজুড়ে কমেছে তাপমাত্রা, জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*


ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের আমেজে কাবু রাজ্যবাসী। পূর্বাভাস মতোই হুড়মুড়িয়ে নামতে শুরু করেছে পারদ। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিনে আরও নেমে যাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

দুই বঙ্গেই উত্তুরে দাপট। শুরু হয়ে গিয়েছে শীতের স্পেল। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ৪ দিনে ৪ ডিগ্রি কমবে রাতের তাপমাত্রা! এবার বঙ্গে ক্রমশ্যই জাঁকিয়ে পড়বে শীত। নিম্নমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ। উত্তর থেকে দক্ষিণ উত্তুরে হাওয়ার দাপটে রাজ্যজুড়ে কমেছে তাপমাত্রা।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, এই সপ্তাহেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে। ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে আরও নামবে তাপমাত্রা। এদিকে বুধবার মহানগরীর তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছে পৌঁছে যেতে পারে।