রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্পে রেশন সামগ্রীর কালোবাজারি হাতে নাতে ধরে ফেলল এলাকাবাসীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি: রেশনের চাল এবং আটা সরকারি আধিকারিকদের কাছ থেকে ক্রয় করে চলে গোডাউন ভরাটের কাজ। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য গম, আটা পায় না। নিম্নমানের রেশন সামগ্রী যখন সাধারণ মানুষদেরকে দেওয়া হচ্ছে, তখন সরকারি আধিকারিকদের কাছ থেকে উন্নত মানের রেশন সামগ্রী গোডাউনে মজুদ করার অভিযোগ উঠছে ,রানাঘাটের মধু বণিক নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় গোডাউনে দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের রেশনের চাল, গম ,আটা প্রতিদিন গাড়ি গাড়ি মাল মজুদ করা হয় ওই গোডাউনে । কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই রেশন সামগ্রী পায় না ।
অপরদিকে কালোবাজারি করে রেশন সামগ্রী কিনে কিভাবে তিনি গোডাউনে মজুদ রাখছে তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন । যদিও রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যে রানাঘাটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালিয়েছে। তারপরেও দিনের পর দিন জনসমক্ষে এইভাবে রেশনের কালোবাজারি উঠে এলো নদীয়ার কুপার্স এলাকা থেকে। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,এই মজুদ করা চাল, গম ,আটা কালোবাজারি করে রাইস মিলে পাঠিয়ে দিচ্ছে ওই ব্যবসায়ী। আবার সেই সমস্ত রাইস মিল থেকে এই সামগ্রী পৌঁছে যাচ্ছে আবার ফুড সাপ্লাই অফিসে। তাতে করেই বড়সড়ো রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসীরা ।
এদিন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনা হাতে নাতে পাকড়াও করে ফেলে । দোকানের সামনে ভিড় করে গাড়ি সমেত রেশন সামগ্রী আটকে দেন এলাকাবাসীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । যদিও সংবাদ মাধ্যম খবর সংগ্রহ করতে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সেই গোডাউনের মালিক মধু বনিক। তবে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে কিভাবে এইভাবে রেশন সামগ্রীর কালোবাজারি চলছে,তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন । এলাকাবাসীর দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত দিয়ে রেখেছে বলেই দিনের পর দিন এইভাবে রেশন সামগ্রীর কালোবাজারি নদিয়া জুড়ে চলে আসছে। তাদের দাবি অবিলম্বে এই কালোবাজারি বন্ধ হোক ।এবং সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য রেশন পাক ।যদিও এই ঘটনায় পুলিশে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসীরা ।
Feb 10 2024, 17:17