/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz মাত্র ৩ বছর ৪ মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডে নাম তুললেন চন্দ্রকোনার পৃথ্বীরাজ West Bengal Bangla
মাত্র ৩ বছর ৪ মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডে নাম তুললেন চন্দ্রকোনার পৃথ্বীরাজ

এসবি নিউজ ব্যুরো: মাত্র ৩ বছর ৪ মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর নাম উঠলো পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ব্লকের জয়ন্তীপুরের পৃথ্বীরাজ দত্তের। সাড়ে ৩ মিনিট সময়ের মধ্যে ১০০ টি জিকের উত্তর দিয়ে তাক লাগালেন পৃথ্বীরাজ। ছোট এই পৃথ্বীরাজের সাফল্যে খুশি তার মা ও পরিবার। পড়তে বসার সময় বারে বারে কোন প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞাসা করলেই অনর্গল বলতে পারত পৃথ্বীরাজ। মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই সে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন উত্তরে সাবলীল হয়ে ওঠে। মায়ের প্রচেষ্টায় স্কুলের গণ্ডি প্রবেশ করার আগেই গলায় ঝুল্লো ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর মেডেল।

বিজেপির জমিদারতন্ত্রের পতন আসন্ন।

রাজ্যের বঞ্চিত-লাঞ্ছিত গরিব মা-ভাই-বোনেদের হকের পাওনার জন্য নিরন্তর লড়াই করে চলেছেন আমরা তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।

আজকের ধরনা মঞ্চের কিছু মুহূর্ত।

*কাল্পিকের অন্তরঙ্গ নাট্যোৎসব,*

নাটক 

 

 খবর কলকাতা* : পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বারাসাতের বুকে এক দশকের বেশী সময় ধরে শিল্প ও নাট্যচর্চা করে চলেছে অন্যতম সক্রিয় নাট্যদল বারাসাত কাল্পিক। তাদেরই আয়োজনেই হইহই করে দুদিনের (২৭ ও ২৮ জানুয়ারি) নাট্যোৎসব সম্পন্ন হল সুভাষ ইনস্টিটিউটে। 'নাট্যভাষা ২০২৪' ( প্রথম পর্যায় ), যেখানে উপস্থাপিত হয়েছে ভিন্ন স্বাদ - ভাষা বা ভাষা বিহীন মুকাভিনয় সহ মোট পাঁচটি নাটক। প্রথম দিন উৎসবের সূচনা হয় বিশিষ্ট নাট্য গবেষক ও আলোচক আশীষ গোস্বামীর, থিয়েটার ম্যাগাজিনের সম্পাদক তমাল মুখার্জি ও বিশিষ্ট নাট্য সংগঠক সন্তু সাধুখার বর্ণময় উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে নাট্য উৎসবের সূচনা হয় এবং সকলেই কাল্পিকের এই নাট্যোৎসবের আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে সাফল্য কামনা করেছেন।  

এরপর যথাক্রমে উপস্থাপিত হয় দুটি নাটক, প্রথমটি বিশ্বজিৎ দাস পরিচালিত হাওড়া জোনাকি প্রযোজনা বাদল সরকারের 'ভোমা', অন্তরঙ্গ এই নাটকটি নির্মাণ শৈলী শুরু থেকে দর্শককে বেশ খানিকটা অস্বস্তির মধ্যে ফেলে কারণ দর্শকদের মধ্যেই অভিনেতাদের চলাফেরা এবং তাদের সংলাপ বলার পর বিভিন্ন অবয়ব তৈরির মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন অভিব্যক্তি ছুটে এসে দর্শকদের চিন্তাকে বারংবার আঘাত হানে। দ্বিতীয় নাটকটি গড়িয়া সূচনা প্রযোজিত নন্দন ভট্টাচার্য নির্দেশিত 'নোঙর', শুধুমাত্র অভিনয়ের মাধ্যমে করে কিভাবে হৃদয়বিদারক উপস্থাপনা গড়ে তোলার এক সুন্দর দৃষ্টান্ত এই নাটক। 

সূূদুর মধ্যপ্রদেশের নাট্যদল রঙ্গদূত ২৮শে জানুয়ারি দ্বিতীয় দিন উপস্থাপিত করেছিল তাদের হিন্দি নাটক 'বিজ্জি কহিন' প্রসন্ন সোণীর পরিচালনায়, যেটি জাতি - ধর্ম এবং বর্ণের নানান ভেদাভেদ, মানসিকতা, রাজনৈতিক - সামাজিক অবস্থান তুলে ধরে তাদের নাটকের মধ্যে দিয়ে। বর্তমানে যখন ধর্মীয় রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মনুষ্য রাজনৈতিক প্রেরণা ও প্রেষণার মূল হয়ে বারংবার ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করছে সেই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ধরেছে । বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্রেশটের রচনায় কামনার শিকার হওয়া এক কুমারী মায়ের গল্প নিয়ে 'মারী ফারারের ভ্রুন হত্যা' উপস্থাপন করেছে ইন্ডিয়ান মাইম থিয়েটার এবং নির্দেশনা ও অভিনয় করেছেন মধুরিমা গোস্বামী। শেষ প্রযোজনা বারাসাত কাল্পিকের গল্পের মত এভাবেই থেকে যায় নির্দেশনায় দেবব্রত ব্যানার্জি, খুবই কালীন সময় কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই নাট্য আমাদের আবারো সামাজিক দর্পণের সামনে দাঁড় করায়, ভাবায়- প্রশ্ন করায়। উৎসবের সমাপ্তি সন্ধ্যায় কাল্পিকের পক্ষ থেকে বারাসাত কাল্পিকের নির্দেশক দেবব্রত ব্যানার্জী জানান, শীঘ্রই এই নাট্যভাষা '২৪ এর দ্বিতীয় পর্যায় আয়োজিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বারাসাতের নাট্যমোদী ও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদের লক্ষ্যে।

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রাপ্ত ফুল ও বিধায়কের শুভেচ্ছা বার্তা তাদের তুলে দিলেন কাউন্সিলর

কলকাতা: আজ থেকে শুরু হল রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় যাতে পরীক্ষার্থীরা কোন অসুবিধায় না পড়ে তার জন্য অভিনব উদ্যোগ দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডে। কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তত্ত্বাবধানে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ৫০টি গাড়ি ও অটো করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।

পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় তার জন্য আশীর্বাদী ফুল তাদের তুলে দেওয়া হয়। এর সাথেই পরীক্ষার্থীদের বিধায়কের শুভেচ্ছা পত্র তুলে দেওয়া হয়। এমনকি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের যাতে কোন অসুবিধায় না পড়তে হয় তাদের হাতে টিফিন সহ একাধিক সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

রাহুলের ভারতের জড়ো ন্যায় যাত্রা মুর্শিদাবাদের প্রবেশ করল

এসবি নিউজ ব্যুরো: ভারতের জড়ো ন্যায় যাত্রায় মুর্শিদাবাদের প্রবেশ মাত্রই ফরাক্কা ব্যারেজের উপর থেকে শুরু করে নিউ ফারাক্কার চৌমাথা ট্রাফিক মোড় পেরিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের প্রবল উন্মাদনা ও উচ্ছ্বাস দেখা গেল। রাহুলকে ঘিরে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল ইতিপূর্বে ফরাক্কায় খুব কমই দেখা গেছে ।

রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রাহুল গান্ধীর মুখোশ পরে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে স্বাগতম জানান । ব্যান্ডের তালে তালে বাজছিল দেশ ভক্তি মূলক বিভিন্ন গান। রাহুল গান্ধীর গাড়ি পৌঁছানো মাত্রই ফরাক্কা জাতীয় কংগ্রেসের ব্লক নেতৃত্বরা রাহুল গান্ধীকে ফুলের স্তবক ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানাই।

ফারাক্কা ব্লকের জাতীয় কংগ্রেসের সহকারি সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম জানালেন , " মানুষের জন্য জোয়ারের কারণে রাহুল গান্ধীর হাতে মুর্শিদাবাদের উপহার পৌঁছাতে পারলেন না ! পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত দিয়ে রাহুল গান্ধীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানালেন"। তিনি আরো জানালেন দুর্নীতির বিরোধী এই ভারত জড়ো ন্যায় যাত্রা রাহুল গান্ধী শুরু করেছেন ।আগামী দিনে আরো বিপুল ভোটে কংগ্রেস জয়ী হবে বলে তিনি মনে করেন ।

দেশ জুড়ে সি এ এ লাগু হওয়ার প্রাক্কালে আবেগঘন বার্তা অধ্যাপকের

এসবি নিউজ ব্যুরো : বিধবা বিবাহ আইন প্রচলিত হওয়ার পর পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবেগের সঙ্গে দেশে সি এ এ লাগু হওয়ার প্রাক্কালে নিজের আবেগের তুলনা করলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ও উত্তরবঙ্গের অবজারভার ড: বাবুলাল বালা।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন ৭দিনের মধ্যে সি এ এ লাগু হবে। যাতে করে উদ্বাস্তুরা নিজেদের নাগরিকত্ব পাবেন। এই প্রসঙ্গে ড: বালা বলেন," সি এ এ নিয়ে অনেক অপপ্রচার হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে উদ্বাস্তু দের নিজেদের অধিকার পূর্ণাঙ্গ রূপে দিতেই এই আইনের প্রণয়ন। দীর্ঘদিন এই আইন প্রচলনের জন্য লড়াই করেছেন ড: বালা।তাই আজ সেটি যখন বাস্তবতার মুখ দেখতে চলেছে তা নিয়ে স্বভাবতই উচ্ছসিত ও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি"।

*কমছে ঠান্ডার আমেজ, বাড়ছে গরম, জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*


চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই ঠান্ডার আমেজ খানিক কম। গতকাল বাংলার বেশকিছু জেলায় বৃষ্টিও হয়েছে। হাওয়া অফিসের খবর, সেই ধারা বজায় থাকবে বুধবারও। জানা গেছে, মঙ্গলবারই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে একটি উচ্চচাপ বলয়। সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। অর্থাৎ বাংলায় উত্তর পশ্চিমের হওয়ার বদলে পুবালি হাওয়ার দাপট বাড়বে। সকালে হালকা কুয়াশা পরে আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ।

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া গতকাল থেকেই বৃষ্টি তার খেল দেখাতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। আজ থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টির তেজ।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আজ থেকে দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম সহ কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও। আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারও ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। তবে শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা। অন্যদিকে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সিকিমে। এর বেশ ভালো রকম প্রভাব পড়তে পারে দার্জিলিংয়ের উঁচু পার্বত্য এলাকাগুলিতেও।

মোহনপুর গ্রামে নিহত বিজেপি কার্য কর্তা মিঠুন খামরুই এর বাড়িতে বিরোধী দলনেতা

এসবি নিউজ ব্যুরো: আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর গ্রামে নিহত বিজেপি কার্য কর্তা মিঠুন খামরুই এর বাড়িতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।স্বর্গীয় মিঠুন খামরুই এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানিয়ে ওনার পরিবারের সাথে কথা বলেন ।প্রান্তিক পরিবারটির হাতে দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে সর্বতোভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

উল্লেখ্য,শালবনীর কর্ণগড়ে মোহনপুর গ্রামে বিজেপির সক্রিয় কার্যকর্তা মিঠুন খামরুই গতকাল মেলা দেখে ফেরার পথে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হন। মিঠুনের পরিবার বিজেপির সমর্থক, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মিঠুনের মা পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় তার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিনি ঘর ছাড়াও ছিলেন। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে তাকে বার বার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। মিঠুন খামরুই এর বাবা থানায় এফআইআর করার পর এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা প্রাথমিক তদন্তটুকুও শুরু করেনি।

নদিয়ার কৃষ্ণনগরে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

এসবি নিউজ ব্যুরো: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়া সফরে এসে কৃষ্ণনগর স্টেডিয়াম থেকে সার্কিট হাউজ অব্দি পদযাত্রা করলেন। এর পরেই তৃণমূল কর্মীদের সাথে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সার্কিট হাউসে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

আগামী কাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর পালপাড়া মোড়ে থেকে একটি পদযাত্রা করবেন। কিছুটা যাওয়ার পর সেখান থেকে রওনা দেবেন শান্তিপুরের উদ্দেশ্যে।

ছোটো বেলায় ফুটবল খেলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে গিয়েছিলো গোটা শরীর,আজ সেই মেয়েই IFA এর মহিলা রেফারি "তারজুনা"

এসবি নিউজ ব্যুরো: ছোটবেলায় ফুটবল খেলতে গিয়ে, ধানসেদ্ধ করার উনুনের আগুনে ঝাঁপ দিয়ে পুড়ে গিয়েছিল শরীরের বেশির ভাগ অংশ। এমনভাবে পুড়ে গিয়েছিল যে জীবন যায় যায় অবস্থা। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পর সুস্থ হয়ে উঠে তারজুনা। ছোটবেলায় কাকুর সাথে ফুটবল খেলতে খেলতে, মাঠের পাশে থাকা উনুনে বল পড়ে গেলে আগুনের মধ্যে ঝাঁপ দিয়ে দেয়।

এতটাই ফুটবল প্রেম যে আগুনে পড়ে গিয়েও ফুটবলটি ছাড়েনি সে। একাই কোনভাবে উনুন থেকে বেরিয়ে আসে। তবে কাহিনী এখানেই শেষ নয়।ছোটবেলায় খেলতে যাবার সময় মুসলিম সমাজের মুরুব্বীরা তারজুনার বাড়িতে এসে তার পরিবারের কাছে চাপ দিতে থাকে। মুরুব্বীরা জানায়, মুসলিম মেয়েদের হাফপ্যান্ট পরে খেলতে যাওয়া শোভা পায়না। মুরুব্বির আরো বলে মেয়ে বড়ো হয়েছে বিয়ে দিয়ে দাও, ফুটবল খেলা এসব ছেলেদের কাজ। কেউ কেউ আবার হুমকির সুরে বলতে থাকে, জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে হাফপ্যান্ট পরে যাতায়াত করে, কিছু হয়ে গেলে আমাদেরকে দোষারোপ করতে পারবে না।

প্রথমে বাড়ির লোক কিছুটা ভয়ে স্তম্ভিত হয়ে মেয়েকে একপ্রকার খেলতে যেতে বাধা দেয়। তবে তারজুনা মন্ডল সেইসব মুরুব্বীদের কথা সোনার পাত্রী ছিল না। সবকিছুকে পিছনে ফেলে ফুটবলকে লক্ষ্য করে এগিয়ে চলে মেটাডহর গ্রামের ফুটবল অন্ত প্রাণ "তারজুনা"।

এ কাহিনী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ব্লকের অন্তর্গত মেটাডহর গ্রামের এক দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের তারজনা মন্ডলের। বাবা তৈমুর আলি মন্ডল, মা সাকিনা বিবি। মা গৃহবধূ, বাবা দিন মজুর। ছাত্র অবস্থায় ডিগ্রী স্যানাটোরিয়াম উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় প্রথমে ছেলেদের সাথেই ফুটবল খেলতে শুরু করে তারজুনা। তার খেলার আগ্রহ দেখে পরে বিদ্যালয়ে খেলার শিক্ষক হিমাদ্রী মন্ডল মেয়েদের নিয়ে একটি ফুটবল টিম গঠন করে। সেইখানে ভালো খেলার পর, শালবনী জাগরণের হয়ে ফুটবল খেলে তারজুনা মন্ডল। শালবনী জাগরণে খেলতে খেলতে কেশিয়াড়ি থেকে ডাক আসে ফুটবল খেলানোর জন্য। সেখান থেকে জেলাস্তর, রাজ্যস্তর ও জাতীয়স্তরে ফুটবল খেলে খেতাব অর্জন করে গড়বেতার তারজুনা। তার ঝুলিতে এসেছে একাধিক মেডেল, ট্রফি ও সার্টিফিকেট। এখানেও আবার ট্রাজেডি, বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে কয়েকবার সার্টিফিকেট ও মেডেল চুরি করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। এরপর রাজ্যস্তরে বেশ কয়েকবার ফুটবল খেলা পরিচালনা করে তারজুনা। পরবর্তীতে একটু একটু করে আজ IFA এর একজন সুদক্ষ মহিলা রেফারি হিসেবে নাম করেছে। বেশ কয়েকটি খেলাও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে "তারজুনা"। ভবিষ্যতে ফুটবলকে নিয়েই জীবন ও জীবিকার পথ বেছে নিয়েছে সে।

আগামীতে মহিলা ফুটবল খেলোয়াড়দের পথপ্রদর্শক হতে চায় সে। তারজুনার মা সকিনা বিবি জানান, মেয়েকে অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে গ্রামের মোড়লদের কাছ থেকে। আমরাও ওর পাশে দাঁড়াতে পারিনি, কষ্ট দিয়েছি ওকে। তবে ওর কঠিন জেদ এর কাছে হার মানতে হয়েছে আমাদের। আজকে ওর সাফল্যে সত্যিই আমরা খুব গর্বিত ও আনন্দিত। তারজুনার মা বলেন ও ফুট নিয়েই এগিয়ে চলুক। তারজুনার এই সাফল্যে খুশি তার প্রথম ফুটবল শিক্ষক হিমাদ্রী মন্ডল সহ ডিগ্রী স্যানাটোরিয়াম উচ্চ বিদ্যালয় এর সকল শিক্ষক শিক্ষকরাও।