/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মী সহ দুই পুলিশের বাড়িতে চুরি West Bengal Bangla
এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মী সহ দুই পুলিশের বাড়িতে চুরি

উত্তর ২৪ পরগনা: এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর বাড়ির মন্দিরে চুরি , প্রতিমার গা থেকে ২৩ থেকে ২৫ ভরি সোনার গয়না এবং একটি হীরের টিপ এবং আর এক পুলিশ অফিসারের বাড়িতে চুরি এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা । ঘটনাস্থলে বসিরহাট থানার পুলিশ ।বসিরহাট ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা ।মিঠুন সর নামে এক পুলিশ অফিসার বাড়িতে না থাকায় বাড়ির গেট ভেঙে বাড়িতে ঢুকে চুরি করে এবং বাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিভিন্ন জিনিস আগুনে পুড়িয়ে দেয় । পাশাপাশি অরিজিৎ সিং নামে এক প্রাক্তন পুলিশের বাড়ির মন্দিরের জানলা ভেঙে চুরি । আনুমানিক ২৩ থেকে ২৫ ভরি সোনার গয়না এবং একটি হীরের টিপ নিয়ে পালায় চোর ।

এক রাতে পাশাপাশি দুই পুলিশের বাড়িতে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায় ।ঘটনাস্থলে বসিরহাট থানার পুলিশ ।

হালিশহর জগন্নাথ ঘাটে গঙ্গা থেকে কলসযাত্রা

উত্তর ২৪ পরগনা: এলাকার মানুষের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধির জন্য কলস যাত্রার মধ্য দিয়ে জয় মাতাজির পুজোর সূচনা হল হালিশহরের হাজিনগরে।এম সি মিত্র রোডে জয় মাতাজির জাগরন মঞ্চের উদ্যোগে এই কলস যাত্রা শুরু হয়।

সকালে হালিশহর জগন্নাথ ঘাটে গঙ্গা থেকে জল নিয়ে প্রায় ৫০০ মহিলা কলস মাথায় শোভাযাত্রা সহকারে এম সি মিত্র রোডের পুজো প্রাঙ্গনে এসে উপস্থিত হয়। এরপরেই জয় মাতাজির হালিশহর জগন্নাথ ঘাটে গঙ্গা থেকে পুজো পাঠ আরম্ভ হয়।

মালদা জেলা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির প্রথম জেলা সম্মেলন

 এসবি নিউজ ব্যুরো: মালদহ কালিয়াচকের পঞ্চানন্দপুর সংলগ্ন গঙ্গা নদীতে মাছ ধরতে গেলেই দিতে হয় মস্তানি ট্যাক্স। দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগের ঘটনায় প্রতিবাদ করেও হয়নি কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে সংশ্লিষ্ট এলাকার শতাধিক মৎস্যজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়ে মালদা জেলা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতি নামক একটি সংগঠনের মাধ্যমে প্রথম জেলা সম্মেলন করল।

রবিবার কালিয়াচক ২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর এলাকার গঙ্গা নদীর চরে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রথম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনের মাধ্যমেই মৎস্যজীবীদের প্রতি যাতে কোনরকম অত্যাচার না হয়, তা নিয়েই মূলত এদিন আলোচনা করা হয় । এদিনের সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের উপস্থিত কর্মকর্তারা মস্তানি ট্যাক্সের বিরোধিতা করেই নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। 

মালদা জেলা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির কর্মকর্তাদের বক্তব্য, এই এলাকায় শতাধিক মৎস্যজীবী পরিবার রয়েছে। গঙ্গা নদীর মাছ ধরেই পরিবারগুলি জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এই এলাকার জনৈক কিছু মানুষ একটি সংগঠনের নামে জোর করে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে মস্তানি ট্যাক্স আদায় করছে। টাকা না দিলে নদীতে মাছ ধরতেও দেওয়া হচ্ছে না জেলেদের। এনিয়ে বহু বিক্ষোভ আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই এই মস্তানি ট্যাক্সের বিরোধিতা করেই মূলত নতুন সংগঠনের প্রথম জেলা সম্মেলন করা হয় ।

মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রেও এই সম্মেলনের মাধ্যমেই আলোচনা করা হয়। এদিনের এই সম্মেলনে গঙ্গা অ্যাকশন প্রতিরোধ নাগরিক কমিটির কর্মকর্তারাও উপস্থিত হয়েছিলেন।

মালদা জেলা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির এক কর্মকর্তা বাসুদেব ঘটক জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ রয়েছে প্রবাহিত নদীতে যে কোন মৎস্যজীবী মাছ ধরতে পারেন। এখানে কোন রকম ট্যাক্স দেওয়ার ব্যাপার নেই। অথচ এলাকার জনৈক কিছু মানুষ মস্তানি ট্যাক্স আদায় করছে। মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে এটা বরদাস্ত করা যাবে না। পুলিশ ও প্রশাসনকেও আমরা এবিষয়ে জানিয়েছি মস্তানি ট্যাক্সের প্রতিরোধ গড়তেই মালদা জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এদিন প্রথম বার্ষিক সম্মেলন করে নিজেদের মতামত পেশ করেছেন।

আগরপাড়ায় এক রক্তদান অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

কলকাতা: বিজেপি কলকাতা উত্তর শহরতলী সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগ স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগরপাড়ায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি কলকাতা উত্তর সহকারে সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের উৎসাহিত করলেন বিরোধী দলনেতা। রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানালেন।

দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: রবিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।বন্দ্যোপাধ্যায়. দমদম বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের জানান,প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।আগামীকাল এম পিদের সঙ্গে বৈঠক আছে।১৯ তারিখ ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেবো।২০তারিখ সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সময় দিয়েছেন।বিজেপি সাংসদের ইস্যু করা পাস প্রসঙ্গে এই প্রশ্ন তলায় ডেরেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সহ অন্যান্য দলের সাংসদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।ললিত ঝাঁর সঙ্গে কোন বঙ্গ যোগ নেই। ঝাড়খন্ড, বিহারে রয়েছে তবুও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।

আমরা অপরাধীদের আশ্রয় দিই না।

প্রধানমন্ত্রী আসতেই পারেন। আসুক।

অভিষেকরা অনেক আন্দোলন করেছে। আমিও আন্দোলন করেছি বকেয়া টাকা পাওয়ার জন্য।

একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ কি বকেয়া টাকা দেওয়াতে বঞ্চিত করা হয়েছে।সব জায়গায় গেরুয়া রং করতে বলা হচ্ছে। আমাদের রাজ্যে নীল সাদা রং রয়েছে।শিলিগুড়িতে আর্মি ক্যাম্পের পাশের বাড়িগুলোতে গেরুয়া রং করে দেওয়া হয়েছে।

ফের ব্যাহত মেট্রো চলাচল

মাত্র ৩ দিনের আগের কথা। ভর দুপুরে থমকেছিল কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা। বরানগর ও নোয়াপাড়ার মাঝে তৃতীয় লাইনে বিদ্যুত্‍ বিভ্রাটের জন্য পরিষেবা থমকেছিল দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটে। এদিন অর্থাত্‍ রবি দুপুরে সেই একই অংশে আবারও থমকে গেল মেট্রো রেলের পরিষেবা।

এদিন দুপুর ২টো থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদম পর্যন্ত ট্রেন চলাচল। যদিও বাকি লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই অংশে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হতে ৫ ঘন্টারও বেশি সময় লেগেছিল। এদিন কতক্ষণ বাদে সেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয় তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন যাত্রীরা। তবে এদিন ছুটি থাকায় বড়সড় যাত্রী ভোগান্তি এড়ানো গিয়েছে বলেই মনে করছেন রেলের কর্তারা।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এদিনও তৃতীয় লাইনে বিদ্যুত্‍ পরিষেবা ঠিক মতো না থাকার জন্যই দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রোর পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। রবিবার ছুটির দিন দক্ষিণেশ্বরে ভক্ত এবং দর্শনার্থী সমাগম অপেক্ষাকৃত বেশি। কিন্তু রবিবার দুপুরবেলা মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন অনেক যাত্রী। প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পর ঘোষণা শোনেন তাঁরা।

প্ল্যাটফর্মে তারপর আর কোনও যাত্রীকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের টিকিটমূল্য ফেরত দিয়ে সড়ক পথে গন্তব্য যেতে বলা হয় মেট্রোর তরফে। প্রায় আধ ঘণ্টা বাদে আড়াইটে নাগাদ দমদম থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা খুলেছে। কিন্তু দক্ষিণেশ্বরে মেট্রো ট্রেন চলাচল এখনও বন্ধ আছে।

সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব মমতা

একগুচ্ছ কর্মসূচী হাতে নিয়ে দিল্লি যাওয়ার আগে বড় মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন, 'বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। জিএসটির টাকা এখান থেকে নিয়ে গিয়ে দেয় না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রং গেরুয়া করে দিতে বলেছে কেন্দ্র। সেটা করিনি বলে স্বাস্থ্য দফতরের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে। কে কী করবে, কী পড়বে সেটাও ঠিক করে দিচ্ছে। এই সব নিয়ে আওয়াজ তুলবো বলেই দিল্লি যাচ্ছি।‘

পাশাপাশি সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘন প্রসঙ্গে এবার বড় মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি আজ দিল্লি যাওয়ার আগে বলেন, ‘সংসদে যা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে গুরুতর। তৃণমূল সোচ্চার হয়েছে বলেই ডেরেককে সাসপেন্ড করে দিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ নেই। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। সংসদে নিরাপত্তায় বড় গলদ ছিল। বাংলা অপরাধকে প্রশ্রয় দেয় না। বাংলাকে বদনাম করাই বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাশ্মীর বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী:শুভেন্দু

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না বঙ্গ বিজেপি বলে মনে হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় সভা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছেন বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েটরা। 

এবার আজ রবিবার ছুটির দিন পানিহাটিতে বড় জনসভা করলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী । আজকের এই জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, 'কাশ্মীর বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন কাশ্মীর খুব সুন্দর হয়ে গিয়েছে। '

ইতু পূজায় মাতলেন বাঁকুড়াবাসী

বাঁকুড়াঃ রাঢ় বঙ্গের অন্যতম লৌকিক উৎসব ইতু পূজো। আয়োজনে অনেকটা লক্ষী পূজার মতো, বাড়ির মহিলাদের হাতেই পূজিতা হন দেবী ইতু।

তথ্যানুসারে ইতু একটি প্রাচীণ ইরান শব্দ, বহু যুগ আগে পারস্যদেশে মিথু নামে এক দেবতার পূজো হতো, অনেকেই মনে করেন মিথু থেকেই ইতু শব্দের উৎপত্তি। যদিও ইতুর বাংলা অর্থ সূর্য, অগ্রহায়ণ মাস জুড়ে রাঢ় বঙ্গের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই ইতু পূজা হয়। পূজার উপকরণেও রয়েছে বৈচিত্রের ছোঁয়া। ইতুর পাত্র ও ঘট সাজিয়ে পূজা করা হয়। এছাড়াও সঙ্গে থাকে কলমী শাক, সরষে, ধান, মানকচু, ছোলা, মটর, তিল, যব সহ আট রকমের দানা শস্য। প্রতি রবিবার ইতু পূজা শেষে অগ্রহায়ণ সংক্রান্তীতে পূজো শেষে ইতুকে জলে বিসর্জন দেওয়া হয়।

মূলতঃ সংসারের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় এই পূজো করা হয়ে থাকে, জানালেন ইন্দাসের রিমা ধাড়া। তিনি বলেন, শস্যের দেবী হিসেবেই আমরা পূজা করে থাকি, সঙ্গে সংসারের সুখ সমৃদ্ধি কামনা তো থাকেই। তিনি এই পূজো তাঁর শাশুড়ি মার কাছে শুনেছেন বলে জানান।

*বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রসঙ্গ তুলে ধরতে বিশেষ অনুষ্ঠান স্মৃতি সৌধে*

তমলুক: তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস বর্তমান প্রজন্মের কাছে বেশি করে তুলে ধরতে পালিত হলো তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিবছরের মতো এবছরেও তমলুকের নিমতৌড়িতে স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গণে বিশেষ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেনকুমার মহাপাত্র,বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিময় কর, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মানসকুমার পন্ডা, জেলা পরিষদের সদস্য সীমা মাইতি সহ অন্যান্যরা

তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গড়ার ইতিহাস আজকে সবার নজর কেড়েছে। স্বাধীনতার নানা ইতিহাস স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তমলুকে । ইংরেজ শাসন মুক্ত করতে তমলুকে জাতীয় সরকার ব্রিটিশ বিরোধী লড়াই চালু হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে মাটির বাড়িতে বসে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠন করা হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের ভারত থেকে বিতাড়িত করতে হবে। সেই সময় তমলুকে বহু বীর বিপ্লবী শপথ নিয়েছিলেন। ইংরেজ তুমি ভারত ছাড়ো, এই স্লোগান ছিল মূল মন্ত্র। তৎকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুরের যোদ্ধারা ময়দানে নেমেছিলেন। আজও সেই লড়াই এবং বীর বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ মনে রেখেছেন তমলুকবাসী । ১৯৪২ এর আগস্টে তমলুকে গড়ে ওঠে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। তমলুক শহরের পাশে গণপতিনগর তার আশেপাশে ডেরা বাঁধে বিপ্লবীরা। ১৯৪২ এ ২৯ সেপ্টেম্বর তমলুক থানা দখল করতে গিয়ে শহীদ হয়েছিলেন বেশ কিছু বিপ্লবী। তমলুকে শহীদ হয়েছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা সহ ১২ জন। মহিষাদলের শহীদ হয়েছিলেন ১৬ জন। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়ক ছিলেন সতীশ চন্দ্র সামন্ত। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের ইতিহাস আজ তমলুকবাসীর মুখে মুখে।প্রথমে এই আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছিল , মহাভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র তাম্রলিপ্ত সরকার । পরে তার সংক্ষেপে করা হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করতে এই সরকার গড়ে উঠেছিল। আজ যে নতুন নাম নিমতৌড়ি, তার পাশেই গণপতি নগর, সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ই ১৭ ই ডিসেম্বর ১৯৪২ সালে তমলুকে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে এই তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের নামকরণ হয়েছিল।

শুধু সতীশ চন্দ্র সামন্ত নয় এর পাশাপাশি সুশীল ধারা, অজয় মুখোপাধ্যায় , প্রায় দু বছর টানা এই সরকার স্থায়িত্ব হয়েছিল।যা এক নজির বিহীন ঘটনা । পরাধীন ভারতে তৎকালীন সময়ে বাঙালির এই প্রথম জাতীয় সরকার তৈরি করার ঘটনা । গান্ধীজীর নির্দেশে ,১৯৪৪ সালে ৩১শে আগস্ট এই তাম্রলিপ্ত সরকারের পতন হয়েছিল। সেই সমস্ত ঘটনা প্রবাহ বর্তম প্রজন্মের কাজ তুলে ধরতে এবং তাঁদের স্মরণ করতে প্রতি বছর দিনটি মর্যাদার সাথে পালিত হয়। সারাদিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।।