/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz মা বিপত্তারিণীর পুজো সম্পর্কে বিশেষ প্রতিবেদন West Bengal Bangla
মা বিপত্তারিণীর পুজো সম্পর্কে বিশেষ প্রতিবেদন

‘বিপদতারিণী’ অর্থাৎ যিনি বিপদ থেকে তারণ করেন বা রক্ষা করেন। ‘বিপদতারিণী’ শব্দ অপভ্রংশে ‘বিপত্তারিণী’ হয়ে উঠেছে। বাংলা ও উড়িষ্যার আশপাশের গ্রামে-গঞ্জে বিপত্তারিণী পুজো বেশ জনপ্রিয়। চলছে আষাঢ় মাস। বাংলায় এই মাসে পালনীয় বড় পার্বণ হল বিপদতারিণী বা বিপত্তারিণী ব্রত। বারো মাসে তেরো পার্বণ বাঙালির ঘরে ঘরে। লোকাচার, মরশুমি অনুষ্ঠান মিলেমিশে একীভূত হয়ে যায়। আষাঢ়মাসের সোজা রথ থেকে উল্টোরথের মধ্যে মঙ্গলবার ও শনিবারে এই ব্রত ও পুজো পালন করা হয়ে থাকে সাধারণত তৃতীয়া থেকে নবমী তিথির মধ্যে৷

এ বছর বিপত্তারিণী (Bipadtarini Puja) পুজোর প্রথম তারিখ ও দিন হল ৯ জুলাই, মঙ্গলবার৷ বাংলা ক্যালেন্ডারে দিনটি হল ১৪৩১ সনের ২৪ আষাঢ়, মঙ্গলবার৷ বিপত্তারিণী ব্রতপালনের দ্বিতীয় দিনটি হল ১৩ জুলাই, শনিবার৷ বাংলা ক্যালেন্ডারে দিনটি হল ১৪৩১ সনের ২৮ আষাঢ়, শনিবার৷ বিপত্তারিণী দেবীর পুজোয় ১৩ সংখ্যাটি অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ৷ বাড়ির মেয়েরা মূলত এই ব্রত পালন করেন৷ বিপত্তারিণী ব্রত পালনের পর দিন বুধবার পালিত হবে উল্টোরথ যাত্রা৷ প্রচলিত বিশ্বাস, বিপত্তারিণী ব্রত পালন করলে সংসার থেকে বাধা বিঘ্ন ও অশান্তি দূর হয়। বিপদ কেটে আসে সুসময়।

*ধ্যান ও প্রণামমন্ত্রওঁ*

কালাভ্রাভাং কটাক্ষৈররিকুলভয়দাং মৌলীবন্ধেন্দুরেখাম্। শঙ্খং চক্রং কৃপাণং ত্রিশিখমপি করৈরুদ্বহন্তীং ত্রিনেত্রাম্। সিংহাস্কন্ধাধিরুঢ়াং ত্রিভুবনমখিলং তেজসা পুরয়ন্তীম্। ধ্যায়েদ্দুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশপরিবৃতাং সেবিতাং সিদ্ধিকামৈঃ।।

*কেমন রূপ মা বিপত্তারিণীর*

আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া অর্থাৎ রথযাত্রা এবং শুক্লা দশমী অর্থাৎ উল্টোরথ বা রথের পুনর্যাত্রা মাঝের শনিবার ও মঙ্গলবারে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বিপত্তারিণী আসলে দেবী দুর্গা বা কালীরই এক রূপ। দুর্গার মতই তিনি সিংহবাহিনী। তবে কোথাও তিনি রক্তবর্ণা কোথাও আবার মা কালীর মতই কৃষ্ণবর্ণা। তাঁর চারটি হাতে খড়্গ, ত্রিশূল ও বরাভয় মুদ্রা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন মা বিপত্তারিনী আসলে বাংলার এক লৌকিক দেবী। তবে মার্কণ্ডেয় মুনি প্রথম বিপত্তারিণী ব্রত কথা প্রচার করেন।

হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বিশ্বাস, ভক্তি ভরে এই পুজো করলে যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই বছর ০৯ জুলাই, মঙ্গলবার এবং ১৩ জুলাই, শনিবার পড়েছে বিপত্তারিণীর ব্রতোর দিন।

*পুজোর রীতি*

মূলত মহিলারা রথযাত্রা ও পুনর্যাত্রার মাঝের শনিবার ও মঙ্গলবারে উপবাসে থেকে দেবীর পুজো অর্চনায় অংশ নেন। মনষ্কামনা করে হাতে লাল সুতোর তাগা ধারণ করেন। সেই তাগায় তেরোটি দুর্বা সহ তেরোটি গিট দেওয়া থাকে।সেই সঙ্গে তেরো রকম ফল এবং তেরো রকম ফুল দিয়ে দেবীর পুজো করা হয়। অনেকে মনষ্কামনা পূর্ণ হলে দণ্ডী কাটেন। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় নদী বা কোন জলাশয়ে স্নান সেরে দণ্ডী কেটে পুজো স্থলে গিয়ে তাঁরা পুজো দেন।               

কলকাতার কাছে রাজপুরে বিপত্তারিণী দেবীর মন্দির রয়েছে। কলকাতায় কালীঘাট সহ বিভিন্ন শক্তি মন্দিরে ওই দুদিন প্রবল ভক্ত সমাগম হয়।      

*মনে রাখতে হবে –*

বিপত্তারিণী ব্রতের আগের দিন, ব্যক্তি শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার খেতে হয়।

ব্রতের দিনে  কোনও খাবার খাওয়া যায় না। পুজোর পর উপবাস ভাঙা হয়। 

সমস্ত রকমের বাধা, বিপত্তি ও বিপদ থেকে সন্তান এবং পরিবারকে রক্ষা করার জন্য এই পুজো করা হয় ।
এই পুজোর দিন  চাল ও গমের কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল ।
সব বিপদ হরণ করেন যিনি, তিনিই বিপত্তারিণী । তিনি মা কালীরই অন্য রূপ। এই পুজো আষাঢ় মাসে মঙ্গল ও শনিবার পালন করা হয়।  রথযাত্রার পরে এবং উল্টো রথের আগে মাঝের সময়ে করা হয় বিপত্তারিণী পুজো। এই বছর ৯ জুলাই এবং ১৩ জুলাই এই ব্রতপালন।

*মা বিপত্তারিণীর ব্রতকথা*

মা বিপত্তারিণীর ব্রতকথায় দুই রাজপরিবারের কাহিনিকে ঘিরে। তখন বিদর্ভের রাজা সত্যদাস। তাঁর পুত্র অলোকেশ একবার মৃগয়া করতে করতে পথ ভুলে পাশের রাজ্য অবন্তীপুরের সীমানায় ঢুকে পড়েন। সে জায়গাটি ছিল অবন্তী রাজের মৃগয়া ক্ষেত্র। সেখানে একটি হরিণ শিকার করলে অবন্তী রাজ্যের সেনারা তাঁকে বেঁধে নিয়ে যায় রাজদরবারে। সেসময় অবন্তী রাজ্যের রাজা ছিলেন চক্রধর। তিনি সব ঘটনা শুনে অলোকেশকে বন্দী করার আদেশ দিলেন।

‘রক্তচক্ষু মহারাজ হেরিয়া তাহারে
আদেশিল রাখ গিয়া অন্ধ কারাগারে’

রাজপুত্রের বন্দী হওয়ার খবর বিদর্ভে পৌঁছলে বিদর্ভরাজ সত্যদাস ছুটে গেলেন অবন্তী রাজের দরবারে। কিন্তু অবন্তীরাজ তাঁকেও বন্দি করলেন। বিদর্ভ রাজ্যের রাজা এবং রাজপুত্রের বন্দি হওয়ার খবর পেয়ে বিদর্ভের রানী রত্না কান্নায় ভেঙে পড়লেন। তখনই দৈববাণী হল-

‘বিপত্তারিণী দুর্গায় পুজহ বিশেষ।
আমা প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা তোমার অশেষ।।’

চোখের জল মুছে রানী পুজোর আয়োজন করলেন। সেই দিনটা ছিল রথ যাত্রার পরের মঙ্গলবার। দেবী বিপত্তারিণীর পুজো সেরে রানী ভক্তিভরে দেবীর স্তব করতে লাগলেন।

‘বিপদনাশিনী মা জগৎ জননী।
এঘোর সংকট হতে রক্ষা কর তুমি।।’

দেবীর চরণে লুটিয়ে পড়ে রাণী রত্না স্তব করতে লাগলেন। আর সংকল্প করলেন মায়ের কৃপা না হলে তিনি এই দেহ ত্যাগ করবেন। স্ত্রী এবং মায়ের এই কাতর প্রার্থনা শুনলেন দেবী। সেই রাতেই দেবী বিপত্তারিণী অবন্তীরাজ চক্রধরকে স্বপ্ন দিয়ে বললেন যে তুমি আমার ভক্তকে বন্দি করে রেখেছে দেখে আমি কষ্ট পাচ্ছি। এখনই তাদের মুক্তি দাও।

‘সে মোর প্রিয় জান নাকি তুমি।
তারে বন্দি রাখিয়াছ দুঃখ পাই আমি।।’

এই স্বপ্ন পেয়ে অবন্তীরাজ তখনি বিদর্ভরাজ সত্যদাস এবং তাঁর পুত্র অলোকেশকে মুক্তি দিলেন। সেই সঙ্গে নিজের মেয়ের সঙ্গে অলোকেশের বিবাহের প্রস্তাব দিলেন। এভাবেই দুই রাজ্য আত্মীয়তায় বাঁধা পড়ল। আর এভাবেই দেবীর প্রসাদ লাভ করে শান্তি ফিরল উভয় রাজ্যে।

বিদর্ভের রাণী রত্নার এই ব্রত কথা স্মরণ করে আজও বাংলার ঘরে ঘরে মহিলারা সংসারের বিপদ কাটাতে ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে দেবী বিপত্তারিণীর পুজো করে থাকেন।

*বিপদতারিণী পূজার মন্ত্র*
মাসি পূণ্যতমে
বিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে
ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চ
বাসরে মঙ্গল শুভে
সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নে
জানকী জনকালয়ে
আবির্ভূতা স্বয়ং দেবী
যোগেষু শোভনেষুচ
নমঃ সর্ব মঙ্গল্যে
শিবে সর্ব্বাথ্যসাধিকে
শরণ্যে ত্রম্বক্যে গৌরী
নারায়ণী নমস্তুতে

(পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র)

দূর্গান্ শিবান্ শান্তিকরিং ব্রক্ষাণি ব্রক্ষণ্যপ্রিয়াং

সব্বোলোকঃ প্রণিতিঞ্চ প্রণমামি
সদাশিবান্ মঙ্গলাং শোভনাং
শুদ্ধাং নিস্কলাং পরমাস্কলাং বিশ্বেশ্বরীং

বিশ্বমাতাং চন্ডীকাং প্রণমাম্যহম
এই পুষ্পাঞ্জলি গৃহাণ পরমেশ্বরী
বিপদতারিণী চন্ডীকায়ৈঃ নমঃ

(বিপদতারিনী প্রণাম মন্ত্র)

# সর্বমঙ্গল মাঙ্গল্যে শিখে সর্বার্থ সাধিকে
# শরণ্যে ত্রম্ব্যকে গৌরি নারায়ণী নমস্তুতে
# সৃষ্টি স্থিতি বিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনী
# গুনাশ্রয়ে গুনময়ে নারায়নি নমোহস্তুতে
# শরণাগত দীনার্ত পরিত্রাণ পরায়নে
# সর্বস্যার্তি হরে দেবী নারায়ণী নমোহস্তুতে

*মা বিপত্তারিণী পুজো:~*

মা বিপত্তারিণী পুজো আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে শনিবার বা মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতে বিপত্তারিণী ব্রত করা হয়। স্ত্রীলোকেরা মনে মনে যা চেয়ে এই ব্রত করেন, তাঁদের সেই মনস্কামনা সফল হয়। মা দুর্গার আর এক রূপ মা বিপত্তারিণী। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া থেকে নবমী তিথি অর্থাৎ রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে কোনও মঙ্গলবার বা শনিবার এই পুজো করা হয়। সংসারের সকল বিপদ এর থেকে মুক্তির আশায় এই পুজো করা হয়।

এই ব্রত পালন করলে সংসারের সব বিপদ কেটে যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন উপকরণের প্রয়োজন হয় বিপত্তারিণী পুজোয় –

1) ঘট স্থাপন করতে হয়, 2) ঘটের উপর দিতে হয় আমের পল্লব, 3) তার উপর স্থাপন করতে হয় শীষ সমেত ডাব, 4) একটি নৈবেদ্য দিতে হয়, 5) মায়ের চরণে নিবেদন করতে হয় 13 রকম ফুল, 6) দু’ভাগে কাটা 13 রকম ফল, 7) আলাদা চুবড়িতে 13 টা গোটা ফল, 13 গাছি লাল সুতো, 9) 13 টি দূর্বা, পান ও সুপুরি দিতে হয়।

সঠিক নিয়ম মেনে শ্রেষ্ঠ উপাচারে যদি এই ব্রত পালন করা হয়, তা হলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। এই পুজোয় দূর্বা ঘাসের সঙ্গে লাল সুতো বেঁধে হাতে পরার নিয়ম অত্যন্ত আকর্ষণীয়। মেয়েরা বাম হাতে এবং ছেলেরা ডান হাতে এই সুতো বাঁধেন। মনে করা হয় এই সুতো হাতে বাঁধলে মায়ের কৃপায় সব বিপদের হাত থেকেই রক্ষা পাওয়া যায়।

এই পুজোয় ফুল, ফল সব কিছুই ১৩টি করে অর্পণ করার নিয়ম রয়েছে। লাল সুতোয় ১৩টি গিঁট ও ১৩টি দূর্বা বাঁধার নিয়ম রয়েছে। পুজোর শেষে এই সুতো হাতে পরতে হয়। তবে অবশ্যই পুজোর শেষে মায়ের ব্রতকথা শুনতে হবে। এতে বেশি ভাল ফল লাভ করা যায়। বিপত্তারিণী ব্রত করার আগের দিন নিরামিষ আহার গ্রহণ করা উচিত।

কথায় বলে বিপদ তো বলে আসে না, বিপদ এলেই মনে আসে প্রবল দুশ্চিন্তা। তখন মনে হয়, ঠিক কী করলে এই বিপদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই মনে ভক্তি ও বিশ্বাস রেখে এই মন্ত্র যদি মা বিপত্তারিণীর পুজো করা যা তা হলে সকল বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং মনের সকল বাসনাও পূরণ হয়।

*মন্ত্র*

মাসি পূন্যতমেবিপ্র মাধবে মাধবপ্রিয়ে। ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চ বাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঝক্ষে চ মধ্যাহ্নে জানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযগেষু শোভনেষুচ। নমঃ সর্ব মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।।
আজকের রাশিফল (Monday, July 8, 2024)


জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো রাশিফল গণনা। রাশিফল বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রের এমন একটি ধারণা যার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়কাল নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়। বৈদিক জ্যোতিষে ১২টি রাশি-মেষ, বৃষভ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন- এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকম ভাবে ২৩টি নক্ষত্রেরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। দেখে নেওয়া যাক আপনার গ্রহ-নক্ষত্ররা কি বলছে

মেষ রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

দাঁতে যন্ত্রণা এবং পেটের গোলমাল আপনার জন্য কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অবিলম্বে আরাম পেতে একজন ডাক্তারের উপদেশ নিন। আপনার যে কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগ আজ আপনাকে বিরক্ত করতে পারে যার কারণে আপনাকে হাসপাতালে গিয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হতে পারে। বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ হবে। যারা তাদের প্রেমিক থেকে দূরে থাকেন তারা আজ তাদের গভীরভাবে মিস করতে পারেন। এ কারণে আপনি রাতে আপনার প্রিয়জনের সাথে ফোনে ঘন্টাখানেক কথা বলতে পারেন। সহকর্মীদের সামলানোর সময় কৌশলের প্রয়োজন। আপনার অতীতের কারোর আপনাকে যোগাযোগ করা এবং এটিকে একটি স্মরণীয় দিনে পরিণত করা সম্ভব। আজ, আপনি আপনার সঙ্গীর প্রেম জীবনের সমস্ত যন্ত্রণা ভোলার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

প্রতিকার :- বিছানার পাশে সারা রাত তামার পাত্রে জল রাখুন এবং পরদিন সকালে কাছাকাছি গাছের শিকড়ে জল ঢেলে আসুন স্বাস্থ্য উত্তম থাকবে।

বৃষভ রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

আপনার ক্ষমতা শক্তি বেশী থাকবে। আজ অর্থ হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সুতরাং লেনদেন করার সময় বা কোনও দস্তাবেজ সই করার সময় আপনার সজাগ থাকা প্রয়োজন। পরিবারের সদস্যদের সাথে একটি শান্তিপূর্ণ এবং নির্ঝঞ্ঝাট দিন উপভোগ করুন- যদি মানুষেরা সমস্যা নিয়ে আসে- তাহলে তাদেরকে উপেক্ষা করুন এবং এটি নিয়ে নিজের মনকে অশান্ত হতে দেবেন না। আপনার প্রেমিকার সাথে কিছু পার্থক্য বড় হয়ে দেখা দিতে পারে- আপনি আপনার সঙ্গীকে আপনার অবস্থান বোঝাতে অসুবিধা ভোগ করবেন। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে মোকাবিলা করা কঠিন হতে পারে। আজকের রাত এর খালি সময় আপনি আপনার জীবন সাথীর সাথে কাটান সময় লাগবে আপনার উনাকে আরো সময় দেওয়া দরকার। দীর্ঘদিন ধরে কাজের চাপ আপনার বিবাহিত জীবনকে ব্যহত করছিল। কিন্তু আজ, সব অভিযোগ বিলীন হয়ে যাবে।

প্রতিকার :- আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য বাড়িতে বট গাছ লাগিয়ে তার যত্ন করুন এবং তাকে পূজা করুন।

মিথুন রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

আজ কল্যাণকর দিন এবং আপনি হয়তো একটি দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কোনও পুরানো বন্ধু আজ আপনাকে আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। তবে, আপনার সহায়তা আপনার আর্থিক অবস্থার দুর্বল করতে পারে। বাচ্চাদের নিজেদের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় মনোযোগী হওয়া দরকার। আজ আপনি কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে যাবেন। আকাশ আরো উজ্জ্বল হবে, ফুল আরও রঙিন মনে হবে, আপনার চারপাশের সবকিছু চকমক করবে; কারণ আপনি প্রেমে পড়ে গেছেন! আজকে আপনার কথা সঠিক ভাবে বোঝার চেষ্টা করা উচিত নাহলে এই কারণে আপনি আপনার খালি সময়ে এইসব কথার ব্যাপারে ভাবতে থাকবেন আর নিজের সময় নষ্ট করবেন। আজ, আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন যে আপনার বিবাহের জন্য গৃহীত শপথগুলি সত্যই ছিল। কারণ আপনার স্ত্রী আপনার সবচেয়ে প্রাণের বন্ধু।

প্রতিকার :- সবুজ যানবাহন ব্যবহার করলে আপনার আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

কর্কট রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

আপনার প্রত্যাশা পূরণের জন্য ব্যক্তিগত সম্পর্কের অপব্যবহার আপনার স্ত্রীকে বিরক্ত করবে। আপনি আজ যথেষ্ট পরিমাণে অর্থের অধিকারী হবেন এবং এর সাথে মানসিক শান্তি থাকবে। এছাড়াও আপনি বন্ধুদের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ তৈরি করতে পারবেন। সমগ্র মহাবিশ্বের উচ্ছ্বাস দুই জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে যারা প্রেম পড়েছে। হ্যাঁ, আপনি সেই ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন। কর্মক্ষেত্রে ভাল ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনাকে নিজের কাজের পদ্ধতিতে মনোনিবেশ করা উচিত, অন্যথায় আপনার নেতিবাচক চিত্রটি আপনার বসের চোখে তৈরি হতে পারে। আজকে আপনি আপনার প্রেমিকের সাথে সময় কাটাতে পারবেন আর উনার সামনে নিজের অনুভূতি রাখতে সক্ষম হবেন। আজ, আপনার সঙ্গী প্রেম এবং সংবেদনের একটি আলাদা পৃথিবীতে আপনাকে রাজত্ব করাতে পারে।

প্রতিকার :- সবুজ রঙের জামা কাপড় পরিধান করুন।

সিংহ রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

আপনার মন সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে বিঘ্নিত হবে। মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম আধ্যাত্মিক ও সেইসঙ্গে শারীরিক লাভের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। দিনের শুরুতে আপনি কোনও আর্থিক ক্ষতিতে ভুগতে পারেন, যা পুরো দিনটিকে লুণ্ঠন করতে পারে। যুক্তিসম্মত হতে চেষ্টা করুন বিশেষত যাঁরা আপনাকে ভালোবাসে এবং পরোয়া করে। ভালোবাসার জন্য উৎসাহময় দিন- সন্ধ্যের জন্য কিছু বিশেষ পরিকল্পনা করুন এবং এটিকে যতটা সম্ভব রোম্যান্টিক করতে চেষ্টা করুন। নতুন পরিকল্পনা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের পক্ষে দুর্দান্ত দিন। যা আপনি সবচেয়ে বেশি করতে ভালোবাসেন সেই জিনিসের সঙ্গে আপনার মেলামেশা এবং অনুসরণ করার জন্য আজ আপনার কাছে অতিরিক্ত সময় আছে। আপনার সঙ্গী অজানতেই কল্পিত কিছু করতে পারে যা সত্যিই অবিস্মরণীয় হবে।

প্রতিকার :- আপনার জীবনে ভালো আর্থিক পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য ফুলের টব এ সবুজ পাথর রাখুন, সবুজ বোতলে গাছ লাগান ও বাথরুম সবুজ টালি স্থাপন করুন।

কন্যা রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

যদি সম্ভব হয় তাহলে দীর্ঘ ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন কারণ আপনি খুবই দুর্বল এবং এটি আপনাকে আরো দুর্বল করে তুলতে পারে। আজ, আপনি আপনার ভাই বা বোনের সাহায্য থেকে সুবিধা পেতে পারেন। আপনার গোপনীয় তথ্যগুলি আপনার স্ত্রীর সাথে ভাগ করে নেওয়ার আগে ভাবুন। যদি সম্ভব হয়, তাহলে বিরত থাকুন, যেহেতু তিনি এটি অন্য কারোর কাছে ফাঁস করে দিতে পারেন। সতর্ক থাকুন, আপনার প্রেমের সঙ্গী আপনাকে তোষামোদ করতে পারে-আমাকে এই নিঃসঙ্গ পৃথিবীতে একা ছেড়ে যেও না বলতে পারে। দৃঢ় পদক্ষেপ এবং সিদ্ধান্ত সহায়ক ফলাফল নিয়ে আসবে। এই রাশির জাতকেরা আজকে লোকের সাথে দেখা করার থেকে একা সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করবে।আজকে আপনার খালি সময় ঘর পরিষ্কার করতে কাটতে পারে। আপনার স্ত্রী আজ শক্তি এবং প্রেমে পূর্ণ থাকবেন।

প্রতিকার :- প্রতিদিন সাদা কাপড় পরিধান স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

তুলা রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

কাজের চাপ আজ কিছুটা চাপ এবং উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে। এটি ভালভাবে বোঝা উচিত যে শোকের মুহূর্তে, আপনার জমে থাকা সম্পদ কেবল আপনাকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করবে। অতএব, আজ থেকে সঞ্চয় শুরু করুন এবং অতিরিক্ত ব্যয় এড়িয়ে চলুন। আপনার স্ত্রীর সাথে ভালো বোঝাপড়া ঘরে সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি আনবে। আপনার কাজ হবে আরাম করা- কারণ আপনি আপনার প্রিয়জনের মাধ্যমে সুখ- সাচ্ছন্দ্য এবং পরমানন্দ খুঁজে পাবেন। আপনি একটি সমষ্টিগত লক্ষ্যের দিকে একটি দলকে একত্র করে এবং একসঙ্গে কাজ করানোর জন্য একটি শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। আজকে আপনি সব কাজ ছেড়ে সেইসব কাজ করতে পছন্দ করবেন যেগুলো আপনি শৈশবকালে করতে পছন্দ করতেন। রোমান্টিক গান, সুগন্ধি মোমবাতি, ভালো খাবার, এবং কিছু পানীয়; দিনটিকে এইসব দিয়েই আপনার স্ত্রীর সঙ্গে কাটান।

প্রতিকার :- হলুদ ছোলার ডাল দিয়ে তৈরি মিষ্টি ও মিষ্টান্ন দরিদ্রদের এবং ক্ষুদার্ত দের দান করলে তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর ভালো প্রভাব ফেলবে।

বৃশ্চিক রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

কোন বন্ধুর দ্বারা জ্যোতিষতাত্ত্বিক পথপ্রদর্শন আপনাকে আপনার স্বাস্হ্য ভালো করতে উৎসাহিত করবে। আপনার খরচা নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করুন- এবং আজ কেবলমাত্র জরুরী জিনিসই কিনুন। তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করে এমন ক্রিয়াকলাপে জড়িত হওয়ার পক্ষে ভালো সময়। আপনার প্রেমিকার খামখেয়ালী ব্যবহার আপনার মেজাজ খারাপ করতে পারে। অন্য দেশে পেশাদারী যোগাযোগ বাড়াবার পক্ষে এটি উৎকৃষ্ট সময়। কিছু বিনোদন এবং আমোদপ্রমোদের জন্য ভালো দিন। আপনার স্ত্রীর অভদ্র আচরণ আজ আপনার থেকে একটি মূল্য নিতে পারে।

প্রতিকার :- শনি মন্দিরে সাতটি বাদাম ও সাতটি কালো ছোলার দানা দান করলে আপনার প্রেম জীবন সুদৃঢ় হবে।

ধনু রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

ভ্রমণ-ভোজ এবং আনন্দ আপনাকে আজ এক ভালো মেজাজে রাখবে। অর্থ যে কোনও সময় প্রয়োজন হতে পারে, তাই আপনার আর্থিক পরিকল্পনা করুন এবং এখনই যতটা সম্ভব সঞ্চয় করা শুরু করুন। পারিবারিক উত্তেজনায় আপনার মনোযোগ ভ্রষ্ট হতে দেবেন না। দুঃসময় আমাদেরকে অনেক বেশি কিছু দেয়। আপনি প্রেমময় মেজাজের মধ্যে আছেন- তাই আপনি এবং আপনার প্রি়য়জনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিশ্চিতভাবে করুন। দায়িত্বগ্রহণ করা নতুন কাজ প্রত্যাশার দিক থেকে কম পড়ে যাবে। ভ্রমণ এবং শিক্ষামূলক সাধান আপনার সচেতনতা বাড়িয়ে তুলবে। যারা বলে বিবাহ মানেই সেক্স তারা মিথ্যা কথা বলে। কারণ আজ আপনি প্রকৃত প্রেম কি তা জানতে পারবেন।

প্রতিকার :- নীম বা বাবুল যুক্ত ভেষজ দন্তমাজন দিয়ে দাঁত মাজলে আপনার ক্যারিয়ার বা ব্যবসা বা কর্ম জীবনে প্রচুর সাফল্য আসবে।

মকর রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

আপনার অকপট এবং নির্ভীক মতামত আপনার বন্ধুর অহংকারে আঘাত করতে পারে। এটি আরেকটি উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন দিন এবং অপ্রত্যাশিত লাভ আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে। অবিলম্বে প্রয়োজন নেই এমন জিনিসে অর্থ ব্যয় করার জন্য আপনি আপনার স্ত্রীর প্রতি বিচলিত হবেন। ভালোবাসার মানুষটি রোম্যান্টিক মেজাজে থাকবে। দিবাস্বপ্নে আপনার পতন অনিবার্য- নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করাবেন না। আপনার মনে রাখা প্রয়োজন যে ঈশ্বর তাদেরই সাহায্য করে যারা নিজেদের সাহায্য করে। আজ, আপনি আবার আপনার স্ত্রীর প্রেমে পড়বেন।

প্রতিকার :- পরিবারে সমন্বয় সাধন করতে উত্তর-পশ্চিম দিকে সাদা রঙের জিরো ওয়াটের বাল্ব জ্বালান।

কুম্ভ রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

আজ স্বাস্হ্য সুন্দর থাকবে। আপনি যদি কোনও ঋণ নিতে চলেছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে এই কাজে নিযুক্ত ছিলেন, তবে আজকের দিনটি আপনার ভাগ্যবান। বাড়ির কাজ আপনাকে প্রায়সময়েই ব্যস্ত রাখবে। ভালোবাসা ইতিবাচক অনুভূতি দেখাবে। ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো দিন। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গৃহীত কোন আকস্মিক সফর ইতিবাচক ফল প্রদান করবে। আজ আপনি আপনার অবসর সময়টি ধর্মীয় কাজে ব্যয় করার ধারণা করতে পারেন। এই সময়ে, আপনার অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক মধ্যে পড়া উচিত নয়। আজ, আপনি আপনার স্ত্রীর প্রেমে মধ্য দিয়ে আপনার জীবনের সব কষ্ট ভুলে যাবেন।

প্রতিকার :- পরিবারে শুভ শক্তির বৃদ্ধির জন্য কোনো অশ্বথ বা বট গাছের কাছে বা নিজের গৃহে কোনো মাটি দিয়ে পূর্ণ পাত্রে ২৮ বিন্দু তেল ফেলুন।

মীন রাশিফল (Monday, July 8, 2024)

উৎফুল্ল থাকুন যেহেতু পরে ভালো সময় আসছে এবং আপনার মধ্যে বাড়তি উদ্যমও থাকবে। অর্থ-সংক্রান্ত বিষয়ে আপনি আজ আপনার স্ত্রীর সাথে লড়াইয়ে নামতে পারেন। তবে, আপনি আপনার শান্ত মনোভাব দিয়ে সবকিছু ঠিক করবেন। অতিথিদের সঙ্গ উপভোগ করার পক্ষে এটি চমৎকার দিন। আপনার আত্মীয়দের সাথে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা করুন। তাঁরাও এটির প্রশংসা করবে। আপনার ভালোবাসার মানুষ বা স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া বার্তা অথবা একটি সুন্দর ‍যোগাযোগ আজকের দিনে আপনার মনোবল বাড়িয়ে তুলবে। আজকের দিনে আপনার অর্জিত অতিরিক্ত জ্ঞান সমকক্ষদের সাথে বোঝাপড়া করার সময় আপনাকে এক তীব্রতা প্রদান করবে। জীবনে চলতে থাকা অশান্তির মাঝে আজ আপনি নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন এবং আপনি আপনার পছন্দসই কাজ করতে সক্ষম হবেন। বিবাহ আজকের তুলনায় আগে কোনদিন এত চমপ্রদ হয় নি।

প্রতিকার :- চাল বা রুপা মায়ের কাছ থেকে নিয়ে নিজের কাছে রাখলে আর্থিক উন্নতিতে সহায়ক হবে।

(Courtesy-AstroSage)
কলকাতা প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গল হারালো জর্জ টেলিগ্রাফকে ৩-১ গোলে
*খেলা*


নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগের খেলায় ইস্টবেঙ্গল তাদের নিজেদের মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল। খেলার শুরুতেই ৩৪ মিনিটের মাথায় জর্জ টেলিগ্রাফের অমিত এক্কা র করা গোলে জর্জ টেলিগ্রাফ ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু সেই গোল বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।৪৮ মিনিটের মাথায় টিকে জেসিনের করা গোল এবং ৬৫ ও ৮৯ মিনিটের মাথায় সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা দুটি গোল নিয়ে মোট ৩-১ গোলে ইস্টবেঙ্গল জয় লাভ করে। বি :- সঞ্জয় হাজরা(খবর কলকাতা)।
মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা উৎসব

এসবি নিউজ ব্যুরো: আজ ধুমধাম এর সাথে পালিত হল মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা উৎসব। এদিন সকাল থেকেই উৎসবে মুখর হয়ে ওঠে নদীয়ার নবদ্বীপের মানুষ। জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম কে দর্শন করার জন্য বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়। অন্যদিকে, বিদেশি ভক্তবৃন্দদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। বিদেশি ভক্তবৃন্দরা হরিনাম সংকীর্তন এ মেতে ওঠেন। তিনটি পৃথক রথ ফল ও ফুল দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। সকাল থেকেই চলে জোর কদমে প্রস্তুতি, দুপুর তিনটে নাগাদ রথের রশ্মিতে টান পড়ে, এরপর পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রথ পৌঁছায় মায়াপুর ইসকনের চন্দ্রদয় মন্দিরে। যদিও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রথ পরিক্রমা করে। জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম কে একবার দর্শন করার জন্য রাস্তার দুপাশে অসংখ্য মানুষ জমা হন।আজকের এই রথ উৎসব কে কেন্দ্র করে মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, "শ্রীধাম মায়াপুর একটি পূর্ণ তীর্থকেন্দ্র। সারা বছরই হাজার হাজার ভক্তবৃন্দদের ভিড় হয়, এ বছর রথযাত্রা আরো মানুষের মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে। আগত ভক্তবিন্দদের জন্য মহা প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে, জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম মায়াপুর ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরে অর্থাৎ মাসির বাড়িতে ৭ দিনের জন্য অস্থায়ী অবস্থান করবেন। এরপর আবার মায়াপুর সংযুক্ত রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মূল মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একই ভাবে নিয়ে যাওয়া হবে।"
সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের পাশে কেমিক্যাল সোসাইটি অফ শ্যামনগর
প্রবীর রায়: সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের পাশে দাঁড়াল কেমিক্যাল সোসাইটি অফ শ্যামনগর নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আজ থেকে সাড়ে তিন বছর আগে অসহায় মানুষের সেবার লক্ষ্য নিয়ে পথ চলা শুরু শ্যামনগর নেহেরু মার্কেট সংলগ্ন উদয়নগরের এই সংস্থা। অনাথ আশ্রম কিংবা বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের খাবার ও বস্ত্র প্রদানের মধ্যে দিয়ে সেবামূলক কর্মকান্ড শুরু করেন পেশায় গৃহশিক্ষক সন্দীপ ঘটক। পাশে পেলেন তাঁরই ছাত্রছাত্রীদের। দেড় বছর আগে গড়ে তুললেন শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। দীন মজুর পরিবারের বাচ্চারা এখানে পড়াশুনার পাশাপাশি অঙ্কন, কবিতা পাঠ, নাচ, গান, যোগার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ১৩ জন যুবক নিঃস্বার্থে শ্রম দিয়ে চলেছেন। প্রতি সপ্তাহে শনি ও রবিবার সন্দীপ বাবুর উদয়নগরের বাড়িতেই ক্লাস চলে। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার সন্দীপ ঘটক বলেন, সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় তারা এগিয়ে চলেছেন। আরেকটু আর্থিক সহযোগিতা মিললে বড় আকারের কিছু করা যেত। শিক্ষা কেন্দ্রের ঘর বাড়ানো যেত।

বলাকা শিশু মহলের ৩৪ তম দূর্গাপূজোর খুঁটিপুজো অনুষ্ঠিত হল আজ

প্রবীর রায়: "পুরুলিয়ার ছৌ এলো চলো দেখতে" এই ভাবনা নিয়ে এ বছরে হালিশহরের দক্ষিণ খাসবাটির বলাকা শিশু মহলের উদ্যোগে ৩৪ তম দূর্গাপূজোর খুঁটিপুজো অনুষ্ঠিত হল আজ।এই খুঁটিপুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হালিশর পৌরসভার পৌরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষ সহ ক্লাবের সদস্যরা। পুরোহিতের মন্ত্রের উচ্চারণের মধ্য দিয়ে ঢাক কাশি বাজিয়ে শুভ উদ্বোধন হয়ে গেল এই ক্লাবের  খুঁটিপুজো। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্লাবের একনিষ্ঠ সদস্য তথা হালিশহর পৌরসভার পৌরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষ বলেন," এইবারে ক্লাবের সদস্যদের সহমত পোষণে প্রতিবছরের মতোন এ বছরেও নতুন থিম নিয়ে "পুরুলিয়ার ছৌ এলো দেখতে" চিন্তাভাবনা নিয়ে শুভ রথযাত্রায় খুঁটি পুজো অনুষ্ঠিত হল।"তিনি  আরোও জানান, এবছরের ভিড় সামলাতে প্রতিবছরের মতোন প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে যথেষ্ট আমাদের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীরা চেষ্টা করবে। তাছাড়া প্রতিবন্ধী অথবা বয়স্ক দর্শনার্থীরা যাতে সহজেই পুজো দেখতে পারেন তার ব্যবস্থাও করা হবে।

62nd Annual Conference of the Association of Corporate Advisors and Executives
SB News Bureau: The 62nd Annual Conference of the Association of Corporate Advisors and Executives (ACAE) was held yesterday at the Dhandhanya Auditorium in Kolkata. The event, with the theme Igniting Utkarsh, saw discussions on areas of excellence, progress and growth in the corporate advisory and executive community. Eminent personalities were present.

Pic: Sanjay Hazra.
ঐতিহ্যশালী কোচবিহারের মদনমোহন বাড়ির রথ

এসবি নিউজ ব্যুরো: রাজ আমলে স্থাপিত হয়েছিল কোচবিহার মদনমোহন বাড়ি। আর এই মদনমোহন বাড়িতে ঘিরে রয়েছে নানা ঐতিহ্য। দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহার তথা কোচবিহারের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার মানুষের আবেগের একটি অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হল মদনমোহন বাড়ি। এই মদনমোহন বাড়িতে রয়েছেন কোচবিহারের মানুষের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহন। মদনমোহন বাড়িতে সারাবছর নানা পুজো-পার্বণের আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর এই মদনমোহন বাড়িকে কেন্দ্র করে বিরাট রথের মেলার আয়োজন করা হয়।এই রথের মেলায় দূর-দূরান্তের নানান ভক্তবৃন্দ ভিড় জমান। তাই রাজ আমলের এই রথের মেলাকে কেন্দ্র করে কোচবিহার বাসীর মধ্যে আলাদা আবেগ এবং উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। এই বছরের রথের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।আজ জগন্নাথদেব কোচবিহার মদনমোহন বাড়ি থেকে মদনমোহনের মাসির বাড়িতে যাবেন।কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, “রাজআমল থেকে দীর্ঘ সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী এই রথের মেলার আয়োজন করা হয় মদনমোহন বাড়িকে কেন্দ্র করে। এই বছরেও সেই নিয়মের অন্যথা হবে না। ইতিমধ্যেই রথের মেলার প্রস্তুতি পর্ব শেষ হয়েছে। রথের মেলার উপলক্ষ্যে সংস্কার করা হচ্ছে গুঞ্জবাড়ি এলাকায় থাকা কোচবিহারের মদনমোহন দেবের মাসির বাড়ি এবং ডাঙর আই মন্দির। এছাড়াও রথের মেলার মূল আকর্ষণ মদনমোহন দেবের রথকেও সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুনভাবে। রথের বেশ কিছু সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে এই রথের মেলার উপলক্ষ্যে।”কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির পুরোহিত জানান, "গতকাল কোচবিহার রাজমাতা মন্দিরের মদনমোহন মদনমোহন বাড়িতে আসেন। সেখানেই করা হয় অধিবাস। তারপর আজ রথের মেলার দিন দুই মন্দিরের মদনমোহনকে নিয়ে যাওয়া হবে কাঠামিয়া মন্দিরে। সেখানে পুজো ভোগ এবং অন্যান্য নিয়ম পালন করা হবে। তার পর রথে চেপে মদনমোহন যাবেন গুঞ্জবাড়ি এলাকায় মদনমোহন দেবের মাসির বাড়িতে। সেখানেই পুজো এবং অন্যান্য নিয়মাবলী পালন করা হবে ৭ দিনব্যাপী।তার পর ৭ দিন বাদে উল্টোরথে মদনমোহন ফিরবেন কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে"।
আজকের রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো রাশিফল গণনা। রাশিফল বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রের এমন একটি ধারণা যার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়কাল নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়। বৈদিক জ্যোতিষে ১২টি রাশি-মেষ, বৃষভ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন- এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকম ভাবে ২৩টি নক্ষত্রেরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। দেখে নেওয়া যাক আপনার গ্রহ-নক্ষত্ররা কি বলছে

মেষ রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

কোন সাধুসন্তের কাছ থেকে কোন স্বর্গীয় জ্ঞান আপনাকে শান্তি এবং স্বস্তি দেবে। দিনের শুরুটা ভাল হতে পারে তবে সন্ধ্যায় কোনও কারণে আপনি আপনার অর্থ ব্যয় করতে পারেন যা আপনাকে বিরক্ত করবে। কোন কাছের আত্মীয় আরো বেশি মনোযোগ চাইলেও সহায়ক এবং যত্নশীল হবে। আপনার সেরা আচরণ করা প্রয়োজন, কারণ আপনার প্রেমিকা অত্যন্ত অনিশ্চিত মেজাজে থাকবে। আজ প্রচুর সমস্যা থাকবে-যেগুলিতে অবিলম্বে দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন। আজ আপনি আপনার বিবাহের একটি কঠিন সময়ের সন্মুখীন হতে পারেন। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা অর্জন করুন। আপনি আজ যে মুহুর্তে ক্লিক করেছেন তার কিছুটা আপনি লালন করছেন।

প্রতিকার :- প্রেমের জীবন সুখের ও আনন্দের বানাতে আপনার ওয়ালেট এ একটি সাদা সিল্কের কাপড়ের টুকরো রেখে দিন। লক্ষ রাখবেন এটি যেন নোংরা না হয়ে যায়।

বৃষভ রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

আপনি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। একজন নিমন্ত্রিত অতিথি আজ আপনার বাড়িতে অপ্রত্যাশিতভাবে পৌঁছে যেতে পারে, যার কারণে আপনি পরের মাসে কেনার কথা ভেবেছিলেন এমন গৃহস্থালি জিনিসগুলিতে আপনার অর্থ ব্যয় করতে পারবেন। পরিবার-বাচ্চা এবং বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় আপনার শক্তি পুনর্সঞ্চয়ের জন্য অত্যাবশ্যক হবে। আপনার চোখে আনন্দের উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করা যাবে এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যাবে কারণ আজ আপনি আপনার স্বপ্নের নারীর দেখা পাবেন। যখন আপনার মনে হয় যে আপনার কাছে ঘরের লোকেদের জন্য বা বন্ধুদের জন্য সময় নেই তখন আপনার মন খারাপ হয়ে যায়। আজকেও আপনার মনের পরিস্থিতি এমনি থাকতে পারে। আজ, আপনি এবং আপনার স্ত্রী সত্যিই গভীর ভাবপূর্ণ রোমান্টিক কথা বলবেন। আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন না নেন তবে আপনি চাপ অনুভব করতে পারেন; প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন না।

প্রতিকার :- আটার গোলার সাথে গুড় বা চিনি মিশিয়ে গরুকে খাওয়ান এটি ক্লান্তির অনভুতি থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।

মিথুন রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

হাওয়ায় প্রাসাদ বানিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। তার চেয়ে উপযুক্ত কাজ করার জন্য শক্তি সঞ্চয় করুন। ব্যাঙ্কিং কারবার খুব সতর্কতার সাথে সামলাতে হবে। ঘরের তরফে ঝামেলা পাকিয়ে উঠবে বলে মনে হচ্ছে কাজেই আপনি কি বলছেন সে ব্যাপারে যত্নশীল হন। প্রেম বসন্তের মতো হয়; যেখানে ফুল, বায়ু, রোদ, প্রজাপতি সব থাকে। আপনি আজ রোমান্টিক স্পর্শ অনুভব করবেন। আজকের সময়ে নিজের জন্য সময় খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু আজকের সময়ে আপনার কাছে নিজের জন্য ভরপুর সময় আছে. আপনার বৈবাহিক জীবনের উপর আসা বিষয়গুলি সত্যিই অবিশ্বাস্য। টিভিতে সিনেমা দেখা এবং আপনার কাছের এবং প্রিয়জনের সাথে চিট-চ্যাট – এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে? আপনি যদি কিছুটা চেষ্টা করেন তবে এটি আজকের দিনের মতো।

প্রতিকার :- মাংস, মদ, হিংসা, অন্যকে কষ্ট দেওয়া, নিন্দা এইসব ত্যাগ করলে আর্থিক স্থিতির জন্য শুভ হবে।

কর্কট রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

উচ্চ ক্যালোরির খাবার এড়িয়ে চলুন এবং আপনি শরীরচর্চার প্রতি একনিষ্ঠ হোন। যদি আপনি একটু বাড়তি টাকাপয়সা উপার্জনের উপায় খুঁজছেন-তাহলে নিরাপদ আর্থিক পরিকল্পনাগুলিতে বিনিয়োগ করুন। যদি যোগাযোগ এবং আলোচনা ঠিকমত কাজ না করে- তাহলে আপনি আপনার শান্ত মেজাজ হারাতে পারেন- যার জন্য আপনাকে পরে অনুতাপ করতে হবে- তাই বলবার আগে ভাবুন। আজ, আপনি আপনার প্রতিশ্রুতিগুলির কোনওটিই পূরণ করতে সক্ষম হবেন না, যা আপনার প্রেমিককে দুর্দশাগ্রস্ত করতে পারে। আজকে আপনি অফিস থেকে ঘরে আসার পর মন পছন্দ কাজ করতে পারেন। তাতে আপনি মনে শান্তি পাবেন। খুব বেশী প্রত্যাশা আজ আপনার বিবাহিত জীবনে দুঃখ নিয়ে আসতে পারে। আপনার ভালবাসার সাথে বিশেষ কিছু রান্না করা আপনার সম্পর্ককেও মশলা করতে পারে।

প্রতিকার :- স্নানের জলে কালো তিলের বীজ ও সর্ষের দানা ছিটিয়ে দিয়ে সেই জলে স্নান করলে আপনার পারিবারিক জীবনে সুখের প্রাপ্তি হবে।

সিংহ রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

আপনার মনকে ভালোবাসা, আশা, বিশ্বাস, সহানুভূতি, আশাবাদ এবং বিশ্বস্ততার মত ইতিবাচক অনুভূতিগুলি গ্রহণে উৎসাহিত করুন। একবার এই অনুভূতিগুলি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ এলে-মনও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি পরিস্থিতিতে ইতিবাচক সাড়া দেবে। অর্থনৈতিক দিকটি শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আপনি কোনও ব্যক্তিকে অর্থ ধার দিয়ে থাকেন তবে আপনি আজ সেই টাকা ফেরত পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আপনার বন্ধুদেরও আপনার উদারতার সুযোগ নিতে দেবেন না। প্রত্যেকদিন প্রেমে পড়ার প্রবণতা পাল্টান। আজ আপনার দ্বারা খালি সময়ে এমন কাজ করানো হবে যার ব্যাপারে আপনি অনেকবার ভেবেছেন করার জন্য কিন্তু করতে সক্ষম হন নি। একজন বহিরাগত আপনার এবং আপনার সঙ্গীনির মধ্যে ব্যবধান তৈরী করার চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু আপনারা দুজনেই তা সামলে নেবেন। আজকে আপনি আপনার বাবার সাথে বন্ধুর মতো কথা বলতে পারেন। আপনার কথা শুনে উনি খুশি হবেন।

প্রতিকার :- পুরোনো ও ছেড়া বই বাড়ি থেকে সরিয়ে দিলে পারিবারিক জীবনে সুখ ও শান্তি বিরাজ করবে।

কন্যা রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

আপনার জন্য নিছকই আনন্দ এবং মজা-যেহেতু আপনি পূর্ণমাত্রায় জীবন উপভোগ করতে নেমে পড়েছেন। আপনার ভাইবোনদের সহায়তায় আজ আপনি আর্থিক সুবিধা অর্জন করতে পারবেন। আপনার ভাইবোনদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। সন্ধ্যাবেলায় সামাজিক ক্রিয়াকলাপ আপনার প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভালো প্রমাণিত হবে। আপনার প্রণয়ীর রূঢ় শব্দের কারণে আপনার মেজাজ বিচলিত হতে পারে। আপনি আপনার সব জরুরি কাজ শেষ করে নিজের জন্য সময় তো বার করে নিবেন কিন্তু এই সময়ের ব্যবহার আপনি আপনার হিসেবে করতে পারবেন না। আপনার যখন সেরকম কোনও ইচ্ছা নেই আপনার স্ত্রী আপনাকে বাইরে যাবার জন্য জোড় করতে পারেন বা তদ্বিপরীত, যা ঘটনাচক্রে আপনাকে বিরক্ত বোধ করাবে। মনের শান্তি গুরুত্বপূর্ণ; এটি উপভোগ করার জন্য আপনি কোনও পার্ক, রিভারফ্রন্ট বা কোনও মন্দিরে যেতে পারেন।

প্রতিকার :- ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখা করার পূর্বে কপালে কেশরের তিলক লাগালে তা আপনাদের প্রেমের সম্পর্ক কে মধুর করে তুলবে ও সম্পর্ক কে মজবুত করবে।

তুলা রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

আপনার ভদ্র ব্যবহার প্রশংসনীয় হবে। অনেক মানুষ আপনার সামনেই মৌখিক প্রশংসা বর্ষণ করবে। খুব একটা লাভদায়ক দিন নয়- কাজেই আপনার টাকাকড়ির অবস্থা দেখে নিয়ে আপনার খরচ সীমিত করুন। পারিবারিক দায়িত্বের জন্য আপনার মনে উত্তেজনার সৃষ্টি হবে। আপনি আপনার প্রেমিকার মন্তব্যে অত্যন্ত সংবেদনশীল হবেন- আপনি আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং পরিস্থিতি খারাপ এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন। আজকে পুরো দিন আপনি খালি থাকতে পারেন আর টিভি তে কোনো সিনেমা বা প্রোগ্রাম দেখতে পারেন। আপনার স্ত্রী আজ আপনার দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ বন্ধ করতে পারেন, যা শেষপর্যন্ত আপনার মেজাজ খারাপ করবে। আপনার পরিবারের সদস্যরা যখন সপ্তাহান্তে আপনাকে কিছু বা অন্য কিছু করতে বাধ্য করে তখন তা স্পষ্টতই হতাশাবোধ করে যদিও, রাগ করা এড়ানো আপনার স্বার্থে।

প্রতিকার :- ওম নীলবর্নায়ে বিদ্যাহে সেহিকেয়ায় ধিম্হি তন্ন রাহু প্রচোদয়া – এই মন্ত্রটি রোজ ১১ বার জপ করলে আর্থিক উন্নতি হবার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃশ্চিক রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

আপনার শৈশব স্মৃতি আপনাকে জড়িয়ে রাখবে। এরফলে আপনি নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মানসিক উত্তেজনা দিতে পারেন। মাঝে মাঝে শিশুসুলভ ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়াই আপনার প্রধান উদ্বেগ এবং চাপের কারণ হবে। যদি আপনার মনে হয় যে আপনার পর্যাপ্ত অর্থ নেই, তবে অর্থ পরিচালন এবং সঞ্চয় সম্পর্কে কোনও প্রবীণের পরামর্শ নিন। পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দিন। তাঁদের আনন্দ এবং দুঃখ ভাগ করে নিতে নিজেকেও অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে তাঁরা বুঝতে পারেন যে আপনি তাঁদের জন্য পরোয়া করেন। প্রেমের সবসময়ই গভীর ভাবপূর্ণ, এবং আপনি আজ এই অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। আপনার শরীর চর্চা করতে আপনি আজও অনেকবার ভাববেন তবে বাকি দিনের মতো এই পরিকল্পনাটি অসফল হয়ে যাবে। আপনি এবং আপনার স্ত্রীর মধ্যের ভালোবাসা ক্ষয় পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। বিভেদ দূর করার জন্য ভাববিনিময় করুন অন্যথায় বিষয়টি আরো খারাপ হবে। সকালের তাজা রোদ আজকে আপনাকে নতুন ফুর্তি প্রদান করবে।

প্রতিকার :- তরল জাতীয় খাবার খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।

ধনু রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

নিজের মত জানাতে দ্বিধা করবেন না। আত্মবিশ্বাসের অভাব আপনার পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে দেয় এবং আপনার অগ্রগতিকে আটকে দেয়। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে নিজেকে মেলে দিন এবং সমস্যার মোকাবিলা করতে প্রাণ খুলে হাসুন। আজ আপনি ধর্মীয় কর্মে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন, এবং সম্ভবত মানসিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ব্যয় হতে পারে। পরিবারের সদস্যদের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া এড়াতে আপনার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করুন। একইসঙ্গে বুঝতে হবে যে রাগ হল স্বল্প পাগলামির রূপান্তর এবং এটি কিছু মারাত্মক ভুলের জন্য বাধ্য করতে পারে। ভালোবাসায় হঠকারী পদক্ষেপ এড়িয়ে চলুন। দিনের শুরুটা যতই ক্লান্তিকর হোকনা কেন বেলা বাড়ার সাথে সাথে আপনি ভালো ফল পেতে থাকবেন।দিনের শেষে আপনি আপনার জন্য সময় পেয়ে যাবেন এবং আপনি কোনো কাছের মানুষের সাথে দেখা করে এই সময়ের সঠিক ব্যবহার করবেন। আপনার সঙ্গিনীর অলসতা আজ আপনার অনেক কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। রাগের কারণে আপনি আপনার পরিবারের কোনও সদস্যের সাথে অসভ্য কথা বলতে পারেন।

প্রতিকার :- পোষা কুকুরের যত্ন নিলে প্রেমিক প্রেমিকা যুগলের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হবে।

মকর রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

আধ্যাত্মিক এবং শারীরিক উন্নতির জন্য ধ্যান এবং যোগ চর্চা করা উচিত। আপনি যদি ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে চান তবে আপনাকে আজ থেকে অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। আজ ঘরের সংবেদনশীল সমস্যাগুলির সমাধান করতে আপনাকে আপনার বুদ্ধি এবং প্রভাব কাজে লাগাতে হবে। আপনার ভালবাসা প্রত্যাখিত হতে পারে। আজকে আপনি আপনার জীবন সঙ্গীর সাথে সময় কাটাবেন কিন্তু পুরোনো কথা সামনে আসার কারণে আপনাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতে পারে। আপনার স্ত্রী আজ আপনার জন্য খুব ব্যস্ত হতে পারে। আপনি নিজের মধ্যে খাবার খেতে পারেন এবং অনেক খাবারের স্বাদ নিতে পারেন। আপনি এমন কোনও রেস্তোঁরাও দেখতে যেতে পারেন যেখানে বিদেশি খাবারগুলি পরিবেশন করা হয়।

প্রতিকার :- পারিবারিক সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য বার্লির আটা দিয়ে তৈরি বল মাছকে খাওয়ান।

কুম্ভ রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

সামগ্রিক স্বাস্হ্য সুন্দর থাকবে কিন্তু ভ্রমণ ধকলসাধ্য এবং চাপের প্রমাণিত হতে পারে। আপনি যদি কোনও ঋণ গ্রহীতাকে দীর্ঘদিন থেকে আপনার অর্থ ফেরত দিতে বলছিলেন, এবং তিনি তা এড়াচ্ছিলেন, তবে আজ আপনার ভাগ্যবান দিন, কারণ তিনি আপনার অর্থ অপ্রত্যাশিতভাবে ফেরত দিতে পারেন। কোন বন্ধু তার ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার উপদেশ চাইতে পারে। আজ, আপনি এবং আপনার ভালবাসার সঙ্গী ভালোবাসার সমুদ্র মন্থন করবেন এবং প্রেমের উচ্চতার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। এই রাশির ছাত্র ছাত্রীয়দের আজ পড়াতে মন বসাতে অসুবিধে আসতে পারে।আজকে আপনি আপনার মূল্য সময় বন্ধুদের জন্যে খারাপ করতে পারেন। আপনার বিবাহিত জীবনে যখন জিনিষ আপনার পক্ষে আশ্চর্যজনকভাবে আসতে থাকবে। আপনার অস্থির দিনগুলি শেষ হওয়ার সাথে সাথে আপনার জীবনকে নতুন দিকনির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা উচিত।

প্রতিকার :- কোনো কাক কে ভাজা খাদ্য দ্রব্য যেমন পাকোড়া দান করুন, কারণ কাক শনির প্রতীক।

মীন রাশিফল (Sunday, July 7, 2024)

মানসিক শান্তির জন্য নিজেকে কিছু দান এবং দাতব্য কাজে নিয়োজিত করুন। এই চিহ্নের কিছু নেটিভ তাদের বাচ্চাদের মাধ্যমে আজ আর্থিক সুবিধা অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজ, আপনি আপনার সন্তানের জন্য গর্বিত হবেন। পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে আনন্দমুখর সময়। নতুন প্রেম কারো কারোর জন্য নিশ্চিত মনে হচ্ছে- আপনার প্রেমের জীবন আপনার জীবনকেও প্রস্ফুটিত করবে। আজকে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আপনার কাছে যথেষ্ট সময় হবে। আজ আপনার প্রেম দেখে আপনার প্রেমিক আনন্দিত হয়ে যাবে। আজ আপনি বিয়ের সত্য ভাবাবেশ জানতে পারবেন। এমন একটি দিন যা আপনার দীর্ঘদিনের সাথে দেখা হয়নি এমন আপনার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করার। তবে আপনি যদি দেখা করতে চান তবে আপনার বন্ধুকে আগেই জানিয়ে দিন, বা অনেক সময় নষ্ট হতে পারে।

প্রতিকার :- সপ্তাহের শেষে উন্নতির জন্য গরুকে গুড় খাওয়ান।

(Courtesy-AstroSage)
রবিবার জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা নিয়ে রইল পুরাণ কাহিনী-ইতিহাস ও সকল তথ্য
রথাযাত্রা,
হিন্দু ধর্মের অন্যান্য উৎসবের মতোই রথযাত্রাও এক জাঁকজমকপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয়ে থাকে। ভারতবর্ষের বহু জায়গায়, বিশেষ করে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়। ওড়িশার পুরীর রথ সারা পৃথিবী বিখ্যাত। তবে শুধু ভারতবর্ষে নয়, ডাবলিন মস্কো এবং নিউ ইয়র্ককেও রথযাত্রার পালিত হয়।

হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে ৭ জুলাই সকাল ৪:২৬ থেকে। ৮ জুলাই সকাল ৪:৫৯ এ শেষ হবে তিথি। এমন পরিস্থিতিতে, উদয় তিথি অনুসারে, জগন্নাথ রথযাত্রা হবে ৭ জুলাই ।

‘রথ’ শব্দের আবিধানিক অর্থ যুদ্ধযান বা চাকাযুক্ত ঘোড়ায় টানা হালকা যাত্রীবাহী গাড়ি হলেও, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে রথ শব্দের অর্থ কিন্তু ভিন্ন। ভক্তদের মতে, রথ একটি কাঠের তৈরি যান, যার উপরে ভগবান জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম বসে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করেন। ভগবানের এই রথ আরোহণই ‘রথযাত্রা’ নামে পরিচিত। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এবং কবে থেকে রথযাত্রার আবির্ভাব হল।


রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া একটি আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। ভারতের ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। এছাড়া ইসকনের ব্যাপক প্রচারের জন্য এখন এটি বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর কৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে। ভারতের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ রথযাত্রা ওড়িশার পুরী  শহরের জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল, শ্রীরামপুর শহরের মাহেশের রথযাত্রা, গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র মঠের রথ, কলকাতার রথ এবং বাংলাদেশের ইসকনের রথ ও ধামরাই জগন্নাথ রথ বিশেষ প্রসিদ্ধ। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে  রথযাত্রার সময় যাত্রাপালা মঞ্চস্থের রীতি বেশ জনপ্রিয়। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, তাঁর স্ত্রী মা সারদা দেবী, নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষ  , সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ প্রমুখ ব্যক্তিরা রথের বিখ্যাত মেলা পরিদর্শনে আসতেন। শ্রী রামকৃষ্ণ বলতেন যাত্রাপালায় লোকশিক্ষা হয়।

*প্রতিমা তৈরির ইতিহাস*

ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ অনুযায়ী, কৃষ্ণ তাঁর ভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যন্মুর সম্মুখে আবিভূর্ত হয়ে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাষ্ঠখণ্ড দিয়ে তাঁর মূর্তি নির্মাণের আদেশ দেন। মূর্তিনির্মাণের জন্য রাজা একজন উপযুক্ত কাষ্ঠশিল্পীর সন্ধান করতে থাকেন। তখন এক রহস্যময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কাষ্ঠশিল্পী তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন এবং মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন। সেই কাষ্ঠশিল্পী রাজাকে জানিয়ে দেন মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেন। বন্ধ দরজার আড়ালে শুরু হয় কাজ। রাজা ও রানি সহ সকলেই নির্মাণকাজের ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রতিদিন তাঁরা বন্ধ দরজার কাছে যেতেন এবং শুনতে পেতেন ভিতর থেকে খোদাইয়ের আওয়াজ ভেসে আসছে। ৬-৭ দিন বাদে যখন রাজা বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন এমন সময় আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়। অত্যুৎসাহী রানি কৌতুহল সংবরণ করতে না পেরে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। দেখেন মূর্তি তখনও অর্ধসমাপ্ত এবং কাষ্ঠশিল্পী অন্তর্ধিত। এই রহস্যময় কাষ্ঠশিল্পী ছিলেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। মূর্তির হস্তপদ নির্মিত হয়নি বলে রাজা বিমর্ষ হয়ে পড়েন। কাজে বাধাদানের জন্য অনুতাপ করতে থাকেন। তখন দেবর্ষি নারদ তাঁর সম্মুখে আবির্ভূত হন। নারদ রাজাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন এই অর্ধসমাপ্ত মূর্তি পরমেশ্বরের এক স্বীকৃত স্বরূপ ও এই অসম্পূর্ণ রুপেই পূজা শুরু করতে বলেন।


*রথযাত্রা প্রচলন*

কথিত আছে, আষাঢ় মাসের শুক্ল দ্বিতীয়ায় বলরাম ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ। মাসির বাড়ি অর্থাৎ ইন্দ্রদ্যুম্নের পত্নী গুন্ডিচার বাড়ি। সেখান থেকে আবার সাতদিন পর মন্দিরে ফিরে আসেন জগন্নাথ। এটাকেই জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি যাওয়া বলে৷ পরপর তিনটি সুসজ্জিত রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে যান জগন্নাথ। এই যাওয়াকে সোজা রথ আর ফিরে আসাকে উল্টো রথ বলে।

উঠল বাই তো কটক যাই। এমন বাতিক সব বাঙালির মধ্যেই রয়েছে। রথ নিয়েও বাঙালির মনে দারুণ উত্তেজনা। রথের মেলা ও রথ টানা নিয়ে বাঙালি আদ্যোপান্ত নস্টালজিক। কথিত আছে, রথের রশি স্পর্শ করা বা ছুঁতে পাওয়া অত্যন্ত ভাগ্যের। শতজন্মের পাপ একনিমেষে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায় বলে মনে করা হয়। রথের চাকা ও রশির যে কোনও অংশ ছুঁলে পুনর্জন্মের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রাচীন প্রথা মেনে,রথের মধ্যে অধিষ্ঠিত থাকে তেত্রিশ কোটি দেবদেবী। তাই রথের পাশাপাশি রশি স্পর্শ করলে তেত্রিশ কোটি দেবদেবীকে স্পর্শ করার সামিল।

তবে রথযাত্রার শুরু কখনও এইভাবে ছিল না। প্রায় সাতশো বছর আগে রথযাত্রা পালিত হত দুটি পৃথক ভাগে। সেই সময় তিনটে নয়, ছয়টি রথ টানা হত। সেই সময় পুরীর মন্দির থেকে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলভদ্রকে নিয়ে তিনটি রথে করে গুণ্ডিচা মন্দিরের দিকে নিয়ে যাওয়া হত। কিন্তু মাসির বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে পড়ত একটি বিশাল বলাগুণ্ডি নালা। মন্দির থেকে তিনটি রথ ওই নালার পার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হত, তারপর জগন্নাথ, বলভদ্র ও বোন সুভদ্রার মূর্তি রথ থেকে নামিয়ে নালা পার করানো হত। নালার অপরপ্রান্তে অপেক্ষারত সাজানো তিনটি রথে বসিয়ে আবার টানা হত। নিয়ে যাওয়া হত গুন্ডিচা মন্দিরের দিকে। তবে একটা সময় পর সেই নালা বুজিয়ে দেওয়া হয়। রাজা কেশরী নরসিংহ পুরীর রাজ্যভার গ্রহণের পর একসময় এই বলাগুণ্ডি নালা বুজিয়ে দেওয়া দিয়েছিলেন। সেই সময়ের পর থেকে রথযাত্রা তিনটি রথেই পালিত হয়।


পুরীর মন্দির নিয়ে যেমন অলৌকিক কিছু ঘটনা রয়েছে, তেমনি রথযাত্রা নিয়েও রয়েছে অদ্ভূত ঘটনা। যা অবিশ্বাস্য ও মজার। সেই সব ঘটনাগুলি কতটা বাস্তবিক তা জানা যায় না, কিন্তু রথের দিন ও রথ উত্‍সবে ঘটে বেশ কিছু আশ্চর্য ঘটনা।

রথের দিন প্রতি বছর বৃষ্টি হয়। এখনও পর্যন্ত একটি বছরও কাটেনি, যে সময় রথের দিন বৃষ্টি হয়নি।

রথ তৈরির সময় নিমকাঠ ব্যবহার করা হয়। তবে রথ তৈরিতে কোনও রকম আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয় না। পুরোটাই কাঠের হাতুরি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ের উন্নত প্রযুক্তির একচুলও সাহায্য নেওয়া হয় না এই রথনির্মাণে।

এমনকি রথ নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য-প্রস্তর মাপগুলি হাতেই নেওয়া হয়। গজ-ফিতের কোনও কিথু ব্যবহার করা হয় না। শুধু তাই নয়, পেরেক, পিন বা নাটবল্টু থেকে শুরু করে কোনও ধাতুর কিছু ব্যবহার করা হয় না।

রথ তৈরিতে যুক্ত থাকেন প্রায় ১৪০০ শিল্পী। বংশপরম্পরায় এই শিল্পীরা রথ তৈরির কাজ করে চলেছে তাঁরা। আজও তাঁরা রথ তৈরি করার কাজ করে থাকেন। আলাদা করে তাঁদের নিয়োগ করা হয় না। রীতি অনুযায়ী যুগ যুগ ধরে রথ তৈরির কাজ করেন।

অনেকেই জানেন না। তিনটি রথ যেমন নিম কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়,তেমনি তিনটি রথের ভিতরে থাকে প্রায় ২০৮ কেজি সোনা দিয়ে সজ্জিত।

রথযাত্রার নানা কথা ও তথ্য বিভিন্ন পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে। রয়েছে লোকবিশ্বাসও।

পুরীর রথ যাত্রা উত্‍সব বাংলায় সূচনা করেন মহাপ্রভু চৈতন্যদেব। নীলাচল থেকে প্রথম রথযাত্রার ধারা বাংলায় নিয়ে আসেন। ওড়িশার পাশাপাশি বাংলাতেও রথের উত্‍সব প্রচলন শুরু হয়।

*ইতিহাস*

রথ যাত্রার এই কাহিনীর সঙ্গে জড়িত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। আর জগন্নাথ হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই এক রূপ। ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ অনুযায়ী, এই রথযাত্রার প্রচলন হয়েছিল সত্যযুগে। তখন ওড়িশা মালবদেশ নামে পরিচিত ছিল। সেখানকার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। তিনি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণুর জগন্নাথরূপী মূর্তি নির্মাণ করেন এবং রথযাত্রারও স্বপ্নাদেশ পান। লোকমুখে শোনা যায়, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পান যে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাষ্ঠখণ্ড দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি নির্মাণ করতে হবে। আদেশ অনুযায়ী মূর্তি নির্মাণের জন্য যখন রাজা উপযুক্ত শিল্পীর সন্ধান করছিলেন, ঠিক তখনই এক বৃদ্ধ তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন। তিনি জানান তিনিই এই মূর্তিটি তৈরী করবেন এবং রাজার কাছে মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন, পাশাপাশি ওই বৃদ্ধ বলেন এই মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেয়। দরজার আড়ালে শুরু হয় কাষ্ঠমূর্তি নির্মাণ। রাজা-রানীসহ সকলেই এই মূর্তি নির্মাণকাজের ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। রানি প্রতিদিন বন্ধ দরজার বাইরে থেকে কান পেতে আওয়াজ শুনতো। কিন্তু হঠাৎই একদিন সেই আওয়াজ একদিন বন্ধ হয়ে যায়। রানী কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে রাজাকে জানাতেই ইন্দ্রদ্যুম্ন দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন, দেখেন মূর্তি অর্ধসমাপ্ত এবং শিল্পী উধাও। এই রহস্যময় কাষ্ঠশিল্পী ছিলেন বিশ্বকর্মা।

তিনটি অর্ধসমাপ্ত মূর্তি দেখে অর্থাৎ হাত ও পা নির্মিত হয়নি বলে রাজা মুষড়ে পড়লেন। কাজে বাধাদানের জন্য রাজা অনুতাপ করতে থাকলেন। তখন তাঁকে স্বপ্ন দিয়ে জগন্নাথ বললেন যে, এরকম আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তিনি এই রূপেই পূজিত হতে চান। এভাবেই আবির্ভাব ঘটে জগন্নাথ দেবের এবং সেই থেকেই শুরু তাঁর পুজো। পরবর্তীকালে রাজা পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও রথযাত্রার প্রচলন করেন। রথের বিশেষত্ব পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত তিনটি রথের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকে।

জগন্নাথ দেবের রথের নাম ‘নান্দীঘোষ’, বলরামের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’। এই তিনটি রথের উচ্চতা এবং রঙও আলাদা হয়। চা ছাড়া ঘুম ভাঙে না? হতে পারে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সাবধান! জগন্নাথ দেবের রথে ১৮টি চাকা থাকে, বলরামের রথে থাকে ১৬টি চাকা। জগন্নাথ এবং বলরামের বোন সুভদ্রার রথে থাকে ১২টি চাকা। বর্তমানে এই রথযাত্রা বিশ্ববিখ্যাত এবং সারা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে এক আনন্দের অনুষ্ঠান। ভক্তদের সমাগমে ছেয়ে যায় পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বা শ্রীক্ষেত্র। ভারতবর্ষের সকল মানুষ অপেক্ষায় থাকেন এই উৎসবের জন্য।

পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রা সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এই রথযাত্রায় অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ পুরীধামে আসেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় জগন্নাথধাম নীলাচলে। মূলত আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে ৭ জুলাই সকাল ৪:২৬ থেকে। ৮ জুলাই সকাল ৪:৫৯ এ শেষ হবে তিথি। এমন পরিস্থিতিতে, উদয় তিথি অনুসারে, জগন্নাথ রথযাত্রা হবে ৭ জুলাই । 

সৈকত-শহর পুরীর রথযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এমন নানা কিংবদন্তী। অন্যান্য অনেক জায়গাতেই এখন মহাসমারোহে রথযাত্রা পালিত হয়। তবুও পূণ্যভূমি পুরীর মাহাত্ম্য স্বতন্ত্র। জগন্নাথদেবের প্রসাদকে বলা হয় মহাপ্রসাদ।  বিশেষ বিশেষ দিনে প্রায় এক লক্ষ ও রথযাত্রার সময় প্রায় ১০ লক্ষ লোক মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন। এখানে কখনও প্রসাদ উদ্বৃত্ত থাকে না বা কম পড়ে না। জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরকে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রান্নাঘর মনে করা হয়।

পুরীর রথ নির্মাণে যুক্ত থাকবেন প্রায় ২০০ জন মানুষ । মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা বন বিভাগের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাঠের সিংহভাগ পেয়েছি। নির্মাণ কাজ শুরু করার আগে একটি আনুষ্ঠানিক পুজো করা হয়েছে।

(Courtesy-Wiki)