অস্থায়ী কর্মী পাওয়ায় পিয়াসবাড়ি রেশম নার্সারি কেন্দ্রে রেশম চাষে সমস্যা অনেকটাই কাটলো কৃষকদের
এসবি নিউজ ব্যুরো: অবশেষে অস্থায়ী কর্মী পেল পিয়াসবাড়ি রেশম নার্সারি কেন্দ্র। রেশম চাষে আর কোন সমস্যা থাকবে না কৃষকদের। এবার থেকে সহজেই মিলবে তুঁত গাছের কাটিং থেকে পলু পোকার ডিম। মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের পিয়াসবাড়ি গ্রামে রয়েছে রাজ্য সরকারের এই রেশম নার্সারি। মূলত এই নার্সারি থেকেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রেশম গাছের কাটিং চারা, পলু পোকার ডিম সরবরাহ করা হয়। এটি উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ রেশম নার্সারি কেন্দ্র।
সরকারিভাবে রেশম চাষের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে একাধিক পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে কৃষি ও যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত মালদহের এই রেশন নার্সারিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী না থাকায় উৎপাদন কমে গিয়েছিল।ফলে মালদহ ও অন্যান্য জেলার রেশম চাষিরা রেশম গাছের কাটিং ও পলুপোকার ডিম সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়তেন। বাইরে থেকে চড়া দামে কিনতে হত কৃষকদের। তাই সরকারি এই রেশম নার্সারিটি সঠিকভাবে পরিচালনার দাবি তুলে আসছিলেন জেলার রেশম চাষিরা।
এই রেশম নার্সারিটি প্রায় ১৯০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত। প্রতিবছর গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ কুইন্টাল রেশম গাছের কাটিং উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু কর্মী না থাকায় এতদিন তা সম্ভব হয়নি। এই নার্সারির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জেলা রেশম দফতর ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যৌথভাবে এই নার্সারিতে ২৩২ জন অস্থায়ী কর্মী নেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে প্রচুর অস্থায়ী কর্মী কাজ শুরু করায় গোটা নার্সারি চত্বরে আবার চাষ শুরু হয়েছে। এতদিন কর্মী না থাকায় মাত্র কয়েক বিঘা জমিতে রেশমের কাটিং উৎপাদন করা হত। বাকি গোটা নার্সারী চত্ত্বর আগাছায় ভরে গিয়েছিল। পলুর ডিম তৈরির ঘরগুলিও ব্যবহার ও সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছিল।
নার্সারিতে কর্মী আসায় এবার থেকে গোটা নার্সারি জুড়েই শুরু হয়েছে চাষ এমনকি সমস্ত ঘরগুলিতেই পলু পোকার ডিম ফুটানো হবে। এর ফলে স্বাভাবিক হবে এই নার্সারীর উৎপাদন ক্ষমতা। উত্তরবঙ্গের রেশন চাষিরা খুব সহজে এখান থেকে পাবেন রেশন গাছের কাটিং থেকে পোলু পোকার ডিম। নার্সারীর উৎপাদন ক্ষমতা স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। কারণ আশেপাশের কৃষকেরাই এখানে অস্থায়ীভাবে কাজ পেয়েছেন।
Feb 25 2024, 12:06