/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz s:%E0%A6%85%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AE
*জ্যোতিষ অনুযায়ী নবরাত্রিতে ৯টি নতুন রংকে আপনি বেছে নিন*

ডেস্ক: হিন্দুধর্মে নবরাত্রি উৎসব একটি বিশেষ উৎসব। এই সময় দেবী দুর্গার ৯টি রূপের পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার রূপ অত্যন্ত পবিত্র, মা তাঁর ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করেন। নবরাত্রির (Navratri) ৯টি দিনের জন্য ৯টি আলাদা আলাদা রঙ থাকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২৫ সালে, নবরাত্রি শুরু হচ্ছে ২২শে সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার একটি নির্দিষ্ট রূপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এবং এই রঙগুলিকে শুভ বলে মনে করা হয়। নবরাত্রিতে নয় দিন কোন কোন রঙের পোশাক পরবেন, কোন দিন কোন দেবীর পুজো, জেনে নিন বিস্তারিত—

# প্রথম দিন (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা শৈলপুত্রী – লাল রঙ – প্রেম, শক্তি এবং শক্তির প্রতীক। এটি মা শৈলপুত্রীর কোমলতা এবং সাহসকে প্রতিফলিত করে।

# দ্বিতীয় দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা ব্রহ্মচারিণী – নীল রঙ – শান্তি, ভক্তি এবং তপস্যার প্রতীক, যা মা ব্রহ্মচারিণীর তপস্বী প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#তৃতীয় দিন (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা চন্দ্রঘণ্টা – হলুদ রঙ – সমৃদ্ধি, সুখ এবং ইতিবাচকতার প্রতীক, যা মা চন্দ্রঘণ্টার শান্তি ও যুদ্ধ দক্ষতাকে প্রতিফলিত করে।

#চতুর্থ দিন (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কুষ্মাণ্ডা – সবুজ রঙ – প্রকৃতি, উর্বরতা এবং নতুন সূচনার প্রতীক, যা মা কুষ্মাণ্ডার সৃজনশীল শক্তির সঙ্গে জড়িত।

#পঞ্চম দিন (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা স্কন্দমাতা – সাদা রঙ – পবিত্রতা, শান্তি এবং মাতৃত্বের প্রতীক, যা মা স্কন্দমাতার করুণাময় রূপকে প্রতিফলিত করে।

# ষষ্ঠ দিন (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কাত্যায়নী – কমলা রঙ – উৎসাহ, সাহস এবং শক্তির প্রতীক, যা মা কাত্যায়নীর যোদ্ধা প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#সপ্তম দিন (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা কালরাত্রি – কালো রঙ – অন্ধকারের বিনাশ এবং সুরক্ষার প্রতীক, যা মা কালরাত্রির প্রচণ্ড এবং প্রতিরক্ষামূলক শক্তি প্রদর্শন করে।

#অষ্টম দিন (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা মহাগৌরী- গোলাপী রঙ – করুণা এবং সৌন্দর্যের প্রতীক, যা মা মহাগৌরীর পবিত্রতা এবং কোমলতা প্রতিফলিত করে।

#নবম দিন (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা সিদ্ধিদাত্রী- বেগুনি রঙ – আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান এবং কৃতিত্বের প্রতীক, যা মা সিদ্ধিদাত্রীর দেবত্বের সঙ্গে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*‘জন্মাষ্টমী’ – ইতিহাসের প্রেক্ষাপট*

ডেস্ক : জন্মাষ্টমী হল হিন্দু দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। এটি ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে, ভক্তরা উপবাস করে, মন্দিরে যায় এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে। এটি ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

জন্মাষ্টমীর পেছনের ইতিহাস:

শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। তিনি কংসের কারাগারে দেবকী ও বসুদেবের ঘরে জন্মগ্রহন করেন।

কংস ছিলেন একজন অত্যাচারী রাজা, যিনি তার পিতা উগ্রসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করেছিলেন।

কংস জানতে পেরেছিলেন যে দেবকীর অষ্টম পুত্র তার মৃত্যুর কারণ হবে, তাই তিনি দেবকী ও বসুদেবকে বন্দী করেন এবং তাদের প্রত্যেক নবজাতককে হত্যা করার চেষ্টা করেন।

অবশেষে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় এবং বসুদেব তাকে কংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যমুনার ওপারে নন্দালয়ের যশোদার কাছে রেখে আসেন।

শ্রীকৃষ্ণ বড় হয়ে কংসকে হত্যা করে মথুরার সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন এবং প্রজাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনেন। এই কারণে, শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন (“জন্মাষ্টমী”) একটি বিশেষ উৎসব হিসেবে পালিত হয়।

জন্মাষ্টমী উৎসব:

এই দিনে, ভক্তরা উপবাস করে, কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাকীর্তন করে।

অনেক স্থানে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি সুসজ্জিত করা হয় এবং বিশেষ পূজা ও আরতি করা হয়।

এই দিনে মিষ্টান্ন ও ফলমূল দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়।

কিছু মন্দির ও সম্প্রদায়ে, এই দিনে নৃত্য ও নাটকের আয়োজন করা হয়।

জন্মাষ্টমীর তাৎপর্য:

জন্মাষ্টমী শ্রীকৃষ্ণের জন্ম এবং তাঁর ঐশ্বরিক লীলা স্মরণের দিন।

এটি সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার শিক্ষা দেয় এবং ভক্তদেরকে ধর্মের পথে অগ্রসর হতে উৎসাহিত করে।

এই উৎসবটি ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসা প্রদর্শনের একটি উপলক্ষ।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*ভাদ্রমাসের ধৰ্মীয় গুরুত্ব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : সামনেই ভাদ্রমাস। হিন্দু ধর্মে ভাদ্রমাসের বিশেষ গুরুত্ব আছে।

এই মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব (জন্মাষ্টমী) এবং গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এছাড়াও, এই মাসটি তীর্থযাত্রার জন্য শুভ এবং ঋষি পঞ্চমী উৎসবও এই মাসেই পালিত হয়।

ভাদ্র মাসের ধর্মীয় গুরুত্ব:

জন্মাষ্টমী:

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। এই দিনটি বিশেষভাবে জন্মাষ্টমী হিসেবে পালিত হয় এবং এই তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়।

গণেশ চতুর্থী:

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এই দিনে গণেশের পূজা করা হয় এবং এই উৎসবটি মহারাষ্ট্র সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে পালিত হয়।

ঋষি পঞ্চমী:

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে ঋষি পঞ্চমী পালিত হয়। এই দিনে সপ্তর্ষিদের পূজা করা হয় এবং এই তিথিটি তীর্থযাত্রার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।

অন্যান্য উৎসব:

এছাড়াও, ভাদ্র মাসে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পালিত হয়, যেমন – বলাকা চতুর্থী, রাধাষ্টমী ইত্যাদি। ভাদ্র মাসকে তীর্থযাত্রার জন্য শুভ মাসও বলা হয়। এই মাসে তীর্থস্থানে ভ্রমণ করা এবং পূজা-অর্চনা করা বিশেষ ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়।

সৌজন্যে:* www.machinnamasta.in

*শারদীয়া দুর্গোৎসব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : শারদীয় দুর্গা পূজা, যা দুর্গোৎসব বা শারদোৎসব নামেও পরিচিত, এটি বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটি দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মহিষাসুরকে বধ করার জন্য তার বিজয়ের স্মরণে পালিত হয়। এই পূজা মূলত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে চলে। ষষ্ঠীতে দেবীর মূর্তিতে চক্ষুদান ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজার সূচনা হয়, এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর দিনে বিশেষ পূজা ও আরাধনা করা হয়। দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি হয়।

দুর্গাপূজার ইতিহাস বেশ প্রাচীন। যদিও এর সঠিক উৎপত্তি সম্পর্কে মতভেদ আছে, তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে, এই পূজা ৩০০ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শুরু হয়েছিল, যখন ভারতে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা জনপ্রিয় হতে শুরু করে।

[কিছু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা জয়ের আগে শরৎকালে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন, যা "অকালবোধন" বা "শারদীয় দুর্গাপূজা" নামে পরিচিত।এছাড়াও, বিভিন্ন পুরাণ ও মঙ্গলকাব্যগুলোতে দুর্গার পূজা ও মাহাত্ম্যের বর্ণনা পাওয়া যায়।দুর্গাপূজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশএই উৎসবে আনন্দ, মিলন ও সংস্কৃতির উদযাপন ঘটে।অতএব, দুর্গাপূজা একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা দেবী দুর্গার পূজা ও মহিষাসুর বধের স্মৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত।]

অতএব, দুর্গাপূজা একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা দেবী দুর্গার পূজা ও মহিষাসুর বধের স্মৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*ডুরান্ড কাপে অংশগ্রহণ নাও করতে পারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট*

Sports

Sports Desk: এশিয়া প্রাচীন তম ফুটবল কাপ হল ডুরান্ড কাপের খেলা।আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে এবারের ডুরান্ড কাপের খেলা। কিন্তু ইতিমধ্যেই মুম্বই সিটি এফসি-সহ আইএসএলের ৭ টি দল ডুরান্ড কাপে অংশ না-নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।সেই একই পথে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টও ? যা পরিস্থিতি তাতে আইএসএলের অষ্টম দল হিসেবে ডুরান্ডে না-খেলার পথে সবুজ-মেরুন ৷ কেন এই সিদ্ধান্ত ? শোনা যাচ্ছে ফেডারেশনের ডামাডোল পরিস্থিতিই এর পিছনে দায়ী। আগামী ১৪ জুলাই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অচলাবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার কথা। সেই রায় কোন দিগনির্দেশ করে তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ অর্থাৎ ডুরান্ড কাপে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে মোহনবাগানের তরফে ৷

*দমদমে শতবর্ষ প্রাচীন জাগ্রত দেবী বগলামুখীর মন্দির*

ডেস্ক : উত্তর কলকাতার দমদমে, দেবীনিবাস রোডে আছে দেবী বগলামুখীর মন্দির। দশম মহাবিদ্যার অষ্টম মহাবিদ্যা দেবী বগলামুখী। ভক্তদের বিশ্বাস শতবর্ষ প্রাচীন এই দেবীর মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত। মনস্কামনা পূরণের পাশাপাশি, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্যও দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে ছুটে আসেন। কীভাবে যাবেন এই মন্দিরে? দমদম স্টেশনে নেমে নাগেরবাজারগামী অটো বা বাসে চেপে মতিঝিল গার্লস স্কুলের সামনে নামতে হবে। সেখানে রাস্তা পার হয়ে বাসন্তী সুইটস। সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথ। কথিত আছে সতী যখন মহাদেবের কাছে তাঁর পিতৃগৃহে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন, তখন মহাদেব তাঁকে অনুমতি দেননি। ক্ষুব্ধ দেবী সতী তাঁর ১০টি রুদ্র রূপের মাধ্যমে সেই সময় মহাদেবকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে ভয় দেখিয়েছিলেন।

এই ১০টি রূপের প্রতিটি মহাবিদ্যা নামে খ্যাত। একশো বছর আগে রাধিকাপ্রসাদ সান্যাল স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বপ্নাদেশে তিনি জানতে পেরেছিলেন যেখানে আজ মন্দির, তার মাটির নীচে দেবীমূর্তি রয়েছে। এরপর তিনি মাটি খুঁড়িয়ে সেখান থেকে দেবীর মূর্তিটি উদ্ধার করেন। এখানে প্রতিদিন দেবীর অন্নভোগ হয়। অন্নভোগ হয় একবেলা। সন্ধ্যায় দেওয়া হয় মিষ্টি ও ফল। তন্ত্র অনুযায়ী দেবী বগলা ভক্তের মানসিক ভ্রান্তিনাশের দেবী। অনেকে দেবী বগলাকে শত্রুনাশের দেবীও বলে থাকেন। দেবীর অস্ত্র হল মুগুর বা গদা। দেবী বগলার ভাবগত অর্থ হল, যিনি কোনও কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিতে সক্ষম। দেবী বগলাকে উত্তর ভারতীয়রা পীতাম্বরী বা ব্রহ্মাস্ত্ররূপিণীও বলে থাকেন। তন্ত্রমতে, দেবী যে কোনও দোষকে গুণে পরিণত করতে পারেন। যেমন তিনি বাক্যকে স্তবে, অজ্ঞানকে জ্ঞানে, শক্তিহীনতাকে শক্তিতে আর পরাজয়কে জয়ে পরিবর্তন করতে সক্ষম।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

শশ মহাপুরুষ রাজযোগ অত্যন্ত শুভ যোগ*

ডেস্ক : কোনো শিশুর জন্ম মুহূর্তে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানের উপর তাদের ভাগ্যের অনেক কিছুই নির্ভর করে। সেটি কখনও কোনও রাশির ব্যক্তিদের জন্য সুখের হয়, আবার কারোর জন্য খুব সমস্যার হয়। শশ মহাপুরুষ রাজযোগ অত্যন্ত শুভ যোগ। যে ব্যক্তি জন্ম কুণ্ডলীতে রাজযোগ থাকে, সেই ব্যক্তি অত্যন্ত ধনী হয়ে থাকেন। তাদের ভাগ্য উজ্জ্বল হয়। এই শুভ রাজযোগের প্রভাবে ব্যক্তির জীবনে খুব শুভ সময় শুরু হয়। কখন শশ মহাপুরুষ রাজযোগ গঠিত হয়? যখন কোনও রাশির জাতক জাতিকাদের জন্মকুণ্ডলীতে চন্দ্র থাকে, কেন্দ্রে শনিদেব থাকে। কোন রাশিতে শনিদেব যখন প্রথম, চতুর্থ কিংবা অষ্টম স্থানে তুলা, মকর কিংবা কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করে তখন কিন্তু শশ মহাপুরুষ রাজযোগ তৈরি হয়। এই শুভ রাজযোগ অত্যন্ত শুভ। এই রাজযোগের বিশেষ প্রভাব পড়ে সকলের উপর।

এদের ওপর শনিদেবের বিশেষ কৃপা থাকে। এই ব্যক্তিদের ভাগ্যের দ্বারা সর্বদাই খোলা থাকে। এরা তবে এরা ভীষণ পরিশ্রমী হয়ে থাকেন। আর্থিকদিকে এদের খুব লাভ হয়। এরা ধনী ব্যক্তি হন। এরা অযথা কারোর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে কখনও জড়িয়ে পড়েন না। এরা কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তি হয়ে থাকেন। যে রাশির ব্যক্তিদের ওপর শশ মহাপুরুষ রাজযোগের প্রভাব থাকে, সেই ব্যক্তিরা জীবনে খুব এগিয়ে যেতে পারেন। এরা চাকরি থেকে ব্যবসায় সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারেন। এরা প্রচুর সম্পত্তির মালিক হন। এমনকি বিবাহিত জীবন থেকে পারিবারিক জীবনেও এরা সুখে থাকতে পারেন। এরা আর্থিকদিকে যথেষ্ট উন্নতি করতে পারেন।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*কালাষ্টমী উৎসব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : হিন্দুধর্মে কালাষ্টমী উপবাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিন সকলেই কালভৈরবের পুজো করেন। চলতি বছর কবে পড়েছে কালাষ্টমী উৎসব? ভগবান শিবের উগ্র রূপই হল কালভৈরব। বিশ্বাস করা হয়, কালভৈরব ছিলেন ভগবান শিবের পঞ্চম অবতার। এই দিন ভগবান শিবের এই রূপেরই পুজো করলে জীবনে সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাষ্টমী পুজোর দিন আপনি যদি উপোস করে ভগবান শিবের এই রূপের পুজো করেন, তাহলে আপনার জীবনে সফলতা নিশ্চিত।

# কালষ্টমী উৎসব পড়েছে ২১ এপ্রিল। অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ২০ এপ্রিল সন্ধে ৭ টা ০১ মিনিট থেকে ২১ এপ্রিল সন্ধে ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত এই পুজো চলবে। এই বিশেষ দিনে ব্রাহ্ম মুতে ঘুম থেকে উঠবেন। ভোর ৪ টে ৪৮ থেকে ৫ টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে উঠলে খুব ভালো।

তারপর ২ টো ৩০ থেকে ৩টে ১৯ পর্যন্ত থাকছে বিজয় মুহূর্ত। গোধূলি মুহূর্ত থাকছে সন্ধ্যা ৬ টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৫৬ মিনিট। নিশীথ কাল থাকছে দুপুর ১২ টা ৪ মিনিট থেকে ১২ টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় যদি কালভৈরবের পুজো করেন তাহলে আপনার জীবনে সফলতা আসবে।

# দারিদ্র ব্যক্তিদের দান করুন

এই দিনে ভগবান শিবের বিশেষ পুজো করা হয়। তাই কালভৈরবের মন্ত্র ১০৮ বার জপ করবেন। অবশ্যই এদিন আপনি কিন্তু দারিদ্র ব্যক্তিদের যদি পারেন দান করবেন। এতে কালভৈরবের বিশেষ কৃপা পাবেন।

# কালো কুকুরকে খাওয়ান

এই বিশেষ দিনে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালাবেন। বাড়ির উত্তর, পূর্বকোণে একটি প্রদীপ জ্বালান। যদি পারেন কালো কুকুরকে খাবেন। কারণ কালভৈরবের বাহন কালো কুকুর।

# চাকরি থেকে ব্যবসার বাধা কাটাতে কী করবেন যদি আপনি এদিন চাকরি থেকে ব্যবসায় সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে চান, তাহলে এদিন কালভৈরবের মন্দিরে গিয়ে লেবু ও লঙ্কা দান করুন। তারপর আরেকটা লেবু লঙ্কায় আপনি আপনার অফিস কিংবা দোকানের দরজায় ঝুলিয়ে দিন। এতে জীবনের সমস্ত বাধা আপনার কেটে যাবে । বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করবে।

*ব্যারাকপুর মোহনপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি কর্মীরা*

Khabar kolkata News Desk: বাংলায় একের পর এক ধর্ষনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। শনিবার রাতে মোহনপুর থানার ব্যারাকপুর জাফরপুর স্কুল পাড়ায় টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী শুভ মজুমদারের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।কিশোরীকে ধর্ষণ করার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বেলায় মোহনপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা তথা বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। বিক্ষোভে হাজির ছিলেন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী, প্রাক্তন জেলা সভাপতি সন্দীপ ব্যানার্জি প্রমুখ। এদিন তাঁরা থানার সামনে বসে পড়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান।

ছবি: প্রবীর রায়

আগামীকাল কার্তিক পূর্ণিমার রইল দিনপঞ্জি ও হিন্দু ধর্মে এই বিশেষ দিনটির গুরুত্ব


*ডেস্ক:* কার্তিক মাসটি ভগবান বিষ্ণুর উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত। এটি হিন্দু ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস, ইংরেজি ক্যালেন্ডারে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে পড়ে। এই মাসের অধিপতি হলেন কার্তিকেয়, তাই একে কার্তিক মাস বলা হয়। এই মাসে ধনতেরাস, দীপাবলি, গোবর্ধন এবং ছট পুজোর মতো বড় উৎসবগুলি উদ্‌যাপিত হয়। এই মাসে পতিত দেবত্থানী একাদশী সমস্ত একাদশীর মধ্যে বিশেষ বলে বিবেচিত হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু চার মাস ঘুমের পর জেগে ওঠেন, এরপর চতুর্মাস শেষ হয়।

এই মাসে ভগবান বিষ্ণুর (Vishnu) পুজো করার প্রথা থাকলেও, এই মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান শিবের পুজো করা হয়। এই দিনে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর রাক্ষসকে বধ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই এটি ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। দেব দীপাবলি উৎসবও এই দিনে পালিত হয়। ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই বছর কার্তিক পূর্ণিমা ১৫ নভেম্বর। এই পূর্ণিমায় (Kartick Purnima) ৩০ বছর পর শশ রাজযোগ গঠিত হচ্ছে, যা খুবই উপকারী। এমন অবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু কাজ করলে সব ইচ্ছা পূরণ হতে পারে।

কার্তিক পূর্ণিমা তিথি ১৫ নভেম্বর সকাল ০৬ টা ১৯ মিনিটে শুরু হচ্ছে। এই তিথিটি ১৬ নভেম্বর রাত ২ টো ৫৮ মিনিটে শেষ হবে৷ কার্তিক পূর্ণিমার দিনে স্নান এবং দান করার শুভ সময় হল ভোর ০৪ টে ৫৮ মিনিট থেকে ০৫ টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কার্তিক পূর্ণিমার দিনে বস্ত্র দান করা উচিত। এটি অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে বস্ত্র দান করলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ বংশধরদের উপর থাকে। কার্তিক পূর্ণিমায় তিল দান করুন। ভগবান শিব এতে সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তদের উপর তাঁর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।

কার্তিক পূর্ণিমা হল একটি হিন্দু, শিখ এবং জৈন সাংস্কৃতিক উৎসব, যা কার্তিক মাসের ১৫ তম চন্দ্র দিনে পূর্ণিমায় পালিত হয় । এটি গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির নভেম্বর বা ডিসেম্বরে মাসে অনুষ্ঠিত হয়। এটি দেবতাদের আলোর উৎসব, ত্রিপুরারি পূর্ণিমা বা দেব-দীপাবলি নামেও পরিচিত। এটির সম্পর্কিত উৎসব হলো কার্তিকা দীপম, যা দক্ষিণ ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় একটি ভিন্ন তারিখে পালিত হয়।(Hindu)

*রাধা-কৃষ্ণ*

বৈষ্ণব ঐতিহ্যে, এই দিনটিকে রাধা এবং কৃষ্ণ উভয়ের উপাসনার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং বিশেষ হিসাবে বিবেচনা করা হয় । বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে রাধা-কৃষ্ণ তাদের গোপীদের সাথে রাসলীলা করেছিলেন । জগন্নাথ মন্দির, পুরী এবং অন্যান্য সমস্ত রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে, কার্তিক মাস জুড়ে একটি পবিত্র ব্রত পালন করা হয় এবং কার্তিক পূর্ণিমার দিনে রাসলীলার পরিবেশনা করা হয়। অন্যান্য কিংবদন্তি অনুসারে, এই দিনে কৃষ্ণ রাধার পূজা করেছিলেন।

*শিব*

‘ত্রিপুরারি পূর্ণিমা’ এর নাম ত্রিপুরারি থেকে এসেছে – ত্রিপুরাসুর অসুরের শত্রু । কার্তিক পূর্ণিমার কিছু কিংবদন্তিতে, শব্দটি তারকাসুরের তিন রাক্ষস পুত্রকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় । ত্রিপুরারি হল দেবতা শিবের উপাধি । ত্রিপুরান্তক (“ত্রিপুরাসুর হত্যাকারী”) রূপে শিব এই দিনে ত্রিপুরাসুরকে হত্যা করেছিলেন। ত্রিপুরাসুর সমগ্র বিশ্ব জয় করে দেবতাদের পরাজিত করেছিলেন এবং মহাকাশে তিনটি শহরও তৈরি করেছিলেন, যার নাম ছিল “ত্রিপুরা”। শিবের একটি একক তীর দিয়ে রাক্ষসদের হত্যা এবং তাদের শহর ধ্বংস করেছিল, এতে দেবতা আনন্দিত হয়েছিল এবং তারা দিনটিকে আলোকসজ্জার উৎসব হিসাবে ঘোষণা করেছিল। এই দিনটিকে “দেব-দিওয়ালি” ও বলা হয়।

*তুলসী ও বিষ্ণু*

কার্তিক পূর্ণিমা বিষ্ণুর মৎস্য অবতার এবং তুলসী বৃন্দার জন্মবার্ষিকী হিসাবেও পালিত হয়।

*কার্তিক*

দক্ষিণ ভারতে, কার্তিক পূর্ণিমা যুদ্ধের দেবতা এবং শিবের বড় পুত্র কার্তিকের জন্মদিন হিসাবেও পালিত হয় । এই দিনটিতে মৃত পূর্বপুরুষদের পিতৃ উৎসর্গ করা হয়।

*হিন্দু আচার*

কার্তিক পূর্ণিমা প্রবোধিনী একাদশীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, যেটি চাতুর্মাসের সমাপ্তি চিহ্নিত করে, একটি চার মাসের সময়কাল যখন বিষ্ণু শয়ন করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। প্রবোধিনী একাদশী দেবতার জাগরণকে বোঝায়। এই দিনে চাতুর্মাসের তপস্যা শেষ হয়। প্রবোধিনী একাদশীতে শুরু হওয়া অনেক মেলা কার্তিক পূর্ণিমায় শেষ হয়, কার্তিক পূর্ণিমা সাধারণত মেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে শেষ হওয়া মেলার মধ্যে রয়েছে পন্ধরপুরে প্রবোধিনী একাদশী উদযাপন এবং পুষ্কর মেলা। কার্তিক পূর্ণিমা হল তুলসী বিবাহ অনুষ্ঠান করার শেষ দিন, যা প্রবোধিনী একাদশী থেকে করা যেতে পারে।

এছাড়াও, এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে, বিষ্ণু বালিতে তার অবস্থান শেষ করে তার আবাসে ফিরে আসেন, এবং এ দিনটিকে দেব-দীপাবলি নামে পরিচিত।

রাজস্থানের পুষ্করকে, পুষ্কর মেলা প্রবোধিনী একাদশীতে শুরু হয় এবং কার্তিক পূর্ণিমা পর্যন্ত চলতে থাকে, পরবর্তীটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই মেলা দেবতা ব্রহ্মার সম্মানে অনুষ্ঠিত হয়, যার মন্দির পুষ্করে দাঁড়িয়ে আছে। পুষ্কর হ্রদে কার্তিক পূর্ণিমায় একটি আনুষ্ঠানিক স্নান একজনকে পরিত্রাণের দিকে নিয়ে যায় বলে মনে করা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে কার্তিক পূর্ণিমায় তিনটি পুষ্করকে প্রদক্ষিণ করা পূর্ণদায়ক। সাধুরা এখানে জড়ো হয় এবং একাদশী থেকে পূর্ণিমার দিন পর্যন্ত গুহায় থাকে। মেলার জন্য পুষ্করে প্রায় ২,০০,০০০ মানুষ এবং ২৫,০০০ উট একত্রিত হয়। পুষ্কর মেলা এশিয়ার বৃহত্তম উটের মেলা।

কার্তিক পূর্ণিমায় একটি তীর্থে (একটি হ্রদ বা নদীর মতো একটি পবিত্র জলাশয় ) একটি ধর্মীয় স্নান নির্ধারিত হয়। এই পবিত্র স্নান “কার্তিক স্নান” নামে পরিচিত। পুষ্করে বা গঙ্গা নদীতে, বিশেষ করে বারাণসীতে একটি পবিত্র স্নানকে সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। বারাণসীতে গঙ্গা স্নানের জন্য কার্তিক পূর্ণিমা সবচেয়ে জনপ্রিয় দিন। ভক্তরাও চন্দ্রোদয়ের সময় সন্ধ্যায় স্নান করে এবং ছয়টি প্রার্থনা যেমন শিব সম্বুতি, সাতাইত ইত্যাদির মাধ্যমে উপাসনা করে।

দেবতাদের উদ্দেশে মন্দিরগুলিতে বিশেষ ভাবে নৈবেদ্য আর্পন করা হয় যা অন্নকুট মহা উৎসব নামে পরিচিত। যারা আশ্বিন পূর্ণিমায় ব্রত নিয়েছেন তারা কার্তিকা পূর্ণিমায় তা শেষ করেন। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুরও পূজা করা হয়। এই দিনে যে কোনো ধরনের সহিংসতা বা হিংস নিষিদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে শেভ করা, চুল কাটা, গাছ কাটা, ফল ও ফুল ছিঁড়ে ফেলা, ফসল কাটা এমনকি যৌন মিলন। দান বিশেষ করে গরু দান, ব্রাহ্মণদের খাওয়ানো, উপবাস কার্তিক পূর্ণিমার জন্য নির্ধারিত ধর্মীয় কর্মকাণ্ড। স্বর্ণ উপহার দিলে মানুষের সব ইচ্ছা পূরণ হয়।

শিব উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত উৎসবগুলির মধ্যে শুধুমাত্র মহা শিবরাত্রির পরেই রয়েছে এই ত্রিপুরী পূর্ণিমা। ত্রিপুরাসুর হত্যার স্মরণে ভগবান শিবের প্রতিক শোভাযাত্রায় বহন করা হয়। দক্ষিণ ভারতের মন্দির কমপ্লেক্সগুলি সারা রাত আলোকিত হয়। দীপমালা বা আলোর টাওয়ারগুলি মন্দিরগুলিতে আলোকিত হয়। মৃত্যুর পরে নরক থেকে বাঁচার জন্য লোকেরা মন্দিরে ৩৬০ বা ৭২০ টি বর্তিকা রাখে। ৭২০ টি বর্তিকা হিন্দু ক্যালেন্ডারের ৩৬০ দিন ও রাতের প্রতীক। বারাণসীর ঘাটগুলি হাজার হাজার দিয়া (উজ্জ্বল আলোকিত মাটির প্রদীপ) দিয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে। লোকেরা পুরোহিতদের প্রদীপ উপহার দেয়। ঘরবাড়ি ও শিবমন্দিরে রাতভর প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়। এই দিনটি “কার্তিক দীপরত্ন” নামেও পরিচিত – কার্তিকের প্রদীপের রত্ন। নদীতে ক্ষুদ্র নৌকোতেও দিয়ার প্রদীপে আলো ভাসানো হয়। তুলসী, পবিত্র ডুমুর এবং আমলকী গাছের নিচে আলো স্থাপন করা হয়। জলের মধ্যে এবং গাছের নিচে আলোগুলি মাছ, পোকামাকড় এবং পাখি যারা মুক্তি পেতে আলো দেখেছিল তাদের সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়।

অন্ধ্রপ্রদেশ (AndhraPradesh)এবং তেলেঙ্গানার (telengana)তেলেগু পরিবারগুলিতে, কার্তিকা মাসলু (মাস) খুব শুভ বলে মনে করা হয়। ( আমন্ত ঐতিহ্য) অনুসারে দীপাবলির (Diwali) পরের দিন থেকে কার্তিক মাস শুরু হয় । সেই দিন থেকে মাসের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন তেলের প্রদীপ জ্বালানো হয়। কার্তিক পূর্ণিমায় , শিব মন্দিরগুলিতে (siv) বাড়িতে প্রস্তুত ৩৬৫ টি বাতি সহ তেলের প্রদীপ জ্বালানো হয়। তা ছাড়া পুরো মাস ধরে প্রতিদিন কার্তিকা পুরাণম পাঠ করা হয় এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস পালন করা হয়। স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ও এই দিনটিকে বিশ্বাস এবং উৎসাহের সাথে উদযাপন করা হয়।

(Courtesy_wiki & several articles)
*জ্যোতিষ অনুযায়ী নবরাত্রিতে ৯টি নতুন রংকে আপনি বেছে নিন*

ডেস্ক: হিন্দুধর্মে নবরাত্রি উৎসব একটি বিশেষ উৎসব। এই সময় দেবী দুর্গার ৯টি রূপের পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার রূপ অত্যন্ত পবিত্র, মা তাঁর ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করেন। নবরাত্রির (Navratri) ৯টি দিনের জন্য ৯টি আলাদা আলাদা রঙ থাকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২৫ সালে, নবরাত্রি শুরু হচ্ছে ২২শে সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার একটি নির্দিষ্ট রূপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এবং এই রঙগুলিকে শুভ বলে মনে করা হয়। নবরাত্রিতে নয় দিন কোন কোন রঙের পোশাক পরবেন, কোন দিন কোন দেবীর পুজো, জেনে নিন বিস্তারিত—

# প্রথম দিন (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা শৈলপুত্রী – লাল রঙ – প্রেম, শক্তি এবং শক্তির প্রতীক। এটি মা শৈলপুত্রীর কোমলতা এবং সাহসকে প্রতিফলিত করে।

# দ্বিতীয় দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা ব্রহ্মচারিণী – নীল রঙ – শান্তি, ভক্তি এবং তপস্যার প্রতীক, যা মা ব্রহ্মচারিণীর তপস্বী প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#তৃতীয় দিন (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা চন্দ্রঘণ্টা – হলুদ রঙ – সমৃদ্ধি, সুখ এবং ইতিবাচকতার প্রতীক, যা মা চন্দ্রঘণ্টার শান্তি ও যুদ্ধ দক্ষতাকে প্রতিফলিত করে।

#চতুর্থ দিন (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কুষ্মাণ্ডা – সবুজ রঙ – প্রকৃতি, উর্বরতা এবং নতুন সূচনার প্রতীক, যা মা কুষ্মাণ্ডার সৃজনশীল শক্তির সঙ্গে জড়িত।

#পঞ্চম দিন (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা স্কন্দমাতা – সাদা রঙ – পবিত্রতা, শান্তি এবং মাতৃত্বের প্রতীক, যা মা স্কন্দমাতার করুণাময় রূপকে প্রতিফলিত করে।

# ষষ্ঠ দিন (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কাত্যায়নী – কমলা রঙ – উৎসাহ, সাহস এবং শক্তির প্রতীক, যা মা কাত্যায়নীর যোদ্ধা প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#সপ্তম দিন (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা কালরাত্রি – কালো রঙ – অন্ধকারের বিনাশ এবং সুরক্ষার প্রতীক, যা মা কালরাত্রির প্রচণ্ড এবং প্রতিরক্ষামূলক শক্তি প্রদর্শন করে।

#অষ্টম দিন (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা মহাগৌরী- গোলাপী রঙ – করুণা এবং সৌন্দর্যের প্রতীক, যা মা মহাগৌরীর পবিত্রতা এবং কোমলতা প্রতিফলিত করে।

#নবম দিন (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা সিদ্ধিদাত্রী- বেগুনি রঙ – আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান এবং কৃতিত্বের প্রতীক, যা মা সিদ্ধিদাত্রীর দেবত্বের সঙ্গে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*‘জন্মাষ্টমী’ – ইতিহাসের প্রেক্ষাপট*

ডেস্ক : জন্মাষ্টমী হল হিন্দু দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। এটি ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে, ভক্তরা উপবাস করে, মন্দিরে যায় এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে। এটি ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

জন্মাষ্টমীর পেছনের ইতিহাস:

শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। তিনি কংসের কারাগারে দেবকী ও বসুদেবের ঘরে জন্মগ্রহন করেন।

কংস ছিলেন একজন অত্যাচারী রাজা, যিনি তার পিতা উগ্রসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করেছিলেন।

কংস জানতে পেরেছিলেন যে দেবকীর অষ্টম পুত্র তার মৃত্যুর কারণ হবে, তাই তিনি দেবকী ও বসুদেবকে বন্দী করেন এবং তাদের প্রত্যেক নবজাতককে হত্যা করার চেষ্টা করেন।

অবশেষে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় এবং বসুদেব তাকে কংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যমুনার ওপারে নন্দালয়ের যশোদার কাছে রেখে আসেন।

শ্রীকৃষ্ণ বড় হয়ে কংসকে হত্যা করে মথুরার সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন এবং প্রজাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনেন। এই কারণে, শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন (“জন্মাষ্টমী”) একটি বিশেষ উৎসব হিসেবে পালিত হয়।

জন্মাষ্টমী উৎসব:

এই দিনে, ভক্তরা উপবাস করে, কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাকীর্তন করে।

অনেক স্থানে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি সুসজ্জিত করা হয় এবং বিশেষ পূজা ও আরতি করা হয়।

এই দিনে মিষ্টান্ন ও ফলমূল দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়।

কিছু মন্দির ও সম্প্রদায়ে, এই দিনে নৃত্য ও নাটকের আয়োজন করা হয়।

জন্মাষ্টমীর তাৎপর্য:

জন্মাষ্টমী শ্রীকৃষ্ণের জন্ম এবং তাঁর ঐশ্বরিক লীলা স্মরণের দিন।

এটি সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার শিক্ষা দেয় এবং ভক্তদেরকে ধর্মের পথে অগ্রসর হতে উৎসাহিত করে।

এই উৎসবটি ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসা প্রদর্শনের একটি উপলক্ষ।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*ভাদ্রমাসের ধৰ্মীয় গুরুত্ব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : সামনেই ভাদ্রমাস। হিন্দু ধর্মে ভাদ্রমাসের বিশেষ গুরুত্ব আছে।

এই মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব (জন্মাষ্টমী) এবং গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এছাড়াও, এই মাসটি তীর্থযাত্রার জন্য শুভ এবং ঋষি পঞ্চমী উৎসবও এই মাসেই পালিত হয়।

ভাদ্র মাসের ধর্মীয় গুরুত্ব:

জন্মাষ্টমী:

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। এই দিনটি বিশেষভাবে জন্মাষ্টমী হিসেবে পালিত হয় এবং এই তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়।

গণেশ চতুর্থী:

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এই দিনে গণেশের পূজা করা হয় এবং এই উৎসবটি মহারাষ্ট্র সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে পালিত হয়।

ঋষি পঞ্চমী:

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে ঋষি পঞ্চমী পালিত হয়। এই দিনে সপ্তর্ষিদের পূজা করা হয় এবং এই তিথিটি তীর্থযাত্রার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।

অন্যান্য উৎসব:

এছাড়াও, ভাদ্র মাসে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পালিত হয়, যেমন – বলাকা চতুর্থী, রাধাষ্টমী ইত্যাদি। ভাদ্র মাসকে তীর্থযাত্রার জন্য শুভ মাসও বলা হয়। এই মাসে তীর্থস্থানে ভ্রমণ করা এবং পূজা-অর্চনা করা বিশেষ ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়।

সৌজন্যে:* www.machinnamasta.in

*শারদীয়া দুর্গোৎসব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : শারদীয় দুর্গা পূজা, যা দুর্গোৎসব বা শারদোৎসব নামেও পরিচিত, এটি বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটি দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মহিষাসুরকে বধ করার জন্য তার বিজয়ের স্মরণে পালিত হয়। এই পূজা মূলত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে চলে। ষষ্ঠীতে দেবীর মূর্তিতে চক্ষুদান ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজার সূচনা হয়, এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর দিনে বিশেষ পূজা ও আরাধনা করা হয়। দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি হয়।

দুর্গাপূজার ইতিহাস বেশ প্রাচীন। যদিও এর সঠিক উৎপত্তি সম্পর্কে মতভেদ আছে, তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে, এই পূজা ৩০০ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শুরু হয়েছিল, যখন ভারতে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা জনপ্রিয় হতে শুরু করে।

[কিছু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা জয়ের আগে শরৎকালে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন, যা "অকালবোধন" বা "শারদীয় দুর্গাপূজা" নামে পরিচিত।এছাড়াও, বিভিন্ন পুরাণ ও মঙ্গলকাব্যগুলোতে দুর্গার পূজা ও মাহাত্ম্যের বর্ণনা পাওয়া যায়।দুর্গাপূজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশএই উৎসবে আনন্দ, মিলন ও সংস্কৃতির উদযাপন ঘটে।অতএব, দুর্গাপূজা একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা দেবী দুর্গার পূজা ও মহিষাসুর বধের স্মৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত।]

অতএব, দুর্গাপূজা একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা দেবী দুর্গার পূজা ও মহিষাসুর বধের স্মৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*ডুরান্ড কাপে অংশগ্রহণ নাও করতে পারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট*

Sports

Sports Desk: এশিয়া প্রাচীন তম ফুটবল কাপ হল ডুরান্ড কাপের খেলা।আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে এবারের ডুরান্ড কাপের খেলা। কিন্তু ইতিমধ্যেই মুম্বই সিটি এফসি-সহ আইএসএলের ৭ টি দল ডুরান্ড কাপে অংশ না-নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।সেই একই পথে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টও ? যা পরিস্থিতি তাতে আইএসএলের অষ্টম দল হিসেবে ডুরান্ডে না-খেলার পথে সবুজ-মেরুন ৷ কেন এই সিদ্ধান্ত ? শোনা যাচ্ছে ফেডারেশনের ডামাডোল পরিস্থিতিই এর পিছনে দায়ী। আগামী ১৪ জুলাই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অচলাবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার কথা। সেই রায় কোন দিগনির্দেশ করে তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ অর্থাৎ ডুরান্ড কাপে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে মোহনবাগানের তরফে ৷

*দমদমে শতবর্ষ প্রাচীন জাগ্রত দেবী বগলামুখীর মন্দির*

ডেস্ক : উত্তর কলকাতার দমদমে, দেবীনিবাস রোডে আছে দেবী বগলামুখীর মন্দির। দশম মহাবিদ্যার অষ্টম মহাবিদ্যা দেবী বগলামুখী। ভক্তদের বিশ্বাস শতবর্ষ প্রাচীন এই দেবীর মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত। মনস্কামনা পূরণের পাশাপাশি, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্যও দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে ছুটে আসেন। কীভাবে যাবেন এই মন্দিরে? দমদম স্টেশনে নেমে নাগেরবাজারগামী অটো বা বাসে চেপে মতিঝিল গার্লস স্কুলের সামনে নামতে হবে। সেখানে রাস্তা পার হয়ে বাসন্তী সুইটস। সেখান থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথ। কথিত আছে সতী যখন মহাদেবের কাছে তাঁর পিতৃগৃহে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন, তখন মহাদেব তাঁকে অনুমতি দেননি। ক্ষুব্ধ দেবী সতী তাঁর ১০টি রুদ্র রূপের মাধ্যমে সেই সময় মহাদেবকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে ভয় দেখিয়েছিলেন।

এই ১০টি রূপের প্রতিটি মহাবিদ্যা নামে খ্যাত। একশো বছর আগে রাধিকাপ্রসাদ সান্যাল স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বপ্নাদেশে তিনি জানতে পেরেছিলেন যেখানে আজ মন্দির, তার মাটির নীচে দেবীমূর্তি রয়েছে। এরপর তিনি মাটি খুঁড়িয়ে সেখান থেকে দেবীর মূর্তিটি উদ্ধার করেন। এখানে প্রতিদিন দেবীর অন্নভোগ হয়। অন্নভোগ হয় একবেলা। সন্ধ্যায় দেওয়া হয় মিষ্টি ও ফল। তন্ত্র অনুযায়ী দেবী বগলা ভক্তের মানসিক ভ্রান্তিনাশের দেবী। অনেকে দেবী বগলাকে শত্রুনাশের দেবীও বলে থাকেন। দেবীর অস্ত্র হল মুগুর বা গদা। দেবী বগলার ভাবগত অর্থ হল, যিনি কোনও কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিতে সক্ষম। দেবী বগলাকে উত্তর ভারতীয়রা পীতাম্বরী বা ব্রহ্মাস্ত্ররূপিণীও বলে থাকেন। তন্ত্রমতে, দেবী যে কোনও দোষকে গুণে পরিণত করতে পারেন। যেমন তিনি বাক্যকে স্তবে, অজ্ঞানকে জ্ঞানে, শক্তিহীনতাকে শক্তিতে আর পরাজয়কে জয়ে পরিবর্তন করতে সক্ষম।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

শশ মহাপুরুষ রাজযোগ অত্যন্ত শুভ যোগ*

ডেস্ক : কোনো শিশুর জন্ম মুহূর্তে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানের উপর তাদের ভাগ্যের অনেক কিছুই নির্ভর করে। সেটি কখনও কোনও রাশির ব্যক্তিদের জন্য সুখের হয়, আবার কারোর জন্য খুব সমস্যার হয়। শশ মহাপুরুষ রাজযোগ অত্যন্ত শুভ যোগ। যে ব্যক্তি জন্ম কুণ্ডলীতে রাজযোগ থাকে, সেই ব্যক্তি অত্যন্ত ধনী হয়ে থাকেন। তাদের ভাগ্য উজ্জ্বল হয়। এই শুভ রাজযোগের প্রভাবে ব্যক্তির জীবনে খুব শুভ সময় শুরু হয়। কখন শশ মহাপুরুষ রাজযোগ গঠিত হয়? যখন কোনও রাশির জাতক জাতিকাদের জন্মকুণ্ডলীতে চন্দ্র থাকে, কেন্দ্রে শনিদেব থাকে। কোন রাশিতে শনিদেব যখন প্রথম, চতুর্থ কিংবা অষ্টম স্থানে তুলা, মকর কিংবা কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করে তখন কিন্তু শশ মহাপুরুষ রাজযোগ তৈরি হয়। এই শুভ রাজযোগ অত্যন্ত শুভ। এই রাজযোগের বিশেষ প্রভাব পড়ে সকলের উপর।

এদের ওপর শনিদেবের বিশেষ কৃপা থাকে। এই ব্যক্তিদের ভাগ্যের দ্বারা সর্বদাই খোলা থাকে। এরা তবে এরা ভীষণ পরিশ্রমী হয়ে থাকেন। আর্থিকদিকে এদের খুব লাভ হয়। এরা ধনী ব্যক্তি হন। এরা অযথা কারোর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে কখনও জড়িয়ে পড়েন না। এরা কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তি হয়ে থাকেন। যে রাশির ব্যক্তিদের ওপর শশ মহাপুরুষ রাজযোগের প্রভাব থাকে, সেই ব্যক্তিরা জীবনে খুব এগিয়ে যেতে পারেন। এরা চাকরি থেকে ব্যবসায় সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারেন। এরা প্রচুর সম্পত্তির মালিক হন। এমনকি বিবাহিত জীবন থেকে পারিবারিক জীবনেও এরা সুখে থাকতে পারেন। এরা আর্থিকদিকে যথেষ্ট উন্নতি করতে পারেন।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*কালাষ্টমী উৎসব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : হিন্দুধর্মে কালাষ্টমী উপবাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিন সকলেই কালভৈরবের পুজো করেন। চলতি বছর কবে পড়েছে কালাষ্টমী উৎসব? ভগবান শিবের উগ্র রূপই হল কালভৈরব। বিশ্বাস করা হয়, কালভৈরব ছিলেন ভগবান শিবের পঞ্চম অবতার। এই দিন ভগবান শিবের এই রূপেরই পুজো করলে জীবনে সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাষ্টমী পুজোর দিন আপনি যদি উপোস করে ভগবান শিবের এই রূপের পুজো করেন, তাহলে আপনার জীবনে সফলতা নিশ্চিত।

# কালষ্টমী উৎসব পড়েছে ২১ এপ্রিল। অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ২০ এপ্রিল সন্ধে ৭ টা ০১ মিনিট থেকে ২১ এপ্রিল সন্ধে ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত এই পুজো চলবে। এই বিশেষ দিনে ব্রাহ্ম মুতে ঘুম থেকে উঠবেন। ভোর ৪ টে ৪৮ থেকে ৫ টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে উঠলে খুব ভালো।

তারপর ২ টো ৩০ থেকে ৩টে ১৯ পর্যন্ত থাকছে বিজয় মুহূর্ত। গোধূলি মুহূর্ত থাকছে সন্ধ্যা ৬ টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৫৬ মিনিট। নিশীথ কাল থাকছে দুপুর ১২ টা ৪ মিনিট থেকে ১২ টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় যদি কালভৈরবের পুজো করেন তাহলে আপনার জীবনে সফলতা আসবে।

# দারিদ্র ব্যক্তিদের দান করুন

এই দিনে ভগবান শিবের বিশেষ পুজো করা হয়। তাই কালভৈরবের মন্ত্র ১০৮ বার জপ করবেন। অবশ্যই এদিন আপনি কিন্তু দারিদ্র ব্যক্তিদের যদি পারেন দান করবেন। এতে কালভৈরবের বিশেষ কৃপা পাবেন।

# কালো কুকুরকে খাওয়ান

এই বিশেষ দিনে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালাবেন। বাড়ির উত্তর, পূর্বকোণে একটি প্রদীপ জ্বালান। যদি পারেন কালো কুকুরকে খাবেন। কারণ কালভৈরবের বাহন কালো কুকুর।

# চাকরি থেকে ব্যবসার বাধা কাটাতে কী করবেন যদি আপনি এদিন চাকরি থেকে ব্যবসায় সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে চান, তাহলে এদিন কালভৈরবের মন্দিরে গিয়ে লেবু ও লঙ্কা দান করুন। তারপর আরেকটা লেবু লঙ্কায় আপনি আপনার অফিস কিংবা দোকানের দরজায় ঝুলিয়ে দিন। এতে জীবনের সমস্ত বাধা আপনার কেটে যাবে । বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করবে।

*ব্যারাকপুর মোহনপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি কর্মীরা*

Khabar kolkata News Desk: বাংলায় একের পর এক ধর্ষনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। শনিবার রাতে মোহনপুর থানার ব্যারাকপুর জাফরপুর স্কুল পাড়ায় টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী শুভ মজুমদারের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।কিশোরীকে ধর্ষণ করার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বেলায় মোহনপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা তথা বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। বিক্ষোভে হাজির ছিলেন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী, প্রাক্তন জেলা সভাপতি সন্দীপ ব্যানার্জি প্রমুখ। এদিন তাঁরা থানার সামনে বসে পড়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান।

ছবি: প্রবীর রায়

আগামীকাল কার্তিক পূর্ণিমার রইল দিনপঞ্জি ও হিন্দু ধর্মে এই বিশেষ দিনটির গুরুত্ব


*ডেস্ক:* কার্তিক মাসটি ভগবান বিষ্ণুর উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত। এটি হিন্দু ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস, ইংরেজি ক্যালেন্ডারে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে পড়ে। এই মাসের অধিপতি হলেন কার্তিকেয়, তাই একে কার্তিক মাস বলা হয়। এই মাসে ধনতেরাস, দীপাবলি, গোবর্ধন এবং ছট পুজোর মতো বড় উৎসবগুলি উদ্‌যাপিত হয়। এই মাসে পতিত দেবত্থানী একাদশী সমস্ত একাদশীর মধ্যে বিশেষ বলে বিবেচিত হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু চার মাস ঘুমের পর জেগে ওঠেন, এরপর চতুর্মাস শেষ হয়।

এই মাসে ভগবান বিষ্ণুর (Vishnu) পুজো করার প্রথা থাকলেও, এই মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান শিবের পুজো করা হয়। এই দিনে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর রাক্ষসকে বধ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই এটি ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। দেব দীপাবলি উৎসবও এই দিনে পালিত হয়। ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই বছর কার্তিক পূর্ণিমা ১৫ নভেম্বর। এই পূর্ণিমায় (Kartick Purnima) ৩০ বছর পর শশ রাজযোগ গঠিত হচ্ছে, যা খুবই উপকারী। এমন অবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু কাজ করলে সব ইচ্ছা পূরণ হতে পারে।

কার্তিক পূর্ণিমা তিথি ১৫ নভেম্বর সকাল ০৬ টা ১৯ মিনিটে শুরু হচ্ছে। এই তিথিটি ১৬ নভেম্বর রাত ২ টো ৫৮ মিনিটে শেষ হবে৷ কার্তিক পূর্ণিমার দিনে স্নান এবং দান করার শুভ সময় হল ভোর ০৪ টে ৫৮ মিনিট থেকে ০৫ টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কার্তিক পূর্ণিমার দিনে বস্ত্র দান করা উচিত। এটি অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে বস্ত্র দান করলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ বংশধরদের উপর থাকে। কার্তিক পূর্ণিমায় তিল দান করুন। ভগবান শিব এতে সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তদের উপর তাঁর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।

কার্তিক পূর্ণিমা হল একটি হিন্দু, শিখ এবং জৈন সাংস্কৃতিক উৎসব, যা কার্তিক মাসের ১৫ তম চন্দ্র দিনে পূর্ণিমায় পালিত হয় । এটি গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির নভেম্বর বা ডিসেম্বরে মাসে অনুষ্ঠিত হয়। এটি দেবতাদের আলোর উৎসব, ত্রিপুরারি পূর্ণিমা বা দেব-দীপাবলি নামেও পরিচিত। এটির সম্পর্কিত উৎসব হলো কার্তিকা দীপম, যা দক্ষিণ ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় একটি ভিন্ন তারিখে পালিত হয়।(Hindu)

*রাধা-কৃষ্ণ*

বৈষ্ণব ঐতিহ্যে, এই দিনটিকে রাধা এবং কৃষ্ণ উভয়ের উপাসনার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং বিশেষ হিসাবে বিবেচনা করা হয় । বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে রাধা-কৃষ্ণ তাদের গোপীদের সাথে রাসলীলা করেছিলেন । জগন্নাথ মন্দির, পুরী এবং অন্যান্য সমস্ত রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে, কার্তিক মাস জুড়ে একটি পবিত্র ব্রত পালন করা হয় এবং কার্তিক পূর্ণিমার দিনে রাসলীলার পরিবেশনা করা হয়। অন্যান্য কিংবদন্তি অনুসারে, এই দিনে কৃষ্ণ রাধার পূজা করেছিলেন।

*শিব*

‘ত্রিপুরারি পূর্ণিমা’ এর নাম ত্রিপুরারি থেকে এসেছে – ত্রিপুরাসুর অসুরের শত্রু । কার্তিক পূর্ণিমার কিছু কিংবদন্তিতে, শব্দটি তারকাসুরের তিন রাক্ষস পুত্রকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় । ত্রিপুরারি হল দেবতা শিবের উপাধি । ত্রিপুরান্তক (“ত্রিপুরাসুর হত্যাকারী”) রূপে শিব এই দিনে ত্রিপুরাসুরকে হত্যা করেছিলেন। ত্রিপুরাসুর সমগ্র বিশ্ব জয় করে দেবতাদের পরাজিত করেছিলেন এবং মহাকাশে তিনটি শহরও তৈরি করেছিলেন, যার নাম ছিল “ত্রিপুরা”। শিবের একটি একক তীর দিয়ে রাক্ষসদের হত্যা এবং তাদের শহর ধ্বংস করেছিল, এতে দেবতা আনন্দিত হয়েছিল এবং তারা দিনটিকে আলোকসজ্জার উৎসব হিসাবে ঘোষণা করেছিল। এই দিনটিকে “দেব-দিওয়ালি” ও বলা হয়।

*তুলসী ও বিষ্ণু*

কার্তিক পূর্ণিমা বিষ্ণুর মৎস্য অবতার এবং তুলসী বৃন্দার জন্মবার্ষিকী হিসাবেও পালিত হয়।

*কার্তিক*

দক্ষিণ ভারতে, কার্তিক পূর্ণিমা যুদ্ধের দেবতা এবং শিবের বড় পুত্র কার্তিকের জন্মদিন হিসাবেও পালিত হয় । এই দিনটিতে মৃত পূর্বপুরুষদের পিতৃ উৎসর্গ করা হয়।

*হিন্দু আচার*

কার্তিক পূর্ণিমা প্রবোধিনী একাদশীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, যেটি চাতুর্মাসের সমাপ্তি চিহ্নিত করে, একটি চার মাসের সময়কাল যখন বিষ্ণু শয়ন করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। প্রবোধিনী একাদশী দেবতার জাগরণকে বোঝায়। এই দিনে চাতুর্মাসের তপস্যা শেষ হয়। প্রবোধিনী একাদশীতে শুরু হওয়া অনেক মেলা কার্তিক পূর্ণিমায় শেষ হয়, কার্তিক পূর্ণিমা সাধারণত মেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে শেষ হওয়া মেলার মধ্যে রয়েছে পন্ধরপুরে প্রবোধিনী একাদশী উদযাপন এবং পুষ্কর মেলা। কার্তিক পূর্ণিমা হল তুলসী বিবাহ অনুষ্ঠান করার শেষ দিন, যা প্রবোধিনী একাদশী থেকে করা যেতে পারে।

এছাড়াও, এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে, বিষ্ণু বালিতে তার অবস্থান শেষ করে তার আবাসে ফিরে আসেন, এবং এ দিনটিকে দেব-দীপাবলি নামে পরিচিত।

রাজস্থানের পুষ্করকে, পুষ্কর মেলা প্রবোধিনী একাদশীতে শুরু হয় এবং কার্তিক পূর্ণিমা পর্যন্ত চলতে থাকে, পরবর্তীটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই মেলা দেবতা ব্রহ্মার সম্মানে অনুষ্ঠিত হয়, যার মন্দির পুষ্করে দাঁড়িয়ে আছে। পুষ্কর হ্রদে কার্তিক পূর্ণিমায় একটি আনুষ্ঠানিক স্নান একজনকে পরিত্রাণের দিকে নিয়ে যায় বলে মনে করা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে কার্তিক পূর্ণিমায় তিনটি পুষ্করকে প্রদক্ষিণ করা পূর্ণদায়ক। সাধুরা এখানে জড়ো হয় এবং একাদশী থেকে পূর্ণিমার দিন পর্যন্ত গুহায় থাকে। মেলার জন্য পুষ্করে প্রায় ২,০০,০০০ মানুষ এবং ২৫,০০০ উট একত্রিত হয়। পুষ্কর মেলা এশিয়ার বৃহত্তম উটের মেলা।

কার্তিক পূর্ণিমায় একটি তীর্থে (একটি হ্রদ বা নদীর মতো একটি পবিত্র জলাশয় ) একটি ধর্মীয় স্নান নির্ধারিত হয়। এই পবিত্র স্নান “কার্তিক স্নান” নামে পরিচিত। পুষ্করে বা গঙ্গা নদীতে, বিশেষ করে বারাণসীতে একটি পবিত্র স্নানকে সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। বারাণসীতে গঙ্গা স্নানের জন্য কার্তিক পূর্ণিমা সবচেয়ে জনপ্রিয় দিন। ভক্তরাও চন্দ্রোদয়ের সময় সন্ধ্যায় স্নান করে এবং ছয়টি প্রার্থনা যেমন শিব সম্বুতি, সাতাইত ইত্যাদির মাধ্যমে উপাসনা করে।

দেবতাদের উদ্দেশে মন্দিরগুলিতে বিশেষ ভাবে নৈবেদ্য আর্পন করা হয় যা অন্নকুট মহা উৎসব নামে পরিচিত। যারা আশ্বিন পূর্ণিমায় ব্রত নিয়েছেন তারা কার্তিকা পূর্ণিমায় তা শেষ করেন। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুরও পূজা করা হয়। এই দিনে যে কোনো ধরনের সহিংসতা বা হিংস নিষিদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে শেভ করা, চুল কাটা, গাছ কাটা, ফল ও ফুল ছিঁড়ে ফেলা, ফসল কাটা এমনকি যৌন মিলন। দান বিশেষ করে গরু দান, ব্রাহ্মণদের খাওয়ানো, উপবাস কার্তিক পূর্ণিমার জন্য নির্ধারিত ধর্মীয় কর্মকাণ্ড। স্বর্ণ উপহার দিলে মানুষের সব ইচ্ছা পূরণ হয়।

শিব উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত উৎসবগুলির মধ্যে শুধুমাত্র মহা শিবরাত্রির পরেই রয়েছে এই ত্রিপুরী পূর্ণিমা। ত্রিপুরাসুর হত্যার স্মরণে ভগবান শিবের প্রতিক শোভাযাত্রায় বহন করা হয়। দক্ষিণ ভারতের মন্দির কমপ্লেক্সগুলি সারা রাত আলোকিত হয়। দীপমালা বা আলোর টাওয়ারগুলি মন্দিরগুলিতে আলোকিত হয়। মৃত্যুর পরে নরক থেকে বাঁচার জন্য লোকেরা মন্দিরে ৩৬০ বা ৭২০ টি বর্তিকা রাখে। ৭২০ টি বর্তিকা হিন্দু ক্যালেন্ডারের ৩৬০ দিন ও রাতের প্রতীক। বারাণসীর ঘাটগুলি হাজার হাজার দিয়া (উজ্জ্বল আলোকিত মাটির প্রদীপ) দিয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে। লোকেরা পুরোহিতদের প্রদীপ উপহার দেয়। ঘরবাড়ি ও শিবমন্দিরে রাতভর প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়। এই দিনটি “কার্তিক দীপরত্ন” নামেও পরিচিত – কার্তিকের প্রদীপের রত্ন। নদীতে ক্ষুদ্র নৌকোতেও দিয়ার প্রদীপে আলো ভাসানো হয়। তুলসী, পবিত্র ডুমুর এবং আমলকী গাছের নিচে আলো স্থাপন করা হয়। জলের মধ্যে এবং গাছের নিচে আলোগুলি মাছ, পোকামাকড় এবং পাখি যারা মুক্তি পেতে আলো দেখেছিল তাদের সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়।

অন্ধ্রপ্রদেশ (AndhraPradesh)এবং তেলেঙ্গানার (telengana)তেলেগু পরিবারগুলিতে, কার্তিকা মাসলু (মাস) খুব শুভ বলে মনে করা হয়। ( আমন্ত ঐতিহ্য) অনুসারে দীপাবলির (Diwali) পরের দিন থেকে কার্তিক মাস শুরু হয় । সেই দিন থেকে মাসের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন তেলের প্রদীপ জ্বালানো হয়। কার্তিক পূর্ণিমায় , শিব মন্দিরগুলিতে (siv) বাড়িতে প্রস্তুত ৩৬৫ টি বাতি সহ তেলের প্রদীপ জ্বালানো হয়। তা ছাড়া পুরো মাস ধরে প্রতিদিন কার্তিকা পুরাণম পাঠ করা হয় এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস পালন করা হয়। স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ও এই দিনটিকে বিশ্বাস এবং উৎসাহের সাথে উদযাপন করা হয়।

(Courtesy_wiki & several articles)