/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz s:%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE
*জ্যোতিষ অনুযায়ী নবরাত্রিতে ৯টি নতুন রংকে আপনি বেছে নিন*

ডেস্ক: হিন্দুধর্মে নবরাত্রি উৎসব একটি বিশেষ উৎসব। এই সময় দেবী দুর্গার ৯টি রূপের পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার রূপ অত্যন্ত পবিত্র, মা তাঁর ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করেন। নবরাত্রির (Navratri) ৯টি দিনের জন্য ৯টি আলাদা আলাদা রঙ থাকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২৫ সালে, নবরাত্রি শুরু হচ্ছে ২২শে সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার একটি নির্দিষ্ট রূপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এবং এই রঙগুলিকে শুভ বলে মনে করা হয়। নবরাত্রিতে নয় দিন কোন কোন রঙের পোশাক পরবেন, কোন দিন কোন দেবীর পুজো, জেনে নিন বিস্তারিত—

# প্রথম দিন (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা শৈলপুত্রী – লাল রঙ – প্রেম, শক্তি এবং শক্তির প্রতীক। এটি মা শৈলপুত্রীর কোমলতা এবং সাহসকে প্রতিফলিত করে।

# দ্বিতীয় দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা ব্রহ্মচারিণী – নীল রঙ – শান্তি, ভক্তি এবং তপস্যার প্রতীক, যা মা ব্রহ্মচারিণীর তপস্বী প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#তৃতীয় দিন (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা চন্দ্রঘণ্টা – হলুদ রঙ – সমৃদ্ধি, সুখ এবং ইতিবাচকতার প্রতীক, যা মা চন্দ্রঘণ্টার শান্তি ও যুদ্ধ দক্ষতাকে প্রতিফলিত করে।

#চতুর্থ দিন (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কুষ্মাণ্ডা – সবুজ রঙ – প্রকৃতি, উর্বরতা এবং নতুন সূচনার প্রতীক, যা মা কুষ্মাণ্ডার সৃজনশীল শক্তির সঙ্গে জড়িত।

#পঞ্চম দিন (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা স্কন্দমাতা – সাদা রঙ – পবিত্রতা, শান্তি এবং মাতৃত্বের প্রতীক, যা মা স্কন্দমাতার করুণাময় রূপকে প্রতিফলিত করে।

# ষষ্ঠ দিন (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কাত্যায়নী – কমলা রঙ – উৎসাহ, সাহস এবং শক্তির প্রতীক, যা মা কাত্যায়নীর যোদ্ধা প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#সপ্তম দিন (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা কালরাত্রি – কালো রঙ – অন্ধকারের বিনাশ এবং সুরক্ষার প্রতীক, যা মা কালরাত্রির প্রচণ্ড এবং প্রতিরক্ষামূলক শক্তি প্রদর্শন করে।

#অষ্টম দিন (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা মহাগৌরী- গোলাপী রঙ – করুণা এবং সৌন্দর্যের প্রতীক, যা মা মহাগৌরীর পবিত্রতা এবং কোমলতা প্রতিফলিত করে।

#নবম দিন (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা সিদ্ধিদাত্রী- বেগুনি রঙ – আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান এবং কৃতিত্বের প্রতীক, যা মা সিদ্ধিদাত্রীর দেবত্বের সঙ্গে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*ভাদ্রমাসের ধৰ্মীয় গুরুত্ব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : সামনেই ভাদ্রমাস। হিন্দু ধর্মে ভাদ্রমাসের বিশেষ গুরুত্ব আছে।

এই মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব (জন্মাষ্টমী) এবং গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এছাড়াও, এই মাসটি তীর্থযাত্রার জন্য শুভ এবং ঋষি পঞ্চমী উৎসবও এই মাসেই পালিত হয়।

ভাদ্র মাসের ধর্মীয় গুরুত্ব:

জন্মাষ্টমী:

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। এই দিনটি বিশেষভাবে জন্মাষ্টমী হিসেবে পালিত হয় এবং এই তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়।

গণেশ চতুর্থী:

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এই দিনে গণেশের পূজা করা হয় এবং এই উৎসবটি মহারাষ্ট্র সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে পালিত হয়।

ঋষি পঞ্চমী:

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে ঋষি পঞ্চমী পালিত হয়। এই দিনে সপ্তর্ষিদের পূজা করা হয় এবং এই তিথিটি তীর্থযাত্রার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।

অন্যান্য উৎসব:

এছাড়াও, ভাদ্র মাসে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পালিত হয়, যেমন – বলাকা চতুর্থী, রাধাষ্টমী ইত্যাদি। ভাদ্র মাসকে তীর্থযাত্রার জন্য শুভ মাসও বলা হয়। এই মাসে তীর্থস্থানে ভ্রমণ করা এবং পূজা-অর্চনা করা বিশেষ ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়।

সৌজন্যে:* www.machinnamasta.in

*পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথ*

ডেস্ক : প্রতি বছর পুরীতে জগন্নাথ রথযাত্রা ঘিরে এক অন্য উদ্দীপনা তৈরি হয়। ভক্তরা এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও প্রথমবার পালিত হবে রথযাত্রার উৎসব। আসুন জেনে নিই এই বছরের রথযাত্রা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা ভগবান জগন্নাথ, তাঁর বড় ভাই বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রাকে গুন্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যায়। এটি চেরোয়াত উৎসব বা শ্রী গুন্ডিচা যাত্রা নামেও পরিচিত।

রথযাত্রার তাৎপর্য কী

স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, বিশ্বাস করা হয় যে জগতের ত্রাণকর্তা ভগবান জগন্নাথ প্রতি বছর তাঁর রথযাত্রার মাধ্যমে ভক্তদের দর্শন দিতে এবং গুন্ডিচা মন্দিরে বিশ্রাম নিতে বেরিয়ে আসেন। এই যাত্রা শুরু হয় চার ধামগুলির মধ্যে একটি পুরীতে।

২০২৫ সালের পুরী রথযাত্রার প্রধান আচার-অনুষ্ঠান

রথযাত্রা – ২৭ জুন

হেরা পঞ্চমী – ১ জুলাই

বহুদা যাত্রা – ৪ জুলাই

সুনাবেশা – ৫ জুলাই

নীলাদ্রি বিজয় – ৫ জুলাই

উল্টো রথযাত্রা (পুনর্যাত্রা) – ৫ জুলাই (২০ আষাঢ়), শনিবার

এই পুরো অনুষ্ঠান মোট ৯ দিন ধরে চলে এবং নীলাদ্রি বিজয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।

এই যাত্রার একটি তাৎপর্য হল, সব ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষ দেবতার দর্শন করতে পারেন। এমনকী শোভাযাত্রাতেও অংশগ্রহণ করতে পারেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী জগন্নাথদেবের রথের রশি স্পর্শ করলে পুনর্জন্মের বিড়ম্বনা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়। এমনকী স্কন্দ পুরাণ ও বামদেব সংহিতায় রথের রশি স্পর্শ করে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভের কথাও বলা হয়েছে। একসময় পুরীর রথযাত্রায় জগন্নাথদেবের রশি ছুঁয়ে সেই রথের চাকার তলায় স্বেচ্ছায় প্রাণ বিসর্জন দিতেন অসংখ্য ভক্ত। আপনিও রথের রশি টানবেন তো? জেনে নিন রথযাত্রার শুভ সময়-

রথযাত্রা:

১২ আষাঢ় (২৭ জুন) শুক্রবার

উল্টো রথযাত্রা:

২০ আষাঢ় (৫ জুলাই) শনিবার।

সৌজন্যে:www.machinnamasta.in

*নবদ্বীপের পোড়ামা কালীমন্দির*

ডেস্ক: পোড়ামা কালীমন্দির পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে অবস্থিত একটি প্রাচীন কালী মন্দির। পোড়ামা নবদ্বীপের অধিষ্ঠাত্রী লৌকিক দেবী। এই মন্দিরের পাশেই ভবতারণ শিব এবং ভবতারিনী কালী মন্দির অবস্থিত। নবদ্বীপের গ্রাম্যদেবী পোড়ামা সারাবছর দক্ষিণাকালীর ধ্যানেই পূজিত হন। তবে শুধুমাত্র সরস্বতী পূজার দিন শ্রীপঞ্চমী তিথিতে দেবী নীল সরস্বতী রূপে পূজিত হন। পোড়ামার এই মন্দির প্রাঙ্গনেই নবদ্বীপের পণ্ডিত-বিদ্বজ্জনেরা সংস্কৃতচর্চা, বিতর্কসভার আয়োজন করতেন। পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে পোড়ামাতলাকে নবদ্বীপের হেরিটেজ স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

জনশ্রুতি আছে, পঞ্চদশ শতাব্দীতে বাসুদেব সার্বভৌম নামক এক পণ্ডিত নবদ্বীপ শহরের এক বটবৃক্ষতলে দক্ষিণাকালীর ঘট স্থাপন করেন। কোন এক সময়ে বটগাছটি অগ্নিদগ্ধ হলে এই কালী পোড়ামা বা বিদগ্ধজননী নামে জনপ্রিয় হন। অন্য মতে, বাসুদেব সার্বভৌম এর বহু পূর্বে জনৈক রামভদ্র সিদ্ধান্তবাগীশ দক্ষিণাকালীর সাধক ছিলেন। গোপাল মন্ত্রে সিদ্ধ অন্য এক পণ্ডিতের সঙ্গে তার শাস্ত্রীয় বিচার হয়। পরাজিত ব্যক্তি বিজয়ীর মন্ত্রশিষ্য হবেন, উভয়ে এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। সিদ্ধান্তবাগীশ, পরাজিত হয়ে প্রতিজ্ঞামতো তার ইষ্টমন্ত্র ত্যাগ করতে উদ্যত হলে, ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডে তার ইটের বাড়ি ভস্মীভূত হতে থাকে এবং মন্দিরের মধ্যে দেবীর করালমূর্তি তার দর্শনগোচর হয়, দেবীর কোলে গোপাল উপবিষ্ট। মন্ত্রশোধিত জল ছড়িয়ে আগুন নিভলে সাধক নিজে বেঁচে যান এবং তার মন্দিরে দু’খানি মাত্র ইট অবশিষ্ট থাকে।এই ইট দুখানা আজও পোড়া-মার আধার হয়ে রয়েছে এবং তার উপরেই ঘটস্থাপন করে পূজা হয়। ঐতিহাসিক ভোলানাথ চন্দ ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে পোড়ামাতলার বটগাছটিকে একশো বছরের প্রাচীন বলে নির্দিষ্ট করেছিলেন।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*কালাষ্টমী উৎসব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : হিন্দুধর্মে কালাষ্টমী উপবাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিন সকলেই কালভৈরবের পুজো করেন। চলতি বছর কবে পড়েছে কালাষ্টমী উৎসব? ভগবান শিবের উগ্র রূপই হল কালভৈরব। বিশ্বাস করা হয়, কালভৈরব ছিলেন ভগবান শিবের পঞ্চম অবতার। এই দিন ভগবান শিবের এই রূপেরই পুজো করলে জীবনে সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাষ্টমী পুজোর দিন আপনি যদি উপোস করে ভগবান শিবের এই রূপের পুজো করেন, তাহলে আপনার জীবনে সফলতা নিশ্চিত।

# কালষ্টমী উৎসব পড়েছে ২১ এপ্রিল। অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ২০ এপ্রিল সন্ধে ৭ টা ০১ মিনিট থেকে ২১ এপ্রিল সন্ধে ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত এই পুজো চলবে। এই বিশেষ দিনে ব্রাহ্ম মুতে ঘুম থেকে উঠবেন। ভোর ৪ টে ৪৮ থেকে ৫ টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে উঠলে খুব ভালো।

তারপর ২ টো ৩০ থেকে ৩টে ১৯ পর্যন্ত থাকছে বিজয় মুহূর্ত। গোধূলি মুহূর্ত থাকছে সন্ধ্যা ৬ টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৫৬ মিনিট। নিশীথ কাল থাকছে দুপুর ১২ টা ৪ মিনিট থেকে ১২ টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় যদি কালভৈরবের পুজো করেন তাহলে আপনার জীবনে সফলতা আসবে।

# দারিদ্র ব্যক্তিদের দান করুন

এই দিনে ভগবান শিবের বিশেষ পুজো করা হয়। তাই কালভৈরবের মন্ত্র ১০৮ বার জপ করবেন। অবশ্যই এদিন আপনি কিন্তু দারিদ্র ব্যক্তিদের যদি পারেন দান করবেন। এতে কালভৈরবের বিশেষ কৃপা পাবেন।

# কালো কুকুরকে খাওয়ান

এই বিশেষ দিনে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালাবেন। বাড়ির উত্তর, পূর্বকোণে একটি প্রদীপ জ্বালান। যদি পারেন কালো কুকুরকে খাবেন। কারণ কালভৈরবের বাহন কালো কুকুর।

# চাকরি থেকে ব্যবসার বাধা কাটাতে কী করবেন যদি আপনি এদিন চাকরি থেকে ব্যবসায় সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে চান, তাহলে এদিন কালভৈরবের মন্দিরে গিয়ে লেবু ও লঙ্কা দান করুন। তারপর আরেকটা লেবু লঙ্কায় আপনি আপনার অফিস কিংবা দোকানের দরজায় ঝুলিয়ে দিন। এতে জীবনের সমস্ত বাধা আপনার কেটে যাবে । বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করবে।

*প্রয়াগ রাজ ত্রিবেণী সঙ্গমে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল পঞ্চম শাহী স্নান*
*Khabar kolkata News Desk:* কোন অঘটন ছাড়াই আজ মাঘী পূর্ণিমাতে মহা কুম্ভের পুণ্যস্নান সম্পন্ন হল প্রয়াগরাজ ত্রিবেণী সঙ্গমে। এই শাহী স্নান সামিল  বাংলার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকরা। তাঁরা ক্লাবের দুরবস্থার উন্নতির জন্য সঙ্গমে পতাকা হাতে ডুব দিলেন। এছাড়াও আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ল পরমার্থ নিকেতনের স্বামী চিন্ময়ানন্দ জী মহারাজকে। এদিনও পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রশাসন হেলিকপ্টার থেকে সঙ্গমে পুষ্প বৃষ্টি করা হল। প্রশাসন সূত্রে খবর এদিন প্রায় ৭৬ লক্ষ মানুষ সঙ্গমে স্নান সেরেছেন। এদিন ভোর ৪ টে থেকে কন্ট্রোল রুমের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজ বাসভবন থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রেখে ছিলেন। নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল পঞ্চম শাহী স্নান। * ছবি ও প্রতিবেদন: সঞ্জয় হাজরা ( খবর কলকাতা)।*
*ব্রজে বসন্ত পঞ্চামী থেকেই শুরু হয় হোলি উৎসব*

ডেস্ক: ৩ ফেব্রুয়ারি বাকদেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছিলেন সারা ভারত। আর আগামী ১৪ মার্চ হোলি। এখনও এক মাস এগারো দিন বকি। কিন্তু ব্রজধামে ৩তারিখ থেকেই শুরু হয়ে গেছে হোলি উৎসব। বসন্ত পঞ্চমীর দিন সেখানে হোলি শুরু হয়ে যায়। এরপর এই উৎসব চলতে থাকে টানা ৪০ দিন।

কেন সেখানে একমাসেরও বেশি সময় ধরে হোলি পালন হয়? এ বিষয়ে বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরের পুজারী নীতীন সাবারিয়া গোস্বামীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হোলির (Holi) যে ৪০ দিনের উৎসব, সেটা বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকে সারা ব্রজে পালিত হয়। বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকে হোলির শুভারম্ভ হয়। বিভিন্ন মন্দিরে এই দিন থেকে আবির ওড়ানো হয়। ঠাকুরজি মহারাজকে প্রতিদিন সকালে ও রাতে দু’বার ফেটা বাঁধা হয়। যখন ঠাকুরজি গোয়ালা রূপে থাকতেন, তাঁর যে গোয়ালা বন্ধুরা ছিল, তাঁদের সঙ্গে জায়গায় জায়গায় গিয়ে আবির ওড়াতেন।’

জানা যায়, এই সময় বৃন্দাবনের (vrindaban) নানা মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। তার মধ্যে অন্যতম বাঁকে বিহারী মন্দির। সেখানকার পুজারীর কথা অনুযায়ী, বসন্ত পঞ্চমীর দিন আরতির পর ভক্তদের জন্য আবির ওড়ানো হয়। সেখানে হোলির (Holy) গান গাইতে থাকেন আগত ভক্তবৃন্দ। বাঁকে বিহারী মন্দিরে ভক্তদের ভিড়ের জন্য রোজ হোলি পালন করা যায় না। তবে বিহারীজিকে রোজ আবির লাগিয়ে দেন সেখানকার সেবাইতরা। নিয়ম বলে এখানেও ৪০দিন হোলি পালন করা উচিত। কিন্তু নিধিবনে বিহারীজির যে আর এক মন্দির রয়েছে, সেখানে নিয়ম করে আবির ওড়ানো হয়।

*সরস্বতী পুজোর নির্দিষ্ট সময় জেনে নিন বিভিন্ন পঞ্জিকা মতে*

ডেস্ক : বসন্ত পঞ্চামী আর কয়েক দিন পরেই। সেই তিথিতে আমরা সরস্বতীর আরাধনা করি। এ বছর পঞ্চামী পড়েছে ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি। আপনি কবে ও কখন পুজো করবেন? মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে হয় বাগদেবীর আরাধনা। এই দিন সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) সঙ্গে বসন্ত পঞ্চমী পালিত হয়। মা সরস্বতী হলেন বিদ্যা, জ্ঞান এবং সঙ্গীতের দেবী। বৈদিক দেবী সরস্বতী। তাঁর চার হাতের এক হাতে থাকে পুস্তক (বই), জপমালা, জলের পাত্র ও বীণা। দেবী সরস্বতীর হাতে বীণা থাকে বলে তাঁকে বীণাপানি বলা হয়। এ বছর কবে সরস্বতী পুজো পালিত হবে? এ বিষয় নিয়ে অনেকের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে। ২০২৫ সালে সরস্বতী পুজোর দিন হিসেবে দুটো তারিখ উঠে আসছে। এক, ২ ফেব্রুয়ারি। দুই, ৩ ফেব্রুয়ারি। স্বাভাবিকভাবেই এ বার মনে যে প্রশ্ন আসতে পারে, তা হল – এ বার কি তবে দুই দিন সরস্বতী পুজো? কী বলছে পঞ্জিকা?

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে:-

পঞ্চমী তিথি আরম্ভক্ষণ –

বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

সময়– সকাল ৯টা ১৬ মিনিট।

পঞ্চমী তিথি শেষ –

বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

সময়– সকাল ৬টা ৫৩ মিনিট।

গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে:-

পঞ্চমী তিথি আরম্ভক্ষণ –

বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

সময়– বেলা ১২টা ১২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড।

পঞ্চমী তিথি শেষ –

বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

সময়– সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড।

দৃকপঞ্জিকা অনুসারে:-

পঞ্চমী তিথি আরম্ভক্ষণ –

বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

সময় – সকাল ৯টা ১৪ মিনিট।

পঞ্চমী তিথি শেষ –

বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

সময়– সকাল ৬টা ৫২ মিনিট।

বেণীমাধব শীলের গার্হস্থ্য পঞ্জিকা অনুসারে:-

পঞ্চমী তিথি আরম্ভক্ষণ –

বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

সময় – বেলা ১২টা ৩৪ মিনিট।

পঞ্চমী তিথি শেষ –

বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

সময়– সকাল ৯টা ৫৯ মিনিট।

*বাড়িতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বসন্ত পঞ্চামীতে বাড়িতে আনুন কিছু জিনিস*

ডেস্ক : বসন্ত পঞ্চমী ভারতীয় জ্যোতিষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন আমরা সরস্বতীর আরাধনা করি। পড়ুয়ারা মনে করেন, এই বিশেষ দিনে মা সরস্বতীর পুজা করলে শিক্ষাক্ষেত্রে সফলতা লেগেই থাকে। এমনকি জীবনে সাফল্য আসে। প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমী উৎসব পালন করেন সকলে। কথিত আছে, এদিন মা সরস্বতী পুজো করলে শিক্ষার্থীরা জীবনে এগিয়ে যেতে পারেন। চলতি বছর বসন্ত পঞ্চমী পালিত হবে ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার। বসন্ত পঞ্চমীর দিন মা সরস্বতী পুজো করা করলে পড়াশুনায় মন বাড়ে। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, বসন্ত পঞ্চমী তিথি আবুঝ মুহুর্তা নামে পরিচিত অর্থাৎ এটি একটি শুভ দিন। এদিন আপনি যে শুভ কাজ করবেন সেখানেই সফলতা আসবে। বসন্ত পঞ্চমীরা দিন কোন কোন জিনিস বাড়িতে আনা অত্যন্ত শুভ, জানুন।

# হলুদ ফুল

বসন্ত পঞ্চমীর দিন বাড়িতে অবশ্যই হলুদ রঙের ফুল কেনা উচিত। হলুদ রঙ দেবী পার্বতীরও খুব প্রিয়। তাছাড়া মা সরস্বতীর অত্যন্ত প্রিয় একটি ফুল। এই ফুল বাড়িতে আপনার বাড়িতে রাখলে আপনার জীবনে সফলতা লেগে থাকবে।

পার্বতী, ভগবান শিবের পুজো করুন

বসন্ত পঞ্চমীর দিন যদি আপনি মা পার্বতী, ভগবান শিবের পুজো করেন তাহলেও আপনার জীবনে সফলতা আসবে। তাই তাদের বিবাহ সংক্রান্ত জিনিস , তাদের জন্য যদি পারেন কোনও গয়না কিনে আনেন, তাহলে আপনার আর্থিকদিকেও খুব লাভ হবে।

সরস্বতীর মূর্তি –

বসন্ত পঞ্চমীর দিন মা সরস্বতীর পুজো করুন। এই দিন মা সরস্বতীর মূর্তি কিনে এনে বাড়িতে পুজো করুন। সেই মূর্তি বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে রাখুন। এতে দেখবেন মা সরস্বতীর কৃপায় আপনার জীবনের সফলতা আসবে। পড়াশোনাতেও মন বাড়বে আপনার।

গাড়ি, বাড়ি কিনুন –

বসন্ত বা পঞ্চমীর দিন কেনাকাটা করা খুব শুভ দিন। তাই চাইলে আপনি এদিন গাড়ি, বাড়ি কিনতে পারেন। এটি আপনার জন্য অত্যন্ত শুভ হবে।

ছোট বাদ্যযন্ত্র

মা সরস্বতী সংগীতের দেবী। তাই বসন্ত পঞ্চমীতে আপনি কিন্তু ছোট বাদ্যযন্ত্র কিনতে পারেন। এতে মা সরস্বতী খুব খুশি হবেন। তাঁর কৃপায় আপনার জীবনেও সফলতা আসবে। এমনকি আপনার সন্তানের পড়াশুনা ও গানের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

*জন্ম তারিখ বলে দেবে আপনার ইস্ট দেবতা*

ডেস্ক : ভারতীয় জ্যোতিষ অনেক কথা বলে, যা আমরা কল্পনা করতে পারি না। ভারতীয় জ্যোতিষের কাছে জন্ম তারিখ খুবি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের একজন ইস্টদেবতা থাকে। কিন্তু আমরা জানিনা যে আমার ইস্টদেবতা কে? জ্যোতিষ আপনার জন্ম তারিখ অনুযায়ী বলে দেবে কে আপনার ইস্টদেবতা।

# হিন্দু ধর্ম মতে যে সব ব্যাক্তির জন্ম তারিখ কোনও মাসের ১, ১০, ১৯ বা ২৮ তারিখে, তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন সংসারের পালন কর্তা ভগবান বিষ্ণু।

# আপনার জন্ম কি কোনও মাসের ৫, ৭, ১৪, ১৬, ২৩ বা ২৫ তারিখে? জানেন আপনার ইষ্টদেবতা কে? হিন্দু ধর্ম মতে আপনার ইষ্টদেবতা হল সিদ্ধিদাতা গণেশ।

# আচ্ছা আপনিও কি মহাদেবের ভক্ত? আপনার জন্ম তারিখ কি কোনও মাসের ২, ১১, ২০ বা ২৯ তারিখে? হিন্দু ধর্ম মতে কিন্তু এই সব তারিখে জন্মানো ব্যাক্তিদের ইষ্টদেবতা হলেন মহাদেব।

# বিদ্যার দেবী সরস্বতী। তাঁকে বন্দনা করে বিদ্যা লাভ হয় না। সামনেই আবার বসন্ত পঞ্চমী। ধর্ম মতে ৪, ১৩, ২২ ও ৩১ তারিখে যাঁদের জন্ম তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন দেবী সরস্বতী।

# কথায় বলে রামভক্ত হনুমান। তাঁর মতো প্রভু ভক্ত খুব কম আছেন। হনুমানকে শিবের অংশ বলেও মনে করা হয়। হিন্দু ধর্ম মতে ৯, ১৮ বা ২৭ তারিখে যাঁদের জন্ম তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন হনুমানজী।

# সম্পত্তির দেবী লক্ষ্মী। যেখানে শান্তি বিরাজ করে সেখানেই থাকেন দেবী লক্ষ্মী। তাঁর আশির্বাদে ফুলে ফেঁপে ওঠে সকলের জীবন। ধর্ম মতে ৬, ১৫ ও ২৪ তারিখে যাঁদের জন্ম তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন স্বয়ং দেবী লক্ষ্মী।

# এই বিশ্ব সংসারে অধর্মকে নাশ করে ধর্মের ধ্বজা ওড়াতে অবতার রূপে জন্ম নিয়েছিলেন কৃষ্ণ।

ভগবান বিষ্ণুর আরেক রূপ তিনি। ধর্ম মতে কোনও মাসের ৮, ১৭ ও ২৬ তারিখে যাঁদের জন্ম, তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন কৃষ্ণ।

# তিনি হলে গোটা বঙ্গ জুড়ে আসে খুশির আমেজ। তিনি হলেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। হিন্দু ধর্ম মতে কোনও মাসের ৩, ১২, ২১ ও ৩০ তারিখে যাঁদের জন্ম তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন দেবী দুর্গা।

*জ্যোতিষ অনুযায়ী নবরাত্রিতে ৯টি নতুন রংকে আপনি বেছে নিন*

ডেস্ক: হিন্দুধর্মে নবরাত্রি উৎসব একটি বিশেষ উৎসব। এই সময় দেবী দুর্গার ৯টি রূপের পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার রূপ অত্যন্ত পবিত্র, মা তাঁর ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করেন। নবরাত্রির (Navratri) ৯টি দিনের জন্য ৯টি আলাদা আলাদা রঙ থাকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২৫ সালে, নবরাত্রি শুরু হচ্ছে ২২শে সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার একটি নির্দিষ্ট রূপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এবং এই রঙগুলিকে শুভ বলে মনে করা হয়। নবরাত্রিতে নয় দিন কোন কোন রঙের পোশাক পরবেন, কোন দিন কোন দেবীর পুজো, জেনে নিন বিস্তারিত—

# প্রথম দিন (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা শৈলপুত্রী – লাল রঙ – প্রেম, শক্তি এবং শক্তির প্রতীক। এটি মা শৈলপুত্রীর কোমলতা এবং সাহসকে প্রতিফলিত করে।

# দ্বিতীয় দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা ব্রহ্মচারিণী – নীল রঙ – শান্তি, ভক্তি এবং তপস্যার প্রতীক, যা মা ব্রহ্মচারিণীর তপস্বী প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#তৃতীয় দিন (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা চন্দ্রঘণ্টা – হলুদ রঙ – সমৃদ্ধি, সুখ এবং ইতিবাচকতার প্রতীক, যা মা চন্দ্রঘণ্টার শান্তি ও যুদ্ধ দক্ষতাকে প্রতিফলিত করে।

#চতুর্থ দিন (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কুষ্মাণ্ডা – সবুজ রঙ – প্রকৃতি, উর্বরতা এবং নতুন সূচনার প্রতীক, যা মা কুষ্মাণ্ডার সৃজনশীল শক্তির সঙ্গে জড়িত।

#পঞ্চম দিন (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা স্কন্দমাতা – সাদা রঙ – পবিত্রতা, শান্তি এবং মাতৃত্বের প্রতীক, যা মা স্কন্দমাতার করুণাময় রূপকে প্রতিফলিত করে।

# ষষ্ঠ দিন (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কাত্যায়নী – কমলা রঙ – উৎসাহ, সাহস এবং শক্তির প্রতীক, যা মা কাত্যায়নীর যোদ্ধা প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#সপ্তম দিন (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা কালরাত্রি – কালো রঙ – অন্ধকারের বিনাশ এবং সুরক্ষার প্রতীক, যা মা কালরাত্রির প্রচণ্ড এবং প্রতিরক্ষামূলক শক্তি প্রদর্শন করে।

#অষ্টম দিন (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা মহাগৌরী- গোলাপী রঙ – করুণা এবং সৌন্দর্যের প্রতীক, যা মা মহাগৌরীর পবিত্রতা এবং কোমলতা প্রতিফলিত করে।

#নবম দিন (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা সিদ্ধিদাত্রী- বেগুনি রঙ – আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান এবং কৃতিত্বের প্রতীক, যা মা সিদ্ধিদাত্রীর দেবত্বের সঙ্গে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*ভাদ্রমাসের ধৰ্মীয় গুরুত্ব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : সামনেই ভাদ্রমাস। হিন্দু ধর্মে ভাদ্রমাসের বিশেষ গুরুত্ব আছে।

এই মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব (জন্মাষ্টমী) এবং গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এছাড়াও, এই মাসটি তীর্থযাত্রার জন্য শুভ এবং ঋষি পঞ্চমী উৎসবও এই মাসেই পালিত হয়।

ভাদ্র মাসের ধর্মীয় গুরুত্ব:

জন্মাষ্টমী:

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। এই দিনটি বিশেষভাবে জন্মাষ্টমী হিসেবে পালিত হয় এবং এই তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়।

গণেশ চতুর্থী:

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। এই দিনে গণেশের পূজা করা হয় এবং এই উৎসবটি মহারাষ্ট্র সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে পালিত হয়।

ঋষি পঞ্চমী:

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে ঋষি পঞ্চমী পালিত হয়। এই দিনে সপ্তর্ষিদের পূজা করা হয় এবং এই তিথিটি তীর্থযাত্রার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।

অন্যান্য উৎসব:

এছাড়াও, ভাদ্র মাসে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পালিত হয়, যেমন – বলাকা চতুর্থী, রাধাষ্টমী ইত্যাদি। ভাদ্র মাসকে তীর্থযাত্রার জন্য শুভ মাসও বলা হয়। এই মাসে তীর্থস্থানে ভ্রমণ করা এবং পূজা-অর্চনা করা বিশেষ ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়।

সৌজন্যে:* www.machinnamasta.in

*পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথ*

ডেস্ক : প্রতি বছর পুরীতে জগন্নাথ রথযাত্রা ঘিরে এক অন্য উদ্দীপনা তৈরি হয়। ভক্তরা এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও প্রথমবার পালিত হবে রথযাত্রার উৎসব। আসুন জেনে নিই এই বছরের রথযাত্রা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা ভগবান জগন্নাথ, তাঁর বড় ভাই বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রাকে গুন্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যায়। এটি চেরোয়াত উৎসব বা শ্রী গুন্ডিচা যাত্রা নামেও পরিচিত।

রথযাত্রার তাৎপর্য কী

স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, বিশ্বাস করা হয় যে জগতের ত্রাণকর্তা ভগবান জগন্নাথ প্রতি বছর তাঁর রথযাত্রার মাধ্যমে ভক্তদের দর্শন দিতে এবং গুন্ডিচা মন্দিরে বিশ্রাম নিতে বেরিয়ে আসেন। এই যাত্রা শুরু হয় চার ধামগুলির মধ্যে একটি পুরীতে।

২০২৫ সালের পুরী রথযাত্রার প্রধান আচার-অনুষ্ঠান

রথযাত্রা – ২৭ জুন

হেরা পঞ্চমী – ১ জুলাই

বহুদা যাত্রা – ৪ জুলাই

সুনাবেশা – ৫ জুলাই

নীলাদ্রি বিজয় – ৫ জুলাই

উল্টো রথযাত্রা (পুনর্যাত্রা) – ৫ জুলাই (২০ আষাঢ়), শনিবার

এই পুরো অনুষ্ঠান মোট ৯ দিন ধরে চলে এবং নীলাদ্রি বিজয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।

এই যাত্রার একটি তাৎপর্য হল, সব ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষ দেবতার দর্শন করতে পারেন। এমনকী শোভাযাত্রাতেও অংশগ্রহণ করতে পারেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী জগন্নাথদেবের রথের রশি স্পর্শ করলে পুনর্জন্মের বিড়ম্বনা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়। এমনকী স্কন্দ পুরাণ ও বামদেব সংহিতায় রথের রশি স্পর্শ করে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভের কথাও বলা হয়েছে। একসময় পুরীর রথযাত্রায় জগন্নাথদেবের রশি ছুঁয়ে সেই রথের চাকার তলায় স্বেচ্ছায় প্রাণ বিসর্জন দিতেন অসংখ্য ভক্ত। আপনিও রথের রশি টানবেন তো? জেনে নিন রথযাত্রার শুভ সময়-

রথযাত্রা:

১২ আষাঢ় (২৭ জুন) শুক্রবার

উল্টো রথযাত্রা:

২০ আষাঢ় (৫ জুলাই) শনিবার।

সৌজন্যে:www.machinnamasta.in

*নবদ্বীপের পোড়ামা কালীমন্দির*

ডেস্ক: পোড়ামা কালীমন্দির পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে অবস্থিত একটি প্রাচীন কালী মন্দির। পোড়ামা নবদ্বীপের অধিষ্ঠাত্রী লৌকিক দেবী। এই মন্দিরের পাশেই ভবতারণ শিব এবং ভবতারিনী কালী মন্দির অবস্থিত। নবদ্বীপের গ্রাম্যদেবী পোড়ামা সারাবছর দক্ষিণাকালীর ধ্যানেই পূজিত হন। তবে শুধুমাত্র সরস্বতী পূজার দিন শ্রীপঞ্চমী তিথিতে দেবী নীল সরস্বতী রূপে পূজিত হন। পোড়ামার এই মন্দির প্রাঙ্গনেই নবদ্বীপের পণ্ডিত-বিদ্বজ্জনেরা সংস্কৃতচর্চা, বিতর্কসভার আয়োজন করতেন। পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে পোড়ামাতলাকে নবদ্বীপের হেরিটেজ স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

জনশ্রুতি আছে, পঞ্চদশ শতাব্দীতে বাসুদেব সার্বভৌম নামক এক পণ্ডিত নবদ্বীপ শহরের এক বটবৃক্ষতলে দক্ষিণাকালীর ঘট স্থাপন করেন। কোন এক সময়ে বটগাছটি অগ্নিদগ্ধ হলে এই কালী পোড়ামা বা বিদগ্ধজননী নামে জনপ্রিয় হন। অন্য মতে, বাসুদেব সার্বভৌম এর বহু পূর্বে জনৈক রামভদ্র সিদ্ধান্তবাগীশ দক্ষিণাকালীর সাধক ছিলেন। গোপাল মন্ত্রে সিদ্ধ অন্য এক পণ্ডিতের সঙ্গে তার শাস্ত্রীয় বিচার হয়। পরাজিত ব্যক্তি বিজয়ীর মন্ত্রশিষ্য হবেন, উভয়ে এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। সিদ্ধান্তবাগীশ, পরাজিত হয়ে প্রতিজ্ঞামতো তার ইষ্টমন্ত্র ত্যাগ করতে উদ্যত হলে, ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডে তার ইটের বাড়ি ভস্মীভূত হতে থাকে এবং মন্দিরের মধ্যে দেবীর করালমূর্তি তার দর্শনগোচর হয়, দেবীর কোলে গোপাল উপবিষ্ট। মন্ত্রশোধিত জল ছড়িয়ে আগুন নিভলে সাধক নিজে বেঁচে যান এবং তার মন্দিরে দু’খানি মাত্র ইট অবশিষ্ট থাকে।এই ইট দুখানা আজও পোড়া-মার আধার হয়ে রয়েছে এবং তার উপরেই ঘটস্থাপন করে পূজা হয়। ঐতিহাসিক ভোলানাথ চন্দ ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে পোড়ামাতলার বটগাছটিকে একশো বছরের প্রাচীন বলে নির্দিষ্ট করেছিলেন।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*কালাষ্টমী উৎসব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : হিন্দুধর্মে কালাষ্টমী উপবাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিন সকলেই কালভৈরবের পুজো করেন। চলতি বছর কবে পড়েছে কালাষ্টমী উৎসব? ভগবান শিবের উগ্র রূপই হল কালভৈরব। বিশ্বাস করা হয়, কালভৈরব ছিলেন ভগবান শিবের পঞ্চম অবতার। এই দিন ভগবান শিবের এই রূপেরই পুজো করলে জীবনে সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাষ্টমী পুজোর দিন আপনি যদি উপোস করে ভগবান শিবের এই রূপের পুজো করেন, তাহলে আপনার জীবনে সফলতা নিশ্চিত।

# কালষ্টমী উৎসব পড়েছে ২১ এপ্রিল। অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ২০ এপ্রিল সন্ধে ৭ টা ০১ মিনিট থেকে ২১ এপ্রিল সন্ধে ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত এই পুজো চলবে। এই বিশেষ দিনে ব্রাহ্ম মুতে ঘুম থেকে উঠবেন। ভোর ৪ টে ৪৮ থেকে ৫ টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে উঠলে খুব ভালো।

তারপর ২ টো ৩০ থেকে ৩টে ১৯ পর্যন্ত থাকছে বিজয় মুহূর্ত। গোধূলি মুহূর্ত থাকছে সন্ধ্যা ৬ টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৫৬ মিনিট। নিশীথ কাল থাকছে দুপুর ১২ টা ৪ মিনিট থেকে ১২ টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় যদি কালভৈরবের পুজো করেন তাহলে আপনার জীবনে সফলতা আসবে।

# দারিদ্র ব্যক্তিদের দান করুন

এই দিনে ভগবান শিবের বিশেষ পুজো করা হয়। তাই কালভৈরবের মন্ত্র ১০৮ বার জপ করবেন। অবশ্যই এদিন আপনি কিন্তু দারিদ্র ব্যক্তিদের যদি পারেন দান করবেন। এতে কালভৈরবের বিশেষ কৃপা পাবেন।

# কালো কুকুরকে খাওয়ান

এই বিশেষ দিনে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালাবেন। বাড়ির উত্তর, পূর্বকোণে একটি প্রদীপ জ্বালান। যদি পারেন কালো কুকুরকে খাবেন। কারণ কালভৈরবের বাহন কালো কুকুর।

# চাকরি থেকে ব্যবসার বাধা কাটাতে কী করবেন যদি আপনি এদিন চাকরি থেকে ব্যবসায় সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে চান, তাহলে এদিন কালভৈরবের মন্দিরে গিয়ে লেবু ও লঙ্কা দান করুন। তারপর আরেকটা লেবু লঙ্কায় আপনি আপনার অফিস কিংবা দোকানের দরজায় ঝুলিয়ে দিন। এতে জীবনের সমস্ত বাধা আপনার কেটে যাবে । বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করবে।

*প্রয়াগ রাজ ত্রিবেণী সঙ্গমে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল পঞ্চম শাহী স্নান*
*Khabar kolkata News Desk:* কোন অঘটন ছাড়াই আজ মাঘী পূর্ণিমাতে মহা কুম্ভের পুণ্যস্নান সম্পন্ন হল প্রয়াগরাজ ত্রিবেণী সঙ্গমে। এই শাহী স্নান সামিল  বাংলার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকরা। তাঁরা ক্লাবের দুরবস্থার উন্নতির জন্য সঙ্গমে পতাকা হাতে ডুব দিলেন। এছাড়াও আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ল পরমার্থ নিকেতনের স্বামী চিন্ময়ানন্দ জী মহারাজকে। এদিনও পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রশাসন হেলিকপ্টার থেকে সঙ্গমে পুষ্প বৃষ্টি করা হল। প্রশাসন সূত্রে খবর এদিন প্রায় ৭৬ লক্ষ মানুষ সঙ্গমে স্নান সেরেছেন। এদিন ভোর ৪ টে থেকে কন্ট্রোল রুমের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজ বাসভবন থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রেখে ছিলেন। নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল পঞ্চম শাহী স্নান। * ছবি ও প্রতিবেদন: সঞ্জয় হাজরা ( খবর কলকাতা)।*
*ব্রজে বসন্ত পঞ্চামী থেকেই শুরু হয় হোলি উৎসব*

ডেস্ক: ৩ ফেব্রুয়ারি বাকদেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছিলেন সারা ভারত। আর আগামী ১৪ মার্চ হোলি। এখনও এক মাস এগারো দিন বকি। কিন্তু ব্রজধামে ৩তারিখ থেকেই শুরু হয়ে গেছে হোলি উৎসব। বসন্ত পঞ্চমীর দিন সেখানে হোলি শুরু হয়ে যায়। এরপর এই উৎসব চলতে থাকে টানা ৪০ দিন।

কেন সেখানে একমাসেরও বেশি সময় ধরে হোলি পালন হয়? এ বিষয়ে বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরের পুজারী নীতীন সাবারিয়া গোস্বামীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হোলির (Holi) যে ৪০ দিনের উৎসব, সেটা বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকে সারা ব্রজে পালিত হয়। বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকে হোলির শুভারম্ভ হয়। বিভিন্ন মন্দিরে এই দিন থেকে আবির ওড়ানো হয়। ঠাকুরজি মহারাজকে প্রতিদিন সকালে ও রাতে দু’বার ফেটা বাঁধা হয়। যখন ঠাকুরজি গোয়ালা রূপে থাকতেন, তাঁর যে গোয়ালা বন্ধুরা ছিল, তাঁদের সঙ্গে জায়গায় জায়গায় গিয়ে আবির ওড়াতেন।’

জানা যায়, এই সময় বৃন্দাবনের (vrindaban) নানা মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। তার মধ্যে অন্যতম বাঁকে বিহারী মন্দির। সেখানকার পুজারীর কথা অনুযায়ী, বসন্ত পঞ্চমীর দিন আরতির পর ভক্তদের জন্য আবির ওড়ানো হয়। সেখানে হোলির (Holy) গান গাইতে থাকেন আগত ভক্তবৃন্দ। বাঁকে বিহারী মন্দিরে ভক্তদের ভিড়ের জন্য রোজ হোলি পালন করা যায় না। তবে বিহারীজিকে রোজ আবির লাগিয়ে দেন সেখানকার সেবাইতরা। নিয়ম বলে এখানেও ৪০দিন হোলি পালন করা উচিত। কিন্তু নিধিবনে বিহারীজির যে আর এক মন্দির রয়েছে, সেখানে নিয়ম করে আবির ওড়ানো হয়।

*সরস্বতী পুজোর নির্দিষ্ট সময় জেনে নিন বিভিন্ন পঞ্জিকা মতে*

ডেস্ক : বসন্ত পঞ্চামী আর কয়েক দিন পরেই। সেই তিথিতে আমরা সরস্বতীর আরাধনা করি। এ বছর পঞ্চামী পড়েছে ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি। আপনি কবে ও কখন পুজো করবেন? মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে হয় বাগদেবীর আরাধনা। এই দিন সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) সঙ্গে বসন্ত পঞ্চমী পালিত হয়। মা সরস্বতী হলেন বিদ্যা, জ্ঞান এবং সঙ্গীতের দেবী। বৈদিক দেবী সরস্বতী। তাঁর চার হাতের এক হাতে থাকে পুস্তক (বই), জপমালা, জলের পাত্র ও বীণা। দেবী সরস্বতীর হাতে বীণা থাকে বলে তাঁকে বীণাপানি বলা হয়। এ বছর কবে সরস্বতী পুজো পালিত হবে? এ বিষয় নিয়ে অনেকের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে। ২০২৫ সালে সরস্বতী পুজোর দিন হিসেবে দুটো তারিখ উঠে আসছে। এক, ২ ফেব্রুয়ারি। দুই, ৩ ফেব্রুয়ারি। স্বাভাবিকভাবেই এ বার মনে যে প্রশ্ন আসতে পারে, তা হল – এ বার কি তবে দুই দিন সরস্বতী পুজো? কী বলছে পঞ্জিকা?

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে:-

পঞ্চমী তিথি আরম্ভক্ষণ –

বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

সময়– সকাল ৯টা ১৬ মিনিট।

পঞ্চমী তিথি শেষ –

বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

সময়– সকাল ৬টা ৫৩ মিনিট।

গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে:-

পঞ্চমী তিথি আরম্ভক্ষণ –

বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

সময়– বেলা ১২টা ১২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড।

পঞ্চমী তিথি শেষ –

বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

সময়– সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড।

দৃকপঞ্জিকা অনুসারে:-

পঞ্চমী তিথি আরম্ভক্ষণ –

বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

সময় – সকাল ৯টা ১৪ মিনিট।

পঞ্চমী তিথি শেষ –

বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

সময়– সকাল ৬টা ৫২ মিনিট।

বেণীমাধব শীলের গার্হস্থ্য পঞ্জিকা অনুসারে:-

পঞ্চমী তিথি আরম্ভক্ষণ –

বাংলা– ১৯ মাঘ, রবিবার।

ইংরেজি– ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার।

সময় – বেলা ১২টা ৩৪ মিনিট।

পঞ্চমী তিথি শেষ –

বাংলা– ২০ মাঘ, সোমবার।

ইংরেজি– ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

সময়– সকাল ৯টা ৫৯ মিনিট।

*বাড়িতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বসন্ত পঞ্চামীতে বাড়িতে আনুন কিছু জিনিস*

ডেস্ক : বসন্ত পঞ্চমী ভারতীয় জ্যোতিষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন আমরা সরস্বতীর আরাধনা করি। পড়ুয়ারা মনে করেন, এই বিশেষ দিনে মা সরস্বতীর পুজা করলে শিক্ষাক্ষেত্রে সফলতা লেগেই থাকে। এমনকি জীবনে সাফল্য আসে। প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমী উৎসব পালন করেন সকলে। কথিত আছে, এদিন মা সরস্বতী পুজো করলে শিক্ষার্থীরা জীবনে এগিয়ে যেতে পারেন। চলতি বছর বসন্ত পঞ্চমী পালিত হবে ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার। বসন্ত পঞ্চমীর দিন মা সরস্বতী পুজো করা করলে পড়াশুনায় মন বাড়ে। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, বসন্ত পঞ্চমী তিথি আবুঝ মুহুর্তা নামে পরিচিত অর্থাৎ এটি একটি শুভ দিন। এদিন আপনি যে শুভ কাজ করবেন সেখানেই সফলতা আসবে। বসন্ত পঞ্চমীরা দিন কোন কোন জিনিস বাড়িতে আনা অত্যন্ত শুভ, জানুন।

# হলুদ ফুল

বসন্ত পঞ্চমীর দিন বাড়িতে অবশ্যই হলুদ রঙের ফুল কেনা উচিত। হলুদ রঙ দেবী পার্বতীরও খুব প্রিয়। তাছাড়া মা সরস্বতীর অত্যন্ত প্রিয় একটি ফুল। এই ফুল বাড়িতে আপনার বাড়িতে রাখলে আপনার জীবনে সফলতা লেগে থাকবে।

পার্বতী, ভগবান শিবের পুজো করুন

বসন্ত পঞ্চমীর দিন যদি আপনি মা পার্বতী, ভগবান শিবের পুজো করেন তাহলেও আপনার জীবনে সফলতা আসবে। তাই তাদের বিবাহ সংক্রান্ত জিনিস , তাদের জন্য যদি পারেন কোনও গয়না কিনে আনেন, তাহলে আপনার আর্থিকদিকেও খুব লাভ হবে।

সরস্বতীর মূর্তি –

বসন্ত পঞ্চমীর দিন মা সরস্বতীর পুজো করুন। এই দিন মা সরস্বতীর মূর্তি কিনে এনে বাড়িতে পুজো করুন। সেই মূর্তি বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে রাখুন। এতে দেখবেন মা সরস্বতীর কৃপায় আপনার জীবনের সফলতা আসবে। পড়াশোনাতেও মন বাড়বে আপনার।

গাড়ি, বাড়ি কিনুন –

বসন্ত বা পঞ্চমীর দিন কেনাকাটা করা খুব শুভ দিন। তাই চাইলে আপনি এদিন গাড়ি, বাড়ি কিনতে পারেন। এটি আপনার জন্য অত্যন্ত শুভ হবে।

ছোট বাদ্যযন্ত্র

মা সরস্বতী সংগীতের দেবী। তাই বসন্ত পঞ্চমীতে আপনি কিন্তু ছোট বাদ্যযন্ত্র কিনতে পারেন। এতে মা সরস্বতী খুব খুশি হবেন। তাঁর কৃপায় আপনার জীবনেও সফলতা আসবে। এমনকি আপনার সন্তানের পড়াশুনা ও গানের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

*জন্ম তারিখ বলে দেবে আপনার ইস্ট দেবতা*

ডেস্ক : ভারতীয় জ্যোতিষ অনেক কথা বলে, যা আমরা কল্পনা করতে পারি না। ভারতীয় জ্যোতিষের কাছে জন্ম তারিখ খুবি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের একজন ইস্টদেবতা থাকে। কিন্তু আমরা জানিনা যে আমার ইস্টদেবতা কে? জ্যোতিষ আপনার জন্ম তারিখ অনুযায়ী বলে দেবে কে আপনার ইস্টদেবতা।

# হিন্দু ধর্ম মতে যে সব ব্যাক্তির জন্ম তারিখ কোনও মাসের ১, ১০, ১৯ বা ২৮ তারিখে, তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন সংসারের পালন কর্তা ভগবান বিষ্ণু।

# আপনার জন্ম কি কোনও মাসের ৫, ৭, ১৪, ১৬, ২৩ বা ২৫ তারিখে? জানেন আপনার ইষ্টদেবতা কে? হিন্দু ধর্ম মতে আপনার ইষ্টদেবতা হল সিদ্ধিদাতা গণেশ।

# আচ্ছা আপনিও কি মহাদেবের ভক্ত? আপনার জন্ম তারিখ কি কোনও মাসের ২, ১১, ২০ বা ২৯ তারিখে? হিন্দু ধর্ম মতে কিন্তু এই সব তারিখে জন্মানো ব্যাক্তিদের ইষ্টদেবতা হলেন মহাদেব।

# বিদ্যার দেবী সরস্বতী। তাঁকে বন্দনা করে বিদ্যা লাভ হয় না। সামনেই আবার বসন্ত পঞ্চমী। ধর্ম মতে ৪, ১৩, ২২ ও ৩১ তারিখে যাঁদের জন্ম তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন দেবী সরস্বতী।

# কথায় বলে রামভক্ত হনুমান। তাঁর মতো প্রভু ভক্ত খুব কম আছেন। হনুমানকে শিবের অংশ বলেও মনে করা হয়। হিন্দু ধর্ম মতে ৯, ১৮ বা ২৭ তারিখে যাঁদের জন্ম তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন হনুমানজী।

# সম্পত্তির দেবী লক্ষ্মী। যেখানে শান্তি বিরাজ করে সেখানেই থাকেন দেবী লক্ষ্মী। তাঁর আশির্বাদে ফুলে ফেঁপে ওঠে সকলের জীবন। ধর্ম মতে ৬, ১৫ ও ২৪ তারিখে যাঁদের জন্ম তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন স্বয়ং দেবী লক্ষ্মী।

# এই বিশ্ব সংসারে অধর্মকে নাশ করে ধর্মের ধ্বজা ওড়াতে অবতার রূপে জন্ম নিয়েছিলেন কৃষ্ণ।

ভগবান বিষ্ণুর আরেক রূপ তিনি। ধর্ম মতে কোনও মাসের ৮, ১৭ ও ২৬ তারিখে যাঁদের জন্ম, তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন কৃষ্ণ।

# তিনি হলে গোটা বঙ্গ জুড়ে আসে খুশির আমেজ। তিনি হলেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। হিন্দু ধর্ম মতে কোনও মাসের ৩, ১২, ২১ ও ৩০ তারিখে যাঁদের জন্ম তাঁদের ইষ্টদেবতা হলেন দেবী দুর্গা।