*জ্যোতিষ অনুযায়ী নবরাত্রিতে ৯টি নতুন রংকে আপনি বেছে নিন*

ডেস্ক: হিন্দুধর্মে নবরাত্রি উৎসব একটি বিশেষ উৎসব। এই সময় দেবী দুর্গার ৯টি রূপের পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার রূপ অত্যন্ত পবিত্র, মা তাঁর ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করেন। নবরাত্রির (Navratri) ৯টি দিনের জন্য ৯টি আলাদা আলাদা রঙ থাকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২৫ সালে, নবরাত্রি শুরু হচ্ছে ২২শে সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার একটি নির্দিষ্ট রূপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এবং এই রঙগুলিকে শুভ বলে মনে করা হয়। নবরাত্রিতে নয় দিন কোন কোন রঙের পোশাক পরবেন, কোন দিন কোন দেবীর পুজো, জেনে নিন বিস্তারিত—

# প্রথম দিন (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা শৈলপুত্রী – লাল রঙ – প্রেম, শক্তি এবং শক্তির প্রতীক। এটি মা শৈলপুত্রীর কোমলতা এবং সাহসকে প্রতিফলিত করে।

# দ্বিতীয় দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা ব্রহ্মচারিণী – নীল রঙ – শান্তি, ভক্তি এবং তপস্যার প্রতীক, যা মা ব্রহ্মচারিণীর তপস্বী প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#তৃতীয় দিন (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা চন্দ্রঘণ্টা – হলুদ রঙ – সমৃদ্ধি, সুখ এবং ইতিবাচকতার প্রতীক, যা মা চন্দ্রঘণ্টার শান্তি ও যুদ্ধ দক্ষতাকে প্রতিফলিত করে।

#চতুর্থ দিন (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কুষ্মাণ্ডা – সবুজ রঙ – প্রকৃতি, উর্বরতা এবং নতুন সূচনার প্রতীক, যা মা কুষ্মাণ্ডার সৃজনশীল শক্তির সঙ্গে জড়িত।

#পঞ্চম দিন (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা স্কন্দমাতা – সাদা রঙ – পবিত্রতা, শান্তি এবং মাতৃত্বের প্রতীক, যা মা স্কন্দমাতার করুণাময় রূপকে প্রতিফলিত করে।

# ষষ্ঠ দিন (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কাত্যায়নী – কমলা রঙ – উৎসাহ, সাহস এবং শক্তির প্রতীক, যা মা কাত্যায়নীর যোদ্ধা প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#সপ্তম দিন (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা কালরাত্রি – কালো রঙ – অন্ধকারের বিনাশ এবং সুরক্ষার প্রতীক, যা মা কালরাত্রির প্রচণ্ড এবং প্রতিরক্ষামূলক শক্তি প্রদর্শন করে।

#অষ্টম দিন (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা মহাগৌরী- গোলাপী রঙ – করুণা এবং সৌন্দর্যের প্রতীক, যা মা মহাগৌরীর পবিত্রতা এবং কোমলতা প্রতিফলিত করে।

#নবম দিন (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা সিদ্ধিদাত্রী- বেগুনি রঙ – আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান এবং কৃতিত্বের প্রতীক, যা মা সিদ্ধিদাত্রীর দেবত্বের সঙ্গে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

৩০ বছর পরে শনিদেব বৃহস্পতির রাশি মীনে প্রবেশ করেছেন – উন্নতি হবে কয়েক রাশির

ডেস্ক : কর্মফলদাতা শনিদেব প্রতি আড়াই বছর ছাড়া ছাড়া রাশি পরিবর্তন করে থাকেন, তিনি ন্যায়ের দেবতাও বটে ৷ এই পরিস্থিতিতেই জীবন আরও সুন্দর ও সুরক্ষিত হতে পারে। ৩০ বছর পরে শনিদেব বৃহস্পতির রাশি মীনে প্রবেশ করেছেন গত ২৯ মার্চ ২০২৫-এ ৷ এই রাশিতেই থাকবেন আগামী ২০২৭ পর্যন্ত ৷ জুলাইতে শনিদেব বক্রি হবেন। ১৩৮ দিন বক্রপথে থাকার পরে সোজা চালে ফিরে আসবেন, অর্থাৎ শনির মার্গি হবে ৷ এরফলেই আর্থিক পরিস্থিতি আগের থেকে আরও সুন্দর হবে কয়েকটি রাশির ৷ শনির মার্গির ফলে কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা বিশাল উন্নতিকর পরিস্থিতি আসতে চলেছে।শনির সোজা চালে ভাগ্যদেবী প্রসন্ন হবে ৷

বৃষ রাশি – বৃষ রাশির জন্য আগের থেকে পরিস্থিতি আরও ভাল হবে ৷ শনির সোজা চালে এবার মালামাল হতে চলেছে ৷ শনি রাশির আয় ও লাভের ঘরে মার্গি হতে চলেছেন ৷ তিনি দেখছেন নবম ও দ্বাদশ ঘর ৷ এরফলে ছোটখাট ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন ৷ জাতক-জাতিকারা বিশেষ লাভের মুখ দেখবেন ৷ ভাইবোনের মধুর সম্পর্ক এবার আরও ভাল হবে ৷বিদেশ যাত্রায় ভাল খবর পাবেন, অনেক সমস্যা আছে তা নভেম্বরের পর থেকে ভাল হবে ৷ শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে ৷ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে যে রণনীতি তৈরি করা প্রয়োজন সেটিই সম্পন্ন হবে ৷

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*শারদীয়া দুর্গোৎসব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : শারদীয় দুর্গা পূজা, যা দুর্গোৎসব বা শারদোৎসব নামেও পরিচিত, এটি বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটি দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মহিষাসুরকে বধ করার জন্য তার বিজয়ের স্মরণে পালিত হয়। এই পূজা মূলত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে চলে। ষষ্ঠীতে দেবীর মূর্তিতে চক্ষুদান ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজার সূচনা হয়, এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর দিনে বিশেষ পূজা ও আরাধনা করা হয়। দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি হয়।

দুর্গাপূজার ইতিহাস বেশ প্রাচীন। যদিও এর সঠিক উৎপত্তি সম্পর্কে মতভেদ আছে, তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে, এই পূজা ৩০০ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শুরু হয়েছিল, যখন ভারতে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা জনপ্রিয় হতে শুরু করে।

[কিছু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা জয়ের আগে শরৎকালে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন, যা "অকালবোধন" বা "শারদীয় দুর্গাপূজা" নামে পরিচিত।এছাড়াও, বিভিন্ন পুরাণ ও মঙ্গলকাব্যগুলোতে দুর্গার পূজা ও মাহাত্ম্যের বর্ণনা পাওয়া যায়।দুর্গাপূজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশএই উৎসবে আনন্দ, মিলন ও সংস্কৃতির উদযাপন ঘটে।অতএব, দুর্গাপূজা একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা দেবী দুর্গার পূজা ও মহিষাসুর বধের স্মৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত।]

অতএব, দুর্গাপূজা একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা দেবী দুর্গার পূজা ও মহিষাসুর বধের স্মৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*ধর্ম ও জ্যোতিষমতে হনুমান জয়ন্তী পালনের রীতি*

ডেস্ক : রামনবমীর পরেই আসে রামভক্ত হনুমান জয়ন্তী। চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। কথিত আছে, ক্রেতা যুগের এই তিথির ভোরেই নাকি হনুমানজির জন্ম হয়েছিল। পৌরাণিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই বিশেষ তিথিতে সংকটমোচন হনুমানজি আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই এই দিনটি তার জন্মদিন হিসাবে খুব রীতিনীতি মেনেই পালন করা হয়। চলতি বছর হনুমান জয়ন্তী পড়েছে ১২ এপ্রিল, শনিবার।

# পবনপুত্র

তাছাড়াও প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। মনে করা হয় হনুমানজির পুজো করলে জীবনে কোনও কাজেই ব্যক্তি পিছিয়ে পড়বেন না। এমন কি তিনি সংকটমোচন দেবতা নামেও পরিচিত। বলা হয়, হনুমানজি হলেন মহাদেবের রুদ্র অবতার। হনুমানজির অনেক অলৌকিক ও ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে। যা শক্তি, প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের দাতা বলে মনে করা হয়। হনুমানজিকে মহারাজের আটটি সিদ্ধি ও নয়টি নিধি রয়েছে। শিব পুরাণ অনুযায়ী হনুমানজি হলেন ভগবান শিবের এগারোতম অবতার। হনুমানজি পবন পুত্র নামেও পরিচিত।

# বাড়িতে রাখুন হনুমানজির ছবি –

কথিত আছে, ভগবান শ্রী রামের ভক্ত হনুমানজি জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করতে পারেন। এবং ঘরে যদি আপনি হনুমানজির ছবি বা মূর্তি রাখেন, তাহলে আপনার জীবনে কোনও কষ্টই থাকবে না। শুধু তাই নয়, সমস্ত সমস্যা সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

# জানুন শুভ সময় –

চলতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ১২ এপ্রিল ভোর ৩ টে ২১ মিনিট থেকে এটি ১৩ এপ্রিল বিকেল ৫ টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। তাই উদয় তিথি অনুযায়ী এই বছর হনুমান জয়ন্তী পালিত হবে ১২ এপ্রিল।

# উপোস করবেন –

হনুমান জয়ন্তীর দিন হনুমানজির পুজো করলে আপনি উপোস করে ভগবানের পূজো করবেন। ভুলেও এই দিন আমিষ জাতীয় কোনও খাবার খাবেন না। এতে জীবনে নানান সমস্যা আসবে। ক্রুদ্ধ হতে পারেন বজরংবলী।

কথিত আছে সূর্যোদয়ের সময় জন্ম হয়েছিল হনুমানজির। তাই হনুমান জয়ন্তীর দিন ব্রাহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠুন। আর এই সময়ে যদি আপনি হনুমানজির পুজো করতে পারেন তাহলে জীবনে সফলতা নিশ্চিত।

*বাংলার প্রাচীন রাম মন্দির হাওড়ার রামরাজাতলা রাম মন্দির*

ডেস্ক: রবিবার পালিত হলো রাম নবমী। বাংলায় বেশ প্রাচীন কিছু রাম মন্দির থাকলেই আগে কখনো এমন ঘটা করে রাম নবমী পালিত হতো না। আমাদের জানা দরকার বাংলার প্রাচীনতম রামমন্দির কোনটি। এই বিষয়ে ইতিহাস জানাচ্ছে, বাংলার প্রাচীন রাম মন্দির হাওড়া রামরাজাতলা রাম মন্দির। প্রায় ৩৫০ বছর প্রাচীন হাওড়া রামরাজাতলা রামপুজো। রামনবমীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত সমাগম ঘটে এখানে।এবছর শনিবার রাত ১২ টার পর রাম নবমীর সূচনা হয়। তারপর থেকে মন্দিরে ভক্ত সমাগম ঘটে। রাত দুটো থেকে পুজো শুরু হয়। রবিবার সারাদিন পুজো আরাধনা হয়ে রাত্রি ৯- ১০ টা পর্যন্ত চলে । এবারও লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে বলেই জানা যায়।

প্রতিবছর রামনবমী ও রাম বিজয়াতে অসংখ্য ভক্ত সমাগম ঘটে এখানে। রাম নবমীতে পাঁচ রকম ফল থেকে শুরু করে ভক্তের সাধ্যমত পুজো অর্ঘ্য ডালি সাজে ভক্তরা পুজো দিয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ ভক্ত ভগবান রামচন্দ্রের পছন্দের সাদা পদ্ম এবং মা সীতার পছন্দের লাল পদ্ম নিবেদন করেন। প্রাচীন রীতি মেনে রাম সীতার যুগল মূর্তি পূজিত হয় এখানে। রাম সীতা ছাড়াও শিব ব্রহ্মা, সরস্বতী, বিভীষণ, শিবের অনুচর নন্দী ফিরিঙ্গি, ব্রহ্মার অনুচর জাম্বুবান, রামের গুরুদেব বশিষ্ঠ মুনি আছেন এবং মা ধরনী সহ বিভিন্ন দেবদেবী রাম সীতার সঙ্গে এখানে পূজিত হন। প্রতিদিন সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা পুজো। তারপর হোম সন্ধ্যা আরতি এবং রাত্রে শয়ন নিয়ম মেনে। রামনবমীর দিন থেকে আগামী চার মাস এখানে রাম পুজো অনুষ্ঠিত হয়। রামনবমীর দিন ছাড়াও অন্যান্য দিনও বহু ভক্ত সমাগম ঘটে।

*বাড়ি থেকে উদ্ধার একটি নবজাতক শিশু হনুমানের বাচ্চা*

প্রবীর রায়: উত্তর ২৪ পরগনার পলতার শান্তিনগর হেলথ সেন্টার সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়ি থেকে জালে আটকা যাওয়া হনুমানের বাচ্চাকে উদ্ধার করল রেসকিউ দল।উদ্ধারকারী শ্যামনগর রেসকিউ টিমের প্রতাপ দাস জানান, রাম নবমীর শুভ দিনে এই উদ্ধার কাজ করতে পেরে তারা গর্বিত বোধ করছেন। তিনি বলেন,এই এলাকার আশীষ বালার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি নবজাতক শিশু হনুমানের বাচ্চাকে।বাচ্চাটি জড়িয়ে ছিল জালের মধ্যে।বাড়ি থেকে যোগাযোগ করেন বনদপ্তরের সাথে। কিন্তু এদিন বনদপ্তর বন্ধ থাকার কারণে খবর যায় শ্যামনগর রেসকিউ টিমের কাছে। খবর পেয়েই দ্রুত শ্যামনগর রেসকিউ টিমের সদস্যরা সেখানে পৌঁছে যান। কিছু ক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার করে হনুমানের বাচ্চাটিকে তার মা'র কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

*বারাসাতে রামনবমী মিছিলে মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার*

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর ২৪ পরগনার সদর বারাসাতে রাম নবমীর মিছিলে উপস্থিত মিঠুন চক্রবর্তী ও সুকান্ত মজুমদারকে। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে আগেই কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে, তবুও রাজ্যের নানা প্রান্তের সঙ্গেই রামনবমী উদযাপনে বারাসাতে অস্ত্র হাতেই দেখা গেল রাম ভক্তদের।এদিনের রামনবমী উপলক্ষ্যে বারাসাতে শোভাযাত্রা করেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিনের এই শোভাযাত্রা ঘিরে যতোটা না উন্মাদনা ছিল, তার থেকে বেশি ছিল মিঠুন সুকান্তদের দেখার জন্য উৎসাহী মানুষের ভিড়।রাস্তার দুই ধারে ভিড় জমাতে থাকেন বহু সাধারণ মানুষ।হুড খোলা গাড়িতে চেপে মিঠুন সুকান্তরা এন্ট্রি নিতেই জয় শ্রীরাম ধোনি আর প্রায় সকলের হাতেই দেখা যায় গেরুয়া পতাকা। এক ঝলক দেখে মনে হতেই পারে যেন কোনও নির্বাচনী শোভাযাত্রা।ভিড় সামলাতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।কিন্তু মিছিলের মধ্যেই দেখা যায় কারও হাতে ত্রিশূল,কারও হাতে আবার তরোয়াল। অস্ত্র মিছিল প্রসঙ্গে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন,"মহরমে যখন তরোয়াল নিয়ে বের হন তখন সেকুলার,আর হিন্দুদের রামনবমীতে তরোয়ালটা সাম্প্রদায়িক,এটা চলতে পারেনা। হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত যে আক্রমণ ও অত্যাচার হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী যে ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন তাতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জয় শ্রীরামের মন্ত্র আওড়াচ্ছেন। এটা আগমনী সুর, রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়ার সুর।২৬ শে রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হবে।" এদিনের শোভাযাত্রায় মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে ঢল নামে মানুষের। অন্যদিকে,বারাসাতে এই শোভাযাত্রায় চোখে পড়ে বিভিন্ন ট্যাবলো।যেখানে শ্রীরামের জন্মকথা থেকে বনবাস রাবণ বধ তুলে ধরা হয়েছে, আয়োজন করা হয়েছিল ঝুমুর নাচেরও।

ছবি: অঙ্কিত মুখার্জী

*হালিশহরে রাম নবমীর মিছিল*

প্রবীর রায়: অযোধ্যার পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে চলছে রাম নবমীর উদযাপন। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের এক মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল ব্যারাকপুর লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং, বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পান্ডে সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকেও।

*২০২৬ শের বিধানসভায় বিজেপিকে চাই পোস্টারে ছয়লাম ব্যারাকপুরে*

প্রবীর রায়: বছর ঘুরতেই বঙ্গে ২০২৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখে ২০২৫ সাল থেকে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবির। সনাতনীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়ে ব্যারাকপুর আনন্দপুরী সেন্ট্রাল রোড এবং ওল্ড ক্যালকাটা রোড জুড়ে পোস্টার পড়ল বহু পোষ্টার। তাতে লেখা 'এবার ২০২৬ শে বিজেপিকে চাই।' এই পোস্টারের নিচে লেখা আছে, প্রচারে মিলন কৃষ্ণ আশ। ব্যারাকপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা মিলন কৃষ্ণ আশ বলেন, "বাংলাদেশে সনাতনীদের ওপর অত্যাচার চলছে। বাংলাতেও দিকে দিকে সনাতনীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলায় সনাতনীদের রক্ষার্থে বিজেপি সরকার আসা দরকার। অন্যথায় বাংলায় সনাতনীরা বিপন্ন হয়ে পড়বে। তাই বাংলায় সনাতনীদের একজোট করতেই রামনবমী উপলক্ষ্যে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে।"

অর্জুন সিংকে গ্রেপ্তার করা হলে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে বনধ-হরতাল করা হবে হুঁশিয়ারি, শুভেন্দু অধিকারীর

প্রবীর রায় : ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে গ্রেপ্তার করা হলে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে বনধ, হরতাল করা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে জগদ্দলের মজদুর ভবনে এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সাফ জানান, গুলি-বোমাবাজির ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে,তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁর দাবি, রামনবমীকে কেন্দ্র করে অর্জুন সিং সনাতনীদের ঐক্যবদ্ধ করছেন। তাই তৃণমূল এবং পুলিশের যৌথ চক্রান্তের ফসল এই ঘটনা। তাঁর কথায়, অর্জুন সিংয়ের ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। এর পেছনে রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি কাজ করছে। এর শেষ কোথায়, প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, মমতা ব্যানার্জি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর ভাইপো যেদিন জেলে যাবে। সেদিন সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। এদিন শুভেন্দু ছাড়াও হাজির ছিলেন বর্ষীয়ান বরানগরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা তাপস রায়, বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং প্রমুখ।

*জ্যোতিষ অনুযায়ী নবরাত্রিতে ৯টি নতুন রংকে আপনি বেছে নিন*

ডেস্ক: হিন্দুধর্মে নবরাত্রি উৎসব একটি বিশেষ উৎসব। এই সময় দেবী দুর্গার ৯টি রূপের পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার রূপ অত্যন্ত পবিত্র, মা তাঁর ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করেন। নবরাত্রির (Navratri) ৯টি দিনের জন্য ৯টি আলাদা আলাদা রঙ থাকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২৫ সালে, নবরাত্রি শুরু হচ্ছে ২২শে সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে। প্রতিটি দিনের রঙ দেবী দুর্গার একটি নির্দিষ্ট রূপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এবং এই রঙগুলিকে শুভ বলে মনে করা হয়। নবরাত্রিতে নয় দিন কোন কোন রঙের পোশাক পরবেন, কোন দিন কোন দেবীর পুজো, জেনে নিন বিস্তারিত—

# প্রথম দিন (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা শৈলপুত্রী – লাল রঙ – প্রেম, শক্তি এবং শক্তির প্রতীক। এটি মা শৈলপুত্রীর কোমলতা এবং সাহসকে প্রতিফলিত করে।

# দ্বিতীয় দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা ব্রহ্মচারিণী – নীল রঙ – শান্তি, ভক্তি এবং তপস্যার প্রতীক, যা মা ব্রহ্মচারিণীর তপস্বী প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#তৃতীয় দিন (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা চন্দ্রঘণ্টা – হলুদ রঙ – সমৃদ্ধি, সুখ এবং ইতিবাচকতার প্রতীক, যা মা চন্দ্রঘণ্টার শান্তি ও যুদ্ধ দক্ষতাকে প্রতিফলিত করে।

#চতুর্থ দিন (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কুষ্মাণ্ডা – সবুজ রঙ – প্রকৃতি, উর্বরতা এবং নতুন সূচনার প্রতীক, যা মা কুষ্মাণ্ডার সৃজনশীল শক্তির সঙ্গে জড়িত।

#পঞ্চম দিন (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা স্কন্দমাতা – সাদা রঙ – পবিত্রতা, শান্তি এবং মাতৃত্বের প্রতীক, যা মা স্কন্দমাতার করুণাময় রূপকে প্রতিফলিত করে।

# ষষ্ঠ দিন (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – মা কাত্যায়নী – কমলা রঙ – উৎসাহ, সাহস এবং শক্তির প্রতীক, যা মা কাত্যায়নীর যোদ্ধা প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

#সপ্তম দিন (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা কালরাত্রি – কালো রঙ – অন্ধকারের বিনাশ এবং সুরক্ষার প্রতীক, যা মা কালরাত্রির প্রচণ্ড এবং প্রতিরক্ষামূলক শক্তি প্রদর্শন করে।

#অষ্টম দিন (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা মহাগৌরী- গোলাপী রঙ – করুণা এবং সৌন্দর্যের প্রতীক, যা মা মহাগৌরীর পবিত্রতা এবং কোমলতা প্রতিফলিত করে।

#নবম দিন (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) – মা সিদ্ধিদাত্রী- বেগুনি রঙ – আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান এবং কৃতিত্বের প্রতীক, যা মা সিদ্ধিদাত্রীর দেবত্বের সঙ্গে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

৩০ বছর পরে শনিদেব বৃহস্পতির রাশি মীনে প্রবেশ করেছেন – উন্নতি হবে কয়েক রাশির

ডেস্ক : কর্মফলদাতা শনিদেব প্রতি আড়াই বছর ছাড়া ছাড়া রাশি পরিবর্তন করে থাকেন, তিনি ন্যায়ের দেবতাও বটে ৷ এই পরিস্থিতিতেই জীবন আরও সুন্দর ও সুরক্ষিত হতে পারে। ৩০ বছর পরে শনিদেব বৃহস্পতির রাশি মীনে প্রবেশ করেছেন গত ২৯ মার্চ ২০২৫-এ ৷ এই রাশিতেই থাকবেন আগামী ২০২৭ পর্যন্ত ৷ জুলাইতে শনিদেব বক্রি হবেন। ১৩৮ দিন বক্রপথে থাকার পরে সোজা চালে ফিরে আসবেন, অর্থাৎ শনির মার্গি হবে ৷ এরফলেই আর্থিক পরিস্থিতি আগের থেকে আরও সুন্দর হবে কয়েকটি রাশির ৷ শনির মার্গির ফলে কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা বিশাল উন্নতিকর পরিস্থিতি আসতে চলেছে।শনির সোজা চালে ভাগ্যদেবী প্রসন্ন হবে ৷

বৃষ রাশি – বৃষ রাশির জন্য আগের থেকে পরিস্থিতি আরও ভাল হবে ৷ শনির সোজা চালে এবার মালামাল হতে চলেছে ৷ শনি রাশির আয় ও লাভের ঘরে মার্গি হতে চলেছেন ৷ তিনি দেখছেন নবম ও দ্বাদশ ঘর ৷ এরফলে ছোটখাট ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন ৷ জাতক-জাতিকারা বিশেষ লাভের মুখ দেখবেন ৷ ভাইবোনের মধুর সম্পর্ক এবার আরও ভাল হবে ৷বিদেশ যাত্রায় ভাল খবর পাবেন, অনেক সমস্যা আছে তা নভেম্বরের পর থেকে ভাল হবে ৷ শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে ৷ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে যে রণনীতি তৈরি করা প্রয়োজন সেটিই সম্পন্ন হবে ৷

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*শারদীয়া দুর্গোৎসব – একটি প্রতিবেদন*

ডেস্ক : শারদীয় দুর্গা পূজা, যা দুর্গোৎসব বা শারদোৎসব নামেও পরিচিত, এটি বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটি দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মহিষাসুরকে বধ করার জন্য তার বিজয়ের স্মরণে পালিত হয়। এই পূজা মূলত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে চলে। ষষ্ঠীতে দেবীর মূর্তিতে চক্ষুদান ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজার সূচনা হয়, এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর দিনে বিশেষ পূজা ও আরাধনা করা হয়। দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি হয়।

দুর্গাপূজার ইতিহাস বেশ প্রাচীন। যদিও এর সঠিক উৎপত্তি সম্পর্কে মতভেদ আছে, তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে, এই পূজা ৩০০ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শুরু হয়েছিল, যখন ভারতে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা জনপ্রিয় হতে শুরু করে।

[কিছু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা জয়ের আগে শরৎকালে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন, যা "অকালবোধন" বা "শারদীয় দুর্গাপূজা" নামে পরিচিত।এছাড়াও, বিভিন্ন পুরাণ ও মঙ্গলকাব্যগুলোতে দুর্গার পূজা ও মাহাত্ম্যের বর্ণনা পাওয়া যায়।দুর্গাপূজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশএই উৎসবে আনন্দ, মিলন ও সংস্কৃতির উদযাপন ঘটে।অতএব, দুর্গাপূজা একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা দেবী দুর্গার পূজা ও মহিষাসুর বধের স্মৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত।]

অতএব, দুর্গাপূজা একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা দেবী দুর্গার পূজা ও মহিষাসুর বধের স্মৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*ধর্ম ও জ্যোতিষমতে হনুমান জয়ন্তী পালনের রীতি*

ডেস্ক : রামনবমীর পরেই আসে রামভক্ত হনুমান জয়ন্তী। চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। কথিত আছে, ক্রেতা যুগের এই তিথির ভোরেই নাকি হনুমানজির জন্ম হয়েছিল। পৌরাণিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই বিশেষ তিথিতে সংকটমোচন হনুমানজি আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই এই দিনটি তার জন্মদিন হিসাবে খুব রীতিনীতি মেনেই পালন করা হয়। চলতি বছর হনুমান জয়ন্তী পড়েছে ১২ এপ্রিল, শনিবার।

# পবনপুত্র

তাছাড়াও প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। মনে করা হয় হনুমানজির পুজো করলে জীবনে কোনও কাজেই ব্যক্তি পিছিয়ে পড়বেন না। এমন কি তিনি সংকটমোচন দেবতা নামেও পরিচিত। বলা হয়, হনুমানজি হলেন মহাদেবের রুদ্র অবতার। হনুমানজির অনেক অলৌকিক ও ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে। যা শক্তি, প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের দাতা বলে মনে করা হয়। হনুমানজিকে মহারাজের আটটি সিদ্ধি ও নয়টি নিধি রয়েছে। শিব পুরাণ অনুযায়ী হনুমানজি হলেন ভগবান শিবের এগারোতম অবতার। হনুমানজি পবন পুত্র নামেও পরিচিত।

# বাড়িতে রাখুন হনুমানজির ছবি –

কথিত আছে, ভগবান শ্রী রামের ভক্ত হনুমানজি জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করতে পারেন। এবং ঘরে যদি আপনি হনুমানজির ছবি বা মূর্তি রাখেন, তাহলে আপনার জীবনে কোনও কষ্টই থাকবে না। শুধু তাই নয়, সমস্ত সমস্যা সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

# জানুন শুভ সময় –

চলতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ১২ এপ্রিল ভোর ৩ টে ২১ মিনিট থেকে এটি ১৩ এপ্রিল বিকেল ৫ টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। তাই উদয় তিথি অনুযায়ী এই বছর হনুমান জয়ন্তী পালিত হবে ১২ এপ্রিল।

# উপোস করবেন –

হনুমান জয়ন্তীর দিন হনুমানজির পুজো করলে আপনি উপোস করে ভগবানের পূজো করবেন। ভুলেও এই দিন আমিষ জাতীয় কোনও খাবার খাবেন না। এতে জীবনে নানান সমস্যা আসবে। ক্রুদ্ধ হতে পারেন বজরংবলী।

কথিত আছে সূর্যোদয়ের সময় জন্ম হয়েছিল হনুমানজির। তাই হনুমান জয়ন্তীর দিন ব্রাহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠুন। আর এই সময়ে যদি আপনি হনুমানজির পুজো করতে পারেন তাহলে জীবনে সফলতা নিশ্চিত।

*বাংলার প্রাচীন রাম মন্দির হাওড়ার রামরাজাতলা রাম মন্দির*

ডেস্ক: রবিবার পালিত হলো রাম নবমী। বাংলায় বেশ প্রাচীন কিছু রাম মন্দির থাকলেই আগে কখনো এমন ঘটা করে রাম নবমী পালিত হতো না। আমাদের জানা দরকার বাংলার প্রাচীনতম রামমন্দির কোনটি। এই বিষয়ে ইতিহাস জানাচ্ছে, বাংলার প্রাচীন রাম মন্দির হাওড়া রামরাজাতলা রাম মন্দির। প্রায় ৩৫০ বছর প্রাচীন হাওড়া রামরাজাতলা রামপুজো। রামনবমীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত সমাগম ঘটে এখানে।এবছর শনিবার রাত ১২ টার পর রাম নবমীর সূচনা হয়। তারপর থেকে মন্দিরে ভক্ত সমাগম ঘটে। রাত দুটো থেকে পুজো শুরু হয়। রবিবার সারাদিন পুজো আরাধনা হয়ে রাত্রি ৯- ১০ টা পর্যন্ত চলে । এবারও লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে বলেই জানা যায়।

প্রতিবছর রামনবমী ও রাম বিজয়াতে অসংখ্য ভক্ত সমাগম ঘটে এখানে। রাম নবমীতে পাঁচ রকম ফল থেকে শুরু করে ভক্তের সাধ্যমত পুজো অর্ঘ্য ডালি সাজে ভক্তরা পুজো দিয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ ভক্ত ভগবান রামচন্দ্রের পছন্দের সাদা পদ্ম এবং মা সীতার পছন্দের লাল পদ্ম নিবেদন করেন। প্রাচীন রীতি মেনে রাম সীতার যুগল মূর্তি পূজিত হয় এখানে। রাম সীতা ছাড়াও শিব ব্রহ্মা, সরস্বতী, বিভীষণ, শিবের অনুচর নন্দী ফিরিঙ্গি, ব্রহ্মার অনুচর জাম্বুবান, রামের গুরুদেব বশিষ্ঠ মুনি আছেন এবং মা ধরনী সহ বিভিন্ন দেবদেবী রাম সীতার সঙ্গে এখানে পূজিত হন। প্রতিদিন সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা পুজো। তারপর হোম সন্ধ্যা আরতি এবং রাত্রে শয়ন নিয়ম মেনে। রামনবমীর দিন থেকে আগামী চার মাস এখানে রাম পুজো অনুষ্ঠিত হয়। রামনবমীর দিন ছাড়াও অন্যান্য দিনও বহু ভক্ত সমাগম ঘটে।

*বাড়ি থেকে উদ্ধার একটি নবজাতক শিশু হনুমানের বাচ্চা*

প্রবীর রায়: উত্তর ২৪ পরগনার পলতার শান্তিনগর হেলথ সেন্টার সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়ি থেকে জালে আটকা যাওয়া হনুমানের বাচ্চাকে উদ্ধার করল রেসকিউ দল।উদ্ধারকারী শ্যামনগর রেসকিউ টিমের প্রতাপ দাস জানান, রাম নবমীর শুভ দিনে এই উদ্ধার কাজ করতে পেরে তারা গর্বিত বোধ করছেন। তিনি বলেন,এই এলাকার আশীষ বালার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি নবজাতক শিশু হনুমানের বাচ্চাকে।বাচ্চাটি জড়িয়ে ছিল জালের মধ্যে।বাড়ি থেকে যোগাযোগ করেন বনদপ্তরের সাথে। কিন্তু এদিন বনদপ্তর বন্ধ থাকার কারণে খবর যায় শ্যামনগর রেসকিউ টিমের কাছে। খবর পেয়েই দ্রুত শ্যামনগর রেসকিউ টিমের সদস্যরা সেখানে পৌঁছে যান। কিছু ক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার করে হনুমানের বাচ্চাটিকে তার মা'র কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

*বারাসাতে রামনবমী মিছিলে মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার*

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর ২৪ পরগনার সদর বারাসাতে রাম নবমীর মিছিলে উপস্থিত মিঠুন চক্রবর্তী ও সুকান্ত মজুমদারকে। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে আগেই কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে, তবুও রাজ্যের নানা প্রান্তের সঙ্গেই রামনবমী উদযাপনে বারাসাতে অস্ত্র হাতেই দেখা গেল রাম ভক্তদের।এদিনের রামনবমী উপলক্ষ্যে বারাসাতে শোভাযাত্রা করেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিনের এই শোভাযাত্রা ঘিরে যতোটা না উন্মাদনা ছিল, তার থেকে বেশি ছিল মিঠুন সুকান্তদের দেখার জন্য উৎসাহী মানুষের ভিড়।রাস্তার দুই ধারে ভিড় জমাতে থাকেন বহু সাধারণ মানুষ।হুড খোলা গাড়িতে চেপে মিঠুন সুকান্তরা এন্ট্রি নিতেই জয় শ্রীরাম ধোনি আর প্রায় সকলের হাতেই দেখা যায় গেরুয়া পতাকা। এক ঝলক দেখে মনে হতেই পারে যেন কোনও নির্বাচনী শোভাযাত্রা।ভিড় সামলাতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।কিন্তু মিছিলের মধ্যেই দেখা যায় কারও হাতে ত্রিশূল,কারও হাতে আবার তরোয়াল। অস্ত্র মিছিল প্রসঙ্গে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন,"মহরমে যখন তরোয়াল নিয়ে বের হন তখন সেকুলার,আর হিন্দুদের রামনবমীতে তরোয়ালটা সাম্প্রদায়িক,এটা চলতে পারেনা। হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত যে আক্রমণ ও অত্যাচার হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী যে ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন তাতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জয় শ্রীরামের মন্ত্র আওড়াচ্ছেন। এটা আগমনী সুর, রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়ার সুর।২৬ শে রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হবে।" এদিনের শোভাযাত্রায় মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে ঢল নামে মানুষের। অন্যদিকে,বারাসাতে এই শোভাযাত্রায় চোখে পড়ে বিভিন্ন ট্যাবলো।যেখানে শ্রীরামের জন্মকথা থেকে বনবাস রাবণ বধ তুলে ধরা হয়েছে, আয়োজন করা হয়েছিল ঝুমুর নাচেরও।

ছবি: অঙ্কিত মুখার্জী

*হালিশহরে রাম নবমীর মিছিল*

প্রবীর রায়: অযোধ্যার পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে চলছে রাম নবমীর উদযাপন। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের এক মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল ব্যারাকপুর লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং, বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পান্ডে সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকেও।

*২০২৬ শের বিধানসভায় বিজেপিকে চাই পোস্টারে ছয়লাম ব্যারাকপুরে*

প্রবীর রায়: বছর ঘুরতেই বঙ্গে ২০২৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখে ২০২৫ সাল থেকে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবির। সনাতনীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়ে ব্যারাকপুর আনন্দপুরী সেন্ট্রাল রোড এবং ওল্ড ক্যালকাটা রোড জুড়ে পোস্টার পড়ল বহু পোষ্টার। তাতে লেখা 'এবার ২০২৬ শে বিজেপিকে চাই।' এই পোস্টারের নিচে লেখা আছে, প্রচারে মিলন কৃষ্ণ আশ। ব্যারাকপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা মিলন কৃষ্ণ আশ বলেন, "বাংলাদেশে সনাতনীদের ওপর অত্যাচার চলছে। বাংলাতেও দিকে দিকে সনাতনীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলায় সনাতনীদের রক্ষার্থে বিজেপি সরকার আসা দরকার। অন্যথায় বাংলায় সনাতনীরা বিপন্ন হয়ে পড়বে। তাই বাংলায় সনাতনীদের একজোট করতেই রামনবমী উপলক্ষ্যে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে।"

অর্জুন সিংকে গ্রেপ্তার করা হলে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে বনধ-হরতাল করা হবে হুঁশিয়ারি, শুভেন্দু অধিকারীর

প্রবীর রায় : ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে গ্রেপ্তার করা হলে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে বনধ, হরতাল করা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে জগদ্দলের মজদুর ভবনে এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সাফ জানান, গুলি-বোমাবাজির ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে,তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁর দাবি, রামনবমীকে কেন্দ্র করে অর্জুন সিং সনাতনীদের ঐক্যবদ্ধ করছেন। তাই তৃণমূল এবং পুলিশের যৌথ চক্রান্তের ফসল এই ঘটনা। তাঁর কথায়, অর্জুন সিংয়ের ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। এর পেছনে রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি কাজ করছে। এর শেষ কোথায়, প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, মমতা ব্যানার্জি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর ভাইপো যেদিন জেলে যাবে। সেদিন সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। এদিন শুভেন্দু ছাড়াও হাজির ছিলেন বর্ষীয়ান বরানগরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা তাপস রায়, বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং প্রমুখ।