ছোট থেকেই বিস্ময়কর শিশু
এসবি নিউজ ব্যুরো: পুঁচকে আরাধ্যার কথা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও। জন্মের পর এই কথা বলা শুরু করেছে কয়েক মাস হল।অবাস্তব ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল আরাধ্যা মণ্ডল। মাত্র দু'বছর ১০ মাস বয়স তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে যা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।
বাবা মায়ের একমাত্র কন্যা সন্তান আরাধ্যা। বয়স মাত্র ২বছর ১০ মাস,মা রীয়া নন্দী। বাবা সঞ্জয় মণ্ডল থাকেন সেনাবাহিনীর কাজে ভিন রাজ্যে।তার মেয়েও যে এমন কাণ্ড ঘটাবে সেনাবাহিনীর কাজে যাওয়া কর্তব্যরত বাবাও ভাবতে পারেনি।
আরাধ্যার দাদু ,ঠাকুমা, মা,বাবা ও কাকা রয়েছে বাড়িতে, কিন্তু থাকেন বাড়ীতে দাদু ,ঠাকুমা, ও মা। কাকাও কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন।নিষ্পাপ শিশু চোখে একবার যা দেখেন কানে একবার যা শুনেন মনে রেখে দেয় ।এতটাই স্মৃতিশক্তি যা এক কথায় অবাক করা ব্যাপার।এই বয়সে অনাসেই চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারে দেশ ও রাজ্য রাজধানীর নাম ।বলতে পারেন ইংরেজি বাংলা কবিতা। বলতে পারে ইংরেজি ও বাংলাতে বিভিন্ন পশু পাখির নাম। । তাই ন্যাশনাল সিম্বলের উপর জিতে নিল পুরস্কার।আর এইসব কথা মা ও দাদু ঠাকুমার কাছ থেকে যেটুকু শিখেছেন তা প্রায়ই মনে রেখেছেন ।শুধু মনে রাখাই না চিহ্নিতকরণ করে দেখিয়ে দিতে পারেন সে। এটা কোন জিনিস, কি নাম বলতে পারেন বাংলা ও ইংরেজিতে।আর এইসব দেখে ইউটিউবে ভিডিও দেখে যোগাযোগ করেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর নাম তোলানোর জন্য, করেন ফর্ম ফিলাপ। সেখানে প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর প্রশ্ন বলতে বলা হয়, এই আরাধ্যাকে।তা অনাআসে চোখ বন্ধ করে বলে দেয় এই শিশু কন্যা।আর বলে দিতেই নাম উঠে যায় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে ।
আর বাড়ির মেয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর নাম উঠতেই গর্বে বুক ভরে যায়। একরত্তি খুদে শিশু আরাধ্যাকে নিয়ে যেমন খুশি বাবা-মা, ততটাই খুশি দাদু ঠাকুমা ও কাকা।খুশির হাওয়া যেমন বাড়িতে ঠিক ততটাই খুশি গ্রামের মানুষও।
Mar 08 2024, 11:20