এক সাথে ১৭ টি গাছের মৃত্যু, চাঞ্চল্য নদীয়ার ফুলিয়ায়, অভিযোগ দায়ের বনদপ্তর ও পি ডব্লিউডি দপ্তরে
এসবি নিউজ ব্যুরো: নদীয়ার ফুলিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত রাস্তায় বহু প্রাচীন ১৭ থেকে ১৮ টি শিরিস গাছ ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগেই লক্ষ্য করা যায় গাছগুলি মৃত অবস্থায় রয়েছে। আর এতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একসাথে কিভাবে ১৭ টি গাছ মারা গেল তা নিয়েই উঠছে বড়সড়ো প্রশ্ন। তবে বর্তমানে মৃত গাছগুলি বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে ।রাস্তার উপরেই বিপদ বাড়ছে পথ চলতি মানুষের, তৎসহ গাছ সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের । অভিযোগ এই গাছগুলিকে কেউ বা কারা রাসায়নিক ব্যবহার করে, কিংবা কোনো রকম বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আর তা নিয়েই এবার সরব শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী । তিনি জানাচ্ছেন, কিভাবে এতগুলি গাছ একসাথে মারা যায় তা তার জানা নেই ,তবে এই গাছগুলি মেরে ফেলে কোন অসাধু ব্যবসায়ীরা গাছগুলিকে কেটে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে। আর তাই এই গাছগুলিকে কোন রাসায়নিক বা বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শান্তিপুরের বিডিও ,পিডব্লুডি এবং বনদপ্তরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। তিনি দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে গাছ সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা তৎসহ পথ চলতি মানুষরা জানাচ্ছেন যেভাবে বর্তমানে গাছগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে করে প্রাণ হাতে নিয়েই রীতিমতো চলছে হচ্ছে রাস্তা দিয়ে। যেকোনো সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে দাবি পথ চলতি দের । তবে কিভাবে গাছগুলি মারা গেল তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অপরদিকে রানাঘাট দক্ষিণ তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তপন সরকার জানাচ্ছেন ,একসাথে ১৭ টি গাছ কিভাবে মারা গেল সত্যি তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। কোন অসাধু ব্যবসায়ী কিংবা কোন দুর্বৃত্তরা এর পেছনে রয়েছে কিনা তারও তদন্ত হওয়া উচিত। তবে ইতিমধ্যে বিপদজনক গাছগুলির বেশ কিছু ডাল কেটে দেওয়া হয়েছে। তবে বনদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন যেন এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে তার আর্জি জানাবো। যদিও সাধারণ মানুষের প্রাণ হাতে করে রাস্তা চলাচলের বিষয়টিও এখন ভাবাচ্ছে ফুলিয়া বাসিকে। অন্যদিকে কতদিনে এই অসুবিধার সমাধান হবে সেদিকে তাকিয়েই এলাকাবাসী।
Mar 06 2024, 20:02