*একেই বলে কলিযুগের বাসুদেব*

ডেস্ক : সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চারিদিকে শুধু জল আর জল। এরই মধ্যে এক তরুণ এক গলা জল পেরিয়ে মাথায় একটি গামলা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। তাঁকে সাহায্য করছেন অন্য একজন। এতদূর পর্যন্ত তো সব সাধারণ মনে হলেও, এরপরেই রয়েছে টুইস্ট। ওই গামলার মধ্যে রয়েছে এক খুদে। এই ভিডিওটি কেশব মিনা নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘বাবা তাঁর সন্তানের জন্য সবকিছুই করতে পারেন।’

পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি। ইতিমধ্যেই ভিডিটি দেখে ফেলেছেন কয়েকলক্ষ মানুষ। সন্তানকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবার এমন পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটনাগরিকরা। তবে এর বিপরীত দিকটিও রয়েছে। শিশুটির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে একগলা জলের মধ্যে শিশুটিকে এভাবে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। কিন্তু এই ভিডিওটি কোথাকার, কবেই বা এমন ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে রাস্তায় জল জমে গেছে। জলস্তর মানুষের কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। বাড়ি হোক বা দোকান, সবকিছুই জলে ডুবে গিয়েছে। এরই মধ্যে এক তরুণ জলের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। জল তাঁর গলা ছুঁয়ে ফেলেছে। মাথায় নেওয়া গামলার ভিতরে এক খুদেকে শুইয়ে তিনি সেই জল অতিক্রম করছেন।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*বাড়িতে টিয়াপাখি পোষা কিন্তু যথেষ্ট শুভ লক্ষণ*

ডেস্ক: আমরা ভালোবাসা থেকে বাড়িতে অনেক পশু ও পাখি পুষি। জীবের প্রতি ভালোবাসা আসলে ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসার নামান্তর। পাখিদের মধ্যে টিয়াপাখি, পায়রা হল অনেকেরই পছন্দ। সৌভাগ্য হিসেবে পায়রাকে ভীষণ রকমভাবে মানা হয়। তবে অনেকেই শখের কারণে টিয়াপাখি পোষেন। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী টিয়া পাখি পোষা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বাড়িতে টিয়া পাখি থাকলে অশুভ শক্তি কখনও প্রবেশ করে না। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, এই শুভ পাখিকে আদরে-যত্নে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। টিয়াপাখি পুষলে তার অবশ্যই যত্ন নিতে হয়, খাঁচায় রাখলে কোন দিকে রাখবেন, কী কী মনে রাখবেন, তা জেনে নিন এখানে।

টিয়া পাখি পুষলে কী কী উপকার হয়

টিয়াপাখি রাখলে ঘরে ইতিবাচক ও অশুভ শক্তি থাকে। যারা বাড়িতে তোতা পুষে থাকেন,তাদের মধ্যে হতাশা কম দেখা যায়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমে যায়। শুধু তাই নয়, টিয়াপাখি পুষলে অর্থনৈতিক সুবিধাও পাওয়া যায়। দারিদ্রের লক্ষণগুলিও কেটে যায় দ্রুত। যদি টিয়াপাখি রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে তার ছবিও রাখতে পারেন।

কোন দিকে খাঁচা রাখবেন

ঘরের পূর্ব-উত্তর দিকে খাঁচায় টিয়াপাখি রাখলে তা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। খেয়াল রাখবেন টিয়া পাখি যেন সর্বদা খুশি মনে থাকে। টিয়া পাখি রাগ করলে ঘরও অভিশপ্ত হতে পারে।

কী কী মনে রাখতে হবে

বাড়িতে যদি সন্তান থাকে, তাহলে অবশ্যই একটি টিয়াপাখি পুষতে পারেন। এতে শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ে।

সৌজন্যে:www.machinnamasta.in

*রাশিফল*

জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো রাশিফল গণনা। রাশিফল বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রের এমন একটি ধারণা যার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়কাল নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়। বৈদিক জ্যোতিষে ১২টি রাশি-মেষ, বৃষভ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন- এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকম ভাবে ২৩টি নক্ষত্রেরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে।দেখে নেওয়া যাক আপনার গ্রহ-নক্ষত্ররা কি বলছে

মেষ রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

উচ্চ ক্যালোরির খাবার এড়িয়ে চলুন এবং আপনি শরীরচর্চায় লেগে থাকুন। এই রাশিচক্রের লোকেরা যারা বিদেশ থেকে ব্যবসা করে থাকে তারা আজ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আত্মীয়/বন্ধুরা এক চমৎকার সন্ধ্যার জন্য চলে আসতে পারে। বিবাহ প্রস্তাব, যেহেতু আপনার প্রেম জীবন আজীবন বন্ধনে বদলে যেতে পারে। আজ নিজের কাজ থেকে বিরত থেকে আপনি কিছু সময় নিজের জীবন সঙ্গীর সাথে কাটাতে পারেন। আজ, আপনি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ সন্ধ্যা কাটাবেন। আপনার যোগ্যতা আপনাকে আজ মানুষের মধ্যে প্রশংসার যোগ্য করে তুলবে।

প্রতিকার :- মানি প্লান্ট গাছে জল দিন।

বৃষভ রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

আপনার সব সমস্যার জন্য সেরা প্রতিষেধক হল হাসি। আপনি যদি ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে চান তবে আপনাকে আজ থেকে অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। আপনার রসিক স্বভাব সামাজিক অনুষ্ঠানে আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। আজ আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনার খেয়ালী আচরণ সামলানো অত্যন্ত দুরূহ বোধ করবেন। আজকে নিজের জন্য সময় বার করে আপনি জীবন সঙ্গীর সাথে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। তবে এই সময়ের মধ্যে আপনাদর মাজখানে বিভেদ দেখা দিতে পারে। আজ একজন ব্যক্তি আপনার স্ত্রীর প্রতি খুব বেশী আগ্রহ দেখাতে পারেন, কিন্তু দিনের শেষে আপনি উপলদ্ধি করবেন কোনকিছু গোলমাল চলছে না। ব্যাবসাতে লাভ আজকে এই রাশির ব্যাবসায়ীদের জন্য কোন সুন্দর স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো হবে।

প্রতিকার :- প্রেম জীবন মসৃণ ও সহজ করতে একটি নারকেল এবং সাতটি আমন্ড যেকোনো ধর্মীয় জায়গায় দান করুন।

মিথুন রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

অন্যদের সাথে খুশি ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে স্বাস্হ্যের বিকাশ ঘটতে পারে। বিলম্বিত টাকাকড়ি পরিশোধ হয়ে যাওয়ার দরুণ আর্থিক অবস্থা উন্নত হবে। পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে আনন্দমুখর সময়। যে ব্যক্তিরা এখনও অবিবাহিত তারা সম্ভবত বিশেষ কারও সাথে দেখা করতে পারে। তবে এগিয়ে যাওয়ার আগে, সেই ব্যক্তির সম্পর্কের অবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার হয়ে নিন be কেনাকাটা এবং অন্যান্য কাজকর্ম আপনাকে দিনের বেশি ভাগ সময়েই ব্যস্ত রাখবে। আপনি কর্মক্ষেত্রে যে সমস্ত কঠিন কাজ করেছেন আজ সেগুলি ফিরে পাবার সময়। পুরো দিনটি নষ্ট হয়ে গেছে এই চিন্তায় হতাশ হবেন না, বরং বিশ্রামের দিনটিকে সর্বোত্তম উপায়ে ব্যবহার করার বিষয়ে ভাবুন।

প্রতিকার :- সক্রিয় থাকতে প্রায়ই লাল জামাকাপড় পরুন।

কর্কট রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার সুযোগ বেশী যা আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলাতে অংশ নিতে সাহায্য করবে। আপনি যদি কোনও ঋণ নিতে চলেছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে এই কাজে নিযুক্ত ছিলেন, তবে আজকের দিনটি আপনার ভাগ্যবান। আপনি আপনার ঘরের পরিবেশে কোন পরিবর্তন করার আগে সবার সম্মতি পেয়েছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হোন। আজ আপনি অন্ধ ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব করতে চলেছেন। আজ আপনার উচিত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যায় নজর কেন্দ্রীভূত করা। আজ আপনি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন কাটাবেন। যাত্রা পথে কোনো সুন্দর ব্যাক্তির সাক্ষাতে আপনার ভালো অনুভব হতে পারে।

প্রতিকার :- ভালো স্বাস্থ্য এবং সাংসারিক জীবনের জন্য সোনার হার পরুন যেটি আপনার পেট স্পর্শ করবে।

সিংহ রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্যাপারে নিজেকে অবহেলা না করার জন্য সতর্ক থাকুন। আজ, আপনি একটি দলের কোনও ব্যক্তির মুখোমুখি হতে পারেন যিনি আপনাকে আপনার অর্থনৈতিক দিকটি শক্তিশালী করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে পারেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে সামাজিক জমায়েত প্রত্যেককে এক ভালো মেজাজে রাখবে। আপনার প্রণয়ী আজ আপনার কাছে জীবন্ত দেবদূত হয়ে উঠবে। মুহূর্তটিকে হৃদয়ে পোষণ করুন। আপনার অতীতের কারোর আপনাকে যোগাযোগ করা এবং এটিকে একটি স্মরণীয় দিনে পরিণত করা সম্ভব। আপনার বিয়েকে এই দিনে একটি চমৎকার পর্যায়ে দেখতে পাবেন। আপনার তারকারা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে আপনার সন্ধ্যায় আপনার বন্ধুদের সাথে একটি বাদানুবাদ ঘটতে পারে। তবে মনে রাখবেন, সংযম হল মূল বিষয়।

প্রতিকার :- গরুকে গম ও গুড় খাওয়ান স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

কন্যা রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

আপনি অবসর যাপনের আনন্দ উপভোগ করবেন। অর্থ-সংক্রান্ত সমস্যার কারণে আজ আপনি উদ্বিগ্ন থাকতে পারেন। এই জন্য, আপনি আপনার বিশ্বস্ত বিশ্বাসী পরামর্শ করা উচিত। ঘরে কিছু পরিবর্তন আপনাকে অত্যন্ত ভাবপ্রবণ করে তুলবে-কিন্তু যাঁরা আপনার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের কাছে আপনি আপনার অনুভূতিগুলি কার্যকরভাবে জানাতে সমর্থ হবেন। প্রেমের সুযোগগুলি (সম্ভাবনাগুলি) স্পষ্ট- কিন্তু ক্ষণস্থায়ী হবে। দিনটা ভালোই কাটে,আজকে নিজের জন্য সময় বার করুন আর নিজের ঘাটতি এবং ভালোর সন্ধান করুন।এটি আপনার ব্যাক্তিত্বৰ মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। আপনি এবং আপনার স্ত্রী আজ প্রেম করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন বলে মনে হচ্ছে। আজ, আপনার ভ্রমণের সময় কোনও অপরিচিত ব্যক্তি আপনাকে বিরক্ত করতে পারে।

প্রতিকার :- কোনো শুভ কাজ শুরুর পূর্বে কপালে কেশর বা হলুদের প্রলেপ লাগান, এর ফলে আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন।

তুলা রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

আপনার ক্ষমতা শক্তি বেশী থাকবে। আপনার স্ত্রীর সাথে একসাথে, আপনি আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং আপনার ভবিষ্যতের জন্য আপনার সম্পদের পরিকল্পনা করতে পারেন। উত্তেজনার মেয়াদ বজায় থাকলেও পরিবারের সমর্থন আপনাকে সাহায্য করবে। ভালোবাসার গান তাদের দ্বারা শুনতে পাবেন যারা সব সময় এর মধ্যে ডুবে থাকে। আজ আপনি এই গান শুনতে পাবেন যা আপনাকে এই বিশ্বের সব গান ভুলিয়ে দেবে। আপনার আর্কষণীয় বন্ধুত্বসুলভ ব্যক্তিত্ব হৃদয় জয় করে নেয়। বিবাহিত দম্পতিরা একসাথে বসবাস করে, কিন্তু এটা সবসময় রোমান্টিক হয় না। তবে আজ সত্যিই সত্যিই রোমান্টিক হবে। আজ, কোনও দ্বন্দ্বের কারণে আপনি বগড বোধ করতে পারেন। আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে এটি সম্পর্কে কথা বলা উচিত এবং সমাধানের সন্ধান করা উচিত।

প্রতিকার :- অবসাদ ও বিরক্তি থেকে মুক্তি পাবার জন্য কোনো বহমান জলাশয়ে গিয়ে মাছেদের খাওয়ান।

বৃশ্চিক রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

শরীরে ব্যথা বেদনা এবং উদ্বেগ সংক্রান্ত সমস্যা উড়িয়ে দেবেন না। আপনি যদি ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে চান তবে আপনাকে আজ থেকে অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। কোন বন্ধু তার ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার উপদেশ চাইতে পারে। জানলার উপর ফুল রেখে আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করুন। আজকে এই রাশির কিছু ছাত্রেরা ল্যাপটপ বা টিভিতে কোনো সিনেমা দেখে নিজের সময় ব্যায় করতে পারেন। নারীরা শুক্র থেকে এবং পুরূষেরা মঙ্গল থেকে উৎপত্তি লাভ করে, কিন্তু আজ এমন দিন যেখানে শুক্র ও মঙ্গল একে অপরের মধ্যে দ্রবীভূত হয়ে যাবে। ব্যাবসাতে লাভ আজকে এই রাশির ব্যাবসায়ীদের জন্য কোন সুন্দর স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো হবে।

প্রতিকার :- ভগবান ভৈরবের আরাধনা করলে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর তার ভালো প্রভাব পরবে।

ধনু রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

আপনার খাবার সম্পর্কে সঠিক যত্ন নিন, বিশেষ করে মাইগ্রেনের রোগীরা, যাঁদের খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত নয় অন্যথায় এটি তাঁদেরকে অহেতুক মানসিক চাপ দিতে পারে। আজ, আপনার অযথা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা থেকে নিজেকে বিরত করা উচিত, অন্যথায় অর্থের অভাব হতে পারে। ফাঁকা সময়ের সুযোগ নিন, আপনাকে পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করতে হবে। আপনার প্রেমিক/প্রেমিকার থেকে সরে থাকা অত্যন্ত কঠিন হবে। আপনি ফাঁকা সময়ে আপনার প্রিয় কাজটি করতে পছন্দ করেন, আজও আপনি অনুরূপ কিছু করার কথা ভাববেন তবে কোনও ব্যক্তি বাড়িতে আসার কারণে এই পরিকল্পনাটি নষ্ট হতে পারে। আপনার খারাপ মেজাজ আপনার জীবন সঙ্গীনীর কিছু বিশেষ চমকপ্রদ জিনিসের দ্বারা ঠিক হয়ে যাবে। আপনার দিনের শুরুটা আজকে খুব সুন্দর হবে যে কারণে আপনি আজকে পুরো দিন ফুর্তি অনুভব করবেন।

প্রতিকার :- রুপোর পাত্রে দই রেখে দিলে তা আপনার আর্থিক উন্নতিতে সাহায্য করবে।

মকর রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

অন্যের সমালোচনায় সময় নষ্ট করবেন না- এতে শরীরের ক্ষতি হয়। আপনার বাবার কোনও পরামর্শ কর্মক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। আপনি সাহায্যকারীর বন্ধুদের খুঁজে পাবেন- কিন্তু আপনি কি বলবেন সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। আজ, আপনি আপনার প্রতিশ্রুতিগুলির কোনওটিই পূরণ করতে সক্ষম হবেন না, যা আপনার প্রেমিককে দুর্দশাগ্রস্ত করতে পারে। আজ সেরকমই একটি দিন যখন বিষয়গুলি আপনার ইচ্ছামাফিক চলে না। দিনটি আপনার বিবাহিত জীবনের কঠিন সময়ে আপনাকে সাময়িক রেহাই দেবে। আজ, আপনার বাবা বা বড় ভাই যে কোনও ভুলের জন্য আপনাকে ধমক দিতে পারে। তাঁর কথাগুলি বোঝার চেষ্টা করুন এবং উন্নতির জন্য বাস্তবায়ন করুন।

প্রতিকার :- কোনো গরু দান করলে তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর ভালো প্রভাব দেবে, তা সম্ভব না হলে গরুর সমান মূল্য কোনো মন্দিরে দান করুন।

কুম্ভ রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাক্তিত্ব তৈরী করুন যাতে ঘৃণা ভাবকে দমন করা যায় কারণ ঘৃণা হলো ভালোবাসার চেয়েও শক্তিশালী আর তাতে শরীরের অসীম ক্ষতি হয়। মনে রাখবেন ভালোর চেয়ে মন্দের প্রভাব বেশী। আপনার একটি বন্ধু আপনাকে আজ একটি বড় পরিমাণ ঋণ দিতে বলতে পারে। আপনি তাকে সাহায্য করার ফলে আপনি আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। মনে হচ্ছে সিনেমা-থিয়েটারে সন্ধ্যাযাপন বা আপনার স্ত্রীর সাথে সান্ধ্যভোজ আপনাকে এক আয়েসী এবং চমকপ্রদ মেজাজে রাখবে। আপনার সঙ্গীর সাথে বাইরে যাওয়ার সময় যথাযথভাবে আচরণ করুন। আজ ভাষার আদানপ্রদানই আপনার শক্তি হবে। আজ ভিন্ন অভিমত আপনার এবং আপনার সঙ্গীনীর মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। আপনার বন্ধ হওয়া ব্যক্তিরা আপনার চিন্তা বুঝতে সক্ষম হবে না। এটি আপনাকে চাপ দেবে।

প্রতিকার :- আর্থিক উন্নতির জন্য মা দুর্গার (সিংহবাহিনী) ছবি বা মূর্তির পূজা করুন।

মীন রাশিফল (Saturday, July 5, 2025)

কিছু শারীরিক পরিবর্তন যা আপনি আজ করছেন, নিশ্চিতভাবেই আপনার উপস্থিতিকে উন্নত করবে। অর্থনৈতিক দিকটি শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আপনি কোনও ব্যক্তিকে অর্থ ধার দিয়ে থাকেন তবে আপনি আজ সেই টাকা ফেরত পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পুরোনো পরিজন এবং সম্পর্কগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে আজকের দিনটি ভালো। ভুল ভাব বিনিময় বা বার্তা আপনার দিনটি নিষ্প্রাণ করতে পারে। আজ আপনি প্রচুর আকর্ষণীয় আমন্ত্রণ পাবেন- এবং একটি আকস্মিক উপহারও আপনার জন্য আসতে পারে। একজন আত্মীয়, বন্ধু, বা প্রতিবেশী আজ আপনার বিবাহিত জীবনে উত্তেজনা আনতে পারে। জীবনে সরলতা তখনি থাকে যখন আপনার ব্যাবহারে সরলতা থাকে। আপনার ব্যাবহারে সরলতা নিয়ে আসা দরকার।

প্রতিকার :- সাধি সন্তদের সাহায্য করলে তা পনার প্রেমের সম্পর্ককে মধুর করে তুলবে ও নিজেদের মধ্যে বোঝাপরাকে মজবুত করবে।

(Courtesy-AstroSage)

*রাষ্ট্রপতি ভবনে ১৩৪তম ডুরান্ড কাপ ট্রফি-র শুভ সূচনা*

 Khabar kolkata sports Desk : গৌরবময় ঐতিহ্যের এক মুহূর্তে। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে ডুরান্ড কাপের তিনটি ঐতিহাসিক ট্রফির শুভ সূচনা করেন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়ার প্রাচীনতম ও ভারতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল প্রতিযোগিতা ১৩৪তম ইন্ডিয়ান অয়েল ডুরান্ড কাপ-এর সূচনা হল।

এই নিয়ে পরপর দ্বিতীয় বছর রাষ্ট্রপতি এই প্রতীকী কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন। যা ক্রীড়া, সেনা ও জাতীয়তাবাদের অনন্য মেলবন্ধন হিসেবে ডুরান্ড কাপের চিরন্তন গুরুত্বকে করে। স্বাধীনোত্তর যুগে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক প্রধানের সঙ্গে ডুরান্ড কাপের সরাসরি সম্পর্কের ঐতিহ্যও এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বজায় রইল।

RBCC-র এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান, সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠী, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল অমর প্রীত সিং, এবং পূর্ব কমান্ডের GOC-in-C ও ডুরান্ড কাপ আয়োজক কমিটির পৃষ্ঠপোষক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর.সি. তিওয়ারি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বিশিষ্ট ভারতীয় ফুটবলার সন্দেশ ঝিঙ্গান।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর ভাষণে ডুরান্ড কাপকে ভারতের ফুটবল ঐতিহ্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর ক্রীড়া প্রতিশ্রুতির জীবন্ত প্রতীক বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন,

“ফুটবল কেবল একটি খেলা নয়, এটি এক আবেগ। এই খেলাটি কৌশল, সহনশীলতা এবং দলগত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। ডুরান্ড কাপের মতো প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র খেলাধুলার চেতনা বিকাশ করে না, বরং নতুন প্রতিভাদের জন্য একটি মঞ্চও তৈরি করে।” তিনি সশস্ত্র বাহিনীর ডুরান্ড কাপকে বাঁচিয়ে রাখার এবং উৎসাহিত করার ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

জেনারেল অনিল চৌহান বলেন,

“ডুরান্ড কাপ হল বীরত্ব, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের উত্তরাধিকার যা আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও জাতির শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি আমাদের জন্য গর্বের বিষয় এবং ক্রীড়া, পরিষেবা ও ভারতের আত্মার মধ্যে চিরন্তন সম্পর্কের প্রতিফলন।”

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর.সি. তিওয়ারি বলেন,

“ডুরান্ড কাপ কেবল একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা নয়, এটি ভারতের ঐক্য ও বৈচিত্র্যের উৎসব, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চরিত্র গঠনের বিশ্বাস এবং শৃঙ্খলা, দলবদ্ধতা ও সহনশীলতার চিরকালীন মূল্যবোধের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার দায়িত্ব।”

সন্দেশ ঝিঙ্গান, যিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন, বলেন,

“আজ আমরা শুধু একটি ট্রফি উন্মোচনের জন্য একত্রিত হইনি, বরং শতাব্দীপ্রাচীন এক ঐতিহ্যের উদযাপন করছি, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অটুট নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের ফলস্বরূপ ভারতীয় ফুটবলের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভবনিশ কুমার, দিল্লি অঞ্চলের GOC ও ডুরান্ড কাপ স্ট্যান্ডিং ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান বলেন,

“ডুরান্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট সোসাইটি আমাদের দেশে ফুটবল প্রচারে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। আমরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সমস্ত দলের জন্য সফল ও প্রাণবন্ত ম্যাচের শুভকামনা জানাই।”

এই তিনটি সম্মানজনক ট্রফি – ডুরান্ড কাপ, রাষ্ট্রপতি কাপ এবং শিমলা ট্রফি – এবার যাত্রা শুরু করবে পাঁচটি আয়োজক রাজ্য জুড়ে:-

পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, অসম, মেঘালয় ও মণিপুর। 

২৩ জুলাই ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার আগে এই ট্রফি ট্যুর জনসাধারণের উৎসাহ ও গর্ব জাগিয়ে তুলবে। 

ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৩ আগস্ট, ২০২৫।

স্বপ্নের ঐতিহ্য, সম্ভাবনার মঞ্চ

১৩৭ বছরের বেশি সময় ধরে, ডুরান্ড কাপ কেবল একটি টুর্নামেন্ট নয় – এটি ভারতের তরুণ ফুটবল প্রতিভার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। ভারতের অনেক কিংবদন্তি ফুটবলারের জাতীয় স্তরে পথচলা শুরু হয়েছিল এখান থেকে।

এ বছর প্রথমবারের মতো, ডুরান্ড কাপ পাঁচটি রাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যখন ভারতীয় ফুটবল নতুন তারকা ও নতুন প্রেরণার সন্ধানে, তখন এই প্রতিযোগিতা আবারও একটি জাতি গঠনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে – যেখানে প্রত্যন্ত প্রান্তের অ্যাকাডেমি, পরিষেবা দল ও রাজ্য ক্লাবের খেলোয়াড়েরা তাদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে।

ক্রীড়া, সেবা ও আত্মত্যাগের উৎসব

দুরান্ড কাপ হলো শৃঙ্খলা, ঐক্য ও ক্রীড়া শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। আজকের শুভ সূচনা অনুষ্ঠানে সামরিক শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতি প্রমাণ করল সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিভা লালনে তাদের প্রতিশ্রুতি। ট্রফিগুলোর যাত্রার মধ্য দিয়ে ভারতের ফুটবল আবেগকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এই ১৩৪তম ইন্ডিয়ান অয়েল ডুরান্ড কাপ।

ডুরান্ড কাপ সম্পর্কিত তথ্য

ডুরান্ড কাপ হলো ভারতের ফুটবল ঐতিহ্যের এক গর্বিত প্রতীক, এশিয়ার প্রাচীনতম ও বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট। এটি ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে আয়োজিত হয় এবং শতবর্ষ ধরে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল প্রতিভার জন্মস্থান হিসেবে কাজ করেছে।

প্রথমবার এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮৮ সালে শিমলায়। পরে এটি ১৯৪০ সালে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয় এবং সাত দশকেরও বেশি সময় সেখানেই থেকে যায়।

২০১৯ সালে, এটি পূর্ব কমান্ড-এর অধীনে কলকাতায় স্থানান্তরিত হয় – যাকে ভারতের ফুটবলের ‘মক্কা’ বলা হয়। এরপর থেকে প্রতিযোগিতাটি একক শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে বহুরাজ্যব্যাপী ক্রীড়া উৎসবে পরিণত হয়েছে।

এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল পায় তিনটি সম্মানজনক ট্রফি:

ডুরান্ড কাপ (ঘূর্ণায়মান),

শিমলা ট্রফি (ঘূর্ণায়মান),

এবং রাষ্ট্রপতি কাপ, যা প্রতিবছর নতুন করে নির্মিত হয় ও স্থায়ীভাবে বিজয়ী দলকে প্রদান করা হয়।

 ছবি: ডুরান্ড কমিটির সৌজন্যে।

*কাউন্সিলরের উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের তিরোধান দিবস উদযাপন*

নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যারাকপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সম্রাট তাপাদারের উদ্যোগে পালন করা হল স্বামী বিবেকানন্দের তিরোধান দিবস।বিবেকানন্দের তিরোধান দিবস পালনের পাশাপাশি পালিত হল অরণ্য সপ্তাহ। বিবেকানন্দের মূর্তি তে মাল্যদানের পাশাপাশি এদিন কালীয়ানিবাস প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। স্কুলের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।তারা নিজেদের খুশী মতো অরণ্য সপ্তাহ পালনে নিজেদের আঁকায় তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে শেষে সকলকে একটি সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া। কাউন্সিলর সম্রাট তাপাদার বলেন,"বর্তমান প্রজন্ম কে স্বামী বিবেকানন্দের আর্দশের উদ্বুদ্ধ করা আমাদের উদ্দেশ্য। এছাড়াও অরণ্য সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে এই আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত।"

*দক্ষিণ কলকাতায় বিড়লা অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচারের শুরু হয়েছে এক চিত্র প্রদর্শনী*

 Khabar kolkata News Desk: বিড়লা অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচার “জলরং” শীর্ষক একটি প্রদর্শনী। প্রদর্শনীটি অ্যাকাডেমির স্থায়ী সংগ্রহ থেকে বাছাই করা শিল্পকর্ম নিয়ে গঠিত করেছেন এখানকার সিনিয়র কিউরেটর সুজান মুখোপাধ্যায়।

এই প্রদর্শনীতে ভারতীয় উপমহাদেশে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে জলরং চর্চার একটি মনোমুগ্ধকর ভ্রমণ তুলে ধরা হয়েছে—যেখানে এই মাধ্যমটির সূক্ষ্মতা, তাৎক্ষণিকতা ও পরীক্ষাধর্মিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এখানে প্রদর্শিত শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুনয়নী দেবী, অম্বিকা ধুরন্ধর, চিত্রনিভা চৌধুরী, এ. এক্স. ত্রিনিদাদে, এম. ভি. ধুরন্ধর, এস. এল. হালদানকর এবং যোগেন চৌধুরীর মতো গুণীজনেরা, যাঁদের পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত কিন্তু সমানভাবে প্রভাবশালী কণ্ঠও এখানে স্থান পেয়েছে। একটি সরল কালানুক্রমিক বিন্যাসের পরিবর্তে, “জলরং” দর্শকদের আমন্ত্রণ জানায়—একটি সূক্ষ্ম ও আন্তঃসম্পর্কিত কাহিনির ভেতর প্রবেশ করতে, যা গঠিত হয়েছে এই মাধ্যম, পদ্ধতি ও কল্পনার সমন্বয়ে।

কিউরেটরের সুজান মুখোপাধ্যায় আমাদের জানালেন ,

এটি শুরু হয় কাগজে তুলির নিঃশ্বাস ফেলার মাধ্যমে। রঙ স্পর্শ করে কাগজকে এবং জলের সহায়তায় ছড়িয়ে পড়ে—কাগজের দানার সঙ্গে খেলে, আঁশের ভিতর গোপন পথ আবিষ্কার করে। নিয়ন্ত্রণ ও আকস্মিকতার সীমারেখা অস্পষ্ট হয়ে যায়। শুকনো কাগজে রঙ থেমে যায়, প্রতিরোধ করে; ভেজা কাগজে রঙ ছড়িয়ে পড়ে, মিশে যায়, এবং নিজস্ব জীবন ধারণ করে। তবে এই মাধ্যমটি বেশ কঠোর: একবার আঁকা দাগ কাগজের স্মৃতির স্থায়ী অংশে পরিণত হয়।

যদিও জলের উপর ভিত্তি করে তৈরি রঙ বহু শতাব্দী বা সহস্রাব্দ ধরে বিদ্যমান, ভারতের আধুনিক জলরং চিত্রকলার সূচনা উপনিবেশিক যুগে স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে ঘটে। এই প্রাতিষ্ঠানিক প্রেক্ষাপটে, “জলরং” বলতে বোঝানো হতো কেবল মাধ্যম নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট কৌশলও—স্তরে স্তরে স্বচ্ছতা, সংবেদনশীল তুলি-চালনা, ভেজা-ভেজা এবং শুকনো-ভেজা কৌশলের খেলা এবং প্রাথমিক পর্যায়ে বিভ্রম-ভিত্তিক বাস্তবতার প্রতি অঙ্গীকার।

উপনিবেশিক শিল্প শিক্ষার প্রতি অসন্তুষ্ট শিল্পীরা নিজস্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। তাঁরা চিনা, জাপানি ও পারস্য-প্রভাবিত নান্দনিকতার সঙ্গেও সংলাপ শুরু করেন। এই সংকর ও পুনঃকল্পিত মাধ্যমটি নতুন প্রকাশভঙ্গির পথ খুলে দেয়—যা প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবতা ধারণ করতে অক্ষম ছিল।

বিরলা অ্যাকাডেমির স্থায়ী সংগ্রহের উপর ভিত্তি করে গঠিত এই প্রদর্শনীটি উপমহাদেশে জলরং চিত্রকলার এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের যাত্রা তুলে ধরেছে। এখানে প্রদর্শিত শিল্পকর্মগুলি এই মাধ্যমটির বৈচিত্র্যময় বিকাশের সাক্ষ্য দেয়—স্বতন্ত্র শিল্প আন্দোলন ও গোষ্ঠীর উদ্ভব, স্বতন্ত্র শিল্পীদের উদ্ভাবন, এবং দৃশ্যমান ভাষার পরিবর্তনশীল প্রকৃতি। বিরলা অ্যাকাডেমির সংগ্রহের স্বকীয় চরিত্রকে প্রতিফলিত করে, এই প্রদর্শনী বিভিন্ন পন্থার মধ্যে সংলাপ সৃষ্টি করে—একটি একরৈখিক বা পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টার পরিবর্তে।

*পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথ*

ডেস্ক : প্রতি বছর পুরীতে জগন্নাথ রথযাত্রা ঘিরে এক অন্য উদ্দীপনা তৈরি হয়। ভক্তরা এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও প্রথমবার পালিত হবে রথযাত্রার উৎসব। আসুন জেনে নিই এই বছরের রথযাত্রা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা ভগবান জগন্নাথ, তাঁর বড় ভাই বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রাকে গুন্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যায়। এটি চেরোয়াত উৎসব বা শ্রী গুন্ডিচা যাত্রা নামেও পরিচিত।

রথযাত্রার তাৎপর্য কী

স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, বিশ্বাস করা হয় যে জগতের ত্রাণকর্তা ভগবান জগন্নাথ প্রতি বছর তাঁর রথযাত্রার মাধ্যমে ভক্তদের দর্শন দিতে এবং গুন্ডিচা মন্দিরে বিশ্রাম নিতে বেরিয়ে আসেন। এই যাত্রা শুরু হয় চার ধামগুলির মধ্যে একটি পুরীতে।

২০২৫ সালের পুরী রথযাত্রার প্রধান আচার-অনুষ্ঠান

রথযাত্রা – ২৭ জুন

হেরা পঞ্চমী – ১ জুলাই

বহুদা যাত্রা – ৪ জুলাই

সুনাবেশা – ৫ জুলাই

নীলাদ্রি বিজয় – ৫ জুলাই

উল্টো রথযাত্রা (পুনর্যাত্রা) – ৫ জুলাই (২০ আষাঢ়), শনিবার

এই পুরো অনুষ্ঠান মোট ৯ দিন ধরে চলে এবং নীলাদ্রি বিজয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।

এই যাত্রার একটি তাৎপর্য হল, সব ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষ দেবতার দর্শন করতে পারেন। এমনকী শোভাযাত্রাতেও অংশগ্রহণ করতে পারেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী জগন্নাথদেবের রথের রশি স্পর্শ করলে পুনর্জন্মের বিড়ম্বনা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়। এমনকী স্কন্দ পুরাণ ও বামদেব সংহিতায় রথের রশি স্পর্শ করে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভের কথাও বলা হয়েছে। একসময় পুরীর রথযাত্রায় জগন্নাথদেবের রশি ছুঁয়ে সেই রথের চাকার তলায় স্বেচ্ছায় প্রাণ বিসর্জন দিতেন অসংখ্য ভক্ত। আপনিও রথের রশি টানবেন তো? জেনে নিন রথযাত্রার শুভ সময়-

রথযাত্রা:

১২ আষাঢ় (২৭ জুন) শুক্রবার

উল্টো রথযাত্রা:

২০ আষাঢ় (৫ জুলাই) শনিবার।

সৌজন্যে:www.machinnamasta.in

*বাড়িতে সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনতে কিছু বাস্তু টিপস মেনে চলুন*

ডেস্ক : সব ঠিক থাকলেও বাড়িতে কিছুতেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। নানা বিঘ্ন লেগেই আছে। ভাবছেন তো, এত চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না, এবার উপায়টা কী? তবে একবার বাস্তু মেনে দেখুন। হতেও পারে, এতেই ফিরল সংসারের সুখের দিন। খুব সামান্য কিছ বিষয় নজর রেখেই পাল্টে ফেলা যায় অনেককিছুই। বাস্তুমতে এমন অনেক নিয়ম রয়েছে যা মানলে, ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকার আশা করাই যায়। যদিও তা ব্যক্তি বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল। তবুও কয়েকটি বিষয় কিছুটা হলেও পরিবারের শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়।

১)বাড়িতে যদি ঠাকুরের আসন থাকে, তবে সেখানে কখনই সোজাসুজি প্রতিমা বসানো উচিত নয়। বেশি ঠাকুর একই আসনে রাখাও সঠিক পদ্ধতি নয়। তাতে সমস্যা বাড়ে।

২) মঙ্গলবার দিন হনুমানজির ছবির সামনে একটি তেলের প্রদীপ জ্বালান। এতে পরিবারের ওপর থেকে কু-নজর কেটে যায়।

৩) বন্ধ হয়ে যাওয়া ঘড়ি অনেকের বাড়িতেই থাকে। সময় করে ব্যটারিটা পাল্টে নেওয়ার সময় হয় না। এতেও পরিবারে অশান্তি বাড়ে। তাই ঘড়ি বন্ধ হয়ে গেলে তা নামিয়ে ফেলুন।

৪)বাড়িতে কোনও খারাপ হয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক জিনিস না রাখাই ভাল। পাখা, টিউব কিংবা কোনও খারাপ হয়ে যাওয়া টুনি লাইট অনেকেই বাড়িতে রেখে দেন, তাতে কিন্তু সংসারে অশান্তি বাড়ে।

৫)বাড়ির মূল দরজার সামনে নোংরা ফেলা কখনই উচিতল নয়। মূল দরজার সামনেটা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। এতে সংসারে সুখ ফেরে।

৬)যত্রতত্র টাকা ফেলে রাখবেন না। টাকা সব সময় গুছিয়ে একটা জায়গায় তুলে রাখবেন। এতে সংসারের লক্ষ্মী চঞ্চল হয়ে যায়।

*ওয়ারি ক্লাবের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেল সাদার্ন সমিতি*

খেলা

ক্যালকাটা ফুটবল লীগ

নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে বুধবার ওয়ারি ক্লাবের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেল সাদার্ন সমিতি।খেলার প্রথম অর্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হলেও শুরু থেকেই ওয়াড়ীর খেলোয়াড়দের আক্রমণ ছিল চোখে পড়ার মতো। দ্বিতীয় অর্ধের শুরুতেই বৃষ্টির মধ্যে গোল করে ওয়াড়ী ১-০ তে এগিয়ে যায়। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিটে খেলাতেও সেই গোল শোধ করতে পারেনি সাদার্ন সমিতি। চলতি ক্যালকাটা ফুটবল লীগের খেলায় ওয়াড়ীর পরবর্তী প্রতিপক্ষ ডায়মন্ড হারবার।

ছবি: সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)।

নিন্দায় সরব পরিবেশপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ, টাকির ইছামতি দখল করে গজিয়ে উঠেছে বিলাসবহুল হোটেল

নিজস্ব সংবাদদাতা, বসিরহাটঃ অবৈধভাবে ইছামতি নদীর চড় দখল করে গজিয়ে উঠছে, বিলাসবহুল হোটেল-রিসর্ট। প্রভাবশালী শাসকদলের নেতাদের মদতেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হাসনাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার টাকি পর্যটন কেন্দ্রে ইছামতি নদীর চড়ে বেআইনিভাবে বিলাসবহুল হোটেল গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এনিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন পরিবেশ প্রেমীরাও। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই সমস্ত বেআইনি নির্মানকেই হাতিয়ার করে নামতে চলছে বিরোধীশিবির।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট দীঘার তাজপুরে সমুদ্র কিনারায় থাকা হোটেলগুলোকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। পরিবেশ ও পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগেই জাতীয় পরিবেশ আদালত (গ্রিন ট্রাইব্যুনাল) এই নির্দেশ দিয়েছিল। যে ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার টাকিতে। জানা গিয়েছে, টাকি রাজবাড়ী ঘাট সংলগ্ন বেশ কয়েকটি বেআইনি হোটেল-রিসর্ট তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সংখ্যালঘুসেলের সম্পাদক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শাহানুর মন্ডল যার একটির মালিকানায় রয়েছে বলে টাকি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। বাকিগুলিরও মালিক কোনও না কোনও প্রভাবশালী।

এখানেই প্রশ্ন উঠছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিন্দুমাত্র না ভেবে কিভাবে টাকি পর্যটন কেন্দ্রে, ইছামতি নদীর পাড়েই এভাবে বিলাসবহুল হোটেলের অনুমতি পেল ? নদীতে জোয়ার এলেই জোয়ারের জল হোটেলের দেওয়ালে প্রতিনিয়ত ধাক্কা মারে‌। নিয়ম অনুযায়ী জোয়ারের জল নদীর কিনারায় যতদূর পর্যন্ত পৌঁছায় ঠিক তত দূর থেকে প্রায় ৯ ফুট দূরে নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একেবারে নদীর গর্ভেই তৈরি হয়েছে সুবিশাল হোটেল। যেখানে হোটেলের দেওয়াল প্রতিদিনই ধাক্কা মারছে এই ইছামতি নদীর জোয়ারের জল। একটি হোটেলের একাংশ হেলে পড়েছে বলেও অভিযোগ। যেকোনো সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে। শুধু মানুষের নিরাপত্তাই নয়, পরিবেশের কথা না ভেবেই এভাবেই বেআইনি নির্মাণ হয়েছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশ প্রেমীদের একাংশ।

গত মাসে টাকিতে ঘুরতে এসেছিলেন জনৈক আইনজীবী তন্ময় বসু। গোটা এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে গিয়েই এনিয়ে রাজ্যের পরিবেশ দফতর থেকে শুরু করে সেচ দফতর, এমনকি টাকি পুরসভা, বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ গিয়েছে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ও হাসনাবাদ থানার কাছেও। এই সমস্ত নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবীর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এইভাবে ইছামতি নদীর পাড়ে তৈরি করছে বিলাসবহুল হোটেল।

আইনজীবীর দাবি, তাজপুরের ক্ষেত্রে আদালত যেমন পরিবেশ ও পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সমুদ্র তীরবর্তী হোটেলগুলোকে ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন ঠিক তেমনি ভাবে এই টাকি পর্যটন কেন্দ্রের ইছামতি নদীর কিনারায় তৈরি হওয়া হোটেল গুলোকে ভাঙ্গার নির্দেশ দিক। এই হোটেল গুলোকে ভেঙে ফেললে শুধু ইছামতি নদী রক্ষা করা নয়। হাজার হাজার পর্যটকদের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে।